সম্প্রতি টি.আই.এন নাম্বার করেছি। তাই ঢাকায় বসবাসরতদের কিভাবে, কোথায় যেতে হবে জানিয়ে দিচ্ছি। নতুন করে বোধহয় বলবার দরকার নেই যে ব্যক্তি করসীমা এখন ১,৬৫,০০০ টাকা। যাই হোক টি.আই.এন করতে হলে প্রথমেই জানতে হবে আপনার কর অঞ্চল এবং সার্কেল অফিস।
যদি আপনার নাম A, B, C, D, E অথবা F দিয়ে শুরু হয় তবে -
বৈতনিক সার্কেল ৭, কর অঞ্চল ৪, ঢাকা (ফোন: ৯৩৩০০৪০)
যদি আপনার নাম M দিয়ে শুরু হয় তবে -
বৈতনিক সার্কেল ৮, কর অঞ্চল ৪, ঢাকা (ফোন: ৯৩৩০১৫২)
[যারা নামের শুরুতে মোহাম্মদ পুরোটা লিখেন তারা এখানে কাগজ জমা দেবেন। আর যাদের নামের শুরুতে "মো:" তারা নামের পরের অংশ যে আদ্যাক্ষর দিয়ে শুরু সেই সার্কেলে কাগজপত্র জমা দেবেন। যেমন কারও নাম যদি হয় মো: বদিউজ্জামান, তাহলে তার সার্কেল অফিস হবে ৭।]
যদি আপনার নাম G, H, I, J, K অথবা L দিয়ে শুরু হয় তবে -
সার্কেল ৪১, কর অঞ্চল ৪, ঢাকা (ফোন: ৯৩৩৬৭৩৭)
যদি আপনার নাম N, O, P, Q, R, S, T, U, V, W, X অথবা Z দিয়ে শুরু হয় তবে -
সার্কেল ৪৩, কর অঞ্চল ৪, ঢাকা (ফোন: ৯৩৫২৯০৭)
জেনে গেলেন আপনার সার্কেল অফিস ও কর অঞ্চল। সবক'টি অফিসই সেগুন বাগিচায় জাতীয় রাজস্ব ভবন-এর বিপরীত পাশে একটি গলির ভিতরে।
১। এবার আপনার নামের আদ্যাক্ষরের সাথে মিলিয়ে যে সার্কেল অফিস ও কর অঞ্চল হয় তার উপ-কর কমিশনার বরাবর ১০০০ টাকার একটি পে-অর্ডার করে ফেলুন যে কোন ব্যাংক থেকে।
২। এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন তিন পাতার এ্যাপ্লিকেশন ফরমটি ও পূরণ করুন। [ফরম-এর ৮ নং ঘরে পে-অর্ডার নাম্বার, তারিখ, ব্যাংকের নাম ও শাখার নাম লিখুন]
৩। এ্যাপ্লিকেশন ফরমটির দুই কপি জমা দিতে হবে ফলে মোট আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগবে। ছবি সত্যায়িত করার দরকার নাই।
৪। যে প্রতিষ্ঠানে চাকরী করছেন তার আই.ডি কার্ডের ফটোকপি অথবা শেষ মাসের বেতন বিল অথবা পুরো বছরের বেতনের স্টেটমেন্ট -এর যে কোন একটির প্রয়োজন হবে।
তাহলে আরেকবার চেক করে নিই কাগজপত্রগুলো।
ক। পাসপোর্ট সাইজ ছবি সহ দুই কপি পূরনকৃত আবেদন ফরম।
খ। ব্যাংকের পে-অর্ডার
গ। ৪নং পয়েন্টে উল্লেখ করা যে কোন একটি কাগজ।
সাবধানতার জন্য বা রেকর্ড রাখার জন্য পুরো সেটের ফটোকপি করে রাখুন এবং কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দেয়ার সময় ফটোকপি সঙ্গে রাখুন।
কাগজ জমা দেবার সময় তারা একটি রিসিট দেবে অথবা আপনার কাগজের ফটোকপিতে রিসিভ লিখে দেবে। স্বাভাবিক নিয়মে একমাসের মধ্যে টি.আই.এন নাম্বার পেয়ে যাবার কথা।
আর অস্বাভাবিক নিয়মের কথা নাইবা বললাম । আমাকে বলেছিল ২ দিনের মধ্যে করে দেবে। আমি বললাম তাড়াহুড়ার কিছু নাই, স্বাভাবিক নিয়মে হউক। ১৫ দিনের দিন পেয়ে গেছি।