somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাদিয়ানী বনাম অকাদিয়ানী (পর্ব-৪)

১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



Najib Hossain Akash খতমে নবুওয়ত বলে কিছু কুরআনে আছে কি?
কুরআনে তো আছে "মুহাম্মদ খাতামান্নাবিয়্যিন"।
আপনারা এতো খতমে নবুওযত, খতমে নবুওয়ত বলে কি বুঝাতে চান?
MahdeeSmart Abat Realans সহী আরবীতে বললে খাতাম এ নবুয়াত কিন্তু বাংলায় একটু অশুদ্ধ ভাবে সবাই উচ্চারন করেন খতমে নবুয়াত যেমন ইমাম মাহদিকে বলে ইমাম মেহেদি । যাই হোক এটা বড় কোন সমস্যা নয় । আচ্ছা আমি যদি কাউকে বলি অমুককে আমি খতম করে ফেলব তবে আপনি এর অ্থ কি বুঝবেন ? আমি তাকে শেষ করে ফেলব এটি বুঝবেন নাকি বুঝবেন আমি তাকে সম্মান করে আংটি দিব বা মহর দিব ?
Najib Hossain Akash অমুককে খতম করবেন ভালো কথা।
এই "খতম" একটা উর্দু শব্দ।
আরবিতে "খতম" বলে কোনো শব্দই নাই।
কুরআন সম্পূর্ণ আরবি।
MahdeeSmart Abat Realans এই খতম উ্দু ভাষায় কবে থেকে এসেছে জানেন ? যখন আরবের মুসলিমরা এসে শাষন শুরু করে তখন থেকে শুধু তাই না আপনি বাংলা গ্রামার পড়লে দেখবেন যে আমাদের বাংলাভাষাতেও অনেক বিদেশীরা আসার পর তারপর অনেক শব্দ যুক্ত হয়েছে । আপনারা হয়ত বলতে পারেন আমরা যে খতম বলি সেটার অর্থ শেষ হলেও আরবীতে খতম মানে ভিন্নার্থ হয় । কিন্তু আমি বলব না কথাটা পুরোপুরি সত্য নয় । কারন কিছু কিছু বিদেশী শব্দ অন্যভাষার সাথে অঙ্গাআঙ্গিভাবে জড়িত হলেও তার মূলঅর্থ কিন্তু উভয় ভাষাতেই একই হয় যেমন- বাংলাতে চেয়ার বলতে যা বুঝায় ইংরেজিতেও তাই আবার চা , চিনি বাংলাতে যা বুঝায় চাইনিচেও তাই । আবার রিকশা বাংলাতে যা বুঝায় জাপানিচেও তাই । ঠিক একইভাবে ঊর্দু বা বাংলাতে খতম বলতে যে ধরনের শেষ বুঝায় আরবীতেও তাই।
MahdeeSmart Abat Realans আজকে ভাই এ পর্যন্তই কালকে আবার ইনশাহ আল্লাহ ইশা বাদ
Najib Hossain Akash যেটা জানেন না সেটা জেনে আসুন।
জানার পর আলোচনা করুন
MahdeeSmart Abat Realans ভাই, অবশেষে আমাকে আন্ডারস্টিমেট করেই ছারলেন ! আমি না জেনে কি বিতর্ক করতে এসেছি ? উপরের কমেন্টে আমি যা বলেছি জেনেই বলেছি আপনাকেই বলতে হবে যে আমি যা জেনেছি তার ভুল কোথায় ? আপনি তা না বলে এসব কি বাক্য প্রয়োগ করছেন ?
MahdeeSmart Abat Realans আসসালামু আলাইকুম Najib Hossain Akash গতকালকে বাদ ঈশা ব্যাস্ত থাকায় ডিবেট করতে পারিনি এজন্য ক্ষমাপ্রার্থী ।আপনারা খাতামান্নাবিয়্যিন বলতে কি বুঝেন সেটা বলুন
Najib Hossain Akash আমি এই ব্যাপারে বিস্তারিত পোস্ট লিখছি।
MahdeeSmart Abat Realans
ইনশাল্লাহ কাল/পরশু প্রকাশিত হবে।
তখন বিস্তারিত জানবেন।
MahdeeSmart Abat Realans পোষ্ট লিখেছেন পোষ্ট করবেন ভাল কথা কিন্তু এখানে বিতর্ক এর টপিক এটা তাই এখানে পোষ্টের কথা না বলে তথ্য দিতে হবে
Najib Hossain Akash কূটতর্ক করতে আসিনি।
সবাইকে বুঝাতে এসেছি।
সত্যকে চিনাতে এসেছি।
আমি মনে করি ঐ পোস্টটা এখানে দিলেই যথেষ্ট হবে।
MahdeeSmart Abat Realans আপনার পোষ্টে এক সংগে অনেকগুলো দলিল আর পয়েন্ট উল্লেখ থাকতে পারে । এই বিতর্কের নিয়ম অনুযায়ি আমি ২০ মি এর মধ্যে কিভাবে এতগুলোর ভুল ব্যাখ্যার খন্ডন করব । এতে আমার সময় দুই দিনও লেগে যেতে পারে । তাই আপনি যদি এটি পোষ্ট আকারেই দিতে চান তবে সেই দিন সকালে এখানে দিবেন এর জবাবে আমিও একটা দিব তারপর রাত্রে ডিবেট হবে
MahdeeSmart Abat Realans তাহলে আজকে আর বিতর্ক হচ্ছে না । আপনার পোষ্ট না আসা পর্যন্তও ?
Najib Hossain Akash আমি ঐটার কোনো জবাব কারোর কাছে চাইনি।
আমাদের মতামত সবাইকে মানতেই হবে এরকম না।
আপনি চাইলে অস্বীকার করতে পারেন।
"লা ইকরাহা ফিদ্দিন"
MahdeeSmart Abat Realans ঠিক আছে কাল সকালে বা পরশু সকালে এখানে দিয়েন
Najib Hossain Akash আপনাদের জন্য একটা নিউজ দিচ্ছি
MahdeeSmart Abat Realans দিন
Najib Hossain Akash অাজ খ্রিষ্টানরা হতাশ হয়ে বলছে "JESUS ISN'T COMING"।
এই হতাশ হবার কথাটা মির্যা গোলাম আহমদ আঃ বলে গিয়েছিলেন।
MahdeeSmart Abat Realans এটা খ্রিষ্টানদের কিছু দল অনেক আগে থেকেই বলে । আর উপরের নিউজ দিয়ে এটা প্রমান হয় না যে এটা সকল খ্রিষ্টানরাই বলছে।
Najib Hossain Akash কিছু থেকে শুরু।
যাইহোক, এ নিয়ে কূটতর্ক করতে চাইনা
MahdeeSmart Abat Realans কিছু থেকে শুরু হয়ে কি সব খ্রিষ্টানরাই বিশ্বাস শুরু করেছে ?
MahdeeSmart Abat Realans যিশু আসবে এটা মুসলিমদেরই বিশ্বাস ক্যাথলিক বা অন্য খ্রিষ্টানরা ত ত্রিতত্ত্ব বাদে বিশ্বাসি তারা যিশুর আসা নিয়ে মাথা ঘামায় না বরং আসলেই আর ঝামেলা
MahdeeSmart Abat Realans Najib Hossain Akash ভাই আপনার সেই পোষ্ট ত আর এখানে দিলেন না প্রায় ৩ দিন হয়ে গেল । নাকি নতুন কোন যুক্তিই খুজে পাচ্ছেন না খাতামান নাবিয়িনের বিপক্ষে ?
Najib Hossain Akash যদি না পাই?

MahdeeSmart Abat Realans আপনার এমন আচরনে দর্শক বিরক্ত হতে পারে এমনকি নিশ্বয় কোন গম্বর আছে এমনও ভাবতে পারে
Najib Hossain Akash ভাবুক/বিরক্ত হোক।
সে কি আমার আচরন দেখে ঈমান আনবে?
তাহলে তার ঈমান আনার দরকার নাই
MahdeeSmart Abat Realans সে যাইহোক আপনার পোষ্ট এখানে কবে দিবেন ?
MahdeeSmart Abat Realans ---////মাঝখানে দর্শকদের উদ্দেশ্যে আরো ১টি কথা বলে রাখি ////----- আমাদের এই দীর্ঘমেয়াদি বিতর্ক দেখে এবং আমার বিপক্ষ নজীব ভাইয়ের প্রায়ই বিতর্ক হতে অনুপস্থিতি দেখে আর সর্বপরি কাদিয়ানীদের বিপক্ষে ডিবেট করার সময় আমার মন্তব্য সাধারন মুসলিমদের কাছে চটকদার এবং আক্রমনাত্বক জোরালো না হওয়ায় অনেকেই ভীষন বিরক্ত বোধ করতে পারেন। কিন্তু আমার এই ধরনের যুক্তি প্রমান শুধুমাত্র যে স্বয়ং নিজেই কাদিয়ানী তার কাছেই তীরের মত বিধবে অন্য কারো নয় । কারন আমি শুধুমাত্র কাদিয়ানীদের মুল কনসেপ্ট , ওদের বক্তব্য এবং দাবী গুলোরই জবাব দিয়েছি যেগুলোর উপর কাদিয়ানী মতবাদ দ্বারিয়ে রয়েছে । কিন্তু সাধারন মুসলিম কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে এমন অনেক কিছুই শুনেছে যে তাতে তাদের বেশীরভাগেরই মনে হতে পারে যে এদের সাথে আবার বিতর্ক কিসের বা সরাসরি এদের ভন্ডামী প্রকাশ করলেই হয় । কিন্তু আমি কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে যেসব যুক্তি প্রমান সংগ্রহ করেছি তার বেশীর ভাগই এ পর্যন্ত কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে যারা লিখেছেন তা হতে সম্পূর্ন আলাদা আর এগুলো আপনাদের সবারই কালেকশনে রাখা উচিত । কারন এতদিন কাদিয়ানীদের কেউ চিনত না যারা চিনত তারা সবাই ভন্ড পাগল নবী দাবীকারি হিসেবে ঘৃনা করত । কিন্তু এখন অনলাইন বিশেষ করে ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকেই তাদের খপ্পরে পরে ভুল পথে যেতে পারেন । তাই সাবধান ( যাদের ইসলাম সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই)- কাদিয়ানী মতবাদ বুঝতে হলে ১মে ইসলামে দার্শনিক মতবাদের ছোবল সম্পর্কে জানতে হবে। ইসলামের মধ্যযুগে গ্রীকদের প্রভাবে দ্বীনের মধ্যে দার্শনিক মতবাদের অনুপ্রবেশ ঘটে এবং অনেক মুসলিম এই দার্শনিক মতবাদের ছোবল এর স্বিকার হয় এবং মুসলিমদের নিজের মাঝে খুনো খুনি পর্যন্ত ঘটে যায় । এই মতবাদ অনুযায়ি তারা ভাবতে থাকে ইব্রাহিম আঃ কে যে আগুনে দেয়া হয়েছিল তা আসলে নমরুদের মনের আগুন সত্যিকারের আগুন নয় , আদম আঃ কে দুনিয়ার বাগানেই রাখা হয়েছিল যাকে জান্নাত বলা হয় , জ্বীন জাতি আসলে মানুষেরই মধ্যেই যারা ধনী এবং অহঙ্গকারী তারাই জ্বিন আর আদম এর সন্তান ইনসান হল মাটির মত মনের মানুষ , ফেরেশতা সম্পর্কে অন্যরকম ধারনা , আসমান আসলে নেই এটি একটা মর্যাদা যাকে আসমানে তুলা হয় , সর্বপরি জান্নাত জাহান্নাম সম্পর্কেও অন্যরকম ধারনা করে । পরে ইমাম গাজ্জালী রহঃ এর মাধ্যমে ইসলামি বিশ্বে এই দার্শনিকতার ছোবল হতে আল্লাহ সুবঃ বাচালেও কিছু থেকেই যায় । আর গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ইংরেজদের হতে পাওয়া এসব বিভিন্ন গ্রন্থ পড়াশুনা করত তাই সে ইসলাম ধর্মকেও সেই দার্শনিকতার সাথে মিলে মিশে একাকার করে তুলে ধরে( এজন্য দেখবেন কাদিয়ানীরাও জ্বীন,ফেরেশতা এবং আদম আঃ সম্পর্কে কি ধারনা করে) এবং নিজেকে ১মে মুজাদ্দিদ পরে মাহদি পরে ঈসা পরে মরিয়াম সব শেষে নবী রাসুল এবং অন্যান্ন নবী রাসুলদের হতে নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করে ইংরেজদের মদদে নিজের অনুসারি বাড়াতে থাকে এবং ততকালীন ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করাকে হারাম প্রচার করে ইংরেজদের এজেন্ট হয়ে ।
Babu Sahebঃ----- Najib Hossain Akash ভাই & MahdeeSmart Abat Realans ভাই, আপনাদের ডিবেট কি শেষ?

আমরা কি এখন সিদ্ধান্ত নিতে পারি? এই কমেন্টের রিপ্লাই option ব্যবহার করুন প্লিজ।
Najib Hossain Akash সিদ্ধান্ত আপনার।
আপনি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক।
"লা ইকরাহা ফিদ্দিন"
আমি ডিবেটটা আর আগাচ্ছি না
MahdeeSmart Abat Realans বাবু ভাই আমাদের ডিবেট ত টপিক অনুযায়ি শেষ হয় নাই । শুধুমাত্র নজীব ভাইয়ের দেয়া ১ম টপিক নিয়ে ডিবেট শেষ হয়েছে যদিও আরো অনেক কিছুই বাকী ছিল । বর্তমানে আমাদের নজীব ভাইয়েরই বেধে দেয়া খাতামান্নাবিয়্যিন টপিক নিয়ে আলোচনা সবেমাত্র শুরু হওয়ার ১মেই নজীব ভাই ১ নতুন আবদার করল যে - এভাবে প্রতিটি পয়েন্টে ডিবেট না করে তিনি এই পুরো টপিক সম্পর্কেই একটা পোষ্ট আকারে এখানে দিবেন আর আমিও তার জবাবে পোষ্ট দিব । মোট কথা ১ম টপিক শেষ হবার পরই হটাত কেন জানি উনি ডিবেট এর রুল অনুযায়ি বিতর্ক এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিলেন যার ফলশ্রুতিতে তিনি শুধু মাত্র পোষ্ট দিয়েই চলে যেতে চাচ্ছিলেন । তবু সেই পোষ্টটি দিতেন নাকি ডিবেটের উদ্দেশ্যেও নয় শুধুমাত্র দর্শকদের দাওয়াত দেবার উদ্দেশ্যে, যদিও এটি শুধুমাত্র দাওয়াত দিয়েই পার পাবার মত জায়গা ছিল না বরং বিতর্কেরও জায়গা তবুও আমি রাজি ছিলাম। কিন্তু তিনি ৭ দিন পূর্বে পোষ্ট দেবার কথা বললেও তা না দি্যে বিভিন্ন জরুরত এর দোহাই দিয়ে আসছিল । তাই আমি এই দীর্ঘ বিরতিতে যাতে দর্শকরা বিরক্ত না হয়ে বরং ধৈর্য্য ধরে তাই দর্শকদের উদ্দেশ্যে সরাসরি আমি একটি কমেন্ট করি । যদিও এই কমেন্টটি ছিল সম্পূর্ন বিতর্ক বহির্ভুত ১টি ব্যাপার এবং নজীব ভাইকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়নি তবু তিনি এই কমেন্টের উপর জের ধরে সরাসরি বিতর্ক যে বাদই দিলেন তাই নয় বরং জোর করেই তালগাছটা আমার ঘারেই চাপালেন । যদিও তিনি এরকম এই বিতর্কের মাঝে আরো কয়েকবার করছিলেন উপরে কমেন্ট গুলো পড়লে যা সবাই বুঝবে । আর তাছারা তিনি যে ইস্যু করে বিতর্ক বাদ দিতে চাচ্ছেন সেরকম আচরন তিনিও বেশ কয়েকবার করেছেন কিন্তু আমি কিছুই বলিনি যেমন- তিনি বিতর্কের মাঝে অহেতুক দর্শকদের উদ্দেশ্য করে আহমদিদের কিছু লিংক এবং মন্তব্য শেয়ার করছেন যা শুধুমা্ত্রই তাদের দাওয়াতি উদ্দেশ্য ছিল কিন্তু বিতর্কের কোন টপিক ছিল না যেমন উপরের কমেন্টে দেখবেন যে তিনি বেশ কয়েকবার তাদের টিভি চ্যানেল সহ কিছু লিংক এবং শুধুমা্ত্রই দাওয়াতি মন্তব্য শেয়ার করছেন ।
MahdeeSmart Abat Realans যদিও নজীব ভাই বিতর্ক শেষ করতে চাচ্ছেন তবুও আমি নজীব ভাই ছারা অন্য যেকোন কাদিয়ানীর সাথে বাদ বাকী টপিকগুলো নিয়ে বিতর্ক চালিয়ে যেতে রাজি আছি ।

MahdeeSmart Abat Realans ১মে নিজের সহ সবারই আল্লাহর কাছে হেদায়েত কামনা করছি এবং বিপথগা্মীতা হতে তাঁর কাছেই আশ্রয় চাইছি- আমিন । যাইহোক সত্যের কাছে মিথ্যা টিকতে পারে না বরং মিথ্যা উড়াল দিতে বাধ্য । সবশেষে মহান আল্লাহ সুবঃ এর প্রশংসা করে শেষ করছি । আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আ-লামিন ।
Babu Sahebঃ--- MahdeeSmart Abat Realans , আপনার যদি কিছু কথা বাকি থাকে তাহলে তা কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান। ডিবেট শেষ হয়েছে। কেউ যদি কোনো আলোচনা করতে চায় তাতে কোনো সমস্যা নাই।

আপনি যেহেতু বলছেন আরো কিছু টপিক বাকি ছিল সেহেতু আপনি সেই টপিকগুলো নিজেই উপস্থাপন করুন ও ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের বুঝিয়ে দিন কমেন্টের মাধ্যমে।

মানে আপনি নিজেই প্রশ্নকর্তা + উত্তরদাতা হয়ে যান। :)
MahdeeSmart Abat Realans ইনশাহ আল্লাহ আলোচনা করব

MahdeeSmart Abat Realans দর্শকদের বলে রাখি । আপাদত দুই পাক্ষিক বিতর্ক শেষ এখন শুরু হবে এক পাক্ষিক পর্যালোচনা কাদিয়ানীদের বাকী টপিক নিয়ে ইনশাহ আল্লাহ
MahdeeSmart Abat Realans বিভিন্ন কারনে ব্যাস্ত থাকায় এতদিন এই বিষয়টা উপসংহার টানতে পারিনি বলে দুঃখিত । আসলে প্রতিপক্ষ না থাকলে গুরুত্ব থাকে না তবু কাদিয়ানীরা যাতে অনলাইনে ধোকা না দিতে পারে তাই আমি ইনশাহ আল্লাহ কয়েকদিনের মধ্যেই কাদিয়ানীদের সমস্ত মতবাদের ব্যাবচ্ছেদ এই পোষ্টেই সম্পন্ন করব । সবাই আমার জন্য দুয়া করবেন ।
MahdeeSmart Abat Realans বর্তমানে আমাদের খাতামান্নাবিয়্যিন টপিক নিয়ে আলোচনা সম্পন্ন করা হবে । ১মে জানা দরকার যে- যেহেতু গো আ কা্দিয়ানী কোন মাদ্রাসায় পড়েনি তাই তার আরবী জ্ঞান ছিল খুবই দুর্বল তাই অনুবাদে বিভিন্ন ভাবে ভুল বুঝে নিজেকে ১মে মাহদি, পরে সবাই দাজ্জাল ও ঈসা তাহলে কে ? বললে খ্রিষ্টান পাদ্রিদের দাজ্জাল বলে পরে নিজেকেই আবার সেই প্রতিস্রুত ঈসা বলতে শুরু করে । সে যদি নিজেকে শুধু মাহদি এবং ঈসা দাবী করেই ক্ষান্ত হত তবে কুরেন উল্লেখিত খাতামান্নাবিয়্যিন টপিক নিয়ে আলোচনা করার দরকার হত না । কিন্তু নবী সাঃ বলে দিয়েছেন যে রব দাবীকারী দাজ্জালের আবির্ভাবের পূর্বে ৩০জন মিথ্যাবাদী ভন্ড নিজেদের নবী দাবী করবে আর নবী সাঃ এর সময়ই ইহুদিদের বংশে একজন নবী দাবী করে এবং সে দাবী করে যে তার কাছেও অহি আসে । নবী সাঃ প্রমান করেন যে এই অহী আসলে শয়তানের কাছ থেকেই আসে তাই সে সত্য মিথ্যার মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলছে । এই সুত্রানুসারে আমরা বুঝতে পারি যে বর্তমানে যারাই নিজেদের কাছে অহি আসার দাবী করে নিজেদের নবী দাবী করবে আমাদের বুঝতে হবে যে তাদের কাছে সেই অহি অবশ্যই শয়তান কর্তৃক প্রেরীত । তাই দেখা যায় গো আ কাদিয়ানীর কাছে যখন অহি আসা শুরু হয় যে - তোমাকে আসমানে নবী ও রাসুল বলা হচ্ছে তখনই সে মানুষদের সেই বিশ্বাস প্রচার করাতে অপরিবর্তনীয় কুরান এ যেখানে নবী সাঃ কে খাতামান্নাবিয়্যিন বলা হয়েছে সেসব আয়াত নিয়ে টানাহিচরা শুরু করে এবং আমাদের নবী যে শেষ নবী ও রসুল তার উলটো ব্যাখ্যা করতে থাকে আর তার অনুসারি মূর্খ্যের দল তাই ভাবতে শুরু করে । কুরানের এই আয়াত এবং আরেকটি আয়াত এবং কিছু হাদিস সম্পর্কে কাদিয়ানীরা কি পিকুলিয়ার মত পোষন করে এবং সত্যটা আসলে কি তা নিম্নের কমেন্টে ইনশাহ আল্লাহ ক্লিয়ারভাবে উল্লেখ করা হবে
MahdeeSmart Abat Realans কাদিয়ানীরা ১মত কুরানের যে আয়াত নিয়ে প্যাঁচ দেয় তা হল সুরা আহযাবের ৪০ নং আয়াত এবং এই আয়াতের খাতাম শব্দ নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে আয়াতটি হল –
مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَآ أَحَدٍۢ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ ٱللَّهِ وَخَاتَمَ ٱلنَّبِيِّۦنَۗ وَكَانَ ٱللَّهُ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمًۭا
শাব্দিক অর্থ – মুহাম্মদ তোমাদের পুরূষের মধ্যে কারও পিতা নয় বরং তিনি আল্লাহর বার্তাপ্রেরক এবং নবীদের সীল মহর(বন্ধকরনের সীল মহর) আর আল্লাহ সকল বিষয়েই জ্ঞাত ।
উপরের আয়াতের খাতাম শব্দের অর্থ বিভিন্ন তফসিরকারক বিভিন্ন ধরনের করেছেন । যেমন-
MahdeeSmart Abat Realans যেমন- খাতাম অর্থ – সমাপ্তকারী, শেষ , বন্ধ দরজা, সীল, মহর ইত্যাদি । তফসিরকারকদের মাঝে প্রায় বেশিরভাগই সরাসরি শাব্দিক অর্থ না করে ব্যাখ্যামুলক অর্থ গ্রহন করেছেন যদিও এই ব্যাখ্যামুলক অর্থ মূল অর্থ বিরোধী নয় তবু সমস্যা হল কেউ কেউ খাতামকে এডজেকটিভ হিসেবে শব্দার্থ করেছেন আবার কেউ কেউ সমাপ্তকারী দিয়েছেন যা স্বয়ং নবী সাঃ কে বলা হয়েছে অথচ এটা ১ ধরনের শিরক । আর এমন অর্থ তারা করেছেন্ ভাল উদ্দেশ্যেই যাতে সাধারন মানুষ ভুল না বুঝে । শুধু এই ক্ষেত্রেই নয় কুরানের অন্নান্য জায়গাতেও তফসিরকারকগন সরাসরি শাব্দিক অর্থ না করে ব্যাখ্যামুলক অর্থ গ্রহন করে যেমন- কুরানে প্রায় অনেক জায়গাতেই শাব্দিকভাবে বলা আছে "আমরা করলাম" কিন্তু বিভিন্ন তাফসিরকারক সেটি না অনুবাদ করে ব্যাখ্যামুলক অনুবাদ করে লিখে "আমি করলাম" যদিও এটা তেমন কোন সমস্যা না তবুও খাতাম শব্দের অর্থ অনেক তাফসিরকারক সরাসরি শাব্দিক অর্থও করেছেন এবং পাশে ব্রাকেটে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন । এবারে আসুন কাদিয়ানীদের অনুবাদে । তারা কি করেছে আর কেন করেছে –
MahdeeSmart Abat Realans কাদিয়ানীরা সাধারনত সেই অনুবাদই করেছে যা তাদের নেতা গো আ কাদিয়ানী ১মে অনুবাদ করেছিল । আর সবার ১মেই জানা উচিত গো আ কাদিয়ানীর অনুবাদ করার যোগ্যতা কেমন ছিল। একথা সবাই জানে যে, ভাল আরবী জ্ঞান না থাকলে সে কোনভাবেই কুরানের অনুবাদ করার যোগ্যতা রাখে না । আর গো আ কাদিয়ানী কোন মাদ্রাসায় পড়েননি তাই তার আরবী জ্ঞান ছিল খুবই দুর্বল তাই অনুবাদে বিভিন্ন ভাবে ভুল বুঝে নিজেকে ১মে মাহদি পরে সবাই দাজ্জাল ঈসা তাহলে কে? বললে খ্রিষ্টান পাদ্রিদের দাজ্জাল বলে আখ্যা দেয় এবং পরে নিজেকেই আবার রুপক ঈসা বলতে শুরু করে । সে এসব পিকুলিয়ার দাবি করার পর তাকে নিয়ে তৎকালীন আলেম সমাজ ঠাট্টাবিবিদ্রুপ করে এভাবে, "এই বেটা তো আরবিই জানেনা! এতো কোনো মাদ্রাসায় পড়েনি!" তখন মির্যা সাহেব উপায় অন্তুর না দেখে তার সহকারী এক আলেম মাওলানা নূরুদ্দীন ( যে পরে কাদিয়ানিদের খলিফা হয়েছিল) এর কাছ থেকে কিছুটা আরবি শিখে বলা শুরু করে আল্লাহ অলৌকিক ভাবে শিখিয়ছেন এবং আরবীতে কয়েকটা চটি টাইপ বই লিখে অথচ এর পূর্বে তার লেখা প্রায় ৮০টির মত গ্রন্থের মধ্যে প্রায় ৭৫টার চেয়েও বেশী ছিল উর্দুতে । এখানে চটি টাইপ বলা হল কারন সে আরবী যে কয়টি বই লিখেছিল বলা হয় সেগুলোর প্রায় বেশীরভাগই ছিল আরবদের কাছে নিজেকে নবী প্রমান করে দাওয়াত পত্র এবং বিভিন্ন জায়গায় আরবীতে ভাষনের সারসংক্ষেপ ।
MahdeeSmart Abat Realans এখন এখানে ১টি বিষয় লক্ষ্য করুন – গো আঃ প্রায় মাঝ বয়সে নিজেকে ইসলামের মুজাদ্দিদ ভাবতে শুরু করে আর এসময় ইসলাম নিয়ে গবেষনা করে কয়েকটি বইও রচনা করে। এরপর আবার নিজেকে তার মুজাদ্দিদের চেয়েও উচ্চ চিরিয়া মনে হতে থাকে অর্থাৎ ইমাম মাহদি। এরপর আরও বাড়িয়ে নিজেকে প্রতিস্রুত ঈসা এবং সবশেষে নবী-রসুল। আর এগুলো তার মনে হতে থাকে এবং প্রচার করতে থাকে একের পর এক বেশ কয়েক বতসর যাবত, আর এই সময়ে সে কুরান হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যা তুলে ধরে কোন ধরনের আরবী ভাষারজ্ঞান ছারাই। আর তার পটল তোলার মাত্র কয়েক বছর আগে দাবী করে যে তাকে নাকি এক রাত্রেই আল্লাহ সুবঃ আরবী ভাষার অসংখ্য মুল ধাতু শিক্ষা দিয়েছেন । হে হে । আচ্ছা যুক্তিনুযায়ি যদি এটা সত্যিও ধরে নেয়া যায় তবে কিন্তু তার মুখোশ অর্ধেকই এখানে খুলে যায় । কারন- তবে কি অনারব গো আ কাদিয়ানী এতদিন আরবী ভাষা না শিখেই শুধুমাত্র প্রচলিত কুরান হাদিসের অনুবাদ পড়ে এত দাবী দাওয়াসহ সমস্ত কুরান হাদিসের তফসির করেছিল ?------ হ্যা ! এমনটিই হয়েছিল। আর তাই সে নিজেকে একের পর এক বিভিন্ন পিকুলিয়ার দাবী করেছিল এবং কুরানের ভুল ব্যাখ্যা তুলে ধরে ততকালীন কিছু মূর্খ্যদের সাগরেতও বানিয়ে ফেলে আর এতে সহযোগীতা করে ইংরেজ সরকার । সে যাইহোক আসল কথা হল আরবী ভাষা না শিখে কেউ কুরান পড়লে সে কিন্তু ভাসা ভাসা কুরান বুঝবে মাত্র কিন্তু পুরো কুরানের তফসিরকারী বা মুজতিহাত মুজাদ্দিদ হওয়া মানে অপব্যাখ্যাকারী হওয়া কারন-
MahdeeSmart Abat Realans কুরানকে বুঝতে হবে আরবী দিয়েই যেভাবে ইংরেজি কবিতাকে বুঝতে হয় ইংরেজি দিয়েই ? নচেত বংগানুবাদ করলে ভুল হবে
কবিতার অনুবাদ যেমন ভাষান্তর সম্ভব নয় ঠিক তেমনি মহাগ্রন্থ আল কুরান রুপক এবং কাব্যময় হওয়ায় ভাষান্তর সম্ভব নয় । আবার সব ভাষারই একটা নিজস্ব বৈশিষ্ট আছে ফলে সরাসরি অনুবাদ যদি সম্ভবই হত তাহলে ট্রান্সলেটর সফটওয়ার দ্বারাই সব ভাষা ডাইরেক্ট অনুবাদ করা যেত ভাষায় অনার্স করার আর কারও দরকার হত না । তাই কুরান হাদিস যদি কেউ সরাসরি ভাষান্তর করে তবে অবশ্যই আসংখ্য ভুল হতে বাধ্য । একারনেই কোন মুসলিম বাংলায় কুরানের অর্থ করতে সাহস পায় নাই কিন্তু ১ম বাংলা করল একজন হিন্দু। যেকারনে বাংলায় অনেক ভুল আছে। কিন্তু উর্দু আর ফারসিতে কিছু অনুবাদ পূ্ব হতেই ছিল যা করেছিল কিছু মুসলমানই। আর ভাষান্তর করলে ৯০ ভাগ সঠিক হতে পারে তবে সেটা অনুবাদকের আরবী জ্ঞান অনুযায়ি । ১০০ ভাগ সম্ভব নয় । আর যেগুলো নিয়ে বিতর্ক বাধে দেখা গেছে সেগু্লোতেই অনুবাদক না বুঝেই ভুল অ্থ করেছে । আপনি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে আপনাকে ইংলিশ মিডিয়ামে তা হতে হয় । আর কুরানের ব্যাখ্যা করবেন অথচ আরবী জানবেন না শুধু অনুবাদ পড়েই তফসির শুরু করবেন তা কিভাবে সম্ভব ? হ্যা সম্ভব । আর তা হল অসংখ্য ভুলে ভরা তাফসির করা আর গো আ তাই করেছে
MahdeeSmart Abat Realans এখন কাদিয়ানীরা বলতে পারে যে তাকে আল্লাহ সুবঃ আরবী জ্ঞান না দিয়েই অলৌকিকভাবে সঠিক বুঝিয়েছেন । কিন্তু প্রশ্ন হল – সে ত নিজে নিজে উর্দু ফারসি শিখে ঠিকই কুরানের অনুবাদ করত তবে আল্লাহ সুবঃ যদি তাকে উর্দু শেখার সময় দিল তবে কেন আরবীটা শিখার সময় দিবে না অথচ কুরান আল্লাহ আরবীতেই নাজিল করেছেন । আর আল্লাহ তাকে যদি আরবি শিক্ষা না দিয়ে অলৌকিকতাই দেখাবেন তবে কেন জীবনের শেষের দিকে আবার আরবি শেখালেন অথচ এরপূর্বে সে আরবি না জেনেই অলরেডি কুরানের তাফসির করেই ফেলেছে(ভুল তাফসির) ।
MahdeeSmart Abat Realans এবারে আসুন গো আ সহ কাদিয়ানীরা সুরা আহযাবের ৪০ নং আয়াত এর কি তাফসির করেছে নিজেকে নবী প্রমান করতে-" মুহাম্মদ তোমাদের প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে কাহারও পিতা নহে, কিন্তু সে আল্লাহ্'র রাসূল এবং নবীগণের আংটি / মোহর(অলংকার/ সর্ব শ্রেষ্ঠ ); এবং আল্লাহ্ সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞানী " এখানে গো আ সহ কাদিয়ানীরা খাতাম এর শাব্দিক অর্থ করেছে এবং তারা বলে এখানে খাতাম শব্দটি ইসমে আলাহ্' বা যন্ত্রবাচক বিশেষ্য পদ(instrumental noun)। এই মোহর মারা বা ছাপ দেওয়া বা এমবোস করা ক্রিয়াটি বা কার্যটি যে যন্ত্রটি দিয়ে সম্পন্ন করা হয়, তাকেই বলে খাতাম বা সীলমোহর! অনেক সময় সীল করার জন্য আংটিও ব্যবহার করা হয় বলে একে আংটিও বলে। মোটকথা হল খাতাম শব্দটির তারা সরাসরি শাব্দিক অর্থ করেছে। এখন প্রশ্ন হল- দাজ্জাল,ঈসা, মাহদি, ইয়াজুজ মাজুজসহ কুরানের অসংখ্য আয়াতের শব্দকে রুপক বলনেওয়ালা গো আ কাদিয়ানী কেন এই খাতাম শব্দকে রুপক শব্দার্থ না করে সরাসরি শাব্দিক অর্থ নিয়েছে ? কারন হল এখানে খাতাম শব্দটির শাব্দিক অর্থ নিলেই তার সুবিধা অর্থাৎ প্যাঁচ দেয়া সহজ হয় । সে খাতাম শব্দের অর্থ মোহর বা আংটি করে বুঝাতে চায় যে এই আংটি বা মোহর দ্বারা সম্মান মর্যাদা বুঝাচ্ছে বা এক ধরনের অলংকার বুঝাচ্ছে আর এরা বুঝাতে চায় রসূলুল্লাহর (সঃ) পর তার মোহরাংকিত হয়ে আরো অনেক নবী দুনিয়ায় আগমন করবেন(যদিও নবী সাঃএর পর শুধুমাত্র নিজেকেই নবী মনে করে আর এর পূর্বে এবং পরে আর কোন নবীর আসার কথা সে বলে নাই) । এছারাও তারা বলে যতক্ষণ পর্যন্ত কারো নবুওয়াত রসূলুল্লাহর মোহরাংকিত না হয় ততক্ষণ তিনি নবী হতে পারবেন না তারমানে এরপূর্বে যত নবী-রাসুলগন এসেছিল তারাও রসূলুল্লাহর মোহরাংকিত ।
MahdeeSmart Abat Realans অর্থাৎ গো আ কাদিয়ানী খাতাম এর অর্থ করেছে অনেকটা এরকম যে এর দ্বারা বুঝায় জলছাপ, সম্মান, অলংকার , সত্যায়নকারী যন্ত্র , ট্যাটুর মত ছাপ ইত্যাদি । কিন্তু খাতাম অর্থ যে সমাপ্তকরনের যন্ত্র বুঝায় তা সে হয়ত বুঝে নাই অথবা ইচ্ছে করেই ভুল অর্থ করেছে কারন নবী সাঃ যে শেষ নবী তা কুরানে শুধুমাত্র এই আয়াতের খাতাম শব্দ দ্বারাই আল্লাহ সুবঃ আমাদেরকে সরাসরি জানিয়েছেন তাই এই খাতাম শব্দকে একটু প্যাচ দিয়ে শেষ নবী বুঝায় না এমন অর্থ করতে পারলে তার নবী দাবী কুরান বিরোধী হয় না যেহেতু সবাই কুরানকেই বেশি মুল্য দিবে আর হাদিসে যেসব জায়গায় শেষ নবী বলা আছে সেগুলোও তবে মুল্যহীন হয়ে পরবে বা অন্য ব্যাখ্যা দেয়া যাবে । আর গো আ কাদিয়ানী খাতাম শব্দের অর্থ কেন ভুল বুঝেছে তার প্রধান কারন আরবী ভাষাজ্ঞান না থাকা যা উপরে বলা হয়েছে এছারাও আরো কারন আছে । যেমন- মির্জা গো আ যে জামানার লোক সেই জামানা কিন্তু অনেকটা আধুনিক জামানা বলা যায় এবং সেসময় পূর্বের মত রাজা বাদশারাও ছিল না যারা হাতে আংটি ব্যাবহার করবে পত্র লেখার শেষে সীল মারার জন্য । বরং তখন আংটির ব্যাবহার ব্যাপকহারে শুরু হয়েছিল অলংকার ফ্যাশন হিসেবে আর চিঠি পত্র পাঠানো শুরু হয়েছিল ইনভিলোপ কভার করা খাপের মধ্যে আর তখন থেকেই চিঠির শেষে সীল মারার বদলে কভারের উপরে সীল মারার প্রচলন শুরু হয়েছিল ফলে এই সীলকে অনেকেই উপসংহার টানার যন্ত্রের বদলে জলছাপ বা সত্যায়নকারী যন্ত্র হিসেবে ভাবত । অর্থাৎ ধীরে ধীরে সীল মারার যন্ত্রসহ হাতের আংটির ব্যাবহারে বিবর্তন হয়েছিল । কিন্তু নবী সঃ এর যুগে এই আংটি দিয়ে রাজা বাদশারা তখনও পত্রের শেষে সীল দিত যখন প্রাচিন আরবে কোনো পত্র, চিঠি, বা কোনো খবর দুর দেশে পাঠানো হতো বা সন্ধি চুক্তি করা হত তখন পত্রটি লিখার শেষে আপন আংটি দিয়ে সীল মেরে দেওয়া হত ৷কারন তখনকার যুগে বর্তমান সীল ও টিপসইয়ের ব্যাবস্থা ছিলনা ৷ দস্তখত ও দেওয়া হতনা ৷ প্রচলন ছিল নিজ হাতের আংটি দিয়ে ছাপ দেওয়া ৷আংটির উদ্দেশ্য ছিল এটাই ৷(বর্তমানে ফ্যাশন) ৷বিভিন্ন দেশে রছুল সঃ পত্র দিতে চিঠি লিখা শেষ হলে আংটি দিয়ে ছাপ মেরে দিতেন ৷আংটির সীল মারা শেষ হলেই ভাবা হত লিখার কাজ শেষ । তাই ইসমে আলা হিসেবে যদি খাতাম শব্দের আংটিও অর্থ করা হয় তবে আরবরা বুঝত যে নবুয়াত শেষ হয়েছে তাই সমাপ্তকরনের আংটি দিয়ে সিল মারা হল কিন্তু মির্জা গো আ এর যুগ হতে বর্তমানের অনারবরা বুঝবে যে আংটি অর্থ করলে এক ধরনের অলংকার বুঝাবে । এসব কারনেই অনারব গো আ কাদিয়ানী খাতাম এর অর্থ আংটি করে ভুল বুঝে জলছাপ ধরনের কিছু ভেবেছে । আর এজন্যেই তার অনুসারীরা আজও এই খাতামের অর্থ আংটি হবে ভেবে হাউ কাউ করেই যাচ্ছে ।
MahdeeSmart Abat Realans যদিও উপরে প্রমান করা হয়েছে যে খাতাম শব্দের অর্থ আংটি হলেও সেটির অর্থও সমাপ্ত হবে তবুও এই আয়াতে খাতাম শব্দের সরল শাব্দিক অর্থ কিন্তু মোহর বা সীল মহর হবে এবং প্রায় সব আরব তফসিরকারগনই তাই অর্থ করেছে । কিন্তু কাদিয়ানীরা বলবে এর দ্বারা সম্মানিত আংটি বুঝাচ্ছে যার দ্বারা নবুয়তের ছাপ দেয়া হয় । তাদের এই অর্থ সত্যি ঠিক না বেঠিক তা আমরা কুরানের অন্নান্য আয়াত হতে বিবেচনা করব তারপর আমরা হাদিসের দিকে অগ্রসর হব । কুরানে এই আয়াত ছারাও আরো বিভিন্ন জায়গায় খাতাম শব্দ এসেছে এবং অন্য সব জায়গায় খাতামা হিসেবে এসেছে যা ফেল বা ক্রিয়া(verb) । এখন কাদিয়ানীদের খাতাম শব্দের অর্থ দিয়ে এবং প্রচলিত খাতাম শব্দের অর্থ দিয়ে কুরানের এসব আয়াত দিয়ে বিবেচনা করা হবে । তার পূর্বে আরবী গ্রামারের ধারনা আগে নেয়া হবে । আরবী গ্রামার অনুযায়ি ক্রিয়া বা ফেল যদি হয় " সাহায্য করেছে " তবে ইসমে ফায়েল বা কর্তৃবাচক বিশেষ্য হবে " সাহায্য কারী" আর যন্ত্রবাচক বিশেষ্য ইসমে আলাহ (اسم الة)তখন হবে " সাহায্য করার যন্ত্র" ঠিক তেমনি খাতামা শব্দটি হল ক্রিয়াপদ আর এইভাবেই কুরানের অন্নান্য আয়াতে এসেছে সুতারং আরবী গ্রামার অনুযায়ি ক্রিয়া বা ফেল যদি হয় " মহর করেছে " তবে ইসমে ফায়েল বা কর্তৃবাচক বিশেষ্য হবে " মহরকারী"আর যন্ত্রবাচক বিশেষ্য ইসমে আলাহ (اسم الة)তখন হবে " মহর করার যন্ত্র" এখন কুরানের একদম ১মে উল্লেখিত পরিচিত একটি আয়াত দিয়ে উদাহরন দিলেই সবাই বুঝতে পারবে। সুরা বাকারার ৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ সুবঃ বলেন- "খাতামা-ল্লাহি আলা কুলুবিহিম অয়া আলা সামি ইহিম অয়া আলা আবছোরিহিম " এর অর্থ – আল্লাহ মহর করেছেন তাদের(কাফেরদের) অন্তর এবং তাদের কর্ন এবং তাদের চক্ষু । এখন দেখুন এই আয়াতে আল্লাহ সুবঃ কাফেরদের হৃদয় মহর করার কথা বলেছেন এখন কিন্তু কাদিয়ানীসহ সবাই বলবে যে আল্লাহ সুবঃ তাদের অন্তর মহর করার ফলে এমন কিছু হয়েছে যে তারা হেদায়েত কিছুতেই পাবে না , এখন কিন্তু কাদিয়ানীসহ সবাই বুঝবে যে মহর মারার ফলে তারা হেদায়েত পায় না কারন এই মহর করার ফলে তাদের হৃদয়ের দ্বার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । তাহলে এখন যদি উক্ত আয়াতের অর্থ কেউ শাব্দিকভাবে সরাসরি না করে মহর না লিখে , এবং ব্যাখ্যামুলক শব্দ ব্যাবহার করে লিখে যে- আল্লাহ বন্ধ করেছেন তাদের হৃদয় , তবে কি কেউ তার অনুবাদ ভুল বলতে পারবে ? আবার কেউ যদি এভাবে অনুবাদ করে যে- আল্লাহ মহর করেছেন(বন্ধকরনের জন্য) তাদের হৃদয় । তবে ত কেউই তার অনুবাদ ভুল বলতে পারবে না । আর কুরানের সব জায়গায় এরকম অর্থেই খাতামা ও খাতাম শব্দ এসেছে সুতারাং আল কুরানের বিবেচনায় আরবি গ্রামার অনুযায়ি যার সত্যিকারের ক্রিয়া বা ফেল হবে "মহর করেছে(বন্ধকরনের জন্য)"তবে ইসমে ফায়েল বা কর্তৃবাচক বিশেষ্য হবে " মহরকারী(বন্ধকরনের) বা বন্ধকারী" আর যন্ত্রবাচক বিশেষ্য ইসমে আলাহ (اسم الة)তখন হবে খাতাম আর অর্থ হবে " মহর করার যন্ত্র(বন্ধকরনে) বা এক কথায় বন্ধকরনের যন্ত্র" এখন সুরা আহযাবের ৪০ নং আয়াতে ত এই ইসমে আলাহ খাতাম শব্দই ব্যাবহার হয়েছে( খাতামান্নাবিয়ান) যার অর্থ হবে – " নবীগনের মহর করার যন্ত্র(বন্ধকরনে) বা এক কথায় নবীগনের বন্ধকরনের যন্ত্র । এই কথাকেই আরো সুন্দরভাবে বাংলায় প্রকাশ করতে চাইলে লেখা যায় – নবীগনের বন্ধ দরজা(ইসমে আলা বা যন্ত্রবাচক বিশেষ্য ) । আর এই অনুবাদই বেশিরভাগ তাফসিরবিদ বিভিন্নভাবে করেছেন যা কুরানের অন্নান্য আয়াত এবং হাদিস সুমহের সাথে সামজস্যপূর্ন অর্থাৎ তিনিই শেষ নবী।
MahdeeSmart Abat Realans আয়াতটি আবার দিলাম- –

مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَآ أَحَدٍۢ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ ٱللَّهِ وَخَاتَمَ ٱلنَّبِيِّۦنَۗ وَكَانَ ٱللَّهُ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمًۭا
শাব্দিক অর্থ – মুহাম্মদ তোমাদের পুরূষের মধ্যে কারও পিতা নয় বরং তিনি আল্লাহর বার্তাপ্রেরক এবং নবীগনের সীল মহর(বন্ধকরনের সীল মহর) আর আল্লাহ সকল বিষয়েই জ্ঞাত ।
MahdeeSmart Abat Realans এবারে আসুন নিচের কমেন্টে কাদিয়ানীদের করা অ্থ এর সাথে কুরানের অন্নান্য আয়াত এর বিবেচনা করব -----
MahdeeSmart Abat Realans এবারে কাদিয়ানীদের করা অর্থ এর সাথে কুরানের অন্নান্য আয়াত এর বিবেচনা করব । এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যনিয় যে আরবি গ্রামার যাতে সর্বসাধারনেরও বোধগম্য হয় তাই শব্দগুলোকে ভেংগে ভেংগে এমন ভাবে দেখানো হয়েছে যাতে শিশু হলেও বুঝতে পারে। কাদিয়ানীরা খাতাম শব্দকে ইসমে আলা বা যন্ত্রবাচক বিশেষ্য ধরে কয়েক ধরনের অর্থ করে যেমনঃ- মহর আঁকার যন্ত্র( যার দ্বারা বৈধতাদান করা হয়) , মহরের ছাপ দেয়ার যন্ত্র( যার দ্বারা চিহ্নিতকরন করা যায়), মোহর( সর্ব শ্রেষ্ঠ ), সম্মানিত আংটি । আর তাহলে আরবি গ্রামারের সুত্রানুযায়ি ইসমে ফায়েল বা কর্তৃবাচক বিশেষ্য হবে " মহর অংকনকারী , মহরের ছাপদানকারী , মহর করার মাধ্যমে সর্বশ্রেষ্ঠ তৈরীকারী, সম্মানিত আংটি তৈরী কারী"। আর তখন অতীতকালের ক্রিয়া বা ফেল দ্বারাবে-" মহর আঁকিয়ে দিয়েছে(বৈধতা অর্থে) , মহরের ছাপ দিয়েছে(চিহ্নিতকরন অর্থে), মোহরের দ্বারা সর্বশ্রেষ্ঠ করেছে , সম্মানিত আংটি করেছে " । এবারে সুরা বাকারার ৭ নম্বর আয়াত এর লিটমাস পেপার হিসেবে ব্যাবহার করা হল "খাতামা-ল্লাহি আলা কুলুবিহিম অয়া আলা সামি ইহিম অয়া আলা আবছোরিহিম " উপরে যদিও বলা হয়েছে কাদিয়ানীরা সহ সবাই এই খাতামা অর্থ এমন বুঝে যে, আল্লাহ কাফেরদের অন্তর মোহর করার ফলে তাদের হৃদয় এর দ্বার বন্ধ হয়ে যায় । এটিই সর্বজনস্বিকৃত ধ্রবসত্য কিন্তু কাদিয়ানীদের খাতামান্নান নাবিয়্যিনে খাতাম এর যে অর্থ করে সেই অনুযায়ি সুরা বাকারাসহ কুরানের অন্নান্য জায়গায় উল্লেখিত খাতামা এর তফসির হয় ১মতঃ- আল্লাহ কাফেরদের হৃদয়ে মোহর অংকন করেছেন(বৈধতার জন্য) । এখানে আল্লাহ কাফেরদের কি বৈধতা দিচ্ছেন ? বা সফ্টলী আল্লাহ যদি কাফেরদের অন্তরে মোহর অংকন করেন তবে কি কাফেরদের অন্তর বন্ধ হতে পারে ? হ্যা পারত যদি আল্লাহ কাফেরদের অন্তরে মোহর এঁটে দিতেন বা সম্পূর্ন রুপে কাফেরদের অন্তরই মোহর করে দিতেন তবে । কিন্তু সম্পূর্ন একটি জিনিসকে মোহর করার মাধ্যমে নিরেট না বানিয়ে বা সেই জিনিসের মুখে মহর লাগিয়ে পথ বন্ধ না করে যদি সেই জিনিসের উপর আলতো ভাবে মোহর আকা হয় তবে কি সেটির পথ বন্ধ হতে পারে ? সুতারাং কাদিয়ানীদের এই অর্থ ঠিক নয় ।আবার তাদের করা ২য় অর্থ নিলে দ্বারায়- আল্লাহ কাফেরদের হৃদয় এ মোহরের ছাপ দিয়েছেন এক্ষেত্রেও ১ম অর্থের মতই কুরানের অন্য জায়গায় করা খাতামা এর অর্থে অসামজস্যতা দেখা যায় কারন ছাপ বা স্টিকার জাতীয় কিছু লাগানর ফলে কোনকিছুর পথ বন্ধ হবার কথা রুপকভাবেও হয় না সুতারাং কাদিয়ানীদের এই অর্থও ঠিক নয় ।আর সবচেয়ে বেশী কাদিয়ানীরা শেষে উল্লেখিত দুটি অর্থ ব্যবহার করে আর এই দুই অর্থ যে শুধু অসামজস্যই নয় বরং হাস্যকরও বটে যেমন ৩য় ধরনের যে অর্থ তারা করে সে অনুযায়ি এ আয়াত হয়- আল্লাহ কাফেরদের অন্তরকে মোহরের দ্বারা সর্বশ্রেষ্ঠ করেছেন । হেঁ হেঁ হেঁ ।আর ৪র্থ এবং বেশী যে অর্থ সম্মানিত আংটি করে থাকে সে অনুযায়ি খাতামা সম্বলিত কুরানের অন্যসব আয়াত দ্বারায়- আল্লাহ কাফেরদের অন্তরকে সম্মানিত আংটি করেছেন । হেঁ হেঁ হেঁ । পুরাই বিনোদন । এভাবেই কাদিয়ানীরা হয় বিনোদনের পাত্র তাদের কাছে যারা ইসলাম সম্পর্কে মোটামুটি হলেও জানে ।
MahdeeSmart Abat Realans এটাতো গেল ব্যাকারনগত সমস্যার সমাধান । এবারে দেখুন এই আয়াত নাজিলের প্রক্ষাপট অনুসারে কোন খাতামের অর্থটি আসলে কোনটি হওয়া উচিত ? নবী সাঃ এর পালকপুত্রের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে বিয়ে করা নিয়ে কাফেররা যে অপবাদ দিয়েছিল যে পুত্রবধুর স্ত্রীকে বিয়ে করা জায়েজ হয় কিভাবে তার জবাবে আল্লাহা সুবঃ এই আয়াত নাজিল করেন এবং বলেন -মুহাম্মদ তোমাদের পুরূষের মধ্যে কারও পিতা নয় । অর্থাৎ সে ছিল পালক পুত্র ঐরষজাত পুত্র নয়। এরপর বলেন- বরং তিনি আল্লাহর রাসুল । অর্থাৎ যেহেতু তিনি রসুল তাই মানবজাতিকে পথ দেখাতে এবং তাকে অনুসরনের জন্য পালকপুত্রের স্ত্রীকে বিয়ের মাধ্যমে জাহেলিয়াতের এই কুস্কংস্কার তার দূর করা উচিত । এই ব্যাপারটি তখনকার পরিস্থিতিতে কার্যকর হয় কিন্তু এরপরে আল্লাহ সুবঃ যা বলেন তা ছিল সুদুরপ্রসারি এবং ভবিষ্যতের জন্যও প্রযোজ্য যেমন আল্লাহ এর পরপরই বলেন- এবং নবীগনের সীল মহর(বন্ধকরনের সীল মহর) আর আল্লাহ সকল বিষয়েই জ্ঞাত । নবী স; কারও পিতা নন কিন্তু রসুল এই কথার সাথে নবুয়্যতের পথ বন্ধ বলার অর্থ এই যে অতীতে এবং বনী ইসরাইলদের মধ্যেও নবীর পুত্র নবী হত কিন্তু এই নবীর বেলায় আর তা হবে না এমনকি তার পুত্র সন্তান হলেও যেমন- নবী সাঃ এর পুত্র ইব্রাহিম হল কিন্তু পরে আল্লাহ তাকে মৃত্যু দিলেন । অর্থাৎ নবী সাঃ এর মাধ্যমে নবুয়্যত শেষ হয়ে গেছে তাই তার পুত্র হলেই কি আর না হলেই কি আর নবুয়্যত কেউ পাবে না । এই আয়াতের তাফসিরে মওদুতি রঃ বলেন- এখানে খাতাম শব্দের দ্বারা শেষ নবি বলে এটা বুঝানো হচ্ছে যে যেহেতু তার পরে আর কোন নবী নেই তাই এই কুস্কংস্কার তাকেই দূর করতে হবে । আল্লাহই ভাল জানেন । তাছারাও আরবী ভাষায় খাতাম শব্দের অর্থ দেখলেও এতে আর সন্দেহ থাকে না যে এখানে খাতাম অর্থ কোনকিছু বন্ধ করা বা সমাপ্ত করা বুঝাচ্ছে ।
MahdeeSmart Abat Realans এছারাও সুবিধার্থে ডিকশনারি মিনিং দিলাম-আরবি বাংলা অবিধান "আল মুজামুল ওয়াফী" সীল, ছাপ, শেষ, সমাপ্তি, এবং পৃষ্ঠা: 429 ৷ خاتم (তা তে যের দিয়ে, খাতিম) অর্থ অবসান কারি, সমাপ্ত কারি ৷ خاتم النبينসর্বশেষ নবিঃ হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ৷ خاتم سليمان একপ্রকার গাছ ৷Solomon's seal. خاتمة ইতি, উপসংহার, সমাপ্তি,এরপর দেখুন প্রসিদ্ধ ডিকশনারি "مصباح اللغات পৃষ্ঠা 191 ختم=خ-ت-م: باب ضرب মাছদার:ختما খতমান ৷ ختاماখিতামান ৷شيئاعليه ছেলা আসলে অর্থ হবে "মহর লাগানো" ৷ العمل:শেষ করা ৷ الكتاب:পুরা পড়ে নেওয়া ৷বাবে ইফতেআল থেকে হবে "ভাল করে শেষ করা" আরবী অভিধান এবং প্রবাদ অনুযায়ী ‘খতম’; শব্দের অর্থ হলঃ মোহর লাগানো, বন্ধ করা, শেষ পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া এবং কোন কাজ শেষ করে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভ করা।
খাতামাল আমাল (خَتَمَ ألعَمَلَ) অর্থ হলোঃ ফারাগা মিনাল আমাল(فَرَغَ مِنَ ألعَمَلَ) অর্থাৎ কাজ শেষ করে ফেলেছে।
খাতামাল এনায়া (خَتَمَ ألاِنَاءَ) অর্থ হলোঃ পাত্রের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে এবং তার ওপর মোহর লাগিয়ে দিয়েছে, যাতে করে তার ভেতর থেকে কোন জিনিস বাইরে আসতে এবং বাইরে থেকে কিছু ভেতরে যেতে না পারে।
খাতামাল কিতাব (خَتَمَ الكِتَابَ) অর্থ হলোঃ পত্রের মুখ বন্ধ করে তার ওপর মোহর লাগিয়ে দিয়েছে, ফলে পত্রটি সংরক্ষিত হবে।
খাতামা আলাল কালব (خَتَمَ عَلَى القَلبِ) অর্থ হলোঃ দিলের ওপর মোহর লাগিয়ে দিয়েছে। এরপর কোন কথা আর সে বুঝতে পারবে না এবং তার ভেতরের জমে থাকা কোন কথা বাইরে বেরুতে পারবে না।
খিতামু কুল্লি মাশরুব (خَتَامَ كُلِّ مَشرُوبٍ) অর্থ হলোঃ কোন পানীয় পান করার পর শেষে যে স্বাদ অনুভূত হয়।
খাতিমাতু কুল্লি শাইয়িন আকিবাতুহু ওয়া আখিরাতুহু অর্থাৎ প্রত্যেক জিনিসের খাতিমা অর্থ হলো তার পরিণাম এবং শেষ।
খাতামাশ শাইয়্যি বালাগা আখিরাহ (خَتَمَ الشئِ , بَلَغَ اخِرَهُ)অর্থাৎ কোন জিনিসকে খতম করার অর্থ হলো তার শেষ পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া। খতমে কুরআন বলতে এ অর্থ গ্রহণকরা হয় এবং এ অর্থের ভিত্তিতে প্রত্যেক সূরার শেষ আয়াতকে বলা হয় ‘খাওয়াতিম’।
খাতামুল কওমে আখেরুহুম (خَاتَمُ القَومٍ اخرهم) অর্থাৎ খাতামুল কওম অর্থজাতির শেষ ব্যক্তি (দ্রষ্টব্যঃ লিসানুল আরব, কামুস এবং আকারাবুল মাওয়ারিদ।)
এ জন্যই সমস্ত অভিধান বিশারদ এবং তাফসীরকারগণ একযোগে “খাতামুন নাবিয্যীন” শব্দের অর্থ নিয়েছেন, আখেরুন নাবিয়্যীন অর্থাৎ নবীদের শেষ। আরবী অভিধান এবং প্রবাদ অনুযায়ী ‘খাতাম’-এর অর্থ ডাকঘরের মোহর নয়, যা চিঠির ওপর লাগিয়ে চিঠি পোষ্ট করা হয় । এছারা সৌদি আরবে এখনও সীল বা ষ্ট্যাম্প এর কথা বলতে তারা ক্ষত্তম বলে তার মানে ডবল ত উচ্চারন করে আর যখন শেষ করেছে বা সমাপ্ত বুঝায় তখন বলে খতম ।
MahdeeSmart Abat Realans মির্জা গো আ এবং কাদিয়ানীরা পুরো কুরান চষে বেরিয়ে তার নবী হবার পক্ষে কোন দলিল না পেয়ে কুরানের আরো একটি আয়াত দিয়ে প্যাঁচ দিয়ে থাকে যদিও এটিও হাস্যকর ।
তা হল সূরা নিসার ৬৯নং আয়াত:
ﻭَﻣَﻦ ﻳُﻄِﻊِ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝَ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻣَﻊَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧْﻌَﻢَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻴِّﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺼِّﺪِّﻳﻘِﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀ ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ ﻭَﺣَﺴُﻦَ ﺃُﻭﻟَـﺌِﻚَ ﺭَﻓِﻴﻘًﺎ
অর্থাৎ আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম।
সুরা নিসার আয়াতের অর্থ একজন মূর্খ্য ব্যাক্তিও বুঝবে কিন্তু কাদিয়ানীরা পেচাবে , কাদিয়ানীকে নবী প্রমানের জন্য কুরানের আয়াত নিয়ে টানাহিচরা শুরু করবে । যেমন কাদিয়ানীরা পিকুলিয়ার যুক্তি দেখিয়ে বলে-এখানে যদি উম্মতে মুহাম্মদির মধ্যে নবী, শহীদ , সালেহদের শুধুই সঙ্গী হবার কথাই বুঝান হয় তবে উম্মতে মুহাম্মদিয়ায় আর কেউ কি সিদ্দিক হয়নি! শহীদ হয়নি! সালেহ হয়নি! বা ভবিষ্যতেও হবে না? শুধু তাদের সঙ্গীই হতে পারবে? অথচ উম্মতের মধ্যে অনেক শহীদ, সালেহ আছে সুতারাং নবীও আছে । হেঁ হেঁ । উত্তর হল- এটা বুঝা খুবই সহয যে উম্মতের মধ্যে যারা ইসলামের জন্য মরবে তারা ত এমনিতেই শহীদই বা সত্যের জন্য সিদ্দিক বা বেশী পুন্নের কাজের জন্য সালেহ সরাসরি তো তাদের কাজের জন্য হয়েই আছে এবং হতেই থাকবে এতে তো কোন বাধা নেই কিন্তু এই সুরাতে আল্লাহ কিন্তু সরাসরি উম্মতের ঐ ধরনেরই নিজের কাজের মাধ্যমে শহীদ সালেহ বলার কথা বলছেন না বরং বলছেন যারা আল্লাহর হুকুম এবং তার রাসূলের হুকুম মান্য করবে তাদেরকে শুধু হুকুম মানার বদলৌতেই ইসলামের জন্য না মরেও কাউকে শহীদের, আবার কাউকে বেশী পূন্যবান না হবার পরও সালেহ আবার কাউকে নবী না হয়েও নবীর মর্যদা দান করা হবে এভাবে যে তারা একই সাথে থাকবে পরকালে । যেমন হাদিসে আছে- আমার উম্মতের অনেকে হবে বনী ঈসরাইলদের নবীদের মতন তাছারা অনেক কাজের বিনিময়ে হজ্ব বা অমরার সোয়াব দান করা হয় অথচ সে হজ্ব করে নাই। সুতারাং এই আয়াত হতে আরো নবী আসবে এই তথ্য বের করা সত্যিই হাস্যকর । এজন্যেই কাদিয়ানীরা আমার কাছে এক ধরনের বিনুদুনের উতসো
MahdeeSmart Abat Realans মোট কথা হল কাদিয়ানীদের দরকার কুরানের এমন সব আয়াত যেখানে গজামিল দিয়ে হলেও পরবর্তীতে নবী আগমনের পক্ষে ভুয়া দলীল বের করা। তাছারাও এরা উল্লেখিত আয়াতে মায়া শব্দের ভুল অর্থ করে হাসতে হাসতে আমার পেট ফাটার উপক্রম করে । যেমন তারা বলে-এখানে মায়া শব্দ এর অ্থ "সংগী" হবে না, হবে "অন্তর্ভুক" তার মানে উম্মতের মধ্য হতেই আল্লাহ সুবঃ আরো নবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবেন। এবারে আমি যুক্তির খাতিরে কিছুক্ষনের জন্য যদি ধরেও নিই মায়া মানে অন্তর্ভুক্ত ই । কিন্তু এই অন্তর্ভুক্ত বলতে কি বুঝায় বা কাকে করা হয় ? অন্তর্ভুক্ত তাকেই করা হয় যে পুর্বে যুক্ত হয়নি । তার মানে পরবর্তীরা পূ্ববর্তীদের রঙ্ এ সাজবে কিন্তু তারাই ১ম হতেই সেই কাজের কাজী ছিল না কিন্তু পরবর্তীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ নবী ছিল না কিন্তু কিছু কাজের জন্য নবিদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সমমর্যাদা দিতে ।
MahdeeSmart Abat Realans ইনশাহ আল্লাহ কালকে সুযোগ পেলে এব্যাপারে হাদিসে কি বলা হয়েছে আর কাদিয়ানীরা কি বলে তাও কমেন্টে জানাব । অর্থাৎ খাতামান নবাইয়িন টপিক পুরোই শেষ করে এই ডিবেট হতে বিদায় নিব । যদিও আরো ১টি টপিক বাদ ছিল কিন্তু খালি ফিল্ডে গোল দিতে আমার ভাল লাগে না আর ১ম টপিক শেষ করে ২য় টপিক শুরু করতেই নজীব ভাই যেভাবে হার স্বিকার করে বিদায় নিলেন তাতে মনে হয় ভবিষ্যতে পরিচিত কাদিয়ানী আমার সাথে ডিবেট করবে না এবং ইগনর করবে যেভাবে বর্তমানে কিছু নাস্তিকরা ইগনর করা শুরু করেছে । হেঁ হেঁ
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×