somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাদিয়ানী বনাম অকাদিয়ানী (পর্ব-৫)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


MahdeeSmart Abat Realans
(3) أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فُضِّلْتُ عَلَى الأَنْبِيَاءِ بِسِتٍّ أُعْطِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ وَأُحِلَّتْ لِىَ الْغَنَائِمُ وَجُعِلَتْ لِىَ الأَرْضُ مَسْجِدًا وطَهُورًا وَأُرْسِلْتُ إِلَى الْخَلْقِ كَافَّةً وَخُتِمَ بِىَ النَّبِيُّونَ- (مسلم- ترمذى- ابن ماجه)
রসূলুল্লাহ বলেনঃ “ছ’টা ব্যাপারে অন্যান্য নবীদের ওপর আমাকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছেঃ (‌১) আমাকে পূর্ণ অর্থব্যঞ্জক সংক্ষিপ্ত কথা বলার যোগ্যতা দেয়া হয়েছে। (২) আমাকে শক্তিমত্তা ও প্রতিপত্তি দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। (৩) যুদ্ধলব্ধ অর্থ-সম্পদ আমার জন্য হালাল করা হয়েছে। (৪) পৃথিবীর যমীনকে আমার জন্য মসজিদে (অর্থাৎ আমার শরীয়াতে নামায কেবল বিশেষ ইবাদাতগাহে নয়, দুনিয়ার প্রত্যেক স্থানে পড়া যেতে পারে) এবং মাটিকে পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যমে (শুধু পানিই নয়, মাটির সাহায্যে তায়াম্মুম করেও পবিত্রতা হাসিল অর্থাৎ অজু এবং গোসলের কাজ সম্পন্ন করা যেতে পারে) পরিণত করা হয়েছে। (৫) সমগ্র দুনিয়ার জন্য আমাকে রসূল হিসেবে পাঠানো হয়েছে এবং (৬) আমার ওপর নবীদের সিলসিলা খতম করে দেয়া হয়েছে।”
(4) قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ الرِّسَالَةَ وَالنُّبُوَّةَ قَدِ انْقَطَعَتْ فَلاَ رَسُولَ بَعْدِى وَلاَ نَبِىَّ (ترمذى- كتاب الرؤيا , باب ذهاب النبوة- مسند احمد , مرويات بن مالك رض)
রসূলুল্লাহ বলেনঃ “রিসালাত এবং নবুওয়াতের সিলসিলা খতম করে দেয়া হয়েছে। আমার পর আর কোন রসূল এবং নবী আসবে না।”
(5) قَالَ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم أَنَا مُحَمَّدٌ وَأَنَا أَحْمَدُ وَأَنَا الْمَاحِى الَّذِى يُمْحَى بِىَ الْكُفْرُ وَأَنَا الْحَاشِرُ الَّذِى يُحْشَرُ النَّاسُ عَلَى عَقِبِى وَأَنَا الْعَاقِبُ وَالْعَاقِبُ الَّذِى لَيْسَ بَعْدَهُ نَبِىُّ- ( بخارى ومسلم , كتاب الفضائل- باب اسماء النبى- ترمذى , كتاب الادب , باب اسماء النبى- مؤطاء- كتاب اسماء النبى- المستدرك للحاكم , كتاب التاريخ , باب اسماء النبى)
রসূলুল্লাহ বলেনঃ “আমি মুহাম্মাদ। আমি আহমাদ। আমি বিলুপ্তকারী, আমার সাহায্যে কুফরকে বিলুপ্ত করা হবে। আমি সমবেতকারী আমার পরে লোকদেরকে হাশরের ময়দানে সমবেত করা হবে। (অর্থাৎ আমার পরে শুধু কিয়ামতই বাকি আছে) আমি সবার শেষে আগমনকারী হলো সেই) যার পরে আর নবী আসবে না।”
(6) قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَبْعَثْ نَبِيًّا إِلاَّ حَذَّرَ أُمَّتَهُ الدَّجَّالَ وَأَنَا آخِرُ الأَنْبِيَاءِ وَأَنْتُمْ آخِرُ الأُمَمِ وَهُوَ خَارِجٌ فِيكُمْ لاَ مَحَالَةَ- (ابن ماجه , كتاب الفتن , باب الدجال)
রসূলুল্লাহ বলেনঃ “আল্লাহ নিশ্চয়ই এমন কোন নবী পাঠাননি যিনি তার উম্মাতকে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেননি। (কিন্তু এখন আমিই শেষ নবী এবং তোমরা শেষ উম্মাত। দাজ্জাল নিঃসন্দেহে এখন তোমাদের মধ্যে বহির্গত হবে।”
(7) عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِى يَقُولُ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْماً كَالْمُوَدِّعِ فَقَالَ أَنَا مُحَمَّدٌ النَّبِىُّ الأُمِّىُّ ثَلاَثاً وَلاَ نَبِىَّ بَعْدِى- (مسند احمد – مرويات – عبد الله بن عمروبن العاص)
আবদুর রহমান ইবনে জোবায়ের বলেনঃ আমিআবদুল্লাহ ইবনে উমর ইবনে আ’সকে বলতে শুনেছি, একদিন রসূলুল্লাহ নিজের গৃহ থেকে বরে হয়ে আমাদের মধ্যে তাশরীফ আনলেন। তিনি এভাবে আসলেন যেন আমাদের নিকট থেকে বিদায় নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি তিনবার বললেন, আমি উম্মী নবী মুহাম্মাদ। অতঃপর বললেন, আমার পর আর কোন নবী নেই।

MahdeeSmart Abat Realans
(8) قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لاَ نُبُوّةَ بعدى الا المبشرات قِيلِ وَمَا المُبَشّرات يَا رسول الله ؟ قَالَ الرُّؤيَا الحسنة- او قَالَ الرّؤيَا الصالِحَة- ( مسند احمد , مرويات ابو الطفيل – نسائى ابو داؤد)
রসূলুল্লাহ বলেনঃ আমার পরে আর কোন নবুওয়াত নেই। আছে সুবংবাদ দানকারী ঘটনাবলী। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল, সুসংবাদ দানকারী ঘটনাগুলো কি? জবাবে তিনি বললেনঃ ভালো স্বপ্ন। অথবা বললেন, কল্যাণময় স্বপ্ন। (অর্থাৎ আল্লাহর অহী নাযিল হবার এখন আর সম্ভাবনা নেই। বড়জোর এতোটুকু বলা যেতে পারে যে, আল্লাহ‌ তায়ালার পক্ষ হতে যদি কাউকে কোন ইঙ্গিত দেয়া হয়, তাহলে শুধু ভালো স্বপ্নের মাধ্যমেই তা দেয়া হবে)।
(9) قَالَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ كَانَ بَعْدِى نَبِىٌّ لَكَانَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ- ( ترمذى – كتاب المناقب)
রসূলুল্লাহ(সা.) বলেনঃ আমার পরে যদি কোন নবী হতো, তাহলে উমর ইবনে খাত্তাব সে সৌভাগ্য লাভ করতো।
(10) قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَلِىٍّ أَنْتَ مِنِّى بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلاَّ أَنَّهُ لاَ نَبِىَّ بَعْدِى- (بخارى ومسلم – كتاب فضائل الصحابه)
রসূলুল্লাহ হযরত আলীকে (রা.) বলেনঃ আমার সাথে তোমার সম্পর্ক মূসার সাথে হারুনের সম্পর্কের মতো। কিন্তু আমার পরে আর কোন নবী নেই।বুখারী এবং মুসলিম তাবুক যুদ্ধের বর্ণনা প্রসঙ্গেও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। মুসনাদে আহমাদে এই বিষয়বস্তু সম্বলিত দু’টি হাদীস হযরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস থেকে বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে একটি বর্ণনার শেষাংশ হলোঃ الا انه لانبوة بعدى “কিন্তু আমার পরে আর কোন নবুওয়াত নেই।” আবু দাউদ তিয়ালাসি, ইমাম আহমাদ এবং মুহাম্মাদ ইসহাক এ সম্পর্কে যে বিস্তারিত বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন তা থেকে জানা যায় যে, তাবুক যুদ্ধে রওয়ানা হবার পূর্বে রসূলুল্লাহ (সঃ)হযরত আলীকে (রা.) মদীনা তাইয়্যেবার তত্ত্বাবধান এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রেখে যাবার ফয়সালা করেন। এ ব্যাপারটি নিয়ে মুনাফিকরা বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে থাকে। হযরত আলী (রা.) রসূলুল্লাহকে বলেন, হে আল্লাহর রসূল, আপনি কি আমাকে শিশু এবং নারীদের মধ্যে ছেড়ে যাচ্ছেন? রসূলুল্লাহ তাকে সান্তনা দিয়ে বলেছিলেন-আমার সাথে তোমার সম্পর্কতো মূসার সাথে হারুনের সম্পর্কের মতো। অর্থাৎ তুর পর্বতে যাবার সময় হযরত মূসা (আ) যেমন বনী ইসরাঈলদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হযরত হারুনকে পেছনে রেখে গিয়েছিলেন অনুরুপভাবে মদীনার হেফাজতের জন্য আমি তোমাকে পেছনে রেখে যাচ্ছি। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে রসূলুল্লাহ মনে এই সন্দেহও জাগে যে, হযরত হারুনের সঙ্গে এভাবে তুলনা করার ফলে হয়তো পরে এ থেকে কোন বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। কাজেই পরমুহুর্তেই তিনি কথাটা স্পষ্ট করে দেন এই বলে যে, “আমার পর আরকোন ব্যক্তি নবী হবে না।”

MahdeeSmart Abat Realans
(11) عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ............ وَإِنَّهُ سَيَكُونُ فِى أُمَّتِى ثَلاَثُونَ كَذَّابُونَ كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِىٌّ وَأَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّينَ لاَ نَبِىَّ بَعْدِى- (ابو داود – كتاب الفتن)
হযরত সাওবান বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ বলেনঃ আর কথা হচ্ছে এই যে, আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশজন মিথ্যাবাদী হবে। তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নবী বলে দাবী করবে। অথচ আমার পর আর কোন নবী নেই।
এ বিষয়বস্তু সম্বলিত আর একটি হাদীস আবু দাউদ ‘কিতাবুল মালাহেমে’ হযরত আবু হুরাইরা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযীও হযরত সাওবান এবং হযরত আবু হুরাইরা থেকে এ হাদীস দু’টি বর্ণনা করেছেন। দ্বিতীয় বর্ণনাটির শব্দ হলো এই-
حَتَّى يُبْعَثَ دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ قَرِيب مِنْ ثَلاَثِينَ ، كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ-
অর্থাৎ এমন কি ত্রিশ জনের মতো প্রতারক আসবে। তাদের মধ্য থেকে প্রত্যেকেই দাবী করবে যে, সে আল্লাহর রসূল।
(12) قَالَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ كَانَ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ مِنْ بَنِى إِسْرَائِيلَ رِجَالٌ يُكَلَّمُونَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَكُونُوا أَنْبِيَاءَ ، فَإِنْ يَكُنْ مِنْ أُمَّتِى مِنْهُمْ أَحَدٌ فَعُمَرُ- (بخارى , كتاب المناقب)
রসূলুল্লাহ বলেনঃ তোমাদের পূর্বে অতিবাহিত বনী ইসরাঈল জাতির মধ্যে অনেক লোক এমন ছিলেন, যাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, অথচ তারা নবী ছিলেন না। আমার উম্মাতের মধ্যে যদি এমন কেউ হয়, তাহলে সে হবে উমর।
মুসলিমে এই বিষয়বস্তু সম্বলিত যে হাদীস উল্লেখিত হয়েছে, তাতেيكلمون এর পরিবর্তে محدثون শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু মুকাল্লাম এবং মুহাদ্দাস শব্দ দু’টি সমার্থক। অর্থাৎ এমন ব্যক্তি যার সঙ্গে আল্লাহ‌ তায়ালা কথা বলেছেন অথবা যার সাথে পর্দার পেছন থেকে কথা বলা হয়। এ থেকে জানা যায় যে, নবুওয়াত ছাড়াও যদি এই উম্মাতের মধ্যে কেউ আল্লাহর সাথে কথা বলার সৌভাগ্য অর্জন করতো তাহলে তিনি একমাত্র হযরত উমরই হতেন।
(13) قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ نَبِىَّ بَعْدِى وَلاَ أَمَةً بَعْدَ اُمَّتِى (بيهقى , كتاب الرؤيا – طبرانى)
রসূলুল্লাহ বলেনঃ আমার পরে আর কোন নবী নেই এবং আমার উম্মাতের পর আর কোন উম্মাত (অর্থাৎ কোন ভবিষ্যত নবীর উম্মাত) নেই।

MahdeeSmart Abat Realans উপরে উল্লেখিত প্রায় সব হাদিসেই বলা হয়েছে যে " লা নাবিয়্যি বা'আদি " অর্থাৎ নাই কোন নবী আমার পরে । আর এই অর্থ এতই সরল যে আরব রা ছারাও অনারব শিশুরা পর্যন্ত উপরের অর্থই বুঝে কিন্তু কাদিয়ানীরা বুঝে না । এরা বলে- নাই কোন নবী আমাকে বাদ দিয়ে । হেঁ হেঁ । এখানে এরা বা'আদ এর আরবী অর্থ না করে সরাসরি আরবী বা'আদ আর বাংলা বাদ ফোনেটিক্যালী এক করে ফেলেছে একটি বিশেষ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে অথচ আরবী বা'আদ এর এইরকম বাংলা "বাদ দিয়ে" অর্থ আর কোন জায়গায় তারা করে নাই অথচ এই একই ব্যাপার কিন্তু খাতাম এর বেলাতেও করা যেত যে ফোনেটিক্যালী বাংলা অর্থ খতম নেয়া যেত তবে কিন্তু আর খাতাম নিয়ে এত বিতর্ক করা লাগত না কিন্তু এইখানে বাংলা আর আরবীর মধ্যে ভাবগত দিক দিয়ে খাতাম আর বাংলা খতম এর মিল থাকলেও তারা সেই অর্থ করেনি এরকম করলে তাদের দাবী এক আঘাতেই শেষ হয়ে যায় কিন্তু এরা আরবী বা'আদ এর অর্থ বাংলা "বাদ দিয়ে" না হয়ে হবে "পর"। এখন দেখা উচিত কেন তারা বা'আদ এর অর্থ "বাদ দিয়ে" করছে ? কারন হল- এদের দাবী হল - নাই কোন নবী আমাকে বাদ দিয়ে তারমানে আমাদের নবীকে সংগে নিয়ে ঠিকই নবী আছে বা আমাদের নবীর নবুয়াত তথা কুরান স্বীকার করেই অন্যজনকে নবী হতে হবে নচেত নবি হতে পারবে না । তারমানে মির্জা গো আ যেহেতু আমাদের নবীকেও মানে আর কুরানও মানে তাই সে আমাদের নবীকে বাদ দিয়ে নবী হয় নাই বরং আমাদের নবীকে মেনেই নবী হয়েছে । তাদের এই পিকুলিয়ার দাবীর অসারতা প্রমান দেয়ার আগে শুধু আমি একটি ইতিহাসই বর্ননা করব যে তাদের এই দাবী কতই না হাস্যকর । এক্ষেত্রে আমাদের নবী সাঃ এর ইন্তেকালের পর মুসাইলামা কাজ্জাবের ব্যাপারটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সে রসূলুল্লাহর নবুওয়াত অস্বীকার করছিল না; বরং সে দাবী করেছিল যে, রসূলুল্লাহর নবুওয়াতে তাকেও অংশীদার করা হয়েছে। রসূলুল্লাহর ইন্তেকালের পূর্বে সে তার নিকট যে চিঠি পাঠিয়েছিল তার আসল শব্দ হলো এইঃ
مِن مُسَيلَمَةِ رَسُوْلُ اللهِ اِلى مُحمَّدِرَّسُولُ الله سَلَامٌ عَلَيْكَ فَاِنِّى اُشْرِكْتُ فِى الْاَمْرِ مَعَكَ (طبرى ,جلد 2,صفحة 399,طبع مصر)
“আল্লাহর রসূল মুসাইলামার তরফ হতে আল্লাহর রসূল মুহাম্মাদের নিকট। আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আপনি জেনে রাখুন, আমাকে আপনার সাথে নবুওয়াতের কাজে শরীক করা হয়েছে।”এছাড়াও ঐতিহাসিক তাবারী একথাও বর্ণনা করেছেন যে, মুসাইলামার ওখানে যে আযান দেয়া হতো তাতে اشهد ان محمدا رسول الله শব্দাবলীও বলা হতো। এভাবে স্পষ্ট করে রিসালাতে মুহাম্মাদীকে স্বীকার করে নেবার পরও তাকে কাফের ও ইসলামী মিল্লাত বহির্ভূত বলে ঘোষণা করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়েছে। সুতারং মির্জা গো আ রসূলুল্লাহর নবুওয়াত স্বীকার করেও অর্থাৎ আমাদের নবীকে বাদ না দিয়েও নবী হতে পারল না । এবারে আসুন কাদিয়ানীরা যে বা'আদ এর অর্থ "বাদ দিয়ে" এটি হবে ভাবছে তার অসারতার প্রমান । যেমন-কাদিয়ানীরা সহ সবাই বলে যে "বাআছি বা'আদাল মাওত" মানে মৃত্যুর পর পুনরুত্থান এ বিশ্বাস । কিন্তু তাদের অর্থ করা "বাদ দিয়ে" যদি সঠিক ধরে নিই তবে এর অর্থ হবে- মৃত্যুকে বাদ দিয়ে পুনরুত্থান এ বিশ্বাস বা মৃত্যু ছারাই সরাসরি পুনরুত্থান এ বিশ্বাস। এটা কি কোন অর্থ হল? হেঁ হেঁ হেঁ । এভাবেই এরা হল বর্তমান জামানার শ্রেষ্ঠ জোকার !! যারা আমাদেরকে শুধু বিনোদনই দিয়ে যাচ্ছে ।

MahdeeSmart Abat Realans কাদীয়ানীরা হাদিসের অর্থ বিকৃতি ছারাও এমন সব ভুল ব্যখ্যা দ্বার করায় যা সত্যিই হাস্যকর যেমনঃ- "রসূলুল্লাহ বলেনঃ আমি শেষ নবী এবং আমার মসজিদ (অর্থাৎ মসজিদে নববী) শেষ মসজিদ। (মুসলিম)কাদিয়ানীরা এ হাদীস থেকে ভুল ব্যাখ্যা করে যে, রসূলুল্লাহ যেমন তাঁর মসজিদকে শেষ মসজিদ বলেছেন, অথচ এটি শেষ মসজিদ নয়; এরপরও দুনিয়ার বেশুমার মসজিদ নির্মিত হয়েছে অনুরূপভাবে তাঁর পরেও নবী আসবে।" তাদের এইধরনের ব্যাখ্যাই প্রমান করে তাদের জ্ঞানের পরিধি এবং ভন্ডামী ।কারন আমরা সবাই জানি যে- নবী সঃ এর তৈরী মসজিদ ছিল মসজিদুল হারাম যা মসজিদে নববী আর এই মসজিদের পরে দুনিয়াতে এখন পর্যন্ত আর কোন মসজিদুল হারাম তৈরী হয়নি বরং নবী সতর্ক করে দিয়েছেন পূর্বের দুই মসজিদসহ তার তৈরী সর্বশেষ মসজিদে নববী এই ৩ মসজিদ ছারা অন্য কোন মসজিদে সফর করা কবিরা গোনাহ । আর সাধারন মসজিদ অনেকই তৈরী হচ্ছে কিন্তু সাধারন মসজিদ আর মসজিদুল হারাম এক নয় কোন সাধারন মসজিদে নামাজ পড়লে যে সোওয়াব তার চাইতে লক্ষ্যগুন বেশী সোয়াব এই ৩ মসজিদে পড়লে আর নবীরাই একমাত্র এমন অধিকার রাখে যে, কোন মসজিদ তৈরী করে তাকে হারাম ঘোষনা করতে পারে । তাই নবী সাঃ এর পর যেহেতু আর কোন নবী নেই তাই আর কোন নতুন মসজিদও হারাম বলে গন্য হবে না বলে তার সেই মসজিদে নববী হল শেষ মসজিদ মসজিদুল হারাম হিসেবে আর সফর করার মতও সর্বশেষ মসজিদও এটিই ।

MahdeeSmart Abat Realans এছারাও তারা আরেকটি হাদিসের ঠিক একই রকম ভুল ব্যাখ্যা দ্বার করায় যেমন- নবী সাঃ আব্বাস (রাঃ) সম্বন্ধে বলেন, "নবুওয়তে আমি যেমন খাতামান্নাবীঈন, হিজরতে আপনি তদ্রূপ খাতামুল মুহাজেরীন (কঞ্জুল উম্মাল)। এই হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ি তারা বুঝাতে চায় যে আব্বাস (রাঃ) এর পরেও অনেকেই ত হিজরত করেছে সুতারাং এখানেও খাতাম শব্দের দ্বারা শেষ মুহাজির না বুঝিয়ে শ্রেষ্ঠ মুহাজির বুঝিয়েছে অথচ নবী সাঃ বলেন আবু বকর রাঃ ছিল শ্রেষ্ট মুহাজির এছারা আরো অনেকেই আছেন আর আব্বাস (রাঃ) কি এমন করেছেন যে তাকে শ্রেষ্ঠ মুহাজির আখ্যা দিবেন? আসল ঘটনা হতে পারে আব্বাস (রাঃ)ই ছিলেন মক্কা হতে মদীনায় শেষ হিজরতকারী আর এরপর ত মক্কা বিজয়ই হয়ে যায় অথবা তিনি বনু হাশেম বংশ হতে বা নবী সঃ এর নিকটাত্বীয়দের মাঝে সর্বশেষ হিজরতকারী ছিলেন।

MahdeeSmart Abat Realans কাদিয়ানীরা পানি ঘোলা করতে আরও একটি দূর্বল দলীল বের করেছে- যেমন নবী স; নাকি বলেছেন, "আনা খাতামুল আম্বিয়ায়ে ওয়া আনতা ইয়া আলী খাতামুল আওলিয়া" (তফছিরে সাফী) অর্থাৎ আমি খাতামুল আম্বিয়া এবং হে আলী তুমি খাতামুল আওলিয়া। এখানেও তারা খাতাম দ্বারা শ্রেষ্ঠ বুঝিয়ে বলতে চায় এরপরও ত অনেক আওলিয়া এসেছেন তাই এই খাতাম অর্থ শেষ নয় । ১মে বলি এই দলীল শুধু দুর্বলই নয় বরং অগ্রহনযোগ্য কারন কুরানের সুরা কাহাফের ১০২ নং আয়াতে আল্লাহ সুবঃ বলেন কাফেররা কি ভাবে যে আমাকে বাদ দিয়ে আমার বান্দাদেরকে আউলিয়া হিসেবে গ্রহন করবে ?(যারা এমন করবে) আমি তাদের আপ্যায়নের জন্য জাহান্নাম তৈরী করে রেখেছি । সুতারাং কুরানের আয়াত হতে স্পষ্ট হল যে আল্লাহ ছারা আর কাউকে আউলিয়া মানা যাবে না কিন্তু নবী সাঃ কি তবে কুরানের উলটা বলেছেন ? না তা কক্ষনই নয় । বরং তিনি বলেছেন যদি তোমরা আমার নামে কোন কথাআ পাও সেটি কুরানের সাথে মিলিয়ে দেখবে যদি কুরানের সাথে না মিলে তাহলে তা তোমরা বর্জন করবে কারন সেটি আমার কথা নয় । আমরা জানি মুসলিমদের মাঝে সিয়ারা সর্বপ্রথম আলী রাঃ এবং আহলে বায়াতের উপর অতিভক্তিবশে অসংখ্যা হাদিস জাল করে আর হতে পারে এটি সেরকমই ১টি জাল হাদিস আর আউলিয়া অর্থ এখানে শিরক জাতীয় কিছু নাও যদি বুঝিয়ে থাকে তবে যদি এই হাদিসকে সহীই ধরে নেই তবু এখানে এটা স্পষ্ট যে আলী রাঃই ছিলেন হয়ত আহলে বায়াতের মাঝে সর্বশেষ আউলিয়া কারন নবী সঃ বলেন আমি হলাম জ্ঞানের শহর আর আলী তুমি সেই শহরের দরজা স্বরুপ । তাই এই দূর্বল হাদিস দ্বারাও মির্জা গো আ এর অনুসারিরা আমাদের ফাঁদে ফেলতে পারছে না

MahdeeSmart Abat Realans শুধু তাই না এরা হাদিস ছারাও ঐতিহাসিক দলিলও এনেছে খাতাম এর অর্থ ভুল বুঝাতে যেমন তারা বলে-একজন প্রখ্যাত আরবী কবি হাসান বিন ওয়াহাব, আবু তামাম(হিমাশার রচয়িতা) কে "খাতামুশ শোয়ারা" আখ্যা দেন। অবশ্যই আবু তামাম কে এর দ্বারা শেষ কবি বলে আখ্যা দেওয়া হয়নি।হযরত ইমাম শাফী (রাহঃ) কে বলা হয় 'খাতামুল আউলিয়া' হযরত মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী (বাহঃ) কে বলা হয়, ' খাতামুল আসফিয়া' । হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ্ দেহলবী (রাহঃ)কে বলা হয়, 'খাতামুল মুহাদ্দেসীন' । এসব দলিল দিয়ে তারা বুঝাতে চায় খাতাম শব্দের অর্থ দিয়ে এখানে শুধুই শ্রেষ্ঠ বুঝানো হয়েছে শেষ বুঝানো হয় নাই। এখন প্রথমে আমাদের কোনভাষাকে ভাল বুঝতে হলে ঐভাষার বাগধারা প্রবাদ প্রবচন ভাষার ভংগি ভাষার অলংকার শাস্ত্র সন্মন্ধে ভাল জ্ঞান থাকতে হবে এমনকি ঐ ভাষাভাষির এলাকায় নূন্যত্তম তিন বছর অবস্থান করতে হবে তবেই সেই ভাষার আসল রুপ ধরতে পারা যাবে।কিন্তু কাদিয়ানীরা আরব দেশ হতে সম্পূর্ন বিচ্ছিন্ন এমনকি পূর্বে হজ্ব পর্যন্ত করতে যেত না আর কাদিয়ানী আরব বলতে হাতে গোনা কয়েকজন তবু ইদানিং এসে তারা স্যাটালাইটের মাধ্যমে কিছু মূ্র্খ্য আরবদের কাদিয়ানী বানিয়েছে । যাইহোক আরবী ভাষা সম্পর্কে বিস্তর জ্ঞান না থাকলে বুঝা সম্ভব নয় তবু কিছু উদাহরনের সাহায্যে বুঝাচ্ছি । বাংলাদেশে রবিন্দ্র নাথসহ এরকম অনেক কবিই আছে যাদেরকে বলা হয় অদ্বিতীয় কবি এমনকি বলা হয় এরকম কবি আর জন্মাবে না অর্থাৎ সেই যেন শেষ কবি অর্থাৎ আবেগের বশে ভক্তরা তাদেরকে শাব্দিকভাবে শেষ কবি বলে তার শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করে কিন্তু আসলেই কিন্তু সে শেষ নয় এছারাও সাধারন কোন মানুষের এমন কিছু গুনাগুনে আমরা মুগ্ধ হয়ে এও বলি যে তোমার মত এমন কেউ আর হবে না ঠিক একইভাবে আরবের ঐসকল কবিকে সুফিকে এবং মুজতিহাদদের এরকম আবেগের বশে কিছু মানুষ শাব্দিকভাবে শেষ ব্যাক্তি বলেছে সুতারং খাতাম শব্দের অর্থ শেষই থাকছে বরং তারসাথে অতিরিক্তভাবে বচনভংগিতে শ্রেষ্ট বুঝাচ্ছে অর্থা শেষ ১মে যুক্ত করেই তাকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসানো হচ্ছে কিন্তু কাদিয়ানীরা সরল অর্থ শেষ বাদ দিয়ে শুধুই শ্রেষ্ঠ অর্থ করে কারন শেষ বলেই শ্রেষ্ঠ এমন অর্থ করলে গো আ কাদিয়ানী ত আবার নিজেকে নবী বলতে পারে না । তবু এসব ক্ষেত্রে মানুষ আবেগের বশে বলে কিন্তু সে জানে না ভবিস্যতে কি হবে তাই মানুষের জায়গায় যদি আল্লাহ বা তাঁরই অহীপ্রেরীত নবী এমনভাবে খাতাম এর উল্লেখ করে তবে অবশ্যই আমাদেরকে দুটো অর্থই আংগাআংগিভাবে ঠিক ধরতে হবে কেননা আল্লাহ সুব; এর ক্ষেত্রে ত আর মিথ্যে আবেগ এর স্থান পাবে না আর তিনি ভবিস্যতও জানেন তাই তিনি যখন খাতাম বলেন বা তাঁর নবী তখন বুঝতে হবে অবশ্যই তা শেষ এবং পাশাপাশি বিশেষ মর্জাদাও রয়েছে কিন্তু মানুষ বললে শুধুই শেষ নাও হতে পারে যদিও শাব্দিব ভাবে ঠিকই সে শেষ বলেই সন্মধোন করছে কিন্তু কাদিয়ানীরা মির্জা গো আ কে নবী প্রমান করতে বলে খাতাম শব্দের অর্থ শেষ কোন অবস্থাতেই হয় না অথচ লাখ লাখ আরব সন্তান এখনও জীবিত আছে, এজন্যেই এরা ধরাটা খায় জায়গামতই ।
Babu Saheb ভাই, আপনি চালিয়ে যান। এতো কষ্ট করে আমাদেরকে জ্ঞানার্জনে সাহায্য করায় আমরা সব সময়ই আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।
MahdeeSmart Abat Realans এছারাও কাদিইয়ানীরা আরেকটি হাদিসের ভুল উদ্ধৃতি দেয়- যেমন উম্মুল মুমেনীন আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ)- "কুলু ইন্নাহু খাতামুল মাফিয়া আম্বীয়ায়ে ওলা তাকুলু আনাবীয়া বাদাহু ।"অর্থ -"তাঁকে খাতামান্নাবীঈন বল, একথা বল না যে, তাঁর পরে নবী নাই ।"এবার এখানে ১টি ব্যাপার আবার রিভুউ করি- উপরে দেখানো হয়েছিল যে কাদিয়ানীরা বা'আদ এর অর্থ বাদ দিয়ে করে কিন্তু এই খানে তারা ঠিকই এর অর্থ পরে করেছে কারন এমন করলে যে তাদের পুর্বের ব্যাখ্যা ভুল প্রমান হয় তবে এর অর্থ হয় একথা বল না যে, তাকে বাদ দিয়ে নবী নেই অর্থাৎ তাকে বাদ দিয়েই নবী আছে অথচ কাদিয়ানীরা বিশ্বাস করে তাকে বাদ দিয়ে নবী নেই । এটাই হল এদের দুমুখোনীতি যখন যে ব্যাখ্যার দরকার হচ্ছে তারা তাই করছে। এবারে আসা যাক হাদিসের কথায় । প্রথমত আয়েশার (রা.) বলে কথিত উপরোক্ত উদ্ধৃতি মোটেই নির্ভরযোগ্য নয়। হাদীস শাস্ত্রের কোন প্রমাণিক গ্রন্থেই হযরত আয়েশার (রা.) উপরোক্ত উক্তির উল্লেখ নেই। কোন বিখ্যাত হাদীস লিপিবদ্ধকারী এ হাদীসটি লিপিবদ্ধ বা উল্লেখ করেনি। উপরোক্ত হাদীসটি ‘দুররি মানসূর’ নামক তাফসীর এবং ‘তাকমিলাহ মাজমা-উল-বিহার’ নামক অপরিচিত হাদীস সংকলন থেকে নেয়া হয়েছে;কিন্তু এর উৎপত্তি বা বিশ্বস্ততা সম্বন্ধে কিছুই জানা নেই। তারপরও যদি এটি মা আয়েশা রাঃ বলে থাকেন তবে ত তিনিই ঠিকই বলেছেন কারন নবী সাঃ যেহেতু খাতামাল আম্বিয়া তাই কোন নবীই আসবে না কেয়ামতের আগে কিন্তু খলীফা হিসেবে বনী ইসরাইলদের নবী ঈসা ইবনে মরিয়াম আঃ উম্মত হিসেবে ঠিকই আসবেন যা সহী হাদিস এবং কুরান দ্বারা প্রমানিত তিনি যদিও উম্মত হয়ে খলিফা হবেন তবু যেহেতু তিনি পুর্বে নবী ছিলেন তাই তাকে সবাই নবীই বলবেন এমনকি নবী সাঃও হাদিসে বলছেন যে ঈসা নবী আসবেন । তবে ত মা আয়েশা রা; এর উক্তি বা ধারনা ঠিকই আছে । আবার খাতামান নাবিয়্যিনও ঠিক থাকল এবং তার পরে নবী নেই শুধু খালীফা এই উক্তিও ঠিক থাকল যেহেতু ঈসা আঃ খলীফা হিসেবে আসবেন । তাই এসব হাদিসের গতি ভিন্ন দিকে গড়িয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করা ঠিক নয় । আর সবশেষে ১টি কথাই বলব আল্লাহ বলেন সুরা বাকারায়- আমি এই কুরান দিয়েই মানুষকে হেদায়েত করি এবং এই কুরান দিয়েই আবার মানুষকে পথভ্রষ্ট করি । আর কাদিয়ানীরা তাই দলীল দেখেও পথভ্রষ্ট হচ্ছে । আর আমার জানামতে কাদিয়ানীরা উপরে উল্লেখিত বিষয়ের উপরই খাতামান্নাবিয়িন এর ব্যাপারে ভুল বুঝাচ্ছে যদি আরও কোন দলিল দিয়ে তারা ভুল বুঝানোর চেষ্টা করে তবে আমাকে জানাবেন , ইনশাহ আল্লাহ আমি তাদের মুখোশ আবারও খুলে দিব ।
MahdeeSmart Abat Realans এবারে ইনশাহ আল্লাহ মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী সত্যিই ইমাম মাহদি নাকি ভন্ড তা প্রমান করা হবে ।

MahdeeSmart Abat Realans মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী সত্যিই ইমাম মাহদি নাকি ভন্ড তা বুঝতে হলে তার জীবনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সহ জানলে আরো ভালভাবে সত্য নির্নয় করা যাবে ইনশাহ আল্লাহ । তাই তার পূর্ব পূরুষ হতে সংক্ষেপে তার জীবনী সামারাইজ করছি । ভারতবর্ষে তখন ২য় দফায় মুসলিমদের শাষন চলছিল অর্থাৎ মুঘোলদের আমলে ১৬শ শতাব্দির ১মদিকে মির্জা গো আ এর পূর্ব পূরুষ ভারতবর্ষে পদার্পন করে । মির্জা গো আ এর পুর্ব পূরুষ ছিল খাস পারস্যবংশীয় যে পারস্যে ইসলামপূর্ব অবস্থা ছিল মূর্তিপূজা এবং মুশরিকদের আড্ডাখানা এই পারস্য হতেই মক্কার কাবা শরিফে মূর্তিপুজার প্রচলন ঘটে যাইহোক মির্যা সাহেবের পিতৃপুরুষ মির্যা হাদী বেগ মধ্য এশিয়ার সমরখন্দ এলাকায় বসবাস করত। মির্যা হাদী বেগ সেই মোঘল সম্রাট বাবরের দূর সম্পর্কের ভাই ছিলেন, যার নাতি সম্রাট আকবর ইসলাম ধর্মকে বাদ দিয়ে নতুন ধর্ম "দ্বীনে ইলাহি" তৈরী করে ফিতনার সৃষ্টি করেছিল এবং এই আকবরই ১ম সম্রাট ছিল যে কিনা তুর্কির খলিফার অনুমোদন ছারাই রাজ্য চালাত । সে যাইহোক ভোগ বিলাসপ্রিয় মির্জা হাদীবেগ যখন শুনল ভারতবর্ষে মোঘলদের পোয়াবারো অবস্থা, তখন সে আর দেরি না করে পূর্ব সমরখন্দ থেকে ভারতবর্ষে শ’ দুয়েক অধীনস্থ দাসদাসীসহ আগমন করে এবং পূর্ব পাঞ্জাবে বসতি স্থাপন করে। যেহেতু মির্যা হাদী বেগ সম্রাট বাবরের দূর সম্পর্কের ভাই ছিলেন, তাই তাঁকে কাদিয়ান ও পাশ্ববর্তী শ’ খানেক গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ এলাকার কাযী ও জমিদার নিয়োগ করা হয়।মির্যা হাদী বেগের উত্তর পূরুষগণ কাদিয়ানে সমৃদ্ধি লাভ করেন এবং মোগল সম্রাটগণের রাজত্ব কালে এক প্রকার আধা-রাজকীয় মর্যাদা উপভোগ করতে থাকেন(ভোগবিলাসিতা পূর্নতা পায়)। ১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগে মোগল রাজ কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে আসলে কাদিয়ানের প্রধানদের অবস্থাও দুর্বল হতে থাকে।উল্লেখ্য যে, এক সময় কেন্দ্রীয় মোগল কর্তৃত্বের স্থলে শিখদের অবস্থান দৃঢ়তর হতে থাকে। মির্যা হাদী বেগের উত্তরসুরি মির্যা আতা মুহাম্মদ( গো আ এর দাদা) তাঁর জীবদ্দশায় শিখদের দাপটে ক্রমাগতভাবে কাদিয়ান এস্টেটের অধীনস্থ এলাকা হাত ছাড়া হতে থাকে(কুফা লাগা শুরু হয়)। পরিশেষে রামগড়িয়া শিখ সম্প্রদায় শঠতার আশ্রয় নিয়ে খোদ কাদিয়ান নিজ করতলগত করে ফেলে এবং মির্যা আতা মুহাম্মদ সপরিবারে কাদিয়ান থেকে নির্বাসিত হয়ে প্রতিবেশী রাজ্য কপুরথলায় আশ্রয় নেন। মির্যা আতা মুহাম্মদ কপুরথলায় নির্বাসিত অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করেন।এখানে একটি বিষয় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে মোঘলদের পরে কাদিয়ান সহ পুরো পাঞ্জাবে শিখ শাষকরা কর্তৃত্ব পায় এবং মুসলমানদের উপর নির্জাতনও চালায় বিশেষ করে মুসলিম জমিদারদেরকে ফকির বানায় আর এই দলে মির্জা গো আ এর দাদাও ছিল। মোট কথা শিখদের নির্জাতন মির্জা পরিবারে সৃতি হিসেবে থেকে যায় অথচ ইতিপূর্বে মির্জারা মোঘলদের আমলে বিলাসিতায় জীবন কাটাত ।
MahdeeSmart Abat Realans মির্যা গো আ১৮৩৫ খ্রীস্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের গুরুদাসপুর জেলার কাদিয়ান নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। সুতারং বুঝাই যাচ্ছে গো আ এর জন্মের সময় ইংরেজদের পোয়াবারো অবস্থা চলছে ।মহারাজা রণজিত সিং যখন পাঞ্জাবের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তিনি মির্যা গোলাম আহমদ-এর পিতা মির্যা গোলাম মর্তুজাকে কাদিয়ানে প্রত্যাগমনের অনুমতি দেন এবং কয়েকটি গ্রাম ফিরিয়ে দেন যেগুলো ইতিপূর্বে কাদিয়ান এস্টেটের অন্তর্গত ছিল। তাই মির্যা গোলাম মুর্তাযা মহারাজা রঞ্জিত সিং এর অধীনে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এর কিছুদিন পরে তিনি এবং তাঁর পুত্র মির্যা গোলাম কাদির( গো আ এর বড় ভাই) ভারতবর্শষের লুটতরাজ সম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতেও বিশেষ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন যা তদানিন্তন কর্তৃপক্ষের নিকট সমাদৃত হয়। এখানে উল্লেখ্য যে সম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকার তাদের সেনাবাহিনীকে তাদের বিরুদ্ধে তখন ব্যাবহার করত যারা ভারতবর্ষের স্বাধিনতার জন্য লড়াই করছিল বিশেষ করে মুসলিম বিদ্রোহীদের, ইতিহাসে তিতুমীরের মত এমন বিদ্রোহীদের মুসলমানরা আজও শ্রদ্ধাভরে স্বরন করে ।এপর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ইতিহাসে এটা পরিস্কার যে মুঘলদের আমলে রাজকীয় হালতে থাকা মির্জা পরিবার মাঝখানে বেশকিছুদিন শিখদের দ্বারা নির্জাতিত হওয়ার পর আবার যখন সম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকারের দ্বারা কিছুটা জমিদারী ফেরত পেল তখন অটোমেটিক্যালী সম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকারকে মির্জা পরিবারের কাছে শান্তির দুত মাসিহা মনে হতে লাগল ।

MahdeeSmart Abat Realans গো আ এর পিতা গৃহশিক্ষকের মাধ্যমে তাঁর পড়াশোনার ব্যবস্থা করেন এবং তিনি কোনো দিন স্কুলে যাননি। কৈশোর ও এরপর যৌবনে উপনীত হলে তার পিতা বৈষয়িক বিষয়াদির দিকে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে উদগ্রীব হন, যা ভবিষ্যৎ জীবনে তার প্রয়োজন পড়তে পারে। কিন্তু এ প্রচেষ্টায় তিনি তেমন সফলতা লাভ করতে পারেননি কারন মির্জা গো আ সাংসারিক কর্মকান্ড মোটেও পছন্দ করতেন না , তিনি পরিশ্রমী স্বভাবের ছিলেন না অনেকটাই উদাসী ও অলস স্বভাবের ছিলেন । নিজের কাজ নিজে না করে বসে বসে খেতে এবং হটাত করেই ধর্ম নিয়ে গবেষনা করতেই তার বেশী ভাল লাগতে থাকে । এরপর তার পিতা তার এমন উদাসী স্বভাব দেখে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেন এবং উপায় অন্তর না দেখে মির্জা গো আ এর জন্য শিয়ালকোটে সম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকার এর আন্ডারে একটি সাধারণ প্রশাসনিক চাকুরীর ব্যবস্থা করেন। এটিও পিতার আনুগত্যের খাতিরে তিনি গ্রহণ করেন এবং যখনই তার পিতার মানসিকতা তাঁকে এ থেকে ইস্তফার সুযোগ করে দেয়, সেই প্রথম সুযোগেই তিনি পদত্যাগ করেন। মোটকথা কাজ করে খাওয়া তার একেবারেই স্বভাবে কুলাত না ।কিন্তু সম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ এর আন্ডারে সে যে কিছুদিন চাকরি করল সেটাই তার পরের ধর্মীয় জীবনে কিভাবে প্রভাব পরল তা নিচে আলোচনা করা হবে । ততকালীন সম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকার মুসলিমদের মাঝে তাদেরকেই প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত করত যারা ছিল ব্রিটিশ সরকারের খুবই অনুগত এবং মৌলবাদী না হয়ে এমন উদার টাইপ যে হারাম মদ্যপানেও উদারতা দেখাবে অথবা ব্রিটিশদের সেকুলার শিক্ষায় শিক্ষিত আর তা না হলেও মীরজাফর গাদ্দার টাইপ মুসলিম । এরপরও মুসলিমদের প্রতি তাদের সন্দেহ একটু বেশিই ছিল তাই তাদের অন্ডারে কর্মরত সেকুলার টাইপ মুসলিমদের ব্রেইন অয়াশ করার জন্য এবং বিশেষ করে ততকালীন বৃটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহরত মুসলিমদের ধোকা দেয়ার জন্য মুসলিমদের প্রানকেন্দ্র মক্কা হতে বৃটিশেরই চক্রান্তে বসানো সৌদী রাজার জুব্বার পকেটে থাকা কিছু ওহাবী আলেমদের হতে নতুন কিছু ফতুয়া ক্রয় করে আনে যা দিয়ে ভারতবর্ষের মুসলিমদের মাঝে প্রচার করতে থাকে । আর তা ছিল এই যে- বৃটিশরা যেহেতু মুসলিমদের ৫টি রোকন যেমন- নামাজ পড়তে , রোজা করতে, হজ্ব পালন করতে বাধা দেয় না সেহেতু তারা খ্রিষ্টান শাষক হলেও তাদের আনুগত্য করতে হবে বরং যারা ভারতকে দারুল হারব (যুদ্ধের এলাকা)মনে করে তাদের বিরুদ্ধে জীহাদ ফরজ ভাবছে তারা ভুল পথে রয়েছে আর ভারত দারুল হারব নয় বরং দারুল ইসলামই(ইসলামি অঞ্চল) রয়েছে।
MahdeeSmart Abat Realans যাইহোক ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে তখনকার সময়ে যারা বৃটিশের আন্ডারে চাকরি করত তাদের মগজেই ফতোয়াটি আগে ঢুকে এবং তারা নিজেরা পরস্পর প্রায়ই বলাবলি করত -এই সরকার ত আমাদের নামাজ পড়তে বাধা দেয় না সুতারাং আমরা তাদের আন্ডারে চাকরী করছি এটা সম্পূর্ন হালাল আর মির্জা গো আও তাদের সাথে একমত পোষন করত এবং সে বৃটিশের প্রতি আরও বেশী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করত বিশেষ কিছু কারনে যার কিছুটা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে তাদের মির্জা পরিবারকে কিছুটা সাহায্য করেছিল জমিদারী পুনরুদ্ধারে অথচ ইতিপুর্বে তারা শিখদের দ্বারা বিতারিত হয়েছিল । তাই সে বৃটিশদের আরো বেশী ন্যায়বিচারক ন্যায়পরায়ন শাষক ভাবতে থাকে আর এসব কথা সে নিজে তার রচিত গ্রন্থে বার বার লিখেছে। বেশকিছুদিন চাকরী করে সে আর কিছু অর্জন না করতে পারলেও বৃটিশপ্রেম ঠিকই অর্জন করেছিল এবং এরপর কাজ করে না খাওয়ার বদভ্যাস অনুযায়ি সে চাকরী আবারও ছেরে দেয় । মির্জা গো আ এর অকর্মা স্বভাবের সাথে পেরে উঠতে না পেরে তার বাবা হাল ছেরে দেন এবং জীবনের বাকি অংশে সাবেক কাদিয়ান এস্টেটের যেসব গ্রামের উপর কর্তৃত্ব তারা হারিয়ে ছিলেন, সেগুলোর অন্তত কয়েকটি পুনরুদ্ধারের বৃথা ও অর্থহীন প্রচেষ্টায় তাঁর অর্থ, সময় ও শক্তি নিয়োজিত করেন। তাঁর সকল প্রচেষ্টার ব্যর্থতা তাঁর জীবনকে তিক্ততায় পূর্ণ করেছিল এবং হতাশা বুকে নিয়েই তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন এরপর তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র, মির্যা গোলাম কাদির( গো আ এর বড় ভাই), যিনি এরপর পরিবারের প্রধান হন, এর মধ্যে প্রায় আঠারো মাইল দূরে গুরুদাসপুর জেলা প্রশাসনে সম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকার এর আন্ডারে একটি সাধারণ চাকুরীতে নিযুক্ত হন। এতদিন মির্জা গো আ তার বাপের হোটেলেই বসে বসে খেত যেমন সে নিজেই বলছে-" যখন আমার পিতার মৃত্যুর সংবাদ পেলাম এ চিন্তা আমার মনে উদ্রেক হল যে জীবিকা নির্বাহের কিছু উৎস, যা আমার পিতার নিকট ছিল, তা এখন বন্ধ হয়ে যাবে এবং আমরা হয়তো সমস্যাবলীর মধ্যে পড়বো" কিন্তু যে যেভাবে থাকতে চায় আল্লাহ সুবঃ তাকে সেভাবেই রাখেন তাই সে তার সম্পতি ভাইকে দেখভাল করতে দিয়ে এবার ভাইয়ের হোটেলে খেতে শুরু করল(ধর্মব্যাবসা শুরুর আগ পর্যন্ত) আর ইসলাম ধর্মকে সম্পূর্নটাই সুফিটাইপ ধর্ম মনে করে ইসলাম ধর্মের সাথে অন্নান্য ধর্ম এবং বৃটিশদের লিখিত ইতিহাসগ্রন্থ নিয়েও পড়াশুনা এবং গবেষনা করে নিজের মাথাটাকে ইন্টারন্যাশন্যাল ইয়ারপোর্ট বানাতে শুরু করল ।
MahdeeSmart Abat Realans কাদিয়নীদের লেখা ইতিহাসে মির্জা গো আ এর বংশ এবং তার সম্পরর্কে যেভাবে লিখেছে তাতে আপাত দৃষ্টিতে কোন দোষই খুজে পাওয়া যাবে না কিন্তু কথায় আছে সত্য কোনদিন চাপা থাকে না তাই তাদেরই লেখা ইতিহাসের মাধ্যমে এমন কিছু কিছু ক্লু বের হয়ে এসেছে যা সত্য প্রকাশের জন্য যথেষ্ট । যেমনঃ- মির্জা গো আ এর পূর্ব পুরুষ মির্জা হাদি বেগ হতে মির্জা গো আ পর্যন্ত এসব মির্জা বংশের লোক পুর্ব হতেই বিলাস প্রিয় ছিল যেমন-" মির্জা হাদি বেগের ভারতবর্ষে শ’ দুয়েক অধীনস্থ দাসদাসীসহ আগমন শুধুমাত্র ১টি পরিবারে জন্য, নিশ্চয়ই বিলাসীতারই লক্ষন । আর পুর্ব পুরুষদের স্বভাবের সাথে মির্জা গো আ এর আবার নতুন আরেকটি বদভ্যাস যুক্ত হয়েছিল তা হল অলসতা এবং কর্মবিমুখ স্বভাব । দাস দাসী হতে নিম্নমানের সেবা নেওয়া ছিল মির্জা গো আ সহ তার পুর্ব পুরুষদের একটি পু্রানো রশম রেওয়াজের অংশ । তার পুর্ব পুরূষ এটি করত এতে সমস্যা নেই কিন্তু যে মানব কল্যানের দিশারী মাহদি হবে বা মজলুমের মাসিহা হবে তার তো দাস দাসীর সাথে এমন আচরন কখনই মহাপুরূষের লক্ষন হতে পারে না । যেমন- তার নিজের হাতে লেখারই উদ্ধৃতি দিলাম-"আমি উপর তলার এক কামরায় বিশ্রামের জন্য গেলাম এবং এক ভৃত্য আমার পা মালিশ করতে লাগলো। এ সময় খানিকটা তন্দ্রাচ্ছন্ন আসল (আরামে)" । দাসি বাদীদের উপর নিম্নমানের কাজের মাধ্যমে বিলাসিতা উপভোগ করার প্রমান করার জন্য এই ১টি উদ্ধৃতিই যথেষ্ট ।
MahdeeSmart Abat Realans সাধারনত বিভিন্ন আলেম ওলামার বক্তব্য শুনলে ২টি জিনিস মনে হবে। ১মত মির্জা গো আ কে ইংরেজরাই তাদের এজেন্ট হিসেবে মুসলিমদের মাঝে দ্বার করিয়েছে কিন্তু আসল ঘটনা অন্যরকম ১মে মির্জা গো আ ই ভুল বুঝে নিজেকে ইমাম মাহদি দাবী করে পরে ইংরেজরা যখন দেখল তারা যা চাচ্ছে তা মির্জা গো আ ই দিতে পারে তাই তাকে ইংরেজরা সর্বরকম সাহায্য করতে থাকে এমনকি এখন পর্যন্ত মির্জা গো আ এর দলকে তারা সহায়তা করে যাচ্ছে এজন্যই কাদিয়ানীদের প্রধান কেন্দ্রও আজও তাদের দেশেই অবস্থিত । আর মির্জা গো আ এর ইংরেজদের প্রতি অন্ধ ভালবাসার ১ম কারন হল, পূর্ব হতেই মির্জা পরিবারে বৃটিশদের বিশেষ সাহায্য ছিল যদিও মির্জারা মুসলিম ছিল তবুও তারা এমন করেছিল তাদের বিশেষ কিছু স্বার্থে । আমরা সবাই জানি বিজাতীয় হয়েও এদেশে বৃটিশদের শাষন করার মুলমন্ত্রই হল- ডিভাইড এন্ড রুলড এবং কোন এলাকায় গনভিত্তি থাকলে তাকে দুর্বল করে দেয়া । আর কাদিয়ানে যখন একছত্রভাবে শিখদের শাষন চলছিল তখন এটা ছিল বৃটিশদের জন্য বড় ধরনের হুমকি তাই পূর্বের জমিদার মির্জাদের পু্নরায় বসিয়ে শিখদের দুর্বল করা কিন্তু তাই বলে মির্জাদের আবার শক্তিশালী করলেও হুমকি যেহেতু জাতে তারাও মুসলিম তাই তাদেরকে পুরো জমিদারী কিছুতে বৃটিশরা ফিরিয়ে দেয়নি যদিও মির্জা গোলাম মর্তুজা এজন্য তার বাকী জীবন অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি । তা যাই হোক বৃটিশদের দেয়া এই জমিদারী সিস্টেম ছিল খুবই অত্যাচারী এবং শোষনমুলক , সেই জমিদার হোক মুসলিম বা হিন্দু, সবাই প্রজাদের উপর ভীষন নির্জাতন চালাত, যে ইতিহাস সর্বজনস্বীকৃত আর এই ধরনের জমিদারীই পেয়েছিল মির্জা গো আ এর বাবা বৃটিশদের কাছ থেকে আর সত্যিকারের মাসিহা যদি সেই পরিবারের সদস্য হয়ে বৃটিশদের বিরুদ্ধে না দ্বারিয়ে উলটো আরও অত্যাচারী বৃটিশদের চামচামি করে তবে এটা আর বুঝতে বাকি থাকে না যে সে আসলেই মাসিহ নাকি দাজ্জাল ? এছারাও মির্জা গো আ এর ইংরেজদের প্রতি অন্ধ ভালবাসার ২য় কারন হল- তাকে নবী বানাতে বৃটিশরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছে , ৩য় কারন ছিল সে ইসলাম ধর্মকে সূফিটাইপ ধর্ম মনে করত তাই রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে ইসলামী শাষনের গুরুত্ব সে বুঝত না তাই শিখদের তুলনায় ধর্মনিরপেক্ষ(ধর্মহীন) বৃটিশদের রাষ্ট্রীয় সিস্টেমই তারকাছে বেশী ভাল লাগত যা সে তার লিখিত বিভিন্ন গ্রন্থে বার বার উল্লেখ করেছে কিন্তু বিভিন্ন আলেম ওলামার বক্তব্য শুনলে আরেকটি জিনিস মনে হবে – মনে হবে মির্জা গো আ সহ সমস্ত কাদিয়ানীরা নিজেরাই জানে যে তারা ভন্ড তারপরেও তারা নিজেদের মুসলিম পরিচয় দেয় । কিন্তু সত্য কি তা একমাত্র আল্লাহ সুবঃই ভাল জানেন তবে যতটুকু জানা যায় তাতে মনে হয় মির্জা গো আ এর কাছে শয়তান অহী করতে পারে যেমনটা নবী সাঃ এর জীবনে ইহুদীদের মাঝে এক নবী দাবীকারীর ক্ষেত্রে হয়েছিল মোটকথা মির্জা গো আ সহ সমস্ত কাদিয়ানীরা নিজেদেরকে অন্তর থেকেই খাটি মুসলিম ভাবে আর কাদিয়ানী ব্যাতীত যত মুসলিম আছে তাদেরকে কাফের ভাবে মির্জা গো আ কে নবী না মানার জন্যে ।
MahdeeSmart Abat Realans আমরা জানি, আমাদের নবী সাঃ আল্লাহ সুবঃ এর কাছে দুয়া করতেন যে- হে আল্লাহ আপনি আমাকে নিজের চোখে নিজেকে ছোট আর মানুষের চোখে বড় বানান । এছারাও তিনার জ্ঞান গরীমার কারনে তিনি কখনও অহংকারবোধ করতেন না আর নবী সঃ এর এই চরিত্র তার সকল উম্মতের জন্যই অনুকরনীয় কিন্তু মির্জা গো আ এর মাঝে তার বিপরীতটাই দেখা যায় যেমন-সব মানুষ তাকে ছোট ভাবত আর তার নিজের চোখেই শুধু নিজেকে বড় মনে হত, এমনকি অহংকারীও ছিল , অহংকার পতনের মুল । অবশেষে তার ভন্ড নবী দাবী পর্যন্ত গড়ানোর পেছনে মুলত অহংকারই যে কাজ করেছে তা খুব সহযেই বুঝা যায় । যেমনঃ- ১৯৮৪ সালে যখন সে মুসলিমদের কাছ থেকে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা চাঁদা নিয়ে অন্নান্য ধর্মের সাথে তুলনা করে ইসলাম ধর্মের পক্ষে ৫ খন্ডের তার ১ম বই ‘বারাহীনে আহ্‌মদীয়া’ প্রকাশ করে তখন অনেক আলেম ওলামা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যায় এবং বইটিও যখন জনপ্রিয় হতে শুরু করে তখনই তার মধ্যে অহংকার ঢুকে যায় এবং শয়তানের অসওসায় বিভিন্ন গ্রন্থ ও ইতিহাস হতে সংকলিত করে একটি মামুলী বই লিখেই নিজেকে নিজের চোখে এতই বড় মনে হতে লাগে যে, সে মনে করে নাহ ! আমি কিছুতেই সাধারন চিরিয়া হতে পারি না । নিশ্চয় আমি অসাধারন কেউ , আর এভাবেই সে জ্ঞানের অহংকার শুরু করে শয়তানের ফাদে পা দিয়ে নিজেকে যুগের মুজাদ্দিদ ভাবতে থাকে এবং প্রচারও করতে থাকে। এতে সে তেমন বিরোধীতার স্বিকার হয় না কিন্তু কিছুদিন পর এতেও তার মন ভরে ন সে নিজেকে এবার মামুর বিন আল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ হতে আদিষ্ট অহী ইলহামপ্রাপ্ত ব্যাক্তি ভাবতে থাকে , এতেও তার নফসের খায়েশ মিটে না তাই সে এবারে নিজেকে ইমাম মাহদিই দাবী করে বসে ১৯৮৯ সালে এতে সবাই বিরোধিতা শুরু করল এবং বলল ইমাম মাহদি হলে ত ঈসা আঃ আসমান হতে অবতরন করে তার পিছনে নামাজ আদায় করার কথা , সুতারং সে ২ বছর গবেষনা করে পরে নিজেকে ঈসা আঃও দাবী করে ফেলে এবং বলতে শুরু করে মাহদি এবং ঈসা একই ব্যাক্তি এরপর সে ১৯০১ সালে তারচাইতেও বেড়ে গিয়ে নিজেকে নবীই দাবী করে বসে। এখন তার এই পর্যায়ক্রমে একের পর এক দাবীই তাকে ভন্ড প্রমান করে কারন খুব সহযেই বুঝা যায়, সে ধীরে ধীরে সীমা অতিক্রম করেছে আর সে আল্লাহর পক্ষ থেকে হলে ১মে নিজেকে শেষের পরিচয়টাই দিত , কখনই একেক সময় একেক জন মনে হত না নিজেকে ।
MahdeeSmart Abat Realans মির্জা গো আ ১৯৮৯ সালে নিজেকে প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদী দাবী করে, এই দাবী করার পেছনে অসংখ্য বানোয়াট হাদিসের এবং দূর্বল আজগুবি হাদিসের উদ্ধৃতিসহ সে কুরানে সুরা জুময়ার আয়াত অপব্যাখ্যা করে ততকালীন কিছু মুর্খ্যদের বুঝাতে সমর্থ হয় যে এই আয়াতে তাকেই উল্লেখ করা হয়েছে । কিন্তু খুব সাধারন মানুষও সুরা জুময়ার ঐ আয়াতটি পড়লে বুঝবে যে মির্জা গো আ এই আয়াতের ভুল তাফসির করে একধরনের জোর করেই নিজের মত বসিয়ে দিচ্ছে
هُوَ الَّذِىْ بَعَثَ فِىْ الْاُمِّيّٖنَ رَسُوْلاً مِّنْهُمْ يَتْلُوْا عَلَيْهِمْ اٰيٰتِهٖ وَيُزَكِّيْهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتٰبَ وَالْحِكْمَةَ وَاِنْ كَانُوْا مِنْ قَبْلُ لَفِىْ ضَلٰلٍ مُّبِيْنٍۙ
وَّاٰخَرِيْنَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوْا بِهِمْ‌ؕ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে তাহাদেরই মধ্য হইতে এক রসূল আবির্ভূত করিয়াছেন, যে তাহাদের নিকট তাঁহার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করে, এবং তাহাদিগকে পরিশুদ্ধ করে, এবং তাহাদিগকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়, যদিও পূর্বে তাহারা প্রকাশ্য ভ্রান্তির মধ্যে ছিল।
৩। আর(উপস্থিতগন ব্যাতীত)অন্য লোকের মধ্যেও- যাহারা তাহাদের সহিত শামিল হইবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত শামিল হয় নাই। এবং তিনি মহাপ্ররাক্রমশালী, পরম প্রজ্ঞাময়।(আল্‌ জুমু’আ)
এখানে আল্লাহ সুবঃ খুব পরিস্কারভাবে জানাচ্ছেন যে আরবের উম্মীদের মাঝে তিনি এক রসুল প্রেরন করেছেন যিনি বর্তমানে তাদেরকে আল্লাহর কিতাব শিক্ষা দিয়ে সঠিক পথে আনছেন এবং ২য় আয়াতে তিনি এটাও জানাচ্ছেন যে ঠিক একইভাবে পৃথিবীর অন্য মানুষের মাঝেও এই কুরানের শিক্ষা প্রচারের মাধ্যমে হেদায়েত দিবেন অথচ সেসব মানুষের সাথে এখনও বর্তমান মুসলিমের দাওয়াতদানকারীদের সাক্ষাত হয় নাই কিন্তু ভবিষ্যতে হবে । অর্থাৎ শুধু বর্তমান আরব মুসলিমই নয় অন্নান্যদের মাঝেও এই কুরান পৌছে যাবে মুসলিমদের দ্বারা তার ভবিষ্যতবানী দেয়া হচ্ছে । এখানে উল্লেখ্য যে এই দাওয়াত বিস্তার করতে আল্লাহ সুবঃ বিশেষভাবে কারও নাম বা একক ব্যাক্তিকেও এই আয়াতে বুঝান নাই অথচ মির্জা গো আ এই আয়াত হতে এক লাইন বেশী বুঝে ভেবেছে এখানে শুধু আমার কথাই বলা হচ্ছে যে আমিই মানুষকে হেদায়েত করব চতুর্দশ শতাব্দীতে এসে । হে হে । তাহলে নবী সাঃ এর পরে কি আর কোন সাহাবী বা তাবেয়ীগন দুরের বা অপরিচিতদের মুসলিম বানান নাই ? তারাও কি ২য় আয়াতের মাঝে পরবে না ? সত্য হল এটাই যে মির্জা গো আ এর ধারনা উনারা ঐ দলে পরে না সে শুধু একাই পরে । আর এজন্য সে এই আয়াতের ইচ্ছেমত অনুবাদ এবং ব্যাখ্যা করে যা নিম্নে দেয়া হচ্ছে।
MahdeeSmart Abat Realans মির্জা গো আ ১৯৮৯ সালে নিজেকে প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদী দাবী করে, এই দাবী করার পেছনে অসংখ্য বানোয়াট হাদিসের এবং দূর্বল আজগুবি হাদিসের উদ্ধৃতিসহ সে কুরানে সুরা জুময়ার আয়াত অপব্যাখ্যা করে ততকালীন কিছু মুর্খ্যদের বুঝাতে সমর্থ হয় যে এই আয়াতে তাকেই উল্লেখ করা হয়েছে । কিন্তু খুব সাধারন মানুষও সুরা জুময়ার ঐ আয়াতটি পড়লে বুঝবে যে মির্জা গো আ এই আয়াতের ভুল তাফসির করে একধরনের জোর করেই নিজের মত বসিয়ে দিচ্ছে
هُوَ الَّذِىْ بَعَثَ فِىْ الْاُمِّيّٖنَ رَسُوْلاً مِّنْهُمْ يَتْلُوْا عَلَيْهِمْ اٰيٰتِهٖ وَيُزَكِّيْهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتٰبَ وَالْحِكْمَةَ وَاِنْ كَانُوْا مِنْ قَبْلُ لَفِىْ ضَلٰلٍ مُّبِيْنٍۙ
وَّاٰخَرِيْنَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوْا بِهِمْ‌ؕ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে তাহাদেরই মধ্য হইতে এক রসূল আবির্ভূত করিয়াছেন, যে তাহাদের নিকট তাঁহার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করে, এবং তাহাদিগকে পরিশুদ্ধ করে, এবং তাহাদিগকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়, যদিও পূর্বে তাহারা প্রকাশ্য ভ্রান্তির মধ্যে ছিল।
৩। আর(উপস্থিতগন ব্যাতীত)অন্য লোকের মধ্যেও- যাহারা তাহাদের সহিত শামিল হইবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত শামিল হয় নাই। এবং তিনি মহাপ্ররাক্রমশালী, পরম প্রজ্ঞাময়।(আল্‌ জুমু’আ)
এখানে আল্লাহ সুবঃ খুব পরিস্কারভাবে জানাচ্ছেন যে আরবের উম্মীদের মাঝে তিনি এক রসুল প্রেরন করেছেন যিনি বর্তমানে তাদেরকে আল্লাহর কিতাব শিক্ষা দিয়ে সঠিক পথে আনছেন এবং ২য় আয়াতে তিনি এটাও জানাচ্ছেন যে ঠিক একইভাবে পৃথিবীর অন্য মানুষের মাঝেও এই কুরানের শিক্ষা প্রচারের মাধ্যমে হেদায়েত দিবেন অথচ সেসব মানুষের সাথে এখনও বর্তমান মুসলিমের দাওয়াতদানকারীদের সাক্ষাত হয় নাই কিন্তু ভবিষ্যতে হবে । অর্থাৎ শুধু বর্তমান আরব মুসলিমই নয় অন্নান্যদের মাঝেও এই কুরান পৌছে যাবে মুসলিমদের দ্বারা তার ভবিষ্যতবানী দেয়া হচ্ছে । এখানে উল্লেখ্য যে এই দাওয়াত বিস্তার করতে আল্লাহ সুবঃ বিশেষভাবে কারও নাম বা একক ব্যাক্তিকেও এই আয়াতে বুঝান নাই অথচ মির্জা গো আ এই আয়াত হতে এক লাইন বেশী বুঝে ভেবেছে এখানে শুধু আমার কথাই বলা হচ্ছে যে আমিই মানুষকে হেদায়েত করব চতুর্দশ শতাব্দীতে এসে । হে হে । তাহলে নবী সাঃ এর পরে কি আর কোন সাহাবী বা তাবেয়ীগন দুরের বা অপরিচিতদের মুসলিম বানান নাই ? তারাও কি ২য় আয়াতের মাঝে পরবে না ? সত্য হল এটাই যে মির্জা গো আ এর ধারনা উনারা ঐ দলে পরে না সে শুধু একাই পরে । আর এজন্য সে এই আয়াতের ইচ্ছেমত অনুবাদ এবং ব্যাখ্যা করে যা নিম্নে দেয়া হচ্ছে।
MahdeeSmart Abat Realans কাদিয়ানীরা সুরা জুময়ার ৩নং আয়াতের অর্থ করে এরকম-"এবং (তিনি তাহাকে আবির্ভূত করিবেন) তাহাদের মধ্য হইতে অন্য লোকের মধ্যেও যাহারা এখন পর্যন্ত তাহাদের সঙ্গে মিলিত হয় নাই। এবং তিনি মহাপ্ররাক্রমশালী, পরম প্রজ্ঞাময়।" উক্ত আয়াতে ব্রাকেটে লেখাসহ আয়াতের অর্থ করলে সবাই এই আয়াতের অর্থ সম্পুর্ন অন্যরকম বুঝবে অথচ কাদিয়নীদের কুরান ব্যাতীত আর কোন কুরানে এমন আজগুবি অর্থ কেউ ভুলেও করেনি। আর সবচেয়ে আশার কথা হল এই ৩নং আয়াত যখন নাজিল হল তখন আবু হুরায়রা রাঃ নবী সাঃকে জিজ্ঞেস করলেন- তারা কারা ইয়া রসুলুল্লাহ ? তিনবার একথা জিজ্ঞেস করা সত্তেও তিনি কোন উত্তর দিলেন না । আমাদের মাঝে সালমান ফারসি রাঃও উপস্থিত ছিলেন । রসুলুল্লাহ সাঃ সালমান ফারসি রাঃ এর উপর হাত রেখে বললেন- ঈমান সুরাইয়া নক্ষত্রের কাছে থাকলেও আমাদের কিছুলোক অথবা তাদের একব্যাক্তি হলেও সেই ঈমান অবশ্যই পেয়ে যাবে।(বুখারী) এবার আসা যাক মুল ব্যাপারে – উক্ত আয়াত মদীনায় নাজিল হয় এমন সময় যখন ইসলাম চারদিকে ছরিয়ে পরছে কিন্তু পারস্যে এখনও পৌছেনি কিন্তু পারস্য বংশীয় সালমান ফারসি রাঃ মদীনায় এসে ঠিকই ইসলাম গ্রহন করেছিলেন আর হুরাইরা রাঃ উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা যখন নবী সাঃ এর কাছে জানতে চান তখন তিনিও মজলিসে উপস্থিত ছিলেন আর যখনই হুরাইরা রাঃ এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলেন তখনই নবী সঃ সালমান ফারসি রাঃ এর উপর হাত রেখে সাহাবীদের ইংগিত দিলেন যে দ্বীন ইসলামের ইমান খুব দূর্লভ বা খুব দূরে চলে গেলেও আমাদের আরব উপদ্বীপের কিছু লোক বা পারস্যের কিছু লোক না হলেও একজন তো অবশ্যই পাবে কারন পর পর তিনবার জিজ্ঞাসা করার পরও তিনি উত্তর না দিয়ে চুপ ছিলেন কারন তিনি আল্লাহ সুবঃ এর কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে তারপর বলেন কারন উক্ত আয়াত ছিল ভবিষ্যতবানী মুলক আর তিনি নিজে থেকে কোন কথাই বলেন না। তাই তিনি ঘটনা আরো সহজে বুঝানোর জন্য উপস্থিত সাহাবীদের মাঝে তুলনামূলক দূরের সাহাবী সালমান ফারসি রাঃ এর গায়ে হাত দিয়ে ভবিষ্যতের ইংগিত এবং উদাহরন এক সাথে দিলেন যে- ঈমান পারস্যের বা অন্য দেশের কিছু লোক না হলেও একজন তো অচিরিই পেতে যাচ্ছে কারন আল্লাহর ওয়াদা কখনও মিথ্যে হয় না যেমন- এরপরে নবী সঃ কে আল্লাহ পৃথিবীকে সংকুচিত করে দেখিয়েছেন যে এই ঈমান কোন কোন এলাকায় পৌছুবে আরেকটি হাদিসে জানতে পারি যে – দ্বীন ইসলাম প্রতিটি ঘরেই পৌছুবে আর খন্দকের যুদ্ধে আল্লাহ সুবঃ তো জানিয়েই দিলেন যে কিভাবে মুসলিমরা পারস্য জয় করবে। তাই নবী সাঃ এর সালমান ফারসী রাঃ এর উপর হাত রেখে উক্ত আয়াত প্র্যাকটিক্যালী ব্যাখ্যা করার উদ্দেশ্য একটাই, আর তা হল- সালমান রাঃ এর দেশ ততকালীন পরাশক্তি পারস্যসহ দূরবর্তী দেশের লোকও এই দ্বীনের ঈমান পাবে যদিও ঈমান এতই কঠিন দূর্লভ হয়ে পরে যেন ঈমান সুরাইয়া নক্ষত্রের কাছে ।
MahdeeSmart Abat Realans কিন্তু মির্জা গো আ বুখারীর এই হাদিসে ভুল বুঝে ভুল অর্থ করে, যেটা দিয়ে আজও কাদিয়ানীরা প্যাচ দিয়ে সাধারন মানুষকে ভুল তফসির দিয়ে ধোকায় ফেলছে যেমন তাদের ভুল অর্থ করা হাদিস এর অংশটুকু হল-‘ঈমান সুরাইয়া নক্ষত্রে চলে গেলেও তাঁদের (পারশ্য বংশোদ্ভূত) এক বা একাধিক ব্যক্তি তা থেকে একে নামিয়ে আনবে’।” ১মেই লক্ষ্য করুন তারা হাদিসে উল্লেখিত আরবী "ইনদা" এর অর্থ "চলে গেলে" করেছে অথচ সবাই জানে এর সঠিক অর্থ হবে "কাছে বা নিকটে" ২য়ত হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ আছে " লানা এবং লাহু " যার মানে হবে- আমাদের কিছুলোক অথবা তাদের একব্যাক্তি। আর তারা সরাসরি লিখেছে- "তাঁদের এক বা একাধিক ব্যক্তি" যা স্পষ্ট হাদিস বিকৃতি । আর সব শেষে বিকৃতি করেছে " তা অবশ্যই পাবে " এর স্থলে " একে নামিয়ে আনবে" লিখে । আর সবচেয়ে বড় গোজামিল দিয়েছে ব্রাকেটে পারশ্য বংশোদ্ভূত দিয়ে। এই ব্যখ্যা কেউ করে নাই ।এমনকি এর কাছাকাছি ব্যাখ্যাও কেউ করে নাই অথচ সে কোথা থেকে পেল? আর সে এই পারশ্য বংশোদ্ভূত এক্সট্রা ঢুকিয়েই নিজেকে মাহদী দাবী করে অথচ মুল হাদিসে এরকোন নাম নিশানা পর্যন্ত নেই । এবারে নিচে আলোচনা করা হবে আসলে কেন এবং কিভাবে সে এইভাবে হাদিসের বিকৃতি ঘটিয়েছে
MahdeeSmart Abat Realans ১মত মুসলিমদের মাঝে একটি কথা প্রচলিত আছে যে কিয়ামতের আগে কুরান এর আয়াত উঠে যাবে আর মির্জা গো আ ভেবেছে সত্যিকারের ঈমান উঠে যাবে আর তার সময়ই সেটি হয়েছে যদিও তখনও হাজার হাজার মানুষের মাঝে ঠিকই ঈমান ছিল কিন্তু সে মনে করে ৩০০ হিজরী পর্যন্ত ঈমান ছিল তারপর ঈমান সুরাইয়া নক্ষ্যত্রে যাওয়া শুরু করে এবং ১হাজার বছরে তা সম্পূর্নই উঠে যায় । পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে সে মাহদি ঈসা দাবি করা পর্যন্ত আরবী জানত না তাই কুরানে উল্লেখিত সুরা সাজদার ৫ নং আয়াতের অনুবাদ পড়ে ভুল বুঝে কারন সেখানে আল্লহ সুবঃ বলেন- তিনি আকাশ থেকে জমিন পর্যন্ত সমস্ত কর্ম পরিচালনা করেন ; অতপর তা(সমস্ত কর্ম বা আমল) তাঁর কাছে পৌছুবে এমন এক সময়ে , যার পরিমান তোমাদের গননায় হাজার বছর(হাশরের দিনের সময় হবে দুনিয়ার সময়ের হাজার বছর সমান ১দিন)। আর মির্জা গো আ সহ বর্তমান কাদিয়ানীরা ভাবে এর দ্বারা ১ বছরে ঈমানই উপরে উঠে গেল। হেঁ হেঁ । এই তফসির কাদিয়ানীরা ছারা কেউ করে নাই। আর তাদের মতে যেহতু ৩০০বছর ঈমান থাকার পর ১হাজার বছরে ঈমান একদমই উপরে চলে গেল তাই ১৩০০বছর পরে একদমই ঈমান ছিল না আর মির্জা গো আ জন্মগ্রহন করে সেই ঈমান উপর থেকে আবার এই ধরার বুকে টেনে আনে তাই সে ১মে ১৩শতাব্দির মুজাদ্দিদ দাবী করেছিল । সে যাইহোক এভাবে আরবী না জানার কারনে কুরানের আয়াতে ভুল বুঝে সে বুখারীর ঐ হাদিসে দুরত্ব আর দূর্লভ বুঝাতে সুরাইয়া নক্ষ্যত্রে চলে যাওয়া নবী সাঃ বুঝিয়েছিলেন কিন্তু সে বুঝে এর দ্বারা আসমানে ঈমান চলে যাওয়াই বুঝায় তাই সে হাদিস বিকৃতি করে যেখানে মানে হবে নিকটে সেখানে লিখেছে চলে গেল আর যেহেতু ঈমান হাটি হাটি পা করে আকশে গেল তাই তাকে ত আবার নামিয়ে আনতে হবে, সুতারাং সে হাদিসে " একে নামিয়ে আনবে" লিখে " তা অবশ্যই পাবে " এর স্থলে । আর গো আ কাদিয়ানী যেহেতু পারস্য বংশের ছিল এবং নিজেকে তার বড় ধরনের চিরিয়া মনে হত তাই হাদিসে যখনই সে দেখেছে যে নবী সঃ এর উত্তর দেওয়ার সময় সালমান ফারসী রাঃ এর গায়ে হাত রেখেছিলেন কিন্তু যদিও তিনি বলেন নি যে সে পারস্য বংশীয় বলেই তার গায়ে হাত রাখলাম অথচ মির্জা গো আ এর কাছে মনে হতে লাগল –তাহলে আমি যেহেতু পারস্য বংশীয় তাহলে এজন্যই বোধহয় এই আয়াত নাজিল হয়েছে এটা আসলে আমারই ভবিষ্যতবানী আর এখানে যেহতু নবী সঃ এবং সালমান ফারসী রাঃ দুইজন আছেন তাই এই দুই বংশের সংকরেই আমি মাহদীর জন্ম । যদিও হাদিসে কেই ই এই তাফসির করে নাই কিন্তু গো আ এরই ১ম এটি মনে হয় । তাই সে গোজামিল দিয়েছে ব্রাকেটে পারশ্য বংশোদ্ভূত। আর সবচেয়ে বড় ধোকা হল- হাদিসে লাহু এবং রুজুলুন থাকায় এখানে একক ব্যাক্তি হিসেবে আসলে কি বুঝানো হয়েছে তা অনেকের কাছেই বোধগম্য ছিল না তাই কিছু হানাফী তফসিরকারক বুখারীর ব্যাখ্যায় ঐ একক ব্যক্তি আসলে ইমাম আবু হানিফা রহঃকেই বুঝানো হচ্ছে লিখেছেন আর এটাই কাল হয়ে গেল মির্জা গো আ এর কাছে , সে যেহেতু হানফী মাঝহাবের গ্রন্থই বেশী পড়ত( সে সহ সব কাদিয়ানীই হানাফী ফিকহ অনুসারী) তাই এখানে উল্লেখিত একক ব্যাক্তি হিসেবে ইমাম আবু হানিফা রহঃকে না বাদ দিয়ে নিজেকেই সেই একক ব্যাক্তি মাহদী মনে হতে থাকে কারন ইমাম আবু হানিফা ত আর পারস্য বংশীয় না তাই এই হাদিসে তারই ভবিষ্যতবানী আছে ভেবে সে সুরা জুময়াতে তার সম্পর্কে বলা হয়েছে বলে প্রচার করতে লাগল । আর এভাবেই সে নিজে ধোকা খেয়ে অন্নান্য মুর্খ্যদেরও ধোকায় ফেলতে লাগল।
MahdeeSmart Abat Realans Next comments loading........O......চন্দ্র সূর্য গ্রহনের ভন্ডামী প্রুফ করা হবে ইনশাহ আল্লাহ ( বিঃ দ্রঃ আমি শুধুমাত্র প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি সত্য তুলে ধরছি মাত্র কিন্তু এটা কখনই বলতে পারব না হলফ করে যে, কে ভন্ড আর কে একশতভাগ সত্য? মহান আল্লাহ সুবঃই তা ভাল জানেন , আর আমাদের শুধু প্রার্থনা করা উচিত তিনি যেন আমাদের সত্য চেনার তৌফিক দেন )
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×