somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যুগোপযোগী লাভজনক কিছু হালাল ব্যাবসার টিপ্'স

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভুমিকাঃ-
বর্তমান যুগে হালাল ব্যাবসার কথা চিন্তা করা আজ এক ধরনের আকাশ কুসুম চিন্তাধারা হয়ে দ্বারিয়েছে আর ব্যাবসা যদি কোনভাবে কেউ হালাল করতেও চায় তবে তাতে লাভের পরিমানও হয় খুবই নগন্য তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সবাই হালাল হারাম তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র মুনাফাকে মূল উদ্দেশ্য করে সততাকে বিসর্জন দিয়ে হারাম ব্যাবসা করার এক ধরনের প্রতিযোগীতায় লিপ্ত । এভাবে সকল ব্যাবসাই যদি হারাম হতে শুরু করে তবে এসব প্রতিষ্ঠানের আন্ডারে সকল চাকুরীজীবিও হারাম কাজ করতে বাধ্য আর এতে তারাসহ সাধারন মানুষও বিভিন্ন দিক দিয়ে নিশ্চিত ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এতো গেল একটা পর্যায়ের কথা কিন্তু সাধারন পরিসরে প্রতিটা মানুষের আজ কি করুন অবস্থা ? ধর্মবিমুখ সমাজ ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় মুক্ত বাজার অর্থনীতি এবং তথাকথিত বিশ্বায়নের ফলে মানুষ বর্তমানে এই পর্যায়ে যে, প্রায় সব মানুষই আজ বিষাক্ত ফরমালিনযুক্ত খাবার খেতে বাধ্য , বিষাক্ত কীটনাশকযুক্ত ফল, শাক-সবজি তো পূর্ব থেকেই আছে এর উপরে আবার জিএমও ফুড এবং এধরনের মাছ- মাংসে বাজার ছেয়ে গেছে। শুধু এতেই ক্ষান্ত নয় ক্ষতিকর কৃত্তিম ডিম, নকল দুধ, ভোজ্য তেলসহ আরও আছে মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য ক্ষতিকর সংরক্ষিত প্যাকেটজাত খাদ্য দ্রব্য, কোমল পানীয় এবং জুস। আর এসব ক্ষতিকর পণ্যগুলোই অসচেতন নাগরিকদের হাতে পৌছে দিতে শত শত কোম্পানী দেশজুড়ে ব্যাঙ এর ছাঁতার মত গজে উঠছে। আবার বেশীরভাগ কোম্পানীর মূল হোতাই হল দেশের বাইরের, ফলে মিডিয়ার চাঁপাবাজিমুলক বিজ্ঞাপন দেখে সাধারন জনগন এসব দ্রবাদি ক্রয় করতে যেন হুমরি খেয়ে পরছে, এতে একদিক দিয়ে দেশের অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে, যদিও এটা আর বর্তমানে তেমন বড় কথা নয় বরং এসব বিষযুক্ত ও অসাস্থ্যকর খাবার খেয়ে মানুষের ক্যান্সারসহ মারাত্বক সব জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পরছে তাই হাসপাতালে আর ক্লিনিকে মানুষের ভীর বেড়েই চলছে । মোটকথা সমাজে পরিচালিত এসব হারাম ব্যাবসার কারনে আজ মানুষ যে খাবার খেত সুস্থভাবে বেচে থাকার তাগিদে সেই খাবারই তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে এছারাও এসব খাবার খেয়ে যৌন অক্ষমতা বৃদ্ধিসহ মারাত্বকভাবে কমছে গণ-মানুষের আয়ু। পূর্বে শুধুমাত্র খাদ্যদ্রব্যে ভেজালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে গ্রামে বসবাসকারী মানুষও ইচ্ছে করলেই আর একশতভাগ বিষমুক্ত খাবার খেতে পারবে না। আর এগুলোও যে এক বড় ধরনের আল্লাহর গজব তা খুব সহযেই বুঝা যায় ।
এদিকে আবার চোখ ধাঁধানো রকমারী সব পন্য আর দ্রব্য পাবার জন্য মানুষ ব্যাকুল হয়ে পরছে তাই তাদের অর্থনৈতিক চাহিদাও মারাত্বকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে মানুষ প্রচন্ড রকমের স্বার্থপর হয়ে পরছে, আর এই অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতেই মানুষগুলো হালাল হারামের তোয়াক্কা না করে শুধু মুনাফার উদ্দেশ্যে যা ইচ্ছা তাই করছে ফলে তার এই মন্দ কাজের প্রভাব সামষ্টিক জীবনে প্রতিফলিত হয়ে সে সহ অন্যদের উপরও পরছে আর এভাবেই সমাজ সর্বদিক দিয়ে দিনের পর দিন খারাপ হয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। বর্তমানে আমরা এমন অবস্থায় আছি যে এখন সুস্থ ও সাদামাটাভাবে কোনমতে বেঁচে থাকাটাই এক ধরনের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দ্বারিয়েছে। বেশীর ভাগ অসচেতন লোকজন আবার ভাবছে যে- এখনও তো আমার বা আমার পরিবারের বড় কোন রোগ হল না সুতারাং ভবিষ্যতেও কিছুই হবে না, আসলে এধরনের অসচেতন লোক দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার জন্যই এসব ব্যাবসা এখনও রমরমা চলে কিন্তু ভবিষ্যতে যখন গনহারে সবাই মহামারীর মত রোগে আক্রান্ত হবে তখন কিছুই করার থাকবে না।
বর্তমানে পরিস্থিতি যখন পুরোপুরিই কন্ট্রোলের বাহিরে চলে গিয়েছে তাই এখন আর ভাল মানের প্রডাক্ট খোজা যেমন বোকামী তারচাইতে আরো বোকামী হল সরকার-প্রশাষন, ভাল কোন কম্পানী বা সৎ ব্যাবসায়ীদের উপর এই আশায় চেয়ে থাকা যে তারা ভাল মানের প্রডাক্ট সাপলাইয়ের ব্যাবস্থা করবে আর সাধারন জনতা তা খুব সহজেই এবং সহনীয় মূল্যে তা পাবে, এটা কখনই সম্ভব হবে না কারন মুক্ত বাজার অর্থনৈতিক সিস্টেমে চালিত প্রতিযোগীতামূলক বিজনেস পলিসিতে টিকে থাকতে সকল ব্যাবসায়িই প্রচলিত অনৈতিকতার স্রোতে গাঁ ভাসাতে বাধ্য। তাই বর্তমান বাজারে একশতভাগ হালাল চাকরী যেহেতু আলাদিনের চ্যারাগ সুতারাং মোটামুটি শিক্ষিত শ্রেনীর উচিৎ লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুসের বিনিময়ে সরকারী চাকরী বা সারাদিন কলুর বলদের মত খাটানোর বেসরকারী বাকরী, এই উভয়ের পেছনে ছুটে ছুটে জুতার তলানী ক্ষয় না করে আসুন এবার আমরা নিজেরাই কিছু করি । এই ধরনের সচেতনতা তৈরী করার মূল উদ্দেশ্য কিন্তু শুধুই বেকারত্ব মোচন নয় বরং আমরা ঘুমন্ত হবার কারনে আজ এমন একটি পর্যায়ে এসে পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে যে এখনও যদি আমরা না জাগ্রত হই তবে আমাদের মতন নিরিহ শ্রেনীরও নিশ্চিত মৃত্যু ঘটবে আর তা কোন খুন, হত্যা- রাহাজানি বা রোড এক্সিডেন্টের মাধ্যমে নয় বরং নিজের ঘরেই বা হাসপাতালের বিছানায়, রোগে কাতরাতে কাতরাতে কাপুরুষ টাইপ এমনই মৃত্যু ঘটবে যে যার জন্য নির্দিষ্ট করে কাউকে দায়ীও করা যাবে না।
মুসলিমদের করনীয়ঃ-
সমাজের অন্নান্য মানুষের চাইতে মুসলিমদের দায়িত্ব বেশী এবং মুসলিমরাই যেহেতু নিজেদেরকে পৃথিবীর খলিফা মানে আর এরাই কোন কাজের চুরান্ত প্রতিফল স্রষ্টা কর্তৃক পাবার আশা রাখে তাই বর্তমানের এই করুন পরিস্থিতিতে প্রথমে যে তাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে শুধু তাই নয় বরং তারা যদি এগিয়ে না আসে তবে তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে পরকালে। এজন্য যদিও পুরো সমাজ পরিবর্তন আবশ্যক কিন্তু সমাজ পরিবর্তন করতে যতবছর লাগবে তারপূর্ব হতেই কিছু কার্যক্রম হাতে নিতেই হবে। তাছারা ব্যাবসায়িক এবং অর্থনৈতিক দিকে কিছু পরিবর্তন আনলে কিছুটা সমাজেরও উন্নতি হবে এবং অগ্রিম কিছু পরিবর্তনও হয়ে থাকবে। তবে এই ধরনের উদ্যেগ মুসলিম ছাড়া অন্যরাও করতে পারে কিন্তু তাকেও স্রষ্টায় বিশ্বাসিসহ কর্মের জবাবদিহিতায় বিশ্বাস করতে হবে নয়ত এধরনের সেবামুলক উদ্যেগে কোনই ফল বয়ে আনবে না যেহেতু এই ধরনের উদ্যেগে অবশ্যই লাভের আশা হবে নিতান্তই গৌন এবং সেবাদান, গন-মানুষের উপকার সাধনের মাধ্যমে পূন্যের আশাই হবে মূখ্য বিষয়। আর মুসলিমদের মাঝে যারা সচেতন, জ্ঞানী এবং বান্দার হক্ব গুরুত্বপূর্ন বুঝতে পেরেছে একমাত্র তারাই এসব উদ্যেগে সারা দিতে পারবে সুতারাং নামধারী মুসলমানরা এসবে আগ্রহ দেখাবে না।
কারা করতে পারবেঃ-
এই ব্যাবসাটি তিন ধরনের ব্যাক্তি করতে পারবে ১) যারা শুধুই অর্থ দিবে কিন্তু শ্রম দিবে না ২) যারা অর্থ দিবে এবং শ্রমও দিবে পার্ট টাইম এবং ৩) যাদের অর্থ নেই বা দিবে না কিন্তু শ্রম ফুল টাইম দিবে।
১ম শ্রেনীদের অর্থ একটু বেশী দিতে হবে বেশী লাভ করতে চাইলে যেহেতু তারা শ্রম দিবে না ২য় শ্রেনীরা পার্ট টাইম বা ফুল টাইমও শ্রম দিতে পারে পাশাপাশি অর্থও বেশী দিতে পারে যদি লাভ বেশী করতে চায় আর ৩য় শ্রেনীদের অবশ্যই বেশী শ্রম দিতে হবে পরে লাভ হলে ইনশাহ আল্লাহ তারাও বিনিয়োগ করতে পারবে। এভাবে এই ব্যাবসাটি সম্মিলিতভাবে করতে পারবে আবার কেউ এককভাবেও শুরু করতে পারবে তবে একাই শুরু করলে তাকে অবশ্যই অর্থ শ্রম দুটোই লাগাতে হবে বেশী বেশী। তবে এই ব্যাবসার সুবিধা হল কারও একেবারেই কোনরুপ মুলধন না থাকার পরেও শুধুমাত্র এই ব্যাবসার পদ্ধতি সমর্কে অবগত হয়ে এবং নিজেকে ফুলটাইম শ্রম দেবার উপর ভিত্তি করেও ব্যাবসাটি শুরু করতে পারবে এক্ষেত্রে অবশ্য সে কখনই একা একা এই ব্যাবসা শুরু করতে পারবে না, তাকে ১মে এমন কিছু ব্যাক্তিবর্গকে এই পদ্ধতি সম্পর্কে বুঝানো লাগবে যারা মোটা অংকের মুলধন বিনিয়োগ করবে তবে এমন বিনিয়োগকারী যদি শুধুই শ্রমহীন অর্থ বিনিয়োগ করে তবে বিনিয়োগহীন ব্যাক্তির জন্য খুবই ভাল আর যদি অর্থের পাশাপাশি শ্রমও দিতে চায় তবেও খারাপ না । এই ব্যাবসার সবচেয়ে সুবিধা হল শুধুমাত্র একজনই অল্পকিছু মূলধন নিয়েই এই ব্যাবসা শুরু করতে পারবে কিন্তু তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা থাকবে দীর্ঘমেয়াদী এবং ধীরে ধীরে বিস্তার করতে হবে।
ব্যাবসার ধরনঃ-
সাধারনত দৈনন্দদিনের বিভিন্ন দ্রব্যাদি মানুষ প্রধানত দুটি মাধ্যমের দ্বারা পেয়ে থাকে ১ম মাধ্যমে থাকে বিভিন্ন কোম্পানী ও কারখানা আর মৌলিক খাদ্য উৎপন্নকারী কিছু শ্রেনী যেমন- কৃষক, গবাদী পশু পালক বা খামারী এবং জেলে বা মৎস্যচাষীরা। ২য় মাধ্যমে থাকে যারা তাদের থেকে সাধারন ক্রেতারা সরাসরি দ্রব্য ক্রয় করে থাকে অর্থাৎ দোকানীরা বা বিভিন্ন শ্রেনীর বিক্রেতারা। বর্তমানে দ্রব্যের চরম অবনতির পেছনে ঐ দুটি মাধ্যমই প্রধানত দায়ী এছারাও সাধারন মানুষের অসচেতনতাও দায়ী কিন্তু এখন যদি কোনভাবে শুধুমাত্র ক্রেতা সম্প্রদায়কে সচেতন করা যায় তবুও পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে না এমনকি ঐ দুই মাধ্যমকেও সচেতন করে লাভ নেই। এজন্য প্রয়োজন বিকল্প ব্যাবস্থার, কারণ ১ম মাধ্যম যদি সচেতন হয়ে ভাল প্রোডাক্ট উৎপন্ন শুরু করে কিছুদিন পরে দেখা যাবে অন্যান্ন প্রোডাক্টের প্রতিযোগীতায় সেটা আর টিকে থাকতে পারবে না। আবার ২য় মাধ্যমে যারা বিক্রেতা আছে এরাও ধর্মীয় কারনে বা যেকোন কারনে সচেতন হয়ে তুলনামুলক শুধুই ভাল প্রোডাক্ট বিক্রি করতেও চায় তবে দেখা যাবে তার দোকানে ক্রেতা কমে গিয়ে ব্যাবসাতে লাল বাতি জ্বলছে, কারন খারাপ প্রোডাক্টেরই এড বেশী হয় কিন্তু তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে ভাল প্রোডাক্টের এডও যদি বেশি করা হয় তবে এড বাবদ যে খরচ হবে তাতে আর ক্রেতার নিকট উন্নত প্রোডাক্ট পৌছানো সম্ভব হবে না । অন্যদিকে সাধারন জনতা সচেতন হয়ে ভাল প্রোডাক্ট চাইলেও তো পাবে না। এই কঠিন পরিস্থিতি হতে উত্তরন হওয়ার ১ম বিকল্প হিসেবে যে কেউই চিন্তা করবে যে তাহলে শুধুমাত্র উৎপন্নকারী ভাল প্রোডাক্ট তৈরী করলেই বোধ হয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় কিন্তু আসলে মোটেও তা নয় আবার অনেকে ভাবতে পারেন সকলকেই সচেতন করতে হবে কিন্তু এতেও লাভ হবে না । তাই দরকার সচেতনতার পাশাপাশি বিকল্প ব্যাবস্থা তৈরী করা আর শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সচেতন করেও লাভ হবে না বরং ধর্মীয় ভিত্তিতে সচেতনতার পাশাপাশি যখন বিকল্প ব্যাবস্থাও থাকবে তখনি এই সমস্যা হতে নিস্তার পাওয়া যাবে এবং লাভজনক ব্যাবসাও হবে।
এই বিকল্প ব্যাবস্থাটি সম্পূর্ণরুপে প্রচলিত ব্যাবসার বিপরীতে চলমান থাকবে। কিন্তু সমাজে চলমান প্রচলিত ব্যাবসার প্রোডাক্টগুলো হয় মনভুলানো বিজ্ঞাপন নির্ভর, এসব ব্যবসায়িরা প্রায় সবাই বিপুল পরিমানে অর্থ ইনভেষ্টমেন্ট করে, এদের রয়েছে প্রশাষনিক সুবিধা এছারা অনেকেরই রয়েছে বিদেশী মদদ, অর্থ-জনবল দুটিই এদের অনেক বেশী, এদের প্রোডাক্ট বিক্রিতে মুনাফা বেশি এবং ক্রেতাদের নিকট বেশী পরিচিত বলে চলেও বেশী তাই দোকানীরা এদের প্রোডাক্টটই বেশী বিক্রি করতে স্বাছন্দ্যবোধ করে , তাই ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে শুধুমাত্র প্রোডাক্টের ক্ষতিকর দিক বা তুলনামূলক দর বেশী এসবের মাধ্যমে সচেতন করেও কোন লাভ হবে না এমনকি শুধুমাত্র বিকল্প ব্যাবস্থা করেও ওদের সাথে পাল্লা দিয়ে পারা যাবে না। তাই দরকার অত্যান্ত বুদ্ধি ও কৌশল অবলম্বনের, যদিও ১ম দিকে কিছুটা ত্যাগ স্বিকার করতে হবে তবু যদি ঠিকমত কৌশল ও বুদ্ধি প্রয়োগ করে সচেতনার পাশাপাশি বিকল্প ব্যাবস্থা করা হয় তবে শুরুর দিক হতে বেশী মুনাফা না আসলেও একেবারেই কম হবে না ইনশাহ আল্লাহ। মনে রাখতে হবে এই ব্যাবসায়িক সিস্টেম সম্পূর্ণভাবে প্রচলিত এড নির্ভর সকল ব্যাবসার বিকল্প হবে আর এসব করা হবে সুকৌশলে শুধুমাত্র জনগনের উপকার করার জন্যে যাতে পরকালে ভাল ফল পাওয়া যায় এবং পাশাপাশি দুনিয়াতেও হালাল ব্যাবসা করে জীবন ধারন করা যায়। তাই অনেক গবেষনা করে এই ধরনের হালাল বিকল্প ব্যাবস্থা উদ্ভাবন করা হয়েছে , এখানে যে ব্যাবস্থার কথা জানানো হবে তা শুধুমাত্র বর্তমান স্বার্থপর সমাজ ব্যাবস্থার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এবং এই সিস্টেম কখনও ভাল কোন সমাজে বা ইসলামিক সমাজে প্রয়োগ করা যাবে না, আর সবচেয়ে বড় কথা হল এই সিস্টেম ছাড়া আর কোন সিস্টেমই নেই যার মাধ্যমে কেউ বর্তমানে প্রচলিত খাইখাই সমাজ ব্যাবস্থার মাঝে পরিপূর্ন হালাল তরিকায় লাভজনক ব্যাবসা করতে সক্ষম হয়। আর এই পদ্ধতিতে যদি সফল ভাবে ধৈর্য্যের সাথে বেশ কিছুদিন ব্যাবসা করা যায় তবে দেখা যাবে সেই সমাজে বা সেই দেশে সকল প্রচলিত ব্যাবসার উপরে এর প্রভাব এমনি পরবে যে তারাও তুলনামূলক পূর্বের চাইতে ভাল প্রোডাক্ট উৎপন্ন এবং বিক্রি শুরু করতে বাধ্য হবে নচেৎ তাদের ব্যাবসাও হুমকির মুখে পরবে, সুতারাং এইদিক দিয়েও লাভ দেখতে হবে পরকালীন লাভই কারন এতে করে সরাসরি নিজেদের ব্যাবসায় অতিরিক্ত কোন মুনাফা না আসলেও অন্যদের মাঝে ভাল পন্য ক্রয়-বিক্রয়ের প্রচলন সৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা থাকায় এর ইনাম স্রষ্টার কাছ থেকে পাওয়া যাবে। অতএব বুঝাই যাচ্ছে যে এই ব্যাবসাতে ধর্মীয় কোন ব্যাপার সরাসরি যুক্ত না থাকলেও মানুষের উপকার করার মাধ্যমে পূন্যকামী হওয়াসহ ব্যাবসাতে যুক্ত সকল ব্যাক্তিকে অবশ্যই ধর্মপরায়ন হতে হবে আর এটিই হল এই ব্যাবসার বড় একটি কৌশল, সুতারাং ব্যাবসার প্রধান ব্যাক্তিসহ সকলই ধার্মীক না হলে এই পদ্ধতি কোন কাজই দিবে না তবে প্রাথমিকভাবে আশার কথা হল এজন্য সবাইকে পরিপূর্ন ফেরেশতার মত ধার্মীক হতে হচ্ছে না মোটামুটি স্রষ্টার হক্বের পাশাপাশি বান্দার হক্ব সম্পর্কেও সচেতন থাকে, এমন কোয়ালিটির ধার্মিক হলেই চলবে উদাহরণস্বরুপ- ৫ ওয়াক্ত নামাজী পাশাপাশি যদি সে সকলের অগোচরে অপরের অর্থ অল্প হলেও মেরে দেওয়াকে পাপ মনে করে বা এ ধরনে বদাভ্যাস নেই, তাহলেই চলবে। আর সবচেয়ে বড়কথা হল ব্যাবসার পরিধি বৃদ্ধি পেলে উপরের এবং গুরুত্বপূর্ন লেভেলে যদি শুধুমাত্র ঐধরনের ধার্মিক লোককে নিয়োগ দেয়া হয় তবে নিম্ন লেভেলে কিছু চোর বাটপারও যদি ভুল করে থেকে থাকে তবুও তারা সিস্টেমের প্রভাবে সততার সাথে কাজ করতে বাধ্য হবে।
অনেক গবেষনা করে যে ধরনের হালাল বিকল্প ব্যাবস্থা উদ্ভাবন করা হয়েছে তা শুধুমাত্র ব্যাবসায়িক মনমানিষকতা সম্পন্ন ব্যাক্তি এবং ধার্মীক ব্যাক্তিই বুঝতে এবং ধৈর্য্যের সাথে করতে সক্ষম হবে। এই ব্যাবসাটি অনেক কৌশলী এবং সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা সম্বলিত তাই নিচু লেভেল থেকেই এর উত্থান ঘটাতে হবে তাই এই সিস্টেমে অনেক বেশী ইনভেষ্ট করে বিশাল আয়োজনের মাধ্যমে ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটানো রিস্কি কারণ কোন সমাজ বা দেশে যদি শনির কাল পরে(স্রষ্টার গজব) তবে কিন্তু এই ধরনের নিখুত কৌশলী হালাল ব্যাবসাও বেশিদিন টেকানো সম্ভব হবে না তাই ১মদিকে বেশী আয়োজন না করাও একটি ব্যাবসায়ী কৌশল। সারাবিশ্বে আজ যে হারাম ব্যাবসার প্রচলন রয়েছে এই পদ্ধতি তার সম্পূর্ন বিপরীত হবে এবং সিস্টেম ও টিপস গুলোও হবে ব্যাতিক্রমধর্মী।
ব্যাবসার টিপ্'সঃ-
এই ব্যাসায়িক সিষ্টেমটি লেভেল এর ক্রমের উপর নির্ভরশীল, অর্থাৎ ১ম লেভেল বাদ দিয়ে কখনই ২য় লেভেলে যাওয়া যাবে না তবে যে বা যারা ব্যাবসাটি করবে তাদের বিচক্ষনতা এবং সর্বপরি আল্লাহ সুবঃ এর সাহায্যের উপর নির্ভর করে খুব দ্রুতই লেভেল গুলো পার করা সম্ভব।
"এ"লেভেলঃ- এই পর্যায়ে প্রথমেই কেউ এমন ধরনের ব্যাবসা করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে দেখবে যে সে কি পরিমান অর্থ ইনভেষ্ট করতে পারবে বা তার কাছে কি পরিমান মূলধন আছে । যদি কারও এমন আত্মবিশ্বাস থাকে যে এই ধরনের ব্যাবসাতে সে সফল হতে পারবে তবে তার যদি কোন মূলধন নাও থাকে তবু সে অন্য কাউকে বুঝিয়ে তাকে শেয়ার নিয়ে বা হাওলাদ করে হলেও এই ব্যাবসাটি আল্লাহর উপর ভরসা করে শুরু করতে পারবে। এরপর তাকে যে পরিমান অর্থ ১মে ইনভেষ্ট এর জন্য মূলধন হিসেবে রাখতে হবে তার ঠিক তিন ভাগের এক ভাগ দিয়ে ব্যাবসা শুরু করতে হবে আর বাকী দুইভাগ এই ব্যাবসার ব্যাকআপ হিসেবে রাখা সবচেয়ে উত্তম হবে যদি একেবারেই তা সম্ভব না হয় তবুও অর্ধেক পরিমান হলেও ব্যাকআপ রাখতে হবে নয়ত সমস্ত অর্থ দিয়েই যেকোন ধরনের ব্যাবসা শুরু করা রিস্কি হলেও এই ধরনের ব্যাবসার ক্ষেত্রে তা আরো বেশি রিস্ক। উদাহরন স্বরুপ- অনেকে এভাবেও করলে ভাল যে, ১মে ১ লক্ষ্য টাকা যোগার করে ব্যাবসা শুরু করেছে কিন্তু তার আর্থিক অবস্থা এমন যে ২মাস পরে আরো ১ লক্ষ্য টাকা এই ব্যাবসাতে লাগানোর মত নিশ্চিত সোর্স রয়েছে এবং আরও ২ মাস পরে সে আরো ১ লক্ষ্য টাকার বন্দোবস্ত করতে পারবে । তাহলে সে উক্ত ব্যাবসায় মোট ৩ লক্ষ্য টাকার মূলধন হিসেব করেই ব্যাবসা শুরু করছে ১মে লাখ টাকা দিয়ে। আর এভাবেই সে এই ব্যাবসার "এ"লেভেল পর্যায়টি প্রায় ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করবে আর এর পরেই শুরু হবে "বি"লেভেল। "এ"লেভেল পর্যায়ের প্রথম ২ মাসের ধাপে মুলধনের এক তৃতীয়াংশ বা একলাখ টাকা দিয়ে ব্যাবসাটি এমনভাবে শুরু করতে হবে যেন ২ মাস যাবৎ এই ব্যাবসা চলতে থাকবে কোনরুপ নতুন অর্থ বিনিয়োগ করা ছারাই। এভাবে ২ মাসের ১ম ধাপ অতিক্রম করার পর যদি সে দেখে যে তার ব্যাবসাটি এমনভাবে চলছে যে লভ্যাংশ ভালই আসছে বা আসবে অথবা লাভ তেমন না হলেও বা ক্ষতিও তেমন হয়নি এমন বুঝলেও সে তার ব্যাকআপে রাখা ১ লক্ষ্য টাকা হতে ৫০ হাজার টাকা উক্ত ব্যাবসাতে অতিরিক্ত ইনভেষ্ট করবে আর ৫০ হাজার কিছুতেই ইনভেষ্ট করা যাবে না যদিও নিশ্চিত বুঝা যায় যে এই টাকা ইনভেষ্ট করলেও লাভই হবে, তবু তা শুধুমাত্র জমাই রাখতে হবে। আর যদি ব্যাবসাতে চরম ধ্বস নামে তবুও কিন্তু ব্যাবসা বাদ দেয়া যাবে না বরং ২মাস পূর্বে যেভাবে নতুন করে শুরু করেছিল প্রয়োজনে বেকআপের অর্ধেক টাকাই বা ১ লক্ষ্য পুরাটাই ব্যাবসাতে লাগাতে হবে এবং অবশ্যই আরো দুইমাস ব্যাবসা চালু রাখতেই হবে ধৈর্য্যের সাথে যদিও নিশ্চিত বুঝা যায় যে এই ২য় ধাপের পরেও ব্যাবসাতে আগের মতই লালবাতি জ্বলবে আর এটাও কিন্তু ব্যাবসার এক ধরনের কৌশল যে ১ম দিকে লস করেও কিছুদিন ব্যাবসা চালু রাখা। এভাবে ৪ মাস পর "এ"লেভেল পর্যায়ের ২ মাসের শেষ ধাপ শুরু দিকে এসেও যদি বুঝা যায় যে ব্যাবসাতে এবারেও চরম ধ্বস নেমেছে তবুও বেকআপের সর্বশেষ ১ লক্ষ্য টাকার পুরোটা দিয়েই সর্বশেষ চেষ্টা করে দেখা যে এবারেও লাভের মুখ দেখা গেল কিনা যদি ৬ মাস শেষে দেখা গেল পুরো ৩ লক্ষ্য টাকাই মাটি তবে বুঝতে হবে আপনাকে দিয়ে এই ধরনের হালাল ব্যাবসা হবে না বা এই সমাজে সত্যি সত্যিই শনির দশা আছে তাই উক্ত হালাল ব্যাবসার চিন্তা এবারে মন থেকে ঝেরে ফেলতে হবে আর যদি শেষ ধাপে এসেও লাভ হয় তবে আপনার "এ"লেভেল পর্যায়ের যে ৬ মাসের মেয়াদ ছিল তাকে ১০ মাসে উন্নিত করতে হবে আর যদি ২ ধাপে এসে সফলতা পাওয়া যা তবে ৮ মাসে উন্নিত করতে হবে। আর যদি স্বাভাবিক ভাবেই লাভ হতে থাকে তবে চার মাস পরের শেষ ধাপে আপনাকে আবারও শুধুমাত্র ব্যাকআপে থাকা ৫০ হাজার টাকাই অতিরিক্ত যুক্ত করতে হবে পাশাপাশি ব্যাবসা হতে যা লাভ হবে তা তো সম্পুর্ন ইনভেষ্ট করবেনই শুধুমাত্র নিজের চলার খরচ বাদ দিয়ে। মোটকথা আপনাকে ১লক্ষ্য টাকা শুধুমাত্র ব্যাকআপই রাখতে হচ্ছে আর লাভ হলে বা বেশি লস না হলে শুধুমাত্র দুইবারে ৫০ হাজার করে মোট ১ লক্ষ্য টাকা যুক্ত করতে হচ্ছে পাশাপাশি আরো বিনিয়োগ করতে পারেন আপনার খরচ বাদ দিয়ে লভ্যাংশের পুরোটাই। এভাবে যদি স্বাভাবিক গতিতেই ব্যাবসা চলমান থাকে তবে ৬ মাস পরেই "বি" লেভেল শুরু করতে পারবেন যদিও সময় কিছুটা কম বা বেশীও করা যেতে পারে ব্যাবসার পরিস্থিতি অনুযায়ি।
এখন প্রশ্ন হল "এ"লেভেল পর্যায়ে কি ব্যাবসা করতে হবে ? বর্তমান সমাজের প্রেক্ষিতে অনেক গবেষনা করে দেখা গেছে - পরিপূর্ন হালাল লাভজনক ব্যাবসাও হবে পাশাপাশি এর মাধ্যমে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরনসহ প্রচলিত এডের মাধ্যমে ধোকাবাজীমুলক বিজনেস পলিসির বিরুদ্ধেও কাজ করবে এইধরনের পদ্ধতি তৈরী শুধুমাত্র প্রাথমিকভাবে একটি মাধ্যমেই সম্ভব যার দ্বারা ফিল্ড পর্যায়ে মানুষকে সচেতনও করা যাবে আবার খুব অল্প মুলধন নিয়ে অনেকেই এই ব্যাবসা শুরু করতে পারে তাই সকল দিক সমন্বয় করে গবেষনার মাধ্যমে দেখা গেছে এটি শুধুমাত্র তখনই সম্ভব যখন "এ"লেভেল পর্যায়ে বা প্রাইমারী স্টেপে ধার্মীক এবং সৎ মানুষ এর মাধ্যমে দেশব্যাপী ছোট ছোট ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বা মিনি সুপার শপ টাইপ দোকান এর প্রচলন ঘটানো যাবে। তবে যাদের মুলধন একেবারেই কম তারা "এ"লেভেল পর্যায়ে কিন্তু প্রথমেই ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বা মিনি সুপার শপ টাইপ দোকান না দিলেও চলবে বরং তারা ১ম লেভেলের ৬ মাস নিত্য প্রয়োজনীয় সাধারন ছোট দোকানের মাধ্যমেই শুরু করবে, পরে ধীরে ধীরে সেটাকে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বা মিনি সুপার শপ টাইপ দোকানে রুপান্তরিত করবে।
এখন দেখতে হবে কিভাবে প্রথমে শুধুমাত্র দু একটি দোকানের মাধ্যমে এবং পরে তা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর এ রুপান্তরিত করে দেশব্যাপি এই ধরনের শপের আধিক্য ঘটিয়ে প্রচলিত এড নির্ভর ব্যাবসাকে পিছিয়ে দিবে?
সাধারনভাবে কোন প্রডাক্টকে কোন দেশে খুবই জনপ্রিয় করে তুলতে বা একই ধরনের অন্নান্য প্রডাক্টকে ডিংগিয়ে আগে যাওয়ার জন্য অতীতকালে মানুষরা সেই প্রডাক্টকের গুনগত মানকে উন্নত করত আর ধীরে ধীরে মানুষের মাঝে সেটার জনপ্রিয়তা ছরিয়ে পরে অন্যান্ন প্রডাক্টকে পিছিয়ে দিত কিন্তু বর্তমানে প্রডাক্টকের গুনগত মানকে উন্নত করার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় প্রধানত ৪টি বিষয়কে-
১) বাহ্যিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি বা মোরক সুন্দর করা
২) অতিমাত্রায় বিজ্ঞাপন নির্ভর হওয়া
৩) দোকানীদের কাছে স্বশরীরে দালালদের প্রোডাক্টসহ উপস্থাপন এবং বিক্রেতাদের অতিরিক্ত সুবিধা দান
৪) ব্যাবসার স্বার্থে দেশে পছন্দমত শাষক আনা এবং লবিং, জম্বি প্রজন্ম তৈরী তথা অসেচতন ক্রেতার আধিক্য বাড়াতে বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকান্ডে মহা হিতাকাংখী সেজে ইনভেষ্ট যেমনঃ- শিক্ষা, স্বাস্থ্য- চিকিৎসা, অধর্ম চর্চা, সংস্কৃতি ও বিনোদনখাতে অর্থ ঢালা ।
উক্ত ৪টি বিষয়ে বেশি পরিমান অর্থ ইনভেষ্ট করার ফলে প্রধান বিষয় অর্থাৎ প্রডাক্টকের গুনগত মানের দিকে অবশ্যই তুলনামূলক কম অর্থ খরচ করতে বাধ্য হয় তাই প্রডাক্ট এর মান হয় খারাপ অথচ দাম হয় অনেক বেশি। যেহেতু দেশের বড় বড় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এমন প্রকৃতির হয়ে থাকে তাই বাদবাকি দু-একটি প্রতিষ্ঠান একটু ভাল হলেও তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তারাও ঐ প্রকৃতির হতে বাধ্য হয়। তাই প্রচলিত ব্যাবস্থা হতে ভাল মানের বা স্বাস্থ্যসম্মত দ্রব্যাদি আশা করা আর সূর্য্য পশ্চিম দিকে উদয় আশা করা একই। তাই এর বিকল্প ব্যাবস্থা তৈরী করা ছারা আর কোন উপায় নাই। আর প্রচলিত যেকোন ব্যাবসাতেই বর্তমানের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রডাক্ট তৈরী করে দেশব্যাপী বিভিন্ন ডিলারশীপের মাধ্যমে বা সরাসরি দোকানে পাইকারি বিক্রয়ের মাধ্যমে দ্রব্যাদি সাপলাইয়ের ক্ষেত্র তৈরী করে , আর এসব ক্ষেত্রগুলো আপাত দৃষ্টিতে স্বাধীন মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এসব ক্ষেত্রকেও কিন্তু উপরোক্ত ৪টি বিষয়ের মাধ্যমে পরাধীন করতে বাধ্য করা হয়। যেমন- সাধারন ক্রেতা উক্ত প্রডাক্টের বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে যেকোন দোকানে ঐ প্রডাক্টটিই চাইবে অথবা দোকানে শুধু ঐসব প্রডাক্টই থাকবে। এভাবে ঐসব প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন এডের মাধ্যমে বা উপরোক্ত যেকোন ৪ বিষয়ের মাধ্যমে প্রডাক্ট সেলের ক্ষেত্র তৈরী করে স্বাধীন ক্রেতা ও দোকান বিক্রেতাদের পরোক্ষভাবে পরাধীন করে রাখে। আর এভাবে শুধুমাত্র নিজেদের দ্রব্য ক্রয়ের ব্যাপারে ক্ষেত্রকে পরাধীন করতে গিয়ে যে পরিমান অর্থ ব্যয় হয় তাতে প্রডাক্টের গুনগত মান খুব কমে যায়। সুতারাং বিজ্ঞাপনসহ উপরোক্ত বিষয়ে যদি অর্থ ব্যয় না করা হয় বা অপেক্ষাকৃত অনেক কম অর্থ ইনভেষ্ট হয় তবে কিন্তু অবশ্যই প্রডাক্টের গুনগত মান বাড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, বিজ্ঞাপন নির্ভর এবং দালালীর এ সকল ব্যাবসায়িক দ্রব্যাদির সাথে পাল্লা দিয়ে কিভাবে অপেক্ষাকৃত অনেক কম অর্থ ইনভেষ্ট এর মাধ্যমে পরিচালিত বিকল্প ব্যাবস্থা পেরে উঠতে পারে ?
গবেষনা করে দেখা গেছে যে , প্রচলিত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে বিক্রয় ক্ষেত্রকে কু-কৌশলের মাধ্যমে পরাধীন করে রাখে সেখানে যদি সু-কৌশলে তা এমনভাবে করা যায় যে ক্রেতা ও বিক্রেতার উভয়েরই লাভ হয় তবে তা অবশ্যই হালাল হবে। তবে যেহেতু এই কৌশলটি হালাল এবং সৎ পন্থা তাই এটি অবশ্যই একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যাপার হবে আর হবে সুদূর প্রসারি পরিকল্পনা সমৃদ্ধ। তাই প্রথমেই উৎপাদন ক্ষেত্র সৃষ্টি না করে বরং বিক্রয় ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে যদিও মূল পরিকল্পনা হল উৎপাদন ক্ষেত্র বা বিভিন্ন প্রডাক্টের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলা। সাধারনত প্রচলিত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলো উপরে উল্লেখিত ৪ বিষয়ের দ্বারা বিক্রয় ক্ষেত্র বা দোকান ও ক্রেতাদের হাত করে থাকে কিন্তু বিকল্প পদ্ধতির হালাল তরিকাতে ১মে শুধুমাত্র দোকানগুলোকে হাত করতে হবে, পরে এসব দোকানীরাই ধীরে ধীরে এমন ক্রেতার সৃষ্টি করবে যারা ভেজালমুক্ত হালাল দ্রব্যের গ্রাহক হবে। কিন্তু সমস্যা হল এসব সাধারন দোকান গুলোকে কিছুতেই হাত করে ভেজালমুক্ত ১০০% হালাল দ্রব্যের প্রচলন ঘটানো সম্ভব না তাই প্রথমে নিজেদেরই ধার্মীক এবং সৎ মানুষ এর মাধ্যমে দেশব্যাপী ছোট ছোট ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বা মিনি সুপার শপ টাইপ দোকান এর প্রচলন ঘটিয়ে নিজেরা নিজেরাই বড় ধরনের বিক্রয় ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে এবং মোটামুটি ক্ষেত্রটি যদি এমন পর্যায়ে চলে আসে যে পরে ছোট খাট ভেজালমুক্ত প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেও যাতে সেসব প্রতিষ্ঠান লসের সম্মুখিন না হয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে এই বিকল্প পদ্ধতিতে প্রথমেই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে যে পরিমান অর্থ বিনিয়োগ করতে হত সেই পরিমান অর্থ দিয়েই প্রথমে প্রোডাক্ট উৎপন্ন না করে বরং ছোট ছোট ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বা মিনি সুপার শপ টাইপ দোকান এর মাধ্যমে কিছু এলাকা কভারেজ করে সেই এলাকায় সচেতন গ্রাহক সৃষ্টি করতে হবে। এভাবে দোকানীদের মাধ্যমে কি পরিমান সচেতন গ্রাহক তৈরী হল তার উপর ভিত্তি করে ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা উৎপাদন ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। তারমানে হল এই বিকল্প সিষ্টেম প্রচলিত ব্যাবসায়িক সিষ্টেমের সম্পূর্ন উল্টো হবে অর্থাৎ ১মেই উৎপাদন ক্ষেত্র এর জায়গায় বিক্রয় ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হচ্ছে। এর কারণ হল সাধারন জনগন বা ক্রেতারা খুবই অসচেতন এবং বোকা আর এরা এতই বোকা যে যদি দ্রব্যের সাথে কোন কিছু ফ্রি দেওয়া হয় সেই দ্রব্যই কিনবে, তারা এটাও বুঝে না যে ফ্রি দেওয়ার কারনে যতটুকু লাভ, মূল দ্রব্যের গুনগত মান কমিয়ে তা করার কারনে কিন্তু আরো বেশী লস। এছারাও সামান্য কিছু সাশ্রয়ের জন্য খারাপ প্রোডাক্ট ক্রয় করবে শুধু তাই না অল্প মূল্য বাঁচাতে ভেজাল ফরমালিনযুক্ত জিএমও করা খাবার খেয়ে মহামূল্যবান স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে রাজি কিন্তু বেশি মুল্য দিয়ে স্বাস্থ্যকর অরগানিক ফুড খেতে রাজি না, এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হল পকেট কাটার চাইতে পেট কাটাই উত্তম অর্থাৎ ক্লিনিকে অগ্রিম সীট বুকিং দিয়ে অন্যদিক দিয়ে ঠিকই পকেট কাটাবে। তাই এ ধরনের জনগনই দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় ভাল মানের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোও লসের আশংকায় ফ্রি আর ভেজাল দেওয়া শুরু করে আর এভাবেই দিনের পর দিন ভাল প্রতিষ্ঠানগুলো হারিয়ে যেতে থাকে। এই কারনে দোকানে ভাল মানের প্রোডাক্ট খুজলেও পাওয়া যায় না তবু দু-একটা ভাল যা থাকে বেশীরভাগ দোকানী বেদ্বীন,অসৎ এবং লোভী হওয়ায় যেসব প্রোডাক্ট বিক্রিতে লাভ বেশী কিন্তু প্রোডাক্ট খারাপ, এই ধরনেরই প্রোডাক্ট বেশি রাখে ফলে সেগুলোও দূর্লভ হয়ে যায়। সুতারাং দেশ ও সমাজে এই পদ্ধতি চলমান থাকায় কিছুতেই প্রথমে ভেজালমুক্ত ১০০ভাগ হালাল প্রোডাক্টের উৎপাদন ক্ষেত্র সৃষ্টি করা যাবে না, করলে লস নিশ্চিত তাই প্রথমে হালাল বিক্রয় ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে। এই হালাল বিক্রয় ক্ষেত্রের প্রসার যখন বেশি হবে এবং নিজেদের প্রতিষ্ঠানে তৈরী ভাল মানের প্রোডাক্ট বেশী সেল হওয়া শুরু করবে তখন সচেতন গ্রাহকের অনুকরনে অসচেতন গ্রাহকরাও এসব প্রোডাক্ট ক্রয় করতে থাকবে ইনশাহ আল্লাহ, আর তখন নিজেদের দোকান ছারাও অন্নান্য দোকানগুলোতেও এর চাহিদা তৈরি হলে সেসব সাধারন দোকানগুলোতেও ডিলারশীপের মাধ্যমে প্রোডাক্ট পাইকারী রেটে সেল শুরু করতে হবে আর তখনই বাজারে প্রচলিত অন্নান্য তুলনামূলক খারাপ দ্রব্যের প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই সিস্টেম পিছিয়ে দিতে শুরু করবে এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠানগুলো এর সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে তাদের প্রোডাক্টের গুনগত মানকেও উন্নত করতে বাধ্য হবে।
ব্যাবসার মূল ধারনাঃ-
এই বিকল্প হালাল ব্যাবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল যে কারও খুব অল্প মূলধন নিয়েও নিম্ন লেভেল হতে ধীরে ধীরে উচ্চতর লেভেলে যাওয়ার ব্যাবস্থা, আর উচ্চতর লেভেলে না যেতে পারলেও লাভ ঠিকই হতে থাকবে ইনশাহ আল্লাহ আর একেবারেই যদি কেউ বিফল হয় তবু যেহেতু সে হালাল নিয়তে প্রচলিত হারাম ব্যাবসায়িক সিষ্টেমের বিরুদ্ধে লড়ার নিয়ত করেছিল তাই পূন্য লাভ ঠিকই হবে। আবার কেউ অনেক বেশী মূলধন নিয়ে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা মাফিকও এগোতে পারবে এমনকি যাদের ছোটখাট ব্যাবসায় লজ্জাবোধ করে তারাও মোটামূটি অর্থ নিয়ে আয়োজন করেও এই বিকল্প ব্যাবসা করতে পারবে। কিন্তু সকল ক্ষেত্রে "এ" লেভেল হতেই শুরু করতে হবে অর্থাৎ কখনই শুরুতেই উৎপাদন ক্ষেত্র বা ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান করা যাবে না, করলে যে লসের মুখে পরবে তা নিশ্চিত। তাই "এ" লেভেল হতে যার যার সমর্থানুযায়ি মুলধন দিয়ে শুধুমাত্র ছোট ছোট ডিপার্ট্মেন্টাল ষ্টোর বা মিনি সুপার শপ টাইপ দোকান দিয়েই শুরু করতে হবে আর সমর্থানুযায়ি এ ধরনের দোকান এক বা একাধিক হতে পারে তবে তা অবশ্যই কাছাকাছি হতে হবে এবং শহর বা মফস্বল শহরেই হতে হবে কিছুতেই গ্রামে এটি করা যাবে না । আর যেহেতু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুসারে গ্রাম থেকেই অরগানিক ফুড সাপলাইয়ের ব্যাবস্থা করতে হবে তাই ১মেই রাজধানীর মত শহরেও শুরু করা যাবে না তবে জেলা পর্যায়ে ১মে কমপ্লিট করতে পারলে ধীরে ধীরে রাজধানী পর্যায়েও যেতে হবে আর এভাবে মোটামুটি বিক্রয় ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে পারলেই কেবল উৎপাদন ক্ষেত্রও সৃষ্টি করতে হবে। যাদের অর্থ খুবই কম কিন্তু যেকোন হালাল কর্মকে নিচু করে দেখে না তারা ১মে ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর না দিয়ে সবজি-তরকারির দোকান থেকেও ধীরে ধীরে মোনাহারী এবং পরে তা ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে রুপান্তরিত করতে পারে। আর "এ" লেভেলে কৌশলগত কারনে প্রথমেই শুধুই ভালমানের প্রোডাক্ট দোকানে না রেখে অন্নান্য দোকানীদের মত সব ধরনেরই প্রোডাক্ট রাখবে কিন্তু অবশ্যই ভাল মানের প্রোডাক্টও রাখবে কম হলেও কারন এই বিকল্প পদ্ধতির মূল আরেকটি উদ্দেশ্য হল বাজারে যেগুলো এখনও মোটামুটি ভালমানের প্রোডাক্ট রয়েছে সেগুলোরও গ্রাহক তৈরী করা, তবে ধীরে ধীরে যেসব প্রোডাক্ট নিজে নিজেই উৎপন্ন শুরু করবে সেসব দ্রব্যাদি এক সময়ে এসে দোকানে একদমই রাখা যাবে না। এভাবে লেভেল "বি" তে যেতে পারলে নিজে নিজেই ব্যাক্তিগতভাবে কিছু কিছু হালাল প্রোডাক্ট নিজের শপেই রেখে সচেতন গ্রাহক হাত করবে এভাবে যে ভাল মানের দ্রব্যগুলোতে লাভ কম করবে কিন্তু সেল বেশী দিবে। এসব ব্যাক্তিগত হালাল প্রোডাক্টগুলো হতে পারে , হলুদ/মরীচের গুরা/সরিষার তেল/মুড়ি ইত্যাদি সে নিজেই ভাল মান যাচাই করে বাজার হতে ভাংগিয়ে নিয়ে বিক্রি শুরু করতে পারে। আরররএভাবে করতে করতে উপরের লেভেলে পৌছালে যখন দেখা যাবে দোকানের সংখ্যাও বৃদ্ধি হয়েছে এবং কিছু এড়িয়ার গ্রাহক তার দোকানের আন্ডারে আছে আর টোটাল হিসেবে মাসিক মুনাফা নিশ্চিত ভালই হয় তখন আরেকটি লেভেলে পৌছাতে এবং খুবই দ্রূত বিস্তার ঘটাতে উক্ত এরিয়ার সচেতন গ্রাহকদেরকে নিয়ে দোকানকেন্দ্রিক এক ধরনের হালাল সমিতি গড়ে তুলে মুলধনের শেয়ারিং চালু করতে হবে ফলে একদিক দিয়ে যেমন মূলধন বৃদ্ধি পাবে ঠিক আরেক দিক দিয়ে ঐ সদস্য গ্রাহকরা প্রায় বেশীরভাগ দ্রব্যই এসব দোকান হতেই কিনবে কারন এতে তাদের অর্থের মুনাফা বাড়বে। এভাবে একের পর এক এরিয়া হাতে আনতে হবে এবং একটা লেভেলে গিয়ে সম্মিলিতভাবে উৎপাদন ক্ষেত্র এর জন্য বিভিন্ন হালাল দ্রব্যের প্রতিষ্ঠানও তৈরী করা যাবে এমনকি ধীরে ধীরে মানুষের মৌলিক চাহিদার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই উৎপাদন করতে পারা যাবে ইনশাহ আল্লাহ এবং এরপরে "এ" লেভেল এবং "বি" লেভেলসহ পরবর্তি ষ্টেপের বিজনেস পলিসির বিস্তারিত আলোচনাও করা হবে
সতর্কীকরন বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- ১) এই ব্যাবসায়িক নীতিগুলো যেহেতু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে করা হয়েছে তাই একটি বিশেষ সতর্কীকরন দ্রষ্টব্য উল্লেখ করতেই হচ্ছে আর তা হল বর্তমানে আমরা যে যুগে বাস করছি সেই যুগ হল ৩য় বিশ্বযুদ্ধের যুগ, এর পূর্বে পর পর দুটি বিশ্বযুদ্ধ ঘটে গেছে হটাৎ করেই অর্থাৎ পূর্ব থেকে কেউ ঘোষনাও করেনি বা অনেকেই বুঝতেও পারেনি কিন্তু এবার ৩য় বিশ্বযুদ্ধ এগুবে ধীরে ধীরে এমনভাবে যে, যাদের দেশে বা যাদের অঞ্চলে যুদ্ধ লেগে যাবে শুধু তারাই বুঝবে যে আমরা যুদ্ধের কবলে পরেছি কিন্তু যাদের এলাকায় বা যাদের দেশে তখনও তুমুল যুদ্ধ পৌছায়নি তারা শুধুমাত্র এসব যুদ্ধের সংবাদে এক ধরনের বিনোদন নিতে থাকবে কিন্তু যখন তাদের ঘারেও যুদ্ধ চেপে বসবে তখন অন্য জাতিগুলোও তাদের মতই বিনোদন নিতে থাকবে আর তা হতে পারে কান্না বা খুশি এর যেকোন একটির দ্বারা। ঠিক এভাবেই বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তরে পৌছে যাবে কেউ রেহাই পাবে না, হোক তা গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে বা সরাসরি যুদ্ধের মাধ্যমে। বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র যাদের হাতের পুতুল তাদের ইচ্ছা হল বিশ্বব্যাপী এই যুদ্ধের মাধ্যমে সকল ধর্মকে বিনাশ করা পাশাপাশি জনসংখ্যাও নিয়ন্ত্রন করা তথা কমিয়ে আনা। কিন্তু এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য তাদের ১ম প্লান হল ইসলাম ধর্মকে শুরুতেই বিনাস করা আর এজন্য অন্নান্য ধর্মকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো এবং মুসলিমদের মাঝে বিভেদকে উস্কিয়ে দেওয়া আর এর পরেই এক ধর্মকে অন্য ধর্মের সাথে যুদ্ধ বাধিয়ে ধর্মকে চরম নিশৃংস প্রমান করে ২০৫০ সালের মাঝেই ধর্মকে জাদুঘরে পাঠানো। কিন্তু আশার কথা হল এই বিশ্বযুদ্ধে মুসলিমরাই উল্টো অর্ধমকে চিরতরে বিদায় করে দিবে এমন ইংগিত কুরান-হাদিসে একদম বর্তমান সাল সহ উল্লেখ আছে। সুতারাং সবকিছু বিচার বিবেচনা করে দেখা যায় এই হালাল বিকল্প ব্যাবসায়িক পলিসির মাধ্যমে সর্বচ্চ লেভেলে পৌছাতে কমপক্ষে ৩ হতে ৫ বছর সময় লাগবে যা কোন মুসলমান কান্ট্রিতে এখন আশা করা চরম বোকামী তবে মদীনার মত এলাকা আর রাশিয়া, চীন এর মত দেশে যদি কোন শান্তিপ্রিয় বুদ্ধিমান মুসলিম থাকে তবে সে এই ধরনের পলিসি পুরোদমে শুরু করতে পারে একমাত্র আল্লাহ সুবঃ এর উপর ভরসা করে। মুসলমান কান্ট্রি যেমনঃ- বাংলাদেশ, পাকিস্তান , মালেশিয়া , ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি দেশের মুসলমানদের জন্য ২০২০সাল হতে ২০২১ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত হবে যুদ্ধ-বিগ্রহ বরণ করার বছর আবার কোন কোন দেশের জন্য হবে শেষ বছর। তাই এসব মুসলমান দেশের কেউ বা মুসলিম বাংগালী হলে তাদের উচিত হবে উচ্চ লেভেলে যাবার আশায় ব্যাবসায় অর্থ বিনিয়োগ না করা অর্থাৎ "এ" বা সর্বচ্চ "বি" লেভেল পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকা। আর সবচেয়ে ভাল হবে যদি সে লেভেল "এ" হতেই মৌলিক দ্রব্যাদিগুলো মজুদ শুরু করে যেমন- চাল, আটা , লবন , তেল , পিয়াঁজ , শুকনা মরিচ ইত্যাদি যেসব মৌলিক দ্রব্যাদি প্রায় এক বছর পর্যন্ত মজুদ রাখা যায় সেগুলিকে যত বেশি পারা যায় মজুদ করতে হবে যদিও অতিরিক্ত লাভের উদ্দেশ্যে এভাবে খাদ্য মজুদ ইসলামে হারাম কিন্তু আগত যুদ্ধে দূর্ভিক্ষ এড়াতে ইউসুফ আঃ এর মত পূর্ব প্রস্তুতি স্বরুপ খাদ্য সংরক্ষন করা যে শুরু হালালই নয় বরং অনেক সওয়াবের কাজ। তাই যারা অনেক টাকা ইনভেষ্ট করে সরকারী চাকরী বা অন্য কোন চাকরী করে অন্যের গোলামী করতে ইচ্ছুক নয় তারা ঐ ইনভেষ্টের টাকা দিয়ে এই ধরনের ব্যাবসাতে বিনিয়োগ করলে সময় আসলে সত্যিকারের মুনাফা বুঝতে সক্ষম হবে ইনশাহ আল্লাহ-- কিন্তু যাদের একেবারেই মূলধন নেই এবং এ ধরনের ব্যাবসা করারও কোন সোর্সও নেই তারা নিজেরা নিজেদের শরীরকে যুদ্ধাংহী করে তুলবে বিভিন্ন ব্যায়াম বা মার্শাল আর্ট ইত্যাদির মাধ্যমে আর এটাই হবে আসন্ন পরিস্থিতিতে তাদের সবচেয়ে বড় ইনভেষ্ট কেননা যুদ্ধ থেকে পালিয়ে বাঁচতে চাইলেও অনেক শক্তি এবং কৌশলের দরকার যদিও সবচেয়ে বর প্রস্তুতি হল ধার্মীক এবং মানষিকভাবে প্রস্তুতি।
২) কোন দেশে যদি কাগজের অর্থ বাদ দিয়ে ইলেক্টনিক মানি বা অনলাইন মানি চালু করা হয় তখনই এই ধরনের ব্যাবসাসহ সকল ব্যাবসাই পরিপুর্ণভাবে হারাম হবে তাই এমন পরিস্থিতির পূর্বেই ব্যাবসা গুটিয়ে সেই দেশের সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্বক যুদ্ধ শুরু করার প্রস্তুতি করাই একমাত্র পন্থা।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:২৬
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×