বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস গণহত্যা ও মানবাধিকার লংঘনের প্রধান অনুগঠক শীর্ষ যুদ্ধপরাধী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবার তাদের নিজের দেশের মুসলিমদের মসজিদ ও সংগঠনগুলোকে সন্ত্রাসী তালিকা ভূক্ত করে নিজেরাই প্রামাণ করল বিশ্বের প্রধান সন্ত্রাসী তারা। তাদের হাতে তাদের নিজের দেশের সংখ্যালঘু স¤প্রদায়রাও নিরাপদ নয়। মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা খ্যাত এ কুখ্যাত দেশ প্রতি বছর সারা বিশ্বের দেশগুলোর মানবাধিকার লংঘনের রির্পোট প্রকাশ করলেও তারাই সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লংঘনের রেকর্ড করে। অথচ তারা নিজের দেশেই সংখ্যালঘু মুসলিম স¤প্রদায়ের মানবাধিকার ও মেীলিক অধিকার হরন করেছে চলেছে সর্বত্র। এর জলন্ত নজির মসজিদকে সন্ত্রাসের তালিকা ভূক্ত করা। নিউ ইয়র্কের পুলিশ বেশ কিছু মসজিদকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় নামাজি (মুসল্লি), ইমাম ও তার খুতবার ওপর গোয়েন্দাগিরি করেছে পুলিশ। পুরো মসজিদটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার ফলে কোনো সুনির্দিষ্ট ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ ছাড়াই পুলিশ এসব মসজিদের নামাজি (মুসল্লি), ইমাম ও তার খুতবার ওপর গোয়েন্দাগিরি করতে পেরেছে। পুলিশের গোপন নথিতে দেখা যায়, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে সন্ত্রাসী হামলার পর অন্তত ডজনখানেক মসজিদ ও ইসলামী সংগঠনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এরপর বছরের পর বছর ধরে এসব মসজিদ ও ইসলামী সংগঠনের ওপর গোয়েন্দাগিরি করলেও এখন পর্যন্ত একটির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বার্তা সংস্থা এপির তথ্যে দেখা যায়, মসজিদকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ অনেক নিরাপরাধ মুসলমানের ওপর গোয়েন্দাগিরি বজায় রাখে। আমেরিকার নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত সংগঠনগুলো এবং দুটি মসজিদ কর্তৃপ একে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তারা বলেছে, এর ফলে নির্বিঘেœ মুসলমানরা ধর্ম পালন করতে পারেননি। তবে নিউ নিয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ এবং পুলিশ কমিশনার রেমন্ড কেলি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ২০০৩ সালের দিকে যেসব মসজিদকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয় তার একটি হলো ইসলামিক সোসাইটি অব বে রিজ। পুলিশের ওই তালিকার কথা জানার পর মসজিদটির একজন নেতা জেইন রিমাউই আপে করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আমি কখনো মুক্ত অনুভব করিনি।’কয়েক দশক আগে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর থেকে যুক্তরাষ্টে ্রআসা ৫৯ বছর বয়সী রিমাউই বলেন, ‘কেলি তোমাকে লানত। আমি একজন আমেরিকান।’আইনজীবী হিনা হাশমি বলেন, ‘এ ঘটনা প্রমাণ করছে- নিউ ইয়র্কের মুসলমানরা চরম ভীতির মধ্যে বাস করছে। বাসায় নামাজ পড়া থেকে বিবাহ অনুষ্ঠান-এমন কোনো জায়গা নেই যে নিউ ইয়র্কের পুলিশ মুসলমানদের ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত জীবনের ওপর পপাতদুষ্ট গোয়েন্দাগিরি করেনি।’ (রেডিও তেহরান) মার্কিনীরা যে আসলেই ইসলাম বিদ্বেষী এর মাধাম্য তা আবারও প্রমাণিত হলো। তাই এখন সময় এসেছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে গুড়িয়ে দেওয়ার জন্য মুসলিম বিশ্বকে বিশেষ করে মুসলিম যুব সমাজকে ঈমানের জাগরণে জাগতে হবে এবং সারা পৃথিবী থেকে মার্কির্নদের হঠানোর জন্য এবং মুসলিম নিপীড়ন বন্ধ করার জন্য সত্যিকারের জিহাদে অবতীর্ন হতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং প্রতিরা ব্যবস্থায় সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। ইহুদী খ্রিস্টানদের সব ষড়যন্ত্রকে মুছে দিয়ে সত্যিকার ইসলামের পৃথিবী গড়ে তুলতে হবে তাহলে মানব জাতির মুক্তি আসবে। তাই সকল মুসলিম দেশের প্রতি আহবান আসুন আজ থেকে ইহুদী খ্রিস্টানদের শক্রু ভেবে তাদের সকল প্রকার আনুগত্য বর্জন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। সে দিন বেশি দূরে নই যে দিন ইহুদী খ্রিস্টানদের সব সিংহাসন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গিয়ে সাম্য ও ন্যায়ের পৃথিবী গড়ে উঠে। তাহলে একমাত্র মানবতার মুক্তি আসবে।