somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধারাবাহিক মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-১০

১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বব্যাপী গোয়েন্দাবৃত্তি, নজরদারী, তথ্যচুরি

* বিশ্বব্যাপী বিশ্বনেতাদের ফোনলাপে আড়িপাতা ঃ-
ইমেল পাঠাচ্ছেন,এসএমএস করছেন,চ্যাটে মশগুল হয়ে রয়েছেন। কিন্তু আপনার উপর কেউ গোপনে নজর রাখছে না তো? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। কারণ সম্প্রতি জানা গিয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট এবং ফোনে আড়ি পাতছে। গত মাসের গোড়ায় হংকং সংবাদমাধ্যমের কাছে এই গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং এনএসএ’র প্রাক্তন কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন। তিনি জানান, প্রিজম নামক একটি কর্মসূচীর মাধ্যমে ব্যাপকভাবে এই নজরদারি চালানো হচ্ছে। এর জন্য এনএসএ’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ফেসবুক, মাইক্রোসফট’র মতো বেশ কিছু ইন্টারনেট সংস্থাও। বিবেকের তাড়নাতেই তিনি এ সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস করতে বাধ্য হয়েছেন। যখন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বৈদ্যুতিক নজরদারির ফলে হুমকির মুখে পড়েছে গণতন্ত্র। সারা বিশ্ব মাকি©ন গোলামীতে মশগুল এরপরও কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না আমেরিকা। বন্ধু, শক্রু কারো উপর তার আস্থা নেই। তাইতো গোপনে ফোনে আড়িপাতা। যুক্তরাষ্ট্রেন গোয়েন্দারা ৩৫ বিশ্বনেতার ফোনালাফে আড়িপেতেছে। মাকি©ন গোয়েন্দাদের এসব নেতার টেলিফোন নাম্বার সরবরাহ করেছে হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। সাবেক মাকি©ন গোয়েন্দা কম©কতা এডওয়াথ© স্নোডেনের ফাঁস করে দেয়া গোপন নথিপত্রের ভিত্তিতে নতুন এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গাডি©য়ান। মাকি©ন সরকারের যে বিভাগের মাধ্যমে এসব ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হয়েছিল তাদেরকে গোপন নথিতে ভোক্তা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শীষস্থানীয় বিদেশী নেতাদের ফোন নাম্বার সংগ্রহের জন্য সরকারের ‘ভোক্তা’ বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ট ভাবে কাজ করেছে মাকি©ন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ)। এসব নথিতে দেখা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাকি©ন কম©কতা বিশ্বের ৩৫ নেতার ফোন নাম্বারসহ ২০০ নাম্বার সরবরাহ করেছেন এবং এনএসএ কে এসব নাম্বারের উপর তাৎক্ষণিকভাবে নজরদারী শুরুর দায়িত্ব দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এসব নাম্বার আড়ি পেতে নতুন আরো নাম্বার পাওয়া গেছে এবং তাদের বিরুদ্ধেও নজরদারী শুরু করা হয়েছে বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য গাডি©য়ান আলোচিত ৩৫ বিশ্ব নেতার নাম প্রকাশ করেনি। জামা©ন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মাকে©লের ফোনে গত ১০ বছর ধরে ওয়াশিংটন আড়ি পেতেছে বলে খবর প্রকাশ হওয়ার একদিন পরই নতুন এ আড়িপাতার তথ্য ফাঁস হলো। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে যে সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে, তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে এনএসএ’র এই বৈদ্যুতিক নজরদারির কর্মসূচী। সাইবার যুদ্ধের তোড়জোড় চালাচ্ছে ওয়াশিংটন।কবে থেকে এ সব নজরদারী শুরু হয়, এ ব্যাপারে সিআইএর সাবেক এজেন্ট সুসান প্রেস টিভির সাথে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মাকি©ন সরকার ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের বহু আগে থেকেই বিদেশী কম©কতাদের ওপর গোয়েন্দাবৃত্তি শুরু করেছিল। এমনকি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোও এ গোয়েন্দাবৃত্তির হাত থেকে রক্ষা পায়নি। মাকি©ন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাবেক এজেন্ট সুসান লিন্ডাডির ইরানের ইংরেজি ভাষার নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, আমরা এসব মানুষের ওপর গোয়েন্দাবৃত্তি চালাই। আমরা রাষ্ট্রদ্রুতদের তৎপরতার উপর চোখ রাখি। এবং এটি আমরা বহু বছর ধরে করে আসছি। তিনি প্রেস টিভিকে আরো বলেন, সিআইএর একজন সাবেক সদস্য হিসাবে আমার কাছে সবচেয়ে যে বিষয়টি বিস্ময়কর মনে হয়েছে তা হলো, আমরা জাতিসংঘের সদর দফতরে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সব সময় নজরদারীর মধ্যে রাখতাম। গত ১০ বছরে এটি ছিল একটি স্বাভাবিক ঘটনা। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, এমনকি ৯/১১ এর ঘটনার আগেও আমরা এ কাজ করতাম। বত©মানে তিনি একজন যুদ্ধবিরোধী কমী©। তিনি বলেন, বিশ্ব এখন আর আমেরিকার এ ধরণের অপরাধ মেনে নিতে রাজি নয়। কারণ মাকি©ন সরকার এত কেলেংকারীতে জড়িয়ে পড়েছে এটি বিশ্বের ওপর নিজের ক্ষমতা ও প্রভাব হারিয়ে ফেলেছে।
বিশ্বব্যাপী সেলফোনে তথ্যচুরি
মাকি©ন সাম্রাজ্যবাদ নিজেদের দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী আবার বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য চুরি তাও আবার চোর সেজে।শুধু চোর নয় এ যেন মহাচুরী। আমেরিকা মহাচোর! প্রতিদিন ৫০০ কোটি টেলিফোনের তথ্য চুরি করেছে এ বিশ্ব চোরেরা। তাই এখন মাকি©ন সাম্রাজ্যবাদের নতুন নাম বিশ্ব তথ্য চোর বলা যায়। আর এসব অবৈধ কম©কান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে নাকি সরকারের নিবা©হী আদেশে।মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা- এনএসএ দেশটির সরকারের নির্বাহী আদেশে সারা বিশ্ব থেকে সেলফোনের মাধ্যমে তথ্য চুরি করে। ১৯৮১ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান এক নির্দেশ জারির মাধ্যমে সারা বিশ্ব থেকে তথ্য চুরির কার্যক্রম শুরু করেন।এক বিবৃতিতে এনএসএ জানায়, তথ্য সংগ্রহ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ-১২৩৩৩ অনুমোদন করেনি মার্কিন কংগ্রেস। তবে গণহারে তথ্য সংগ্রহ করায় দেশটির পররাষ্ট্র নজরদারি সংক্রান্ত আইনের কোন ক্ষতি হয়নি বলেও দাবি করে এনএসএ। এনএসএ মুখপাত্র ভ্যান ভিনেস বলেন, সেলফোন সনাক্তকরণে গোয়েন্দা আইনের সীমাবদ্ধতাগুলো এখনও কার্যকরী। এর আগে, দেশটির ওয়াশিংটন পোস্ট রিপোর্ট করে যে, এনএসএ সারা বিশ্ব থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫০০ কোটি টেলিফোনের তথ্য চুরি করেছে। এর মাধ্যমে সেলফোন ব্যবহারকারীর অবস্থান ও অন্যদের সঙ্গে সম্পর্কের তথ্য চুরি করেছে এনএনএ।
ফেইসবুক, ইয়াহু, গুগল মাকি©ন সাম্রাজ্যবাদের গোয়েন্দা মেশিন
এবার হাড়ে হাড়ি ভেঙ্গেছে উইকিলসকস। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কিভাবে সারা পৃথিবীর ওপর গোয়েন্দাবৃত্তি চালাচ্ছে মাকি©ন সাম্রাজ্যবাদ তা ফাঁস করে দিয়ে। ইয়াহু, গুগল ও ফেসবুক মার্কিন গোয়েন্দামাধ্যম এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী আলোচনার ঝড় বইছে। উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বলেন, ইতিহাসের সবচে আতংকজনক শক্তিশালী গোয়েন্দামাধ্যম হিসেবে ফেসবুক এরই মধ্যে অনেক তথ্য আবিষ্কার করেছে। আরও অনেক তথ্য অনুসন্ধানে চলেছে গোপন সব কারিগরি তৎপরতা। এ তিন গণমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্বের বহু মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য, সম্পর্ক, নাম, ঠিকানা, বসবাসের স্থান, মোবাইল নম্বর এমনকি যোগাযোগমাধ্যম সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে।অ্যাসাঞ্জ বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ফেসবুক যখন বিশ্বব্যাপী সমালোচনা তোপে তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ সাইট বন্ধ করলেও ফেসবুক সাইটে উইকিলিকসের যে লিঙ্ক ছিল তা অব্যাহত রাখা হয়। এটি একটি বৈরী নীতির উদাহরণ। গুগল এবং ইয়াহুর গোয়েন্দা তৎপরতা সম্পর্কে জুলিয়ান বলেন, গুগল এবং ইয়াহুর প্রথম পৃষ্ঠাতেই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা নজরদারির লিঙ্ক দেওয়া আছে। এ লিঙ্কের মাধ্যমে এ সাইটে প্রবেশকারীদের তৎপরতা নজরদারি করেছে ইউএস গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তিনি আরো বলেন, গুগল এবং ইয়াহু এই দুটি আমেরিকান কোম্পানিও আমেরিকার ইন্টেলিজেন্সের জন্য বানানো হয়েছে। তাই এ গোয়েন্দাবৃত্তি থেকে বাঁচতে এসব সাইট ব্যবহার বন্ধের বিকল্প নেই। কতভাবে, কতদিকে মাকি©ন সাম্রাজ্যবাদ বিশ্বের সকল মানুষকে গোয়েন্দাবৃত্তিতে জড়িয়ে রেখেছে। মাকি©ন সাম্রাজ্যবাদের অলিখিত নজরদারীতে সারা পৃথিবী। মুক্ত স্বাধীন পৃথিবীর স্বাথে© এদের রুখার কোন বিকল্প নেই।

মুসলিমদের ওপর নজরদারি করেছে মাকি©ন যুক্তরাষ্ট্র
সারা পৃথিবীব্যাপী নজরদারী চালালেও বিশেষ ভাবে একটু বেশি নজরদারী চালানো হচ্ছে মুসলিমদের ওপর। কারণ এখন তার প্রধান প্রতিপক্ষ হলো ইসলাম ও মুসলমানরা।মুসলিমদের ওপর গোপন নজরদারি নিয়ে নতুন তথ্য ফাঁস করে আবারও আলোচনায় স্নোডেন। পলাতক এই সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা এবার অভিযোগ করেছেন, নিরাপত্তা হুমকি নিশ্চিতের নামে পাঁচজন বিশিষ্ট মুসলিম নাগরিকের ওপর গোপনে নজরদারি চালিয়েছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা স্নোডেনের বরাত দিয়ে অনলাইন সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানিয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ও বিদেশের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছেন-এমন সন্দেহে পাঁচজন বিশিষ্ট মুসলিম নাগরিকের ওপর গোপনে নজরদারি চালিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ও এনএসএ। এই ব্যক্তিদের অগোচরে তাদের ইমেইলেও নজরদারি করেছে সংস্থা দুটি। পাঁচ মুসলিম আমেরিকান হলেন- হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা ও বর্তমানে রিপাবলিকান পার্টির সক্রিয় সদস্য ফয়সাল গিল, সন্ত্রাসবাদী মামলা পরিচালনাকারী আইনবিদ অসীম গফুর, রুটগার্স ইউনিভার্সিটির ইরানিয়ান-মার্কিন অধ্যাপক হোসাং আমিরামাদি, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আগা সাঈদ এবং আমেরিকান ইসলামিক কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ। যদিও তারা সবাই সন্ত্রাসবাদী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অনেক আগেই। শুধু এ পাঁচ ব্যক্তিত্বের ওপর নজরদারী চালানো হচ্ছে না, আমেরিকান সকল মুসলমান এ নজরদারীর আওতায় রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী মাকি©ন সাম্রাজ্যবাদের গোয়েন্দা তৎপরতা
বিশ্বব্যাপী মাকি©ন সাম্রাজ্যবাদ তার আধিপত্যবাদী তৎপরতা অক্ষুন্ন রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি নজর দেয় গোয়েন্দবৃত্তিতে। তাইতো পৃথিবীর সেরা মানের চৌকস সদস্যদের দিয়ে পৃথিবীর সেরা গোয়েন্দাবাহিনী গঠন করা হয়েছে। পৃথিবী ব্যাপী আধিপত্য বিস্তার, প্রতিষ্ঠা ও রক্ষার জন্য তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা পৃথিবী বিখ্যাত।আর এ কাজে মাকি©ন যুক্তরাষ্ট্রব্যাপকভিত্তিক বাজটে দিতেও দ্বিধা করে না। কারণ বিশ্বব্যাপী তাদের তৎপরতার প্রধান উৎস হচ্ছে এ গোয়েন্দাবৃত্তি। গোয়েন্দাদের তৎপরতার ওপর ভিত্তি করেই তাদের সকল অভিযান, আগ্রাসন পরিচালিত হয়। ওপরে এব্যাপারে আমরা সংক্ষিপ্ত আলোচনায় দেখিয়েছি কিভাবে গোয়েন্দাবৃত্তির সাহায্যে খুন, গুম, মিলিটারি ক্যুসহ নানা সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হতো।।মাকি©ন যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলো যেমন, সিআইএ, এফবিআই, এনএসএ, আইআরএস এরা সমন্বিতভাবে আমেরিকার মোট বাজেটের ১০ ভাগ ভোগ করে, যার প্রায় পুরোটাই এরা আবার বিভিন্ন ভূয়া বাজেট খাতে খরচ দেখায় যে কারনে স্বয়ং আমেরিকার আইন প্রনেতারাই সত্যিকারের খরচ কিভাবে হচ্ছে বুঝতে পারেন না। ৫০ এর দশকের প্রথম দিকে ইরান আর গুয়েতেমালার গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কিন্তু তথাকথিত ’বামপন্থি’ সরকাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে এই এজেন্সীগুলোর দর্শনীয় সাফল্য তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে তাদের কর্মকাণ্ডের ধরনটা কেমন হবে সেটা ঠিক করে দেয়। ইরানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আর গুয়েতেমালার জ্যকব আরবেনজ দুজনেই ছিলেন ক্যস্ট্রো, পেট্রিস লুমুম্বা বা আলেন্দের মতোই ক্যরিসমাটিক নেতা। যারা কিনা বাম ঘেষাঁ বিপ্লবের অন্বেষায় ছিলেন। তাদের সবাইকেই ’কম্যুনিস্ট’ তকমা দেয়া হয় আর আমেরিকার বিভিন্ন সময়ের ভিন্ন ভিন্ন প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অনুযায়ি সিআইএ তাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করে। এই সবগুলো দেশে এবং অন্যান্য দেশেও (কিউবা ছাড়া) এইসব মহান ক্যরিসমাটিক নেতাদের- যাদেরকে তারা ভয় করতো- সবাইকেই তারা ক্ষমতাচ্যুত করায় ’সফল’, যদিও তার মাধ্যমে আমেরিকার আদর্শ বা কোন কৌশলগত স্বার্থ আদৌ রক্ষা হ’ল সেটা ভিন্ন ব্যপার। সিআইএ ইকুয়েডরে দুটি সরকারকে উৎখাতে সাহায্য করে, যার জন্যে মাত্র ১০ জন আমেরিকান সিআইএ অপারেটরকে সেদেশে ফুলটাইম কাজ করতে হয়েছিল। ব্রাজিল, ইরান বা ভিয়েতনামের মতো আরো জটিল সমাজগুলোতে অবশ্য আরো অনেক বেশী লোক নিয়োগ করতে হয়।
নিম্নে সিআইএর কিছু কম©কান্ডের উল্লেখ করা হলো-
খুন
সিআইএএর ভেতরে খুন এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসাবে বিবেচিত যে, গুপ্তহত্যার কার্যক্রমকে ১৯৬১ সালে প্রাতিষ্ঠানিকরন করা হয়। ইউফেমিসমের প্রতি (অপ্রিয়/নোংরা কিছুকে সুন্দর অন্য নাম দেয়া, যেমন বাথরুমে না বলে ওয়াশরুম বলা) সিআইএ-এর বিশেষ ঝোঁক আছে। তো তারা এই প্রোগামকে বলে ”এক্সিকিউটিভ একশন”। নিজেদের হাতে যাতে সত্যিকারের রক্ত না লাগে সেজন্যে তারা এইসব ’গা ঘিনঘিনে’ কাজ করার জন্যে ভাড়া করে মাফিয়া ধরনের লোক এবং এক ধরনের এজেন্ট যাদের কোড নাম ” WI/ROGUE ‘”- সিআইএর কাগজপত্র অনুযায়ী যার মানে হোল- ”জালিয়াত আর একসময়ের ব্যংক ডাকাত”..। কঙ্গোর (এখনকার নাম জায়ার) প্যট্রিস লুমুম্বাকে হত্যার জন্যে নিয়োগ করা হয়েছিল এমনই WI/ROGUE । আমেরিকার সিনেট সিলেক্ট কমিটি তাদের অনুসন্ধানে জানতে পেরেছিল- সিআইএ কঙ্গোর জনপ্রিয় বামঘেঁষা নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে তীব্র প্রাণঘাতি বিষ পাঠিয়েছিল এবং আরো বিভিন্ন ”পরীক্ষা-নিরীক্ষামূলক” পদক্ষেপ নিয়েছিল।
১৯৬১ তে ডোমেনিকাতে রাফায়েল ট্রুজিল্লোকে যে ডোমেনিকান ভিন্ন মতালম্বী গুলি করে সে সিআইএর ঘনিষ্ট সংস্পর্শে ছিল বলে পরবর্তীতে সিনেট সিলেক্ট কমিটিতে জানানো হয়।
সংবাদমাধ্যম আর প্রকাশনা
মিডিয়াতে সিআইএর কর্মকাণ্ড সবচেয়ে বেশীখাতে ব্যবসা করা চেইন গ্র“পের মতোই বহুমুখি আর ব্যপক... (যাদের কিনা, মনে করা যাক, হোটেল আছে, বিমান আছে, ট্যাক্সি সার্ভিস আছে, ট্রাভেল এজেন্ট কোম্পানী আছে, ইন্সুরেন্স আছে; তারমানে একটা সেক্টরের সবগুলো পরিপূরক ব্যবসাতেই নিজেদেরই কোম্পানি আছে এমন কোন গ্রুপের মতোন) ।
বই প্রকাশনা ছাড়াও প্রোপাগাণ্ডা চালানোর জন্যে (বিশ্বব্যাপি !) সিআইএর রয়েছে নিজের মালিকানাধীন বা ভর্তূকি দেয় এমন অসংখ্য সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, সংবাদ সংস্থা, রেডিও আর টেলিভিশন চ্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়
সিআইএ আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়োগ কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করে। একটা টার্গেট হল বিদেশী ছাত্ররা, যাদেরকে সিআইএ নিজ দেশের ভেতরে স্পাই হিসাবে পরিনত করতে পারবে। আরেকটা হল আমেরিকান ছাত্র যাদেরকে সিআইএর গোপন অপারেটর হিসাবে নিয়োগ করা যায়। ৩য় গ্র“পটি হল দেশী ও বিদেশ থেকে আসা প্রফেসাররা, যাদেরকে স্থায়ী এজেন্ট হিসাবে অথবা শুধুমাত্র একটা এসাইনমেন্টের জন্য নিযুক্ত করা যায়। এই কারনে সিআইএ শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত লোকের সাথে গোপন চুক্তিভীত্তিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। এইসব সিআইএ প্রফেসরদের মূল কাজ হল সম্ভাব্য নতুন এজেন্টদের খুজে বের করা ও তাদের মূল্যায়ন করা। কিছু প্রফেসররা সিআইএর প্রোপাগাণ্ডা লেখার কাজে এবং বিশেষায়িত গোপন মিশন চালানোর জন্যে ব্যবহৃত হন। একজন সত্যিকারের বা জাল প্রফেসর বা ছাত্রের জন্যে সারা পৃথিবী ভ্রমন করার আর সিআইএর আগ্রহের কোন বিষয়ে যাবতীয় রকম প্রশ্ন করে বেড়ানোর জন্যে দারুন অজুহাত হিসাবে কাজ করে তার পেশা। অনেক সময় একজন প্রফেসর হয়তো মনে করছেন যে তিনি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্যে বা কোন গবেষনার প্রয়োজনে তথ্য যোগাড় করছেন, আসলে যে প্রতিষ্টানটি সিআইএরই একটা মুখোশ!

এর বাইরেও সিআইএ ক্যম্পাসেও প্রচুর গবেষনা স্পন্সর করে, যেগুলোর বেশীরভাগেই সিআইএর সম্পৃক্ততা থাকে গোপন।... এমআইটিতে ১৯৫১ থেকে ১৯৬৫ পর্যšত সিআইএ সেন্টার ফর ইন্টারন্যশনাল স্টাডিজ এর অর্থায়ন করে, এবং ১৯৫২ থেকে ১৯৬৭ তে ন্যশনাল স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের বাজেটের বেশিরভাগটাই তারা দেয়। সিআইএর অফিসাররা সেই সুযোগে আমেরিকার প্রতিনিধি হিসাবে বিভিন্ন আšর্তঃজাতিক সন্মেলনে যোগ দেন এবং অপারেশনাল কাজও সমাধা করেন। ষাটের দশকে সিআইএ মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি কে এজেন্সির ভিয়েতনামের পুলিশ ট্রেনিং প্রোগ্রামের কাভার হিসাবে ব্যবহার করে। অব্যহতভাবেই সিআইএ শিক্ষক/ছাত্রদেরকে দিয়ে বা শিক্ষক/ছাত্র সেজে গোপন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
কর্পোরেশন
আইনসিদ্ধ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীগুলোকে সিআইএ ব্যপকহারে ব্যবহার করে। ফার্স্ট ন্যাশনাল সিটি ব্যংকের মতোন ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলো সিআইএ কে টার্গেট-দেশে বিপুল টাকা ট্রান্সফার করতে সাহায্য করে। ... মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশনগুলো সিআইএর অপারেটিভদের বিদেশে ছদ্মবেশে কাজ করার সুযোগ করে দেয়। ফেব্র“য়ারি ১৯৭৪ এ (প্রাক্তন) সিআইএ ডিরেক্টর উইলিয়াম কলবি সাংবাদিকদের জানান যে কর্পোরেট এক্্িরকিউটিভের ছদ্মবেশে সিআইএর ২০০র বেশী অপারেটিভ কর্মরত আছে।
এনজিও
১৯৬৭ সালে র‌্যমপার্টস ম্যগাজিন ফাঁস করে দেয় যে এনজিও/দাতা সংস্থা/ফাউণ্ডেশনগুলোর নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করে সিআইএ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার তাদের গোপন তৎপরতায় খাটায়। সিনেট কমিটি জানতে পারে যে ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৬ পর্যšত রকফেলার, ফোর্ড আর কার্নেগী ফাউণ্ডশেন ছাড়া আšতঃজাতিক সম¯ত অনুদানের অধেকটা করেছে আসলে সিআইএ। ন্যশনাল স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন ছাড়াও অন্য বড় অনুদানপ্রাপ্তদের মধ্যে আছে - ইন্টারন্যশনাল জুরিস্ট এসোসিয়েশন, ..আমেরিকান ফ্রেণ্ডস অফ দি মিডল ইস্ট, কংগ্রেস ফর কালচারাল ফ্রিডম আর এনকাউন্টার নামের একটি পত্রিকা।
প্রবাসী আমেরিকান
পূর্ব ইউরোপিয়, চিনা কিংবা অন্য যেকোন বর্নের প্রবাসী আমেরিকানদেরকে সিআইএ তাদের গোপন তৎপরতা-খেলার অংশ হিসাবেই চিন্তা করে। ৬০এর দশকের মাঝামাঝিতে তে মিয়ামীতে প্রবাসী কিউবানদের মাঝে সিআইএ তার গোয়েন্দা কার্যক্রম সংগাঠিত করে।
সারা পৃথিবীর যেকোন দেশে সিআইএ তার গোপন তৎপরতার অপারেশন সংগঠিত করার ক্ষমতা সবসময় বজায় রেখেছে । মিডিয়া ব্যক্তিত্ব থেকে সরকারকে প্রভাবিত করতে পারে এমন ব্যক্তিদের সিআইএ ’এসেট’ বা সম্পদ বলে। সিনেট কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ষাটের দশকে সিআইএ সারা পৃথিবীজূড়ে সার্বক্ষনিক বিকল্পসহ গোপন তৎপরতার-’সম্পদ’দের system of standby covert action-assets) ব্যবস্থা তৈরী করে।
নিজ দেশে ঘটনা নয়ছয় করতে পারে এমন কোন বিদেশীকে নিয়োগ করার বা টাকা দেয়ার জন্যে সিআইএর নির্বাহী বিভাগ বা বিচার বিভাগ বা অন্য কারো অনুমতি লাগে না। ..বলিভিয়ার ইন্টেরিওর মন্ত্রিকে সিআইএর হয়ে নিয়োগ করা বা উরুগুয়ের পুলিশকে ট্রেনিং করানোর ঘটনা ফাঁস হলে তা ওই দেশগুলোর সাথে আমেরিকার সম্পর্কের ওপর বি্েস্ফারক ফলাফল বয়ে আনতে পারতো, তারপরেও সিআইএ এসব বিষয়ে উর্দ্ধতন কোন অনুমোদনের প্রয়োজন বোধ করে নি।
গোপন তৎপরতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখে, সিআইএ আরো বেশী করে তার ’গোপন তৎপরতার ’সম্পদ’দেরকে আšতঃজাতিক একাউ্ন্টসে "FI/CI" (foreign intelligence/counter-intelligence) নাম দিচ্ছে। যাতে- যদিও এই এজেন্টগুলি তাদের দেশের ঘটনাবলীর ওপরে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে কিন্তু সিআইএ প্রয়োজনে দাবী করতে পারে যে এদের কে শুধুমাত্র তথ্য নেয়ার জন্যেই ব্যবহার করা হ’ত অন্য কিছূ না । এটা শুধুমাত্র স্বল্প সময়ের জন্যে সত্যি হতে পারে, কিন্তু এই সব ইন্টেলিজেন্স এজেন্টরা এখনো আসলে সিআইয়ের গোপন তৎপরতার যেকোন ষড়যন্ত্রে ("plumbing in place") বরাবরের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বব্যাপী মোসাদের সন্ত্রাসী কম©কান্ড
অপহরণ ও হত্যা:
ইসরাইলের নিরাপত্তা প্রশ্নে বিভিন্ন প্রচেষ্টা ও কর্মকান্ড- মোসাদকে গোয়েন্দাবৃত্তিতে সর্বোচ্চ মান দিয়েছে। দুর্ধর্ষ এই গোয়েন্দা সংস্থার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনী মুক্তি আন্দোলন প্রতিহত করা ও আরব বিশ্বসহ মুসলমানদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। ইসরাইল প্রসঙ্গে বিতর্কিত বা রাজনৈতিক প্রশ্ন নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী বাদানুবাদ তৈরি হলে এ সংস্থা তার কর্মীদের ওই ব্যক্তি বা সংশ্লিষ্ট কাউকে অপহরণ বা হত্যা পর্যন্ত করত। মোসাদ বরাবরই যেকোনো অপারেশন যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ’র ছদ্মাবরণে করত। এই প্রবন্ধে এমন কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে যা পাঠকদের মোসাদের অপহরণ কর্মকান্ড, হত্যা ও বিভিন্ন ক্রাইম সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।
দক্ষিণ আমেরিকায় মোসাদ:
অনেকদিন থেকে নাযি ওয়ারে অভিযুক্ত এডল্ফ ইচম্যানকে খুজছিল মোসাদ। ১৯৬০ সালে আর্জেন্টিনায় তার খোজ পাওয়া যায়। ওই বছরের ১১মে মোসাদের এজেন্টদের একদল টিম তাকে গোপনে আটক করে ইসরাইল নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে উত্তর ইউরোপে ক্যাম্প গঠন ও পারমানবিক বোমা নিক্ষেপ করে ইহুদিদের হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ইসরাইলের আদালতে একটি সাজানো বিচারের মাধ্যমে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। একই অভিযোগে জোসফ মেনজেলকে আটকের চেষ্টা ব্যার্থ হয়। ১৯৬৫ সালে নাযি ওয়ারে অভিযুক্ত লাটভিয়ার বৈমানিক হার্বার্টস কুকার্সকে উরুগুয়ে থেকে ফ্রান্স হয়ে ব্রাজিল যাওয়ার পথে মোসাদের এজেন্টরা হত্যা করে। ১৯৭৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও কুটনৈতিক এবং চিলির প্রাক্তন মন্ত্রী অরল্যান্ডো লেটেলারকে ওয়াশিংটন ডিসিতে গাড়ি বোমায় হত্যা করে চিলির ডিআইএনএ’র এজেন্টরা। পরবর্তীতে জানা যায়, এটি ছিল মোসাদের একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তার সাথে তার সহকারী রনি কার্পেন মোফিট্টও খুন হন। রনি কার্পেন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
পশ্চিম ইউরোপে মোসাদ:
১৯৬০ সালে ফ্রান্সের মিরাজ ফাইভ জেড বিমানের প্রযুক্তিগত দিকের বিভিন্ন দলিল চুরি করে নেয় মোসাদ। পরে ইসরাইল ওই প্রযুক্তিকে আরো উন্নত ও যেকোনো আবহাওয়ার উপযোগি করে জে৭৯ নামের ইলেক্ট্রিক টার্বোজেট ইঞ্জিন তৈরি করে। ফ্রান্স শিপইয়ার্ডে পাঁচটি মিসাইল বোট দিতে ফ্রান্সের সাথে চুক্তি করে ইসরাইল। কিন্তু ১৯৬৯ সালের ফ্রান্সে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার আগে ইচ্ছাকৃতভাবে মিসাইল বোট সরবরাহ করেনি মোসাদ। ১৯৬৮ সালের একটি ঘটনা। ইসরাইলের একটি শিপে ২০০টন ইউরেনিয়াম অক্সাইড সরবরাহ করতে একটি কার্গো বিমান যাত্রা শুরু করেছিল। জার্মনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিমানটি তাদের রাডারের বাইরে চলে যায়। পরে তুরস্কের একটি পোর্টের রাডারে এটি ধরা পড়লে ওই কার্গো বিমান থেকে বলা হয় পথ হারিয়ে তারা এদিকে চলে এসেছে এবং তাদের জ্বালানী ফুরিয়ে গেছে। গালফ থেকে জ্বালানী নিয়ে তারা আবার ফিরে যাবে। পরে তার নিরাপদে ওই ইউরেনিয়াম অক্সাইড ইসরাইলের একটি শিপে খালাস করে। এটি ছিল রেকেম ও মোসাদের একটি যৌথ অপারেশন। এটি অপারেশন প্লামব্যাট নামে পরিচিত। ইউরেনিয়াম অক্সাইড পারমানবিক বোমার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৭২ সালে মোসাদ জার্মানীর বিভিন্ন টার্গেট ব্যক্তির কাছে পত্র বোমা পাঠিয়েছিল। চিঠি খুললেই বোমা ফুটবে এবং সে মারা যাবে। অধিকাংশ চিঠিই পাঠানো হয়েছি নাযি যুদ্ধে অভিযুক্ত এলোস ব্রানারের কাছে। অবশ্য মোসাদের এ প্রচেষ্টা জানাজানি হয়ে যায় এবং ব্যর্থ হয়।
পূর্ব ইউরোপ:
যুদ্ধে নিঃশেষিত বসনিয়া হার্জেগোভিনিয়ার রাজধানী সারাজেভো থেকে বিমান ও স্থলপথে ইহুদিদের ইসরাইলে স্থানান্তর করা হয় মোসোদের পরিকল্পনায়।
মিশর ও সিরিয়া:
টার্গেট দেশ মিশরে ওলফগ্যাং লজের নেতৃত্বে গোয়েন্দা মিশন পাঠায় মোসাদ ১৯৫৭ সালে। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি মিশরে গামাল আবদেল নাসেরের সামরিক বাহিনী ও তার যুদ্ধোপকরণ ও কৌশল জানতে গোয়েন্দা তৎপরতায় নেতৃত্ব দেন। ১৯৬৪ সালে লজের চেয়ে বড় মিশন নিয়ে মিশরে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করেন মোসাদের আর এক স্পাই ইলি কৌহেন। তার সহযোগিতায় ছিল হাই প্রোফাইলের বেশ কয়েকজন স্পাই। ইলি কৌহেন ১৯৬৫ সালের জানুয়ারিতে সিরিয়ায় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে তথ্য পাঠানোর সময় হাতেনাতে গ্রেফতার হন। মিশর ও সিরিয়ায় মোসাদ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেডিও লিঙ্ক স্থাপন করেছিল। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে ইসরাইলের বিপক্ষে ছিল মিশর, জরডান ও সিরিয়া। এই যুদ্ধটি সিক্স-ডে ওয়ার নামে পরিচিত। যুদ্ধ শেষ হলেও এর রেশ ছিল দীর্ঘ দিন। ১৯৬৯ সালের ১৯ জুলাই মিশরের ছোট দ্বীপ গ্রিন আয়ল্যান্ডে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স আকস্মিক হামলা চালায়। মোসাদ এই অভিযানের নাম দেয় অপারেশন বালমাস সিক্স। পরবর্তীতে অনেক ইসরাইলী ইহুদি ও পর্যটকরা সিনাই হতে মিশর আসে অবকাশ যাপনের জন্য। মোসাদ নিয়মিত এসব পর্যটকদের নিরাপত্তা দেখভালের জন্য গোয়েন্দা পাঠাত। ধারণা করা হয় এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালে লেবানন যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
ইরান:
ইসরাইল ইরানকে বড় ধরণের হুমকি মনে করে। মোসাদ মনে করে ২০০৯ সালের মধ্যে ইরান পারমানবিক শক্তিধর দেশে পরিণত হবে। যদিও অনেকের ধারণা এই সালটি হবে ২০১০। সম্প্রতি মোসাদের ডিরেক্টর মীর দাগান তার এক বক্তৃতায় একথা স্বীকারও করেছেন। ফলে মোসাদের তৎপরতা ইরানে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সিআইএ এ কাজে মোসাদকে সহযোগিতাও করছে। ২০০৭ সালের ১৫ জানুয়ারি ইরানের পারমানবিক বিজ্ঞানী ড. আরদেশির হোসেনপুরকে হত্যা করে মোসাদ। মৃত্যুর ছয় দিন পর আল কুদস ডেইলি তার নিহতের খবর প্রচার করে। প্রথম দিকে তিনি গ্যাস বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন বলে ধারণা করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা সে দেশের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ওয়াশিংটনের প্রাইভেট গোয়েন্দা সংস্থা স্ট্রাটফোর হোসেনপুরকে মোসাদের টার্গেট ছিল বলে উল্লেখ করে। অবশ্য মোসাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। হোসেনপুর ছিলেন ইরানের একজন জুনিয়র সহকারী অধ্যাপক। ২০০৩ সাল থেকে ইরানে মোসদের হয়ে কাজ করতেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী রেজা আসগারি। তিনি মোহাম্মদ খাতামী প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইরানের সহকারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন। ইরানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট তাকে সরকারের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসাননি।
২০০৭ সালের জানুয়ারী মাসে ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানী আরদাশীর হাসান বাউর মোসাদ এজেন্টদের হাতে প্রাণ হারান। আরদাশীর হাসান ইস্পাহানে অবস্থিত পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং পরমাণু গবেষণার অন্যতম পাদপীঠ সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ষ্টাডিজের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ‘দি সানডে টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, ইরানের শীর্ষস্থানীয় আরো বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী ইসরাঈলীদের হত্যার তালিকায় রয়েছে।
ইরাক:
সিআইএ’র সহায়তায় ইরাকে বাথ পার্টির শীর্ষনেতা আরিফ রহমান ও পরবর্তীতে সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতায় আসলেও ইরাককে বিশ্বাস করত না ইসরাইল। এজন্য ইরাকে ইসরাইলের গোয়েন্দা তৎপরতার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। ইরাকে সিআইএ মোসাদের সহযোগি হিসেবে কাজ করেছে। ইরাকে অনেকগুলো বড় অপারেশন চালায় মোসাদ। এর একটি হচ্ছে ১৯৬৬ সালে। মিগ ২১ জঙ্গী বিমানের পাইলট ছিলেন খৃস্টান বংশদ্ভূত মুনির রিদফা। ১৯৬৬ সালে তাকে বিমানসহ কৌশলে ইরাক থেকে ইসরাইল নিয়ে আসে মোসাদ। তার কাছ থেকে অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ব্যবহার করা হয় ইরাক বিরোধী প্রচারণায়। সংবাদ সম্মেলন করে ইরাকে খৃস্টান নিধনের প্রচারণাও চালানো হয়। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ইরাকের অসরিক নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর’র (নিয়ন্ত্রিত নিউক্লিয়ার শক্তি উৎপাদনের জন্য যন্ত্রবিশেষ) স্পর্শকাতর কিছু বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা চালায়। এই অপারেশনের নাম দেয়া হয় অপারেশন স্ফিঙকস। ইরাক এই গবেষণা সম্পন্ন করতে পারলে পারমানবিক গবেষণায় বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে অগ্রবর্তী থাকত। মোসাদ মনে করেছিল এখনই যদি এই প্রোগ্রাম ধ্বংস করা না হয় তাহলে শিগগিরই গবেষণা সেন্টারে পারমানবিক অস্ত্রের কাঁচামাল সরবরাহ করা হবে। এজন্য ১৯৮১ সালের ১৭ জুন এফ-১৬এ যুদ্ধ বিমানে বিপুল গোলাবারুদসহ একটি ইউনিটকে পাঠানো হয় ইরাকের এই প্রকল্প ধ্বংস করে দেয়ার জন্য। ইরাক কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোমা হামলা করে অসরিক নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর’র ব্যাপক ক্ষতি করে। ইরাক পরে আর এ প্রকল্পটি অব্যাহত রাখতে পারেনি। এই হামলাটি অপারেশন অপেরা নামে পরিচিত। কানাডার বিজ্ঞানী গিরাল্ড বুল বিভিন্ন দেশে স্যাটেলাইট গবেষণায় কাজ করতেন। ইরাক স্যাটেলাইট উন্নয়ন প্রোগ্রাম ‘প্রোজেক্ট ব্যবিলন’-এর ডিজাইন করলে তাকে ১৯৯০ সালের ২২ মার্চ বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে তার বাড়ির বাইরে গুলি করে হত্যা করে মোসাদ। ইরাক পরমাণু প্রকল্পের প্রধান ড. ইয়াহয়া আমীন আল মুশহিদ ১৯৮০ সালে প্যারিসে মোসাদ এজেন্টদের হাতে নিহত হন। ইরাকী পরমাণু রিয়েক্টর উন্নয়নের জন্য তিনি তখন ফ্রান্স কর্তৃপক্ষের সাথে প্যারিসে আলোচনা চালাচ্ছিলেন। তাঁর মৃত্যু ইরাকের জন্য অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সাড়ে ৫ হাজার ইরাকি বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে মোসাদ-সিআইএ

২০০৩ সালে ইরাকে ইঙ্গ-মার্কিন দখলদারিত্বের পর থেকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি ইরাকি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞকে হত্যা করেছে। ব্রিটেনের ম্যাগাজিন পলিটিক অবজারভার ইরানের আরবিভাষী টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আলআলমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ২০০৩ সালে সাদ্দামের পতনের পরের দিন থেকে এ পর্যন্ত সিআইএ ও মোসাদ সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি ইরাকি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞকে হত্যা করেছে। তাদের সবাইকে ইরাকের ভেতরেই হত্যা করা হয়। ওই ইরাকি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের বেশিরভাগই নিহত হয়েছে মোসাদের হাতে এবং ইসরাইলের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশেই তাদের হত্যা করেছে মোসাদ। মোসাদ ইরাকের বিজ্ঞানী, গবেষক, চিন্তাবিদ, চিকিৎসক ও বিশেষ করে পরমাণু ও রাসায়নিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের হত্যার জন্য এই মুসলিম দেশটিত গোপনে বহু ঘাতক চক্র পাঠিয়েছিল। অবজারভারের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের হত্যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। আইআরআইবি
লিবিয়ার ৭৫০জন বিজ্ঞানীকে অপহরণ করেছে মোসাদ সিআইএ
লিবিয়ার পারমাণবিক স্থাপনার সব বৈজ্ঞানিক ম্যাটেরিয়াল মার্কিন সেনা সদস্যরা কার্গো জাহাজে করে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে যায়। বিনিময়ে স্বৈরশাসক গাদ্দাফী কিছু কাল (২০০৩-২০১১) ক্ষমতায় থাকার নিশ্চয়তা পায়। দালালি করেও ক্ষমতায় ঠিকে থাকা বেশী দিন সম্ভব হলো না গাদ্দাফীর। ৪২ বছরের দুঃসহ স্মৃতি লিবিয়ানদের বহন করতে হবে বহু কাল। এখন লিবিয়ার অয়েল ফিল্ডের নতুন মুরব্বি ন্যাটো। ২০০৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর গাদ্দাফী আমেরিকা ও ব্রিটেনের ইহুদি লবির চাপে পারমাণবিক গবেষণা প্রকল্প পরিত্যাগ করার পরপরই আকাশ ও নৌপথে ক্যামিকাল, নিউক্লিয়ার ও বায়োলজিক্যাল অস্ত্র উপাদান আমেরিকায় পৌঁছতে থাকে। ২০০৩ সালে ২০০ ব্যালাস্টিক স্কাড-বি ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহার উপযোগী ২ হাজার টন ইউরেনিয়াম ও রেডিওলজিক্যাল ম্যাটেরিয়াল আমেরিকা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের ঞবহহবংংবব স্টেট বিমান বন্দরে নিয়মিত ত্রিপোলি হতে রাসায়নিক অস্ত্র সামগ্রীবহনকারী কার্গো বিমান অবতরণ করতে থাকে। সর্বশেষ খবর হচ্ছে লিবিয়ার অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের যোগসাজশে মার্কিন যুক্তরাস্ট্র লিবিয়ার খ্যাতনামা বিজ্ঞানীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজনে গ্রেপ্তার এবং বিজ্ঞান গবেষণাগার খুঁজে বের করার জন্য ৩০ লাখ ডলার ব্যয় করছে (এপি, ১৫.০৯.২০১১)। কেবল ত্রিপোলির বাইরে তাজুরা নামক স্থানে স্থাপিত পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রে ৭৫০জন বিজ্ঞানী কাজ করতেন। তাদের বর্তমান অবস্থান অনেকটা অজ্ঞাত।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×