somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধারাবাহিক মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-১৭

১৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুদ্ধাপরাধ বনাম মাকিন সাম্রাজ্যবাদ

যুদ্ধাপরাধ বনাম মাকিন সাম্রাজ্যবাদ

যুদ্ধাপরাধ শব্দটি মাকিন সাম্রাজ্যবাদের একটি সমাথ©ক শব্দ। কারণ গত পাঁচশত বছরের ইতিহাসজুড়ে মাকিন সাম্রাজ্যবাদের প্রতিটি পরতে পরতে, প্রতিটি পদক্ষেপে যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত হয়েছে। মাকিন সাম্রাজ্যবাদের যুদ্ধাপরাধ নিণয় করা বড় কঠিন, কারণ তার প্রতিটি কাজই যুদ্ধাপরাধের শামিল। তার মন মানসিকতা পযন্তও যুদ্ধাপরাধ। মাকিনীরা ছিল মানবতার সবচেয়ে জঘন্য দুশমন।মানবতা ও মানবাধিকারের এতোবড় শক্র পৃথিবীতে আর একটিও নেই। সে কারণে সে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হোক সে কখনো চায় নাই, আন্তজাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্টাইবুনাল হোক তাও সে চায় নাই কখনো, কারণ তার এ বিষয়ে বেশি দূবলতা।যুদ্ধাপরাধ সম্পকে যে সংজ্ঞা জাতিসংঘ পেশ করেছে, তারই আলোকে মাকিন সাম্রাজ্যবাদ ও বণবাদী ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাঈলের কমকান্ড বিশ্লেষন করলে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের যুদ্ধাপরাধের প্রমান মেলে। যুদ্ধাপরাধ মাকিন সাম্রাজ্যবাদের একটি কমন বস্তু।তাদের গত পাঁচশত বছরের ইতিহাসে যুদ্ধাপরাধের লক্ষ লক্ষ প্রমান দাঁড় করানো যাবে। তারা তাদের স্বাথের জন্য করতে পারে না হেন কোন অপকম নেই। গণহত্যা মাকিন সাম্রাজ্যবাদের সৈন্য বাহিনীর একটি আনন্দের বস্তু।আলোচ্য বইতে মাকিন সাম্রাজ্যবাদের কম বেশি সব কাযক্রম সম্পকে আলোকপাত করেছি, তাই মাকিন যুদ্ধাপরাধ জানতে হলে বইটি পুরো পড়তে হবে। মাকিনীদের যুদ্ধাপরাধ আলোচনা করতে গেলে বিশাল বিশাল বিশ্বকোষ রচনা করতে হবে।উক্ত অধ্যায়ে আমরা মাকিন সাম্রাজ্যবাদের প্রধান প্রধান কিছু যুদ্ধাপরাধ সম্পকে আলোকপাত করেছি মাত্র।

আমেরিকার আদি অধিবাসী রেডইন্ডিয়ানদের নিমূলে গণহত্যা

আমেরিকার বা আদিবাসী যারা রেড ইন্ডিয়ান বলে চিহিৃত, তাদের সহায় সম্পত্তি শক্তিবলে দখল করা। আমেরিকার শ্বেতাঙ্গদের উল্লেখযোগ্য ব্যবসা ছিল দাস ও মাদক ব্যবসা। আর উভয় প্রকার ব্যবসাই ছিল রেড ইন্ডিয়ানদের স্বার্থবিরুধী। দাস ব্যবসার মাধ্যমে যেখানে তারা নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করত এবং এই শক্তি দিয়ে রেড ইন্ডিয়ানদের উপর হামলা চালাত। তাদের জমাজমি দখল করে নির্দোষ দাসত্বের মাধ্যমে চাষাবাদ করাত। আর মাদক ব্যবসার মাধ্যমে গোটা অধিবাসীদের মধ্যে মাদকাসক্তি ছড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। সেখানে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী শ্বেতাঙ্গরা রেড ইন্ডিয়ানদের সংখ্যালঘুতে পরিনত করার জন্য সংক্রামক ও মরণব্যাধী ছড়ায়, ব্যাপক মাদকাসক্তির বিস্তার ঘটায়। নির্বিচারে গণহত্যা চালায় ও পালের পর পাল বুনো মেষ হত্যা করে পরিকল্পিত খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে। আজকে ওবামা বুশের পূর্ব পুরুষরা যারা ধর্মীয় উন্মাদের হাত থেকে বাচাঁর জন্য ইউরোপ থেকে পালিয়ে আমেরিকা গিয়েছিল, তারা আনন্দ উল্লাসের জন্য রেড ইন্ডিয়ানদের ও তাদের খাদ্যের প্রধান উৎস বুনো মেষ হত্যা করত। এর ফলে আধিবাসীরা এক পর্যায়ে রোগ ব্যাধি, খাদ্যভাব ও গণহত্যার শিকার হয়ে সংখ্যালগু জনগোষ্ঠিতে পরিনত হয় এবং বহিরাগতদের নির্দেশে অনুর্বর ও অস্বাস্থ্যকর স্থানে অমানবিক পরিবেশে বাস করতে বাধ্য হয়। বর্তমানে সভ্যতার ছোঁয়া থেকে তারা সম্পূর্ণ বঞ্চিত। দিন দিন তাদের সংখ্যা কেবল হ্রাসই পাচ্ছে। ইউরোপীয়রা যখন প্রথম আমেরিকায় পর্দাপন করে। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এক কোটি দশ লাখ আদিবাসী বাস করত। ইউরোপীয় গণহত্যার কারণে বর্তমানে সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এদের সংখ্যা এসে দাড়িয়েছে দশ লাখেরও নীচে। কানাডায় মাত্র পাঁচ লাখের মত রেড ইন্ডিয়ান বেঁচে আছে যা সেখানকার মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ মাত্র। প্রায় এক কোটির মতো রেড ইন্ডিয়ানকে সল্প সময়ের ব্যবধানে শেষ করে দেয়া হয়েছে। তবে তারা বত©মানে যে পরিবেশে বাস করতে বাধ্য হচ্ছে তাতে এপিচি, মাইকান, সুবিকেট, বিউথাক, নারাংগানসেট, ওয়াম, পানাগ প্রভূতি উপজাতীয়দের মত নিশ্চিহৃ হতে বেশি সময় লাগবে না। শ্বেতাঙ্গদের নির্মূল অভিযানের শিকার হয়ে এসব উপজাতি সমূহ নিশ্চিহৃ হয়ে যাচ্ছে।এ হল আমেরিকার আদি যুদ্ধাপরাধের ইতিহাস!!

* ১৮৪৮ সালে মেক্সিকোর অর্ধেকেরও বেশি ভূমি ছিনিয়ে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ভৌগোলিক সীমানা সমপ্রসারিত করে। মার্কিন সামরিক ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ব্লামের গবেষণা-মোতাবেক ভূমিদখলের জন্য বিংশ শতাব্দীতে কেবল লাতিন আমেরিকাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় শতাধিক ছোটো-বড়ো ও প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সামরিক যুদ্ধ পরিচালিত হয়। আর এসব ভূমি দস্যুবৃত্তিতে ব্যাপক যুদ্ধপরাধ সংগঠিত হয়।

* বিশ শতকের সন্ধিক্ষণে আনুমানিক ১০ লাখ ফিলিপিনোর নিরীহ মানুষকে গণহত্যা।

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও গণহত্যা ঘটায় আমেরিকা জাপানে

আজ হতে ৬৮ বছর আগে ১৯৪৫ সালের এই দিনে মার্কিন সরকার ঘটিয়েছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহতম নৃশংসতা। জাপানের নাগাসাকি শহরে মার্কিন পরমাণু বোমার হামলায় মুহূর্তের মধ্যে নিহত হয়েছিল এক লাখ চল্লিশ হাজার নিরপরাধ ও বেসামরিক জাপানি নাগরিক। আরো কয়েক লাখ মানুষ হয় আহত। ওই বোমার ভয়াবহ তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবে পরবর্তী বছরগুলোতে নিহত হয়েছে আরো হাজার হাজার জাপানি নাগরিক। এ ছাড়া, বোমার তেজষ্ক্রিয়তায় বহু বছর ধরে হিরোশিমার অধিবাসীরা ক্যান্সারসহ নানা ধরনের রোগব্যধিতে ভুগেছে। বোমার প্রতিক্রিয়ায় পঙ্গু হয়ে জন্ম নিয়েছে হাজার হাজার শিশু। আজো ওই অঞ্চলে জন্ম হচ্ছে বিকলাঙ্গ বা পঙ্গু শিশু।নাগাসাকিতে নিক্ষিপ্ত পরমাণু বোমাটির নাম ছিল 'লিটল বয়'। এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা ছিল বিশ হাজার টন টিএন্ডটি'র সমান। হিরোশিমায় হামলার তিন দিন পর আমেরিকা আরো একটি পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করেছিল জাপানের নাগাসাকি শহরে। এ বোমা হামলায় নিহত হয় অন্তত ৭০ হাজার বেসামরিক জাপানি নাগরিক। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ যখন প্রায় শেষ হওয়ার পথে এবং বিভিন্ন রণাঙ্গনে পরাজয়ের মুখে জাপান যখন এমনিতেই আত্মসমর্পণ বা যুদ্ধ থামানোর কথা ভাবছিল তখন এইসব পরমাণু বোমা ব্যবহার করে আমেরিকা। এর মাধ্যমে ততকালীন মার্কিন সরকার বিশ্বের সরকারগুলো ও জনগণের মধ্যে এ আতঙ্ক বদ্ধমূল করার চেষ্টা করেছে যে আমেরিকাই বিশ্বে সবচেয়ে বড় সামরিক ও অপরাজেয় শক্তি এবং এই বলদর্পী শক্তিকেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোড়ল বা পুলিশি সরকার হিসেবে সবাইকে মেনে নিতে হবে (সূত্র-রেডিও তেহরান)।

ভিয়েতনামের যুদ্ধে মাকিন বাহিনী যুদ্ধাপরাধের রেকড


মাকিন সাম্রাজ্যবাদের অন্যতম প্রধান যুদ্ধাপরাধ হলো ভিয়েতনাম যুদ্ধে ব্যাপক গণহত্যা চালানো।ইন্দোচীন ছিল ফ্রান্সের উপনিবেশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান একে দখল করে নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর একদিকে ইন্দোচীন স্বাধীনতার দাবী তোলে, অন্যদিকে ফ্রান্স সেখানে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ অবস্থায় ইন্দোচীনকে উত্তর ভিয়েতনাম, দক্ষিণ ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও লাওস এই চারটি রাষ্ট্রে ভাগ করা হয়। দক্ষিণ ভিয়েতনামে ফ্রান্সের পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়। এমতাবস্থায় দক্ষিণ ভিয়েতনামবাসীরা স্বাধীনতার জন্য এবং উত্তর ভিয়েতনামবাসীরা উভয় ভিয়েতনামকে একত্র করার জন্য আন্দোলন শুরু করে। দক্ষিণ ভিয়েতনামের পুতুল সরকার মার্কিন মদদে সে আন্দোলন দমনের প্রয়াস চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর্যায়ে মার্কিনীরা সেখানে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে। বিশ্বব্যাপী এর প্রতিবাদ জানান হয়। এমনকি খোদ মার্কিনীরা পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করে। কিন্তু মার্কিন প্রশাসন সকল প্রকার প্রতিবাদ উপেক্ষা করে সেখানে মার্কিন সৈন্য প্রেরণ করতে থাকে। সর্বমোট পাঁচ লাখ মার্কিন সৈন্য সেখানে জড়ো করা হয়। তারা ভিয়েতনামের পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করে এবং পাইকারী ভাবে আবাল বৃদ্ধ বনিতা সহ এক কোটিও বেশি মানুষ হত্যা করে। মার্কিনীরা নির্বিচারে বোমা মেরে হাসপাতাল, শিশুদের স্কুল, ধর্মীয় উপাসনালয় ধ্বংস করে। বেসামরিক এলাকায় নাপাম বোমা ফেলে নিরপরাধ নারী-পুরুষকে হত্যা করে। ১৯৬৫ সাল থেকে মোট ৭০ লাখ টনের ও বেশি বোমা ভিয়েতনামে ফেলা হয়; যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বোমার তিনগুনেরও বেশি । মার্কিন হিসাব মতে, এক লাখ ভিয়েতনামবাসী কেবল এই বোমার আঘাতে আগুনে পুড়ে মারা যায়। ধ্বংস হয় দু’শ হাসপাতাল ও সাতশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কথিত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ঠেকানোর সেই মার্কিনীদের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধে মার্কিন হিসাব অনুযায়ী ২৩ লাখ লোক প্রাণ হারায়। অবশ্য আমেরিকাও কম মূল্য দেয়নি। তাদের পাঁচ হাজার বিমান ও প্রায় দু’হাজার হেলিকপ্টার এই যুদ্ধে ধ্বংস হয়। হাজার হাজার মার্কিন সৈন্য প্রাণ হারায়। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাপী ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরুধী প্রতিবাদ তীব্র হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক চাপের কারণে হাজার হাজার মার্কিন সৈন্যের লাশ ভিয়েতনামে রেখে আমেরিকা সে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এবং এ যুদ্ধের মাধ্যমে মাকি©ন সাম্রাজ্যবাদের কলংজনক ইতিহাসের আরো একটি ঘৃন্য কলংক যুক্ত হলো ভিয়েতনামে গণহত্যার চালানোর মধ্য দিয়ে।

আফগানিস্তানে আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধ

মাকিন সাম্রাজ্যবাদ তার যুদ্ধাপরাধ ইতিহাসে আরো একটি কলংকের তিলক যুক্ত করলো আফগানিস্তানে গণহত্যার মধ্যদিয়ে।অভিশপ্ত ইহুদীদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ৯/১১ সংঘটিত হওয়ার পর শুরু হয় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মুসলিম বিশ্ব দখলের অভিযান। অথচ এটা প্রমাণিত সত্য যে,৯/১১ সংঘটিত হওয়ার পেছনে ইহুদীরাই মূল হোতা। তা না হলে কেন ৬ হাজার ইহুদীদের একজনও মরল না? ছকবাধাঁ পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯/১১ সংঘটিত করে মুসলিম বিশ্বের হামলার অজুহাত তৈরি করা হয়েছে । ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘকে বৃদ্ধ আঙ্গুল দেখিয়ে ২০০১সালে ৭ অক্টোবর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে মুসলিম গণহত্যা অভিযান শুরু করে। আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন এবং তালেবান দমনের নামে নিরহ নারী শিশুকে হত্যা করা হয়। সুপ্রতিষ্ঠিত আফগানিস্তানকে পরিণত করা হয় জীবন্ত কবর স্থানে। মসজিদ-মাদ্রাসা,হাসপাতাল,স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়,ঘর-বাড়ী সব কিছুকেই মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হয়। হত্যা করা হয় নিরহ লক্ষ লক্ষ জনসাধারণকে। অত্যাচার ও হামলা সইতে না পেরে লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষ পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। নিহত হয় পাঁচ লক্ষের অধিক নারী শিশু। মানবতা ও মানবাধিকারের কথিত সেবকরা তখন মুখে আঠা দিয়েছিল এবং কানে তুলা দিয়েছিল যাতে কোন কিছুই তারা শুনতে না পারে। ধিক! মানবাধিকারের সে ফেরিওয়ালাদের ধিক! দীর্ঘ দুই মাস হত্যাযজ্ঞের পর মার্কিন পশু বাহিনী আফগানিস্তান দখল করে নিতে সক্ষম হয়। এভাবে বত©মান সময় পয©ন্ত আফগানিস্তানে যুদ্ধাপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।

আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ

আফগানিস্তান যুদ্ধের অনেক গোপন তথ্য ফাঁস করে বিশ্বে উইকিলিকস আবারো সবার নজর কাড়ে। ‘দ্য আফগান ডায়েরি’ নামে আফগানিস্তান যুদ্ধের মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের ৯০ হাজারের বেশি গোপন নথি প্রকাশ করে হৈচৈ ফেলে দেয় উইকিলিকস। জুলিয়ান মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর হুমকি উপেক্ষা করে আরো গোপন তথ্য ফাঁসের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়াও আফগান যুদ্ধে আরো ১৫ হাজার গোপন নথিপত্র তারা প্রকাশ করে। পেন্টাগন বলছে, উইকিলিকস আফগান যুদ্ধের নথিপত্র প্রকাশ করে যে ক্ষতি করেছে তার চেয়েও বেশি ক্ষতি হবে এসব নথি প্রকাশ পেলে। সে সব দলিলে উঠে এসেছে আফগানিস্তানে ন্যাটো ও মার্কিন বাহিনীর বর্বরতা। উঠে এসেছে বন্দি নির্যাতন, গণহত্যা ও ড্রোন বিমানের বোমাবর্ষণের মাধ্যমে নিরপরাধ আফগানদের হত্যার বিবরণ।
তালেবান ও আলকায়েদা দমনের নামে আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোতে ন্যাটো বাহিনীর নির্বিচারে বোমা হামলা চালায়। নিহত হয় সাধারণ নিরপরাধ গ্রামবাসী। আর পরদিন ন্যাটো বিবৃতি দেয় আল কায়েদা সদস্য নিহত হয়েছে। এমন অসংখ্য দলিল প্রকাশ করে দেয় উইকিলিকস।
গোপন দলিল প্রকাশকারী ওয়েব সাইট 'উইকিলিক্স'-এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান আসাঞ্জে বলেছেন, আফগানিস্তানে যে যুদ্ধাপরাধের ঘটনা ঘটছে, এইসব নথিপত্রই তার প্রমাণ৷এটিকে সামরিক ইতিহাসের সবচেযে বড় গোপনীয়তা ফাঁসের ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে৷
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×