মাকিন সাম্রাজ্যবাদ অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত
স্বপ্নের আমেরিকায় কি পরিমান অপরাধ সংঘটিত হয় আমরা কি তা জানি? এফবিআইর এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, শুধু ২০০২ সালে আমেরিকায় অপরাধ সংগঠিত হয় ১১.৮৮ মিলিয়ণ, যা বাংদেশী হিসাবে দাড়ায় ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৮০ হাজার। গত বছর সারাদেশে আনুমানিক ১ কোটি ৪১ লাখ অপরাধের ঘটনা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জানানো হয়। কিন্তু অবাক হলেও সত্য বিশ্বে সব থেকে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে আমেরিকাতে। প্রতি বছর গড়ে ১ লাখ ৩২ হাজার মহিলা ধর্ষিতা হন আমেরিকার মতো সভ্য সমাজে। এই সংখ্যা আমেরিকানদের ভদ্রবেশি চেহারার আড়ালে যে আদিম বুনো চরিত্রের পাশবিকতা বিদ্যমান তাই তুলে ধরার জন্য যথেষ্ট। এই ভয়াবহ পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে সে দেশেরই মহিলা সংগঠন। পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে যে, প্রতি ৬জন ধর্ষিতার মধ্যে ২জন নারকীয় ধর্ষণের অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করতেও ভয় পান। কেননা তারা ভাবে এর জন্য তাদের ফের হেনস্থা হতে পারে। যে সকল ধর্ষিতা নারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়েছে তাদের অর্ধেকেরই অভিমত যে, তাঁদের পরিচিত মানুষরাই তাদের প্রতি বর্বর এই শারীরিক অত্যাচার করে থাকে। তবু তারা আইনের সাহায্য নিতে ইতস্তত করেন। এই সমীক্ষা আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে, বছরে ১ লাখ মহিলা ধর্ষিতা হন নিজেদের সঙ্গীদের কাছেই অর্থাৎ যাদের সাথে লিভ টু গেদার অথবা ভালবাসা ও বিশ্বাসের সম্পর্কে আবদ্ধ হন তাদের দ্বারাই ধর্ষিতা হয়ে থাকেন। আমেরিকায় ধর্ষণের ঘটনা জার্মানির থেকে চার গুণ বেশি। ইংল্যান্ড থেকে তেরো গুণ বেশি আর জাপানের তুলনায় ২০গুণ বেশি।বিগত পনের বছরে যত আমেরিকান নাগরিক আগ্নেয়াস্ত্রের দ্বারা নিহত হয়েছে,তাদের সংখ্যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত আমেরিকান সৈন্যদের মোট সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। পৃথিবীর অন্যতম ধনীদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ভীতিকর অপরাধকর্ম বৃদ্ধির হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে তিন গুন বেশি। ২০০৫ সালে আমেরিকায় ১০ বছরের কম বয়স্ক ঘাতক শিশুর সংখ্যার ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমিক স্কুল গুলোর শতকরা ৩১ ভাগ ছাত্র ছাত্রী অস্ত্র সহ ক্লাসে আসে। সে দেশে প্রতি সেকেন্ডে ১২ টি অপরাধ, প্রতি ২০ মিনিটে একটি খুন, প্রতি ৬ মিনিটে একটি ধর্ষন, প্রতি ৩ মিনিটে একটি ডাকাতি ও প্রতি মিনিটে একটি করে গাড়ি চুরির ঘটনা ঘটে। আমেরিকান কিশোর কিশোরীদের শতকরা ৮২ ভাগই ২০ বছর বয়স হওয়ার পূর্বে যৌন অভিজ্ঞতা অর্জন করে। প্রতি বছর মোট যত শিশু জন্ম নেয় তার মধ্যে শতকরা ৪১ ভাগই জারজ সন্তান।
সবচেয়ে বেশি চুরির দেশ আমেরিকা। অপরাধ তালিকায় শীষে© থাকা এদেশে প্রিয়জনদের হাতেও কেউ নিরাপদ নয়।গত বছরেই, ৬ জানুয়ারি সেন্ট পল-এ স্ত্রী মানিয়া জনসনকে গুলি করে খুন করে রজার জনসন। তার পর ১৮ মাসের সন্তানের সামনেই মৃতদেহ করাত দিয়ে কুচি-কুচি করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে গ্যারেজে রেখে দেয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি মেপ্লউড-এর বাসিন্দা ১৬ বছরের অ্যানা হার্ডকে গুলি করে মারে প্রেমিক অ্যান্টনি। ৭ মার্চ, অ্যাপ্ল ভ্যালির বাসিন্দা ৩৭ বছরের মারগোরি হল্যান্ডকে গলা টিপে, ঘাড় ভেঙে মেরে ফেলে স্বামী রজার হল্যান্ড। ১১ এপ্রিল ব্রুকলিন পার্কের ক্ল্যারেসা কুককে গুলি করে মারে প্রেমিক আলবের্তো পামার। ২৪ জুলাই জিয়ার রিভার এলাকায় সনিয়া অ্যান স্মিট-কে পিটিয়ে মেরে ফেলে প্রেমিক ইউজিন ন্যাসন। ইডেন প্রেইরি এলাকার ২১ সেপ্টেম্বর অনিত্রা র্যাচেল উইলিয়ামস-কে গুলি করে মারে স্বামী ডেরিক অ্যান্টনি উইলিয়ামস। পড়ে মাথা ঝিমঝিম করছে না? তালিকা আরও-আরও-আরও দীর্ঘ। আমেরিকার পচন আজকে শুরু হয়নি। সেই ১৯৭০ সালে ১৮ এর কম বয়সী ৫৪৫৯৬ জন শিশু বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিল৷ ১৯৯২ সালেএই সংখ্যা বেড়ে হয় ১,০৪,১৩৭ জন৷ আর ১৯৯৪ সালে প্রায় ২২ লাখ। এর মধ্যে ৩১০২জন গ্রেফতার হয়েছে খুনের অভিযোগে৷১৯৯১ সালে আমেরিকাতে ধর্ষনের শিকার শিশু কিশোরীর সংখ্যা ছিলো ২৭ লাখ৷ তারমানে ওই বছর প্রতি ৪ মিনিটে একটি করে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে৷ রুচি বদলের জন্য আমেরিকান সমাজে বাবা তার ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষন করে৷ এ হলো সভ্যতার লেবাসধারী আমেরিকানদের আংশিক সন্ত্রাসের বিবরণ মাত্র।
শিশু ও নারী নিযাতন
এ্যাভোনা ফাউন্ডেশন ফর উইমেন নামক একটি আর্ন্তজাতিক সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়-যে বিশ্বে প্রতি তিনজনের একজন মহিলা জীবনে সহিংসতার শিকার হয়ে থাকেন। পক্ষান্তরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি নয় সেকেন্ডে একজন মহিলা নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়-বিশ্বে প্রায় ১০০ কোটি মহিলা সহিংসতায় শিকার। এক বিংশ শতাব্দিতে ও বিশ্বে উদ্বেগজনক হারে নারী নির্যাতন চলছে এবং নারী নির্যাতনের হার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ঘন্টায় ৪০০ জন করে একদিনে প্রায় ১০ হাজার নির্যাতনের শিকার হন। এক বিংশ শতাব্দিতে জ্ঞানে বিজ্ঞানে প্রযুক্তিতে সম্পদে শক্তিতে শীর্ষে অবস্থানকারী এই দেশটিতে নারী নির্যাতনের এই চিত্র নিঃসন্দেহে যে হতাশাজনব তা ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না।
বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনাচার ও অবাধ যৌনাচারের কাহিনী পৃথিবী খ্যাত। নিন্মে সে রকম একটি ঘটনা পাঠকের জ্ঞাতার্থে তুলো ধরা হলঃ-
এ ঘটনাটি মার্কিন সমাজ ব্যবস্থাকে বড় ধরণের ঝাঁকুনি দিয়েছে। গত ৫০ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ রকম শিশু ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে নাই। এ ঘটনার মাধ্যমে জানা যাবে মার্কিন সমাজের আসল রুপটি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খ্রিস্টধর্মের একটি ধারার নাম (সেন্ট) বিশ্বাসী ভিন্ন মতাবলম্বী। প্রায় ১০০ বছর আগের মরম্যান চার্চ থেকে তারা বেরিয়ে আসে,যখন মরম্যান চার্চ পুরুষের বহু বিবাহি নিষিদ্ধ করে। সেই থেকে এখনো লেটার ডে সেন্টসরা নামের মৌলবাদী সেন্টরা বহু বিবােিহর চর্চা করে আসছে। এল দোবোদোর একটি বড় খামার বাড়ির মধ্যে একটি কম্পাউন্ডে দীর্ঘদিন ধরে চলেছে তাদের অবাধ যৌনাচার। এ স্থানটি টেক্সাসের শান্ত শহর নামে খ্যাত। প্রায় চার বছর আগে সাত লাখ ডলার দিয়ে কেনা এক হাজার ৭০০ একরের এ বাড়িটি। বর্তমানে লেটার ডে সেইন্টের সদস্যদের নেতা ও ওই খামার বাড়িটির মালিক হচ্ছেন ওয়াবেন জেফস। উতাহ ও অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে শিশু ধর্ষনের দায়ে এরই মধ্যে তিনি পাঁচ-দশ বছর জেল খেটেছেন। তাঁর ছেলের বিরুদ্ধেও ধর্ষংনরে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক কাজের কথা বলে লেটার ওড সেইন্টেসের সদস্যরা নারী ও শিশুদের ওই খামার বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। এরপর বয়স্ক পাদ্রিদের সঙ্গে তাদের “স্পিরিচুয়াল ম্যারেজ” ঘটানো হয়। তারপর শুরু হয় যৌনাচার। লেটার ডে সেইন্টেসের সদস্যরা খুব গোপনে যৌন কর্মে লিপ্ত হতো। এ কারণে শহরের কেউ তেমনভাবে কিছু জানতে পারেনি। নির্যাতন সইতে না পেরে গত ২৯ মার্চ ০৮‘ ১৬ এক কিশোরী তার মোবাইল ফোনে পুলিশকে নির্যাতনের কথা জানায়। কিছুটা অবিশ্বাস ও বিস্ময় নিয়ে পুলিশ সেখানে হেলিকপ্টারের সহায়তায় অভিযান চালায়। তারা খামার বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকে। লক্ষণীয় পুলিশ ও খুব গোপনে অভিযান শুরু করে। পাছে গণ মাধ্যমের কর্মীরা জেনে ফেলেন। অভিযানে পুলিশ প্রায় ৪০০ শিশু ও ১০০ নারীকে উদ্ধার করে আনে। যাদের চোখে মুখে ছিল ভয় আর আতংকের চিহৃ। অসংখ্যবার যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ায় তাদের শিশু সুলভ চপলতা, কোমলতা হারিয়ে গেছে। পুলিশের খাতায় ও কিশোরী সারাহ নামে পরিচিত। তদন্তকারী দলকে সে জানায়-তার ৫০ বছর বয়সী স্বামীর সঙ্গে যৌন কর্মে লিপ্ত না হলে তাকে বেদম মারধর করা হতো না খাইয়ে রাখা হতো। নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করা হতো। অভিযানের পর পুলিশ ওই শিশুদের নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। মানসিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে এখন তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাদের মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তবে শিশুদের মধ্যে কয়েকজন পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তার আর স্বাভাবিক হতে পারবে কিনা তা নিয়ে চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন। অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান ওই খামার বাড়িতে তারা বেশ কয়েকটি ভবন দেখতে পেয়েছেন। নানা ধরনের ফলের খামার বাড়িটি সাজানো। বাইরে থেকে কেবল ৮০ ফুঁট উঁচু একটি পাথরের ইমারত দেখা যায়। আর ইমারতের বিছানা ,সেখানে লেটার ডে সেইন্টেসের সদস্যরা শিশুদের যৌনাচার করে। এরপর সেগুলোকে ভিডিও করে বিভিন্ন ডিভিডি ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তারা টাকা উপার্জন করতো। ডে লেটার সেইন্টেসের সাবেক সদস্য ফ্লোরা জেইস জানান-নির্যাতিত শিশু ও নারীরা যা বলেছে তার পুরোটাই সত্য। সেখানে যাওয়া মানে হলো ভয়ংকর বিপদের মধ্যে চলে যাওয়া। সেখানে শিশু-কিশোরদের হাত পা বেঁধে আটকে রাখা হয়। তারা কিশোরীদের চাবুক দিয়ে পেটাবে, শারীরিক ও মানসিক ভাবে শেষ করে দেবে। স্থানীয় মানুষজন প্রকুত পক্ষেই এসব কার্যকলাপের কিছুই জানত না।
তালাকের রাজধানী আমেরিকা
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রকে বর্তমানে তালাকের রাজধানী বলা হয়। বুক অফ ট্যাকসর ১৯৭৭ এর রির্পোট মোতাবেক ১৯৭৬ সালে প্রথম ছয় মাসে আমেরিকায় ৯৮৭০০০ টি বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। তখন ৫৩৮০০০ টি তালাকের ঘটনা ঘটে। অর্থ্যাৎ প্রতি মিনিটে গড়ে ২ টি করে বিবাহ তালাকের মাধ্যমে ছিন্ন হয়। লসএঞ্জেলেসে প্রতি বছর প্রায় ৫০,০০০ তালাক সরকারী ভাবে নথীভূক্ত করা হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পূর্বে ১৮ টি বিয়ের মধ্যে ১ টি তালাক কার্যকর করা হতো। ১৯৬০ সালে থেকে তা ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরবর্তী ২৫ বছর এ হার তিন গুন বৃদ্ধি পায়। এখন বার্ষিক তালাকের সংখ্যা ১১,৬০,০০০ টি। আর একটি পরিসংখ্যানে জানা যায়, আমেরিকায় বার্ষিক ১৫ লাখ নারী তালাক প্রাপ্ত হয়।
অবৈধ সন্তান
আমেরিকার জৈনিক বিশেষজ্ঞ মুহানী বিশ্বকে চমকে দেওয়ার মতো এক গবেষনা করেছেন। তাতে তিনি এক পর্যায়ে বলেন,শ্বেতাংঙ্গ লোকদের মধ্যে অবৈধ সন্তানের ব্যাপকতা অনেক। ১৯৬০ সালে এই নোংরামী কৃষ্ণাঙ্গদের এলাকায় আসে। তখন মুহানী বিপদ সংকেত বাজিয়ে বলেছিল, যদি এই নোংরামী বন্ধ করা না হয়, তবে কৃষ্ণাঙ্গদের পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে। ১৯৯১ সালে ১২ লাখ অবৈধ সন্তান জন্ম হয়েছে। গত দিন জন্ম নেওয়া শিশুদের সংখ্যা ৩০%, কৃষ্ণাঙ্গ ৩২%, শ্বেতাংঙ্গ ২২%। টাইমস এর একটি পরিসংখ্যানে জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক ২০ লাখ অবৈধ সন্তান জন্ম নেয়। ১৯৬৩ সালে ২০ লাখ জারজ সন্তান জন্ম নেয় পরবর্তী বছরে সাড়ে তেইশ লাখ। বর্তমানে কয়েক কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জারজ সন্তানে গিজ গিজ করছে।
অপরাধের দেশ
আমেরিকা তো পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ। সেখানে ১৯৬৫সালে ৫০ লাখ অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে।অথচ জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় বিপদজনক অপরাধের বৃদ্ধির পরিমান ১৪গুণ বেশি। অপরাধ বৃদ্ধির শতকরা হার ১৭৮% তখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির শতকরা হার ছিল ১৩% ছিল। প্রতি ১২ সেকেন্ডে একটি অপরাধ সংঘঠিত হয়। প্রতি ঘন্টা পর একজন লোক খুন হচ্ছে, প্রতি ২৫ মিনিটে একটা করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, প্রতি মিনিটে একটি চুরির ঘটনা ঘটছে, প্রতি ৫ মিনিটে ১টি ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ১৯৫১ সালে ১ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৩০ জনে ১টি খুন। ১৯৬০ সালে ৫জন, ১৯৬৭ সালে ৯জন। প্রতি মিনিটে একটি হত্যাকান্ড, আটটি চুরির ঘটনা, মাসে পচিশ হাজার কার চুরি হয়। আমেরিকায় প্রতি বছর হাজার হাজার শিশু যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ জাতীয় ঘটনায় কেবল ২০১০ সালে আমেরিকায় ১,৬০০ শিশু মারা গেছে।
বিপদজনক শহর ওয়াশিংটন
আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন। যেখানে যুবকদের জন্য ১৬ জুলাই থেকে রাতে কারফিউ জারীর জন্য আইন করে ওয়াশিংটনের মেয়র স্বাক্ষর করেছেন। ঐ আইনের অধীনে ১৭ বছর ও তার চেয়ে কম বয়সী যুবকদের ঘুরাফেরা বে-আইনি ঘোষনা করা হয়েছে। উদ্দ্যেশ্য-রাতে যুবকদের ঘরে থাকতে হেেব। এ আইন না মানলে অর্থদন্ড জরিমান গুনতে হবে অভিভাকদের। ওয়াশিংটন ডিসির অপরাধ প্রবনতা কমানোর এ উদ্যেগ। কেননা পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদজনক শহন হল ওয়াশিংটন। ১৭ জুলাই প্রকাশিত দৈনিক ‘খবর’ পত্রিকায়ও ওয়াশিংটন সম্পর্কে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে,আমেরিকা রাজধানী যেমন মর্যাদাপূর্ণ ঠিক তদ্রুপ নিকৃষ্টতম শহর যা চারিত্রিক সামাজিক ও স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার দিক থেকে একদম অধঃপতনের শিকার হয়েছে।