somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস সফল হউক

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হাজার বছর ধরে ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র । প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঔপন্যাসিক ও গল্পকার জহির রায়হান এর কালজয়ী উপন্যাস হাজার বছর ধরে অবলম্বনে একই শিরোনাম নির্মিত হয়েছিল ছবিটি । সরকারি অনুদানের এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন জহির রায়হানের সহধর্মিনী এক সময়ের বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা । ছবিতে প্রধান দুটি চরিত্র মন্তু ও টুনির ভুমিকায় অভিনয় করেছেন রিয়াজ এবং নবাগত শশী । এছাড়াও শাহনুর, সুচন্দা, এটিএম শামুজ্জামান সহ আরো অনেকে অভিনয় করেছেন । ছবিটি দক্ষ নির্মাণ শৈলী দিয়ে নির্মাণ করে সুচন্দা চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের কাছে দারুন ভাবে আলোচিত হয়েছেন । এবং জিতে নেন মেরিল প্রথম আলো পূরস্কার এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পূরস্কার এর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পূরস্কার । ছবিটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পূরস্কার সহ মেরিল প্রথম আলো পূরস্কার এর একটি বিশেষ পুরস্কারসহ মোট চারটি বিভাগে ও পরে ঘোষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পূরস্কার ২০০৫ এর মোট ছয়টি বিভাগে পূরস্কার লাভ করেন । নদী বয়ে চলেছে আপন গতিতে । গাছে গাছে ফুল ফোটে । আকাশে পাখি উড়ে আপন মনে গান গায় । হাজার বছর ধরে যেই জীবনধারা বয়ে চলেছে তাতে আশা নিরাশা প্রেম ভালবাসা চাওয়া ও পাওয়ার খেলা চললেও তা সহজে চোখে পড়ে না অন্ধকারে ঢাকা থাকে। কঠিন অচলায়তন সমাজে আর যাই থাকুক নারীর কোন অধিকার নাই । নারী হাতের পুতুল মাত্র । পুরুষ তাকে যেমন নাচায় তেমন নাচে । নিজের ইচ্ছেতে কাউকে বিয়ে করাটা এমন সমাজে অপরাধ গুরুতর অপরাধ । অন্ধকার এই সমাজে আনাচে কানাচে বাস করে কুসংস্কার, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, নারী নির্যাতন ।

পরীর দীঘির পাড়ের একটি গ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কাহিনী। কখন এই গ্রামের গোড়াপত্তন হয়েছিল কেউ বলতে পারে না। এক বন্যায় কাষেম শিকদার আর তার বউ বানের পানিতে ভেলায় ভাসতে ভাসতে এসে ঠাই নিয়েছিল এই জায়গায় । সেই থেকে এখানে পত্তন হয়েছিল শিকদার বাড়ির ।

শিকদার বাড়ীতে বাস করে বৃদ্ধ মকবুল এটিএম শামসুজ্জামান এবং তার তিন স্ত্রী সহ আবুল সিরাজ হায়দার রশিদ ফকিরের মা নাজমা আনয়ার ও মন্ত চরিত্রে রিয়াজ এবং আরো অনেকে । বৃদ্ধ মকবুলের অষ্টাদশি বউ টুনির শশী মনটা মকবুলের শাসন মানতে চায় না । সে চায় খোলা আকাশের নিচে বেড়াতে হাসতে খেলতে । তাই সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয় অল্প বয়সী সঠামদেহী মন্তকে । মন্ত বাবা মা হারা অনাত এক যুবক । বিভিন্ন কাজ করে বেড়ায় । টুনি আর মন্ত সকলের অগোচরে রাতের বেলায় বেরিয়ে পড়ে মাছ ধরতে । বর্ষায় যায় শাপলা তুলতে । এমনি করে দুজন দুজনার কাছে এসে যায় । অব্যক্ত ভালবাসার জোয়ারে ভাসে ওরা দুজনই । কিন্ত কেউ মুখ ফুটে কেউকে বলতে পারেনা মনের কথা লোক লজ্জার ভয়ে । সমাজের রক্ত চক্ষু ওদের দুরে রাখে । গাঁও গেরামে যা হয় কলেরা বসন্তের মড়ক লাগলে উজাড় হয়ে যায় কয়েক ঘর মানুষ । ডাক্তার না দেখিয়ে টুকটাক তাবিজ করে এভাবেই দিন চলে যায় অনেকের কেউ ছুটে চলে মৃত্যুর দিকে আবার কেউ বা জীবনের সাথে যুদ্ধ করে ছুটে চলে বাঁচার দিকে একেই বলে জীবন । মকবুলের আকস্মিক মৃত্যর পর মন্ত যখন মনের কথা টুনিকে খুলে বলে তখন অনেক দেরী হয়ে যায় ।

গুন মোল্লা, আবলি, রশদ, ফকিরের মা, সালেহা কেউ নেই । টুনির সঙ্গে মন্তর অনেক দিন দেখা হয়না । টুনি হারিয়ে গেছে তার জীবন থেকে তবুও টুনিকে মাঝে মাঝে মনে পড়ে মন্তর । এমনি করে অনেকটা সময় পার হয়ে যায় অনবরত । রাতের বেলা সুরত আলীর ছেলে ওর বাপের মতোই পুঁথি পাঠ করে । শোন শোন বন্ধুগনে শোন দিয়া মন ভেলুয়ার কথা কিছু শোন সর্বজন । ভেলুয়া সুন্দরীর কথা সবাই শানে । একই তালে একই সুরে হাজার বছরের অন্ধকার এক ইতিহাস নিয়ে এগিয়ে চলে সবাই । হাজার বছরের পুরনো জোৎসনা ভরা রাতে একই পুঁথির সুর ভেসে বেড়ায় বাতাসে ।

কালের আবর্তে সময় গড়ায় । প্রকৃতিতেও পরিবর্তন আসে । শুধু পরিবর্তন আসেনা অন্ধকার কুসংস্কারাছন্ন গ্রাম বাংলার আচলায়াতন সমাজে । চলতে থাকে যুগের পর যুগ নারী অর্থাৎ মা বোনদের উপরে । শুধু এখানেই শেষ নয় অন্যবধ্য আরেকটি বাংলা সিনেমা যেমন বউ শাশুড়ীর যুদ্ধ । এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে কিভাবে একজন শাশুড়ী একজন পুত্র বধূ অর্থাৎ একজন নারী হয়ে আরেকজন নারীকে নির্যাতন করেন । প্রতিটি গ্রাম বাংলায় চলছে নারী নির্যাতন । বাল্য বিবাহের নামে নারী দের ঠেলে দেয়া হয় ধংশের দিকে । আজকের নারী দিবসে সকলের কাছে একান্ত অনুরোধ আসুন নারীদের কাছে আরো এগীয়ে আসুন তাদের পাশে দাঁড়ান । নারীদের মা বোন ভাবতে শিখুন । বিবাহিত ভাইদের বলছি আপনার শ্ত্রী আমার বোন নয়ত ভাবী সে তার বাবা মা ভাই বোন আপন সকলকে ছেড়ে শুধু লাল শাড়ীটি পড়ে আপনার হাত ধরে চলে এসেছে তাই আপনাকে ভাবতে হবে বিয়ের পর আপনার শ্ত্রী এর আপনিই এক মাত্র আপনজন আপনি ছাড়া আর কেহ তার আপন নাই । নারী নির্যাতন দিবস সফল হউক ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১৭
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×