দেশে এখন চলছে এক্টা হাসজারু সরকার।এইটা না হাস,না সজারু,না সিভিল সরকার না মিলিটারি সরকার।এই সরকাররে কেউ নির্বাচিত করে নাই,ফখরুদ্দিন সাহেব সংবিধানের কোন ধারায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হইলেন এইটা কেউ কইতে পারবো না,কিভাবে ১২০ দিনের বেশি জরুরী অবস্থা জারি থাকে সংবিধানরে ডিঙাইয়া সেইটা বুঝা যাইতেছে না।
আওয়ামীলীগ আর বি.এন.পি'র মাঝে ডজন ডজন চোর বাটপার ধরা পড়লো ,মাগার জামাতি মন্ত্রীরা নাকি দুধে ধোয়া তুলসি পাতা,তাগোরে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য প্রাপ্ত প্লটে বাড়ি বানাইতে দেয়া হইতেছে।
জিনিষপত্রের দাম বাইড়া কুল মিলতেছে না।বড়ো বড়ো ব্যবসায়ীদের এল.সি খুলতে দিতেছে না,হ্যানত্যান কাগজপত্র চায়,বড়ো ব্যবসায়ীগো দেশ বিদেশে বাড়ি গাড়ি আছে ,কয়েক জেনারেশন বইসা খাইবার টাকা আছে,তারা এই ভ্যজালে যাইতেছে না,এই অবস্থায় জিনিষপত্র কে আনবো আর কে বেচঁবো।
পুরা সরকার চলতেছে সমন্বয়হীনতায়।সকালে লিস্ট বাইরায় বিকালে প্রত্যাহার হয়।শেখ হাসিনারে চিঠি দিয়া শেখ হাসিনার বউয়ের সম্পত্তির হিসাব চাইছে,শালার ফাউল পাবলিকগুলা এক্টা চিঠিও লিখতে পারে না ঠিকমতো,তারা করবো দূর্নীতি দমন!
কর্মসংস্থান কমতে কমতে শূণ্যের কোটায় যাইতেছে।পাটকল বন্ধ হইতেছে ৪টা ,গার্মেন্টস বন্ধ হইছে ৭ মাসে সাড়ে ৩শ, হাজার হাজার হকার আর গ্রামের ক্ষুদ্র দোকানদারদের উচ্ছেদ কইরা পথে বসাইয়া দিছেন,নতুন বিনিয়োগ নাই,নতুন বিনিয়োগ নিয়া কেউ আইতে সাহস করতেছে না।
এন.বি.আর এর বদির মুখনিসৃত কথা শুনলে পিত্তি জ্বইলা যায়,যাদের গাড়ি আছে তারা নাকি সালাম পায় আর সেই সালাম পাইবার জন্য তাদেরকে ট্যক্স দিতে হইব।কতোটা দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষ হইলে এইরকম কথা কইতে পারে।
৭ মাস হইয়া শেষ,নির্বাচন কমিশনের প্রধান ঢুলু ঢুলু চউক্ষে খালি ঝিমঝিম কথা কয়,৭ মাসের অর্জন নিয়া কথা কইলে দেখা যাইব সেখানে কওনের মতো কোন অর্জন নাই,এই বিষয়টা একটা টেনশন হইয়া উঠতেছে।
সিলেটের গ্রামে দাওয়াত খাইবার সময় আওয়ামীলীগের ছোটছোট নেতাকর্মীদের জরুরী অবস্থা ভঙ্গের জন্য গ্রেফতার করা হয়,কিন্তু কোরাইশী ঠিকই ফাইভস্টার হোটেলে দাওয়াত খায়,হোন্ডা লইয়া মিছিল করে,সেইটা সরকারের চোখে পড়ে না,এই ধরনের দুইমুখী নীতি নিয়া পাবলিকের চোখে ধুলা দেয়া আসলেই বড়ো কষ্টের।
আমি জানি গনতন্ত্র আইলে এই অবস্থা হয়তো খুব এক্টা পাল্টাইবে না,পাবলিক হয়তো যে তিমিরে আছে সেই তিমিরেই থাকবো,তবু জিডিপির অব্যাহত গ্রোথ দেখে আমরা আশাবাদী হই।
তার চেয়ে বড়ো কথা,আগের জামাইর কিল খাইয়া কানতে পারতাম ,এই জামাইর কিল খাইয়া কান্দিতেও মানা।
আমি জানি জামাইর কিল খাওয়া আমার নিয়তি,সেইটা থেকে উত্তরনের কোন আশা আমি করি না,তবু কিল খাইয়া কান্দিবার স্বাধীনতাটুকু আবার ফিরত চাই।