বড় করে দেখুন : View This Link
যাত্রা শুরু হলো পৃথিবীর ইতিহাসের বৃহত্তম ও বিলাসবহুল প্রমোদতরি 'ওয়েসিস অব দি সিজ' ৷ জাহাজটি নির্মাণে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয় । সম্পূর্ণ নির্মান কাজ শেষ হয় আড়াই বছরে।
প্রমোদতরিটি যেকোন প্রমোদতরি থেকে ৪০ শতাংশ বড় ৷ টাইটানিকের চেয়ে আকারে ৫ গুণ বেশি বড় বিলাসবহুল এই জাহাজ। এতোদিন পৃথিবীতে সর্ববৃহৎ জাহাজ হিসেবে খ্যাত ছিলো ইনডিপেন্ডেন্স/ফ্রিডম অফ দ্যা সিজ যার তুলনায় ওয়েসিস অফ দ্যা সিজ পাক্কা ৭৫ ফুট বেশি লম্বা।
এটি বাল্টিক এবং আটলান্টিকে যাতায়াত করবে ৷ ওয়েসিস অফ দ্য সিজ লম্বায় সর্বমোট ১,১৮৭ ফিট এবং এর ওজন ২ লক্ষ ২৫ হাজার ২৮২ গ্রস টন। জাহাজটির যাত্রী ধারন ক্ষমতা প্রায় ৬ হাজার ২৯৬ জন এবং ২,১০০জন ক্রুর ধারণ ক্ষমতা। নয় রাতে ইস্টার্ন ক্যারিবিয়ানে প্রমোদভ্রমণের জন্য সর্বনিন্ম ভাড়া হবে ১,২৯৯ ডলার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪,৮২৯ ডলার পর্যন্ত। ।
ফিনল্যান্ডে ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে "ওয়েসিস অফ দ্য সিজ" এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণের অর্ডার দেয় রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল। প্রায় আড়াই বছর পর গত ২৮শে অক্টোবর জাহাজটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয় এবং রয়্যাল ক্যারিবিয়ানের কাছে ক্রুজ শিপটি হস্তান্তরিত হয় ।
জানা যায় , জাহাজটির নাম করনের পূর্বে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ‘নেম দ্যাট শিপ’ নামের এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলো। প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৯১ হাজার নাম সংগৃহীত হয়। সেই প্রস্তাবিত নাম থেকেই "ওয়েসিস অফ দ্য সিজ " নামটি নির্বাচিত করা হয় ।
বড় করে দেখুন : View This Link
রয়্যাল ক্যারিবিয়ানের দাবি, এটি বিশ্বের সবচে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ৷ওয়েসিস অফ দ্য সিজ সর্বমোট ২০ তলাবিশিষ্ট জাহাজ, যা নিচু কোনো ব্রিজের নিচ দিয়ে যাবার সময় প্রয়োজনে গতিবেগ বাড়িয়ে পানিতে পুরো জাহাজের অবস্থান আরো নিচু করে ফেলতে পারে। ডেনমার্কের দি গ্রেট বেল্ট ব্রিজের উচ্চতা ওয়েসিস অফ দ্য সিজের চেয়ে মাত্র ১ ফুট বেশি। অথচ খুব সহজেই গতি বাড়িয়ে ওয়েসিস অফ দ্য সিজ অতিক্রম করেছে এই সেতু।
বড় করে দেখুন : View This Link
জাহাজের বৈশিষ্টগুলোকে সর্বমোট ৭টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে সেন্ট্রাল পার্ক, পুল, ফিটনেস সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদি।
বড় করে দেখুন : View This Link
জাহাজের পাটাতনের ওপর রয়েছে সেন্ট্রাল পার্ক ধরনের বিশাল খোলা জায়গা ।
বড় করে দেখুন : View This Link
যেখানে ছোট ছোট গাছ লাগানো রয়েছে ৷
বড় করে দেখুন : View This Link
বড় করে দেখুন : View This Link
জাহাজের ২৫৪ টি রুম থেকে এ পার্ক দেখা যাবে৷ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রুম ফাইন্ডার যাত্রীদের রুম খুঁজে পেতে সহায়তা করবে৷
বড় করে দেখুন : View This Link
প্রাচীন গ্রিক এম্ফিথিয়েটারের আদলে গড়া ৭৫০ আসনের একুইয়া থিয়েটার রয়েছে তরিটিতে৷
বড় করে দেখুন : View This Link
বড় করে দেখুন : View This Link
এছাড়া রয়েছে ২৪টি রেস্তোরা ।
বড় করে দেখুন : View This Link
একটি ক্যাসিনো সঙ্গে রয়েছে একটি বার ৷
বড় করে দেখুন : View This Link
বড় করে দেখুন : View This Link
বড় করে দেখুন : View This Link
ইতিহাসের বৃহত্তম এই জাহাজে রয়েছে সর্বমোট ১৬টি ডেক, ২,৭০০টি সুসজ্জিত কক্ষ (স্টেয়ার রুম বা কেবিন)।
বড় করে দেখুন : View This Link
ওয়েসিস অফ দ্য সিজে রয়েছে একটি পার্ক বা উদ্যান, যেখানে ১২ হাজার গাছের চারা এবং ৫৬টি গাছ রয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এটিই প্রথম ভাসমান উদ্যান।
বড় করে দেখুন : View This Link
আরো রয়েছে ভলিবল কোর্ট, বাস্কেটবল কোর্ট ।
বড় করে দেখুন : View This Link
চারটি বিশালাকৃতির সুইমিং পুল ।
রয়েছে পুল সার্ফিংয়ের সুবিধা ।
বড় করে দেখুন : View This Link
জাহাজে আরো রয়েছে ইয়থ জোন, যেখানে আছে কম্পিউটার গেমিং ও সাইন্স ল্যাবরেটরিসহ নানান আকর্ষণীয় বিষয়।
বড় করে দেখুন : View This Link
রয়েছে থিম পার্ক এবং বাচ্চাদের জন্য বিশেষ নার্সারি ও খেলাধূলার স্থান।
বড় করে দেখুন : View This Link
বড় করে দেখুন : View This Link
জাহাজের প্রায় প্রতিটি অংশে রয়েছে শপিং সেন্টার এবং কিডস জোন সহ আরো কত কি ।
বড় করে দেখুন : View This Link
রয়েছে সুপরিসর পায়ে হেঁটে যাওয়ার রাস্তা যা আপনাকে নিজের শহরে হেঁটে যাওয়ার অনুভূতি দেবে ।
বড় করে দেখুন : View This Link
জাহাজের পেছনের অংশে রয়েছে ৭৫০টি আসনসমৃদ্ধ থিয়েটার যার মধ্যে রয়েছে সুইমিং পুল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, জাহাজের এই জায়গাটি দিনে ব্যবহৃত হয় সুইমিং পুল হিসেবেই অথচ রাতে ব্যবহৃত হয় সাগরের একটি থিয়েটার হিসেবে ।
তথ্য সূত্রঃ উইকিপিডিয়া , ওয়েসিস অফ দ্যা সিজ প্রেস রিলিজ , ডেইলি মেইল ইউকে , ইউ এস এ টুডে
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫২