somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাজ্জাল, ইয়াজুজ মাজুজ সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসের আলোকে

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইয়াজুজ-মাজুজের পরিচয়ঃ

ইয়াজুজ মাজুজ এরা নবী নূহ( আঃ ) বংশোদ্ভুত দুটি জাতি। কুরআন মাজীদে এ জাতির বিস্তারিত পরিচয় দেয়া হয়নি। হাদীস শরীফে বলা হয়েছে তাদের নাক চ্যাপ্টা, ছোট ছোট চোখ বিশিষ্ট। এশিয়ার উত্তর পুর্বাঞ্চলে অবশিত এ জাতির লোকেরা প্রাচীন কাল হতেই সভয় দেশ সমুহের উপর হামলা করে লুটতরাজ চালাত। মাঝে মাঝে এরা ইউরোপ ও এশিয়া উভয় দিকে সয়লাবের আকারে ধবংসের থাবা বিস্তার করতো।
বাইবেলের আদি পুস্তকে(১০ম আধ্যায়ে) তাদেরকে হযরত নুহ ( আ: ) এর পুত্র ইয়াকেলের বংশধর বলা হয়েছে। মুসলিম ঐতিহাসিক গন ও একথাই মনে করেন রাশিয়া ও ঊওর চীনে এদের অবস্থান বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। সেখানে অনুরুপ চরিত্রের কিছু উপজাতি রয়েছে যারা তাতারী, মঙ্গল, হুন ও সেথিন নামে পরিচিত।

তাছাডা একথাও জানা যায় তাদের আক্রমন থেকে আত্নরক্ষার জন্ন ককেম্পসের দক্ষিণাঞ্চলে দরবন্দ ও দারিয়ালের মাঝখানে প্রাচীর নির্মান করা হয়েছিল। ইসরাঈলী ঐতিহাসিক ইউসীফুল তাদেরকে সেথীন জাতি মনে করেন এবং তার ধারণা তাদের এলাকা কিষ্ণ সাগরের উওর ও পুর্ব দিকে অবস্থিত ছিল। জিরোম এর বর্ণনামতে মাজুজ জাতির বসতি ছিল ককেশিয়ার উওরে কাস্পিয়ান সাগরের সন্নিকটে।

ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কিত তথ্য :

কিয়ামতের আলামতগুলোর মধ্যে “ইয়াজুজ-মাজুজ”-এর উত্থান অন্যতম। ইয়াজূজ মাজূজ সম্প্রদায় আদম ( আঃ )-এর বংশধর। তারা ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে ঈসা ( আঃ )-এর সময় পৃথিবীতে উত্থিত হবে।
শাসক যুলক্বারনাইন তাদেরকে এখন প্রাচীর দিয়ে আটকিয়ে রেখেছেন (সূরা কাহফ, আয়াত ৯২-৯৭)।
-ঐ প্রাচীর ভেঙ্গে তারা সেদিন বেরিয়ে আসবে এবং সামনে যা পাবে সব খেয়ে ফেলবে। এমনকি তাদের প্রথম দলটি নদীর পানি খেয়ে শেষ করে ফেলবে এবং শেষদলটি এসে বলবে ‘হয়ত এখানে কোন একসময় নদী ছিল’ । তাদের সাথে কেউ লড়াই করতে পারবে না।

-এক সময় তারা বায়তুল মুক্বাদ্দাসের এক পাহাড়ে গিয়ে বলবে,”দুনিয়াতে যারা ছিল তাদের হত্যা করেছি। এখন আকাশে যারা আছে তাদের হত্যা করব।” তারা আকাশের দিকে তীর নিক্ষেপ করবে। আল্লাহ তাদের তীরে রক্ত মাখিয়ে ফেরত পাঠাবেন।

-এসময় ঈসা ( আঃ ) তাদের জন্য বদদো‘আ করবেন। এতে স্কন্ধের দিক থেকে এক প্রকার পোকা সৃষ্টি করে আল্লাহ্‌ তাদেরকে ধ্বংস করবেন। তারা সবাই মারা যাবে ও পঁচে দুর্গন্ধ হবে। সারা পৃথিবী জুড়ে তাদের লাশ থাকবে । আল্লাহ শকুন পাঠাবেন। লাশগুলোকে তারা নাহবাল নামক স্থানে নিক্ষেপ করবে। মুসলিমরা তাদের তীর ও ধনুকগুলো ৭ বছর জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করবে। ( বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৭৫) ।

ইয়াজূজ এবং মাজূজের উদ্ভব/আকারঃ

- ইয়াজূজ এবং মাজূজ হচ্ছে আদম সন্তানের মধ্যে দু-টি গোত্র, যেমনটি হাদিসে এবং বিভিন্ন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ অস্বাভাবিক বেঁটে, আবার কিছু অস্বাভাবিক লম্বা। কিছু অনির্ভরযোগ্য কথাও প্রসিদ্ধ যে তাদের মাঝে বৃহৎ কর্ণবিশিষ্ট মানুষও আছে, এক কান মাটিতে বিছিয়ে এবং অপর কান গায়ে জড়িয়ে বিশ্রাম করে।

-বরং তারা হচ্ছে সাধারণ আদম সন্তান। বাদশা যুলকারনাইনের যুগে তারা অত্যধিক বিশৃঙ্খল জাতি হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিল। অনিষ্টটা থেকে মানুষকে বাঁচাতে যুলকারনাইন তাদের প্রবেশ পথ বৃহৎ প্রাচীর নির্মাণ করেছিলেন।

-নবী করীম ( সা: ) বলে গেছেন যে, ঈসা নবী অবতরণের পর তারা সেই প্রাচীর ভেঙে বেরিয়ে আসবে। আল্লাহ্‌র আদেশে ঈসা ( আ: ) মুমিনদেরকে নিয়ে তূর পর্বতে আশ্রয় নেবেন। অতঃপর স্কন্ধের দিক থেকে এক প্রকার পোকা সৃষ্টি করে আল্লাহ্‌ তাদেরকে ধ্বংস করবেন।

নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

ঐতিহাসিক সেই প্রাচীর নির্মাণ:

-যুলকারনাইনের আলোচনা করতে গিয়ে আল্লাহ্‌ পাক বলেন- আবার সে পথ চলতে লাগল। অবশেষে যখন সে দুই পর্বত প্রাচীরের মধ্যস্থলে পৌঁছল, তখন সেখানে এক জাতিকে পেল, যারা তাঁর কথা একেবারেই বুঝতে পারছিল না। তারা বলল: হে যুলকারনাইন! ইয়াজূজ ও মাজূজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আপনি বললে আমরা আপনার জন্য কিছু কর ধার্য করব এই শর্তে যে, আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন। সে বলল: আমার পালনকর্তা আমাকে যে সামর্থ্য দিয়েছেন, তাই যথেষ্ট। অতএব, তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য কর। আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যে একটি সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মাণ করে দেব। তোমরা লোহার পাত এনে দাও। অবশেষে যখন পাহাড়ের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান পূর্ণ হয়ে গেল, তখন সে বলল: তোমরা হাঁপরে দম দিতে থাক। অবশেষে যখন তা আগুনে পরিণত হল, তখন সে বলল: তোমরা গলিত তামা নিয়ে এসো, আনি তা এর উপর ঢেলে দেই। অতঃপর ইয়াজূজ ও মাজূজ তার উপরে আরোহণ করতে পারল না এবং তা ভেগ করতেও সক্ষম হল না (সূরা কাহফ, আয়াত ৯২-৯৭)

যে ভাবে প্রাচীর ভেঙে যাবে:

-যুলকারনাইনের নির্মিত সুদৃঢ় প্রাচীরের দরুন দীর্ঘকাল তারা পৃথিবীতে আসতে পারেনি। প্রাচীরের ওপারে অবশ্যই নিজস্ব পদ্ধতিতে তারা জীবন যাপন করছে। তবে আদ্যাবধি তারা সেই প্রাচীর ভাঙতে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

-আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত, প্রাচীরের বর্ণনা দিতে গিয়ে নবী করীম ( সা: ) বলেন- অতঃপর প্রতিদিন তারা প্রাচীর ছেদন কার্যে লিপ্ত হয়। ছিদ্র করতে করতে যখন পুরোটা উন্মোচনের উপক্রম হয়, তখনই তাদের একজন বলে, আজ তো অনেক করলাম, চল! বাকীটা আগামীকাল করব! পরদিন আল্লাহ্‌ পাক সেই প্রাচীরকে পূর্বের থেকেও শক্ত ও মজবুত রূপে পূর্ণ করে দেন। অতঃপর যখন সেই সময় আসবে এবং আল্লাহ্‌ পাক তাদেরকে বের হওয়ার অনুমতি দেবেন, তখন তাদের একজন বলে উঠবে, আজ চল! আল্লাহ্‌ চাহেন তো আগামীকাল পূর্ণ খোদাই করে ফেলব! পরদিন পূর্ণ খোদাই করে তারা প্রাচীর ভেঙে বেরিয়ে আসবে। মানুষের ঘরবাড়ী বিনষ্ট করবে, সমুদ্রের পানি পান করে নিঃশেষ করে ফেলবে। ভয়ে আতঙ্কে মানুষ দূরে দূরান্তে পলায়ন করবে। অতঃপর আকাশের দিকে তারা তীর ছুড়বে, তীর রক্তাক্ত হয়ে ফিরে আসবে [তিরমিযী, মুসনাদে আহমদ, মুস্তাদরাকে হাকিম]

দাজ্জাল :

-দাজ্জাল মানুষ। তবে, আল্লাহ্‌ তাকে স্পেশাল কিছু অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা দেবেন।
-তার বাবা মা ইহুদী হবে। তার বাবা হবে দীর্ঘকায়, যার নাক লম্বা। তার মাও হবে বিশালদেহি।
- ৩০ বছর তারা নিঃসন্তান থাকবে। এরপর তাঁদের বাচ্চা হবে। কিন্তু, তার বাম চোখ অন্ধ। সেই দাজ্জাল।

- তার প্রকাশ হবে এক লোকের সাথে ঝগড়া করার মাধ্যমে।
-তার প্রকাশের সময়কাল এমনঃ তখন বিশাল যুদ্ধ চলবে। (হয়ত ৩য় বিশ্বযুদ্ধ, তবে ধর্মযুদ্ধ) মুসলিম বাহিনী খ্রিস্টান শহর জয় করছে। তার আগমন হবে ইস্পাহানে মতান্তরে খোরাসানে ইরাক-ইরানের মাঝামাঝি থেকে। সমস্ত ইসরাইল হবে তার অনুগত। আর্মড। আরও অনেকে তার পক্ষে যোগ দিবে।
-প্রথম সে হবে তাঁদের নেতা, এরপর বলবে সে নবী। এরপর বলবে সে আল্লাহ।

- সে সব অঞ্চল, দেশ একে একে জয় করবে। একমাত্র মক্কা আর মদিনা বাদে। এ ২ টি শহর এর পেরিমিটার পাহারা দেবে আল্লাহ্‌র ফেরেস্তারা। তবে, মদিনার বাহিরে সে আসার পর মদিনায় ভুমিকম্প হবে। ফলে, অনেকে ভয়ে বের হয়ে যাবে, আর দাজ্জাল তাঁদের কব্জা করবে।

- সে কী অলৌকিক জিনিস দেখাবে? সে যেখানে যাবে, বিরান মরুভুমি হলেও বৃষ্টি হবে, শস্যতে ভরে উঠবে। যেন মানুষ তাকে মানে।

-তাকে প্রত্যাখ্যান করলে সে এলাকা হবে বিরান, আসবে দুর্ভিক্ষ।
-সে তার কাছে থাকা কোন একটা কিছু দিয়ে বেহেশত আর দোজখ এর “ইমেজ” দেখাবে।

- তার কপালে কাফ, ফা, রা লিখা থাকবে... (কাফির)

-সে মৃতকে জীবিত করতে পারবে না। তবে, মানুষের মনে হবে সে তা করছে। কেন? কারণ, সে যখন কাউকে বলবে আমি যদি তোমার বাবা মা কে জীবিত করে দেখাই, তবে কি তুমি বিশ্বাস করবে, আমি ঈশ্বর? পরে সে তাই করবে। তবে, তার বাবা মা সত্যি আসবে না, যারা আসবে তারা হল শয়তানের সহচররা যারা রূপ ধরবে। ফলে মানুষ বিভ্রান্ত হবে।

-সে কাউকে মারতে চাইলে মারবে, এরপর সে আবার তাকে জীবিত করতে চাবে। আল্লাহ্‌ আবার জীবিত করে দিবেন। এরপর জিজ্ঞেস করবে, এবার আমাকে মান? যদি বলে হ্যাঁ, তবে সে চির জাহান্নাম পাবে, যদি বলে না, তবে দাজ্জাল তাকে তার শো করা জাহান্নাম এর দিকে তাকে ফেলে দিবে। আর এরপর সে নিজেকে আবিষ্কার করবে, জান্নাতে। তার বিচার হবে না।

- দাজ্জাল অনেক কম সময়ে সারা দুনিয়া ‘ঘুরবে’।

-দাজ্জাল এর প্রতিপক্ষ মুসলিম বাহিনীর নেতা ইমাম মাহদি। তাকে সাহায্য করতে একদিন ফযরের আজান এর সময় দামেস্কের যে মসজিদ এ সুলতান সালাহউদ্দিন সমাহিত, সে মসজিদের মিনারে ফেরেস্তারা ঈসা (আ) কে নামিয়ে দিয়ে যাবেন। (এ জায়গাটাই ধারণা করা হয়)

-ঈসা (আ) এসেছেন শুনেই দাজ্জাল বাহিনীর মনবল ভেঙ্গে যাবে। দাজ্জাল একটা নির্দিষ্ট দিকে পালাবে। ঈসা (আ) তাকে তাড়া করবেন, তার হাতে থাকবে ‘তরবারি’; লুদ নামের জায়গায় দাজ্জালকে হত্যা করবেন ঈসা (আ)।

দাজ্জালের আগমনের আভাসঃ

১/ মুসলিম হয়েও নিয়মিত নামায আদায় করবে না।
২/ মানুষ সহজেই মিথ্যা বলবে।
৩/ দুনিয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে।
৪/ মানুষ সহজেই সুদ নিবে/দিবে।
৫/ ঘুষ হবে খুবই স্বাভাবিক।
৬/ শাসক সম্প্রদায় হবে দুর্নীতিপরায়ণ।
৭/ বিশ্বব্যাপী ব্যভিচার বৃদ্ধি পাবে।
৮/ নারীরা স্বল্প বসন পড়তে লজ্জিত হবে না।
৯/ বৃদ্ধদের উপর শ্রদ্ধা কমবে।
১০/ অনেকেই শয়তানের পুজা করবে।
১১/ অনেক বড় দুর্ভিক্ষ হবে পৃথিবীতে।
১২/ বেড়ে যাবে incest.
১৩/ গালিলি সাগরের (Galilee Sea) পানি শুকিয়ে যাবে।
১৪/ একই রমযান মাসে একটি সূর্য আর একটি চন্দ্র গ্রহণ হবে।

দাজ্জালের শেষ পরিণতিঃ

সহীহ হাদীসের বিবরণ অনুযায়ী ঈসা ইবনে মারইয়াম ( আঃ )এর হাতে দাজ্জাল নিহত হবে।

-মক্কা-মদীনা ব্যতীত পৃথিবীর সকল দেশেই দাজ্জাল প্রবেশ করবে। তার অনুসারীর সংখ্যা হবে প্রচুর। সমগ্র দুনিয়ায় তার ফিতনা ছড়িয়ে পড়বে। সামান্য সংখ্যক মুমিনই তার ফিতনা থেকে রেহাই পাবে। ঠিক সে সময় দামেস্ক শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত এক মসজিদের সাদা মিনারের উপর ঈসা (আঃ) আকাশ থেকে অবতরণ করবেন। মুসলমানগণ তার পার্শ্বে একত্রিত হবে। তাদেরকে সাথে নিয়ে তিনি দাজ্জালের দিকে রওনা দিবেন। দাজ্জাল সে সময় জেরুজালেমের বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। অতঃপর ঈসা (আঃ) ফিলিস্তীনের লুদ্দ শহরের গেইটে দাজ্জালকে পাকড়াও করবেন। ঈসা (আঃ)কে দেখে সে পানিতে লবন গলার ন্যায় গলতে শুরু করবে। ঈসা (আঃ) তাকে লক্ষ্য করে বলবেনঃ “তোমাকে আমি একটি আঘাত করবো যা থেকে তুমি কখনও রেহাই পাবেনা।" ঈসা (আঃ) তাকে বর্শা দিয়ে আঘাত করবেন। অতঃপর মুসলমানেরা তাঁর নেতৃত্বে ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। মুসলমানদের হাতে দাজ্জালের বাহিনী ইহুদীর দল পরাজিত হবে। তারা কোথাও পালাবার স্থান পাবেনা। গাছের আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলে গাছ বলবেঃ হে মুসলিম! আসো, আমার পিছনে একজন ইহুদী লকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা কর। পাথর বা দেয়ালের পিছনে পলায়ন করলে পাথর বা দেয়াল বলবেঃ হে মুসলিম! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, আসো! তাকে হত্যা কর। তবে গারকাদ নামক গাছ ইহুদীদেরকে গোপন করার চেষ্টা করবে। কেননা সেটি ইহুদীদের বৃক্ষ বলে পরিচিত।

-সহীহ মুসলিম শরীফে আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (স) বলেন-

“ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবেনা যতক্ষণ না মুসলমানেরা ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ করবে। অতঃপর মুসলমানগণ ইহুদীরকে হত্যা করবে। ইহুদীরা গাছ ও পাথরের আড়ালে পালাতে চেষ্টা করবে। কিন্তু কেউ তাদেরকে আশ্রয় দিবেনা। গাছ বা পাথর বলবেঃ হে মুসলমান! হে আল্লাহর বান্দা! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা করো। তবে ‘গারকাদ’ নামক গাছের পিছনে লুকালে গারকাদ গাছ কোন কথা বলবেনা। এটি ইহুদীদের গাছ বলে পরিচিত মুমিন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২০
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×