-জসিম উদ্দিন জয়
সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা । কোরবানির ঈদ । যাদের আল্লাহ তালা তৌফিক দিয়েছে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় পশু কোরবানি করেন । সাধারনত কোরবানির গোশত তিনভাগ করা হয় এক ভাগ নিজেদের জন্য এক ভাগ গরীব আত্মীয় স্বজন/পড়াপরশি যারা কোরবানী দেন নাই তাদের জন্য আর অন্যভাগ ফকীর মিসকীন এর জন্য । আল্লাহ তালার সুন্দর বিধান । গরীব দুঃখি ও এতিমরা এই উছিলাই মাংস পায় ও অর্থ পায় ।
তবে আরো একটি বিষয়ে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে । কোরবানির আগে ও পরে আমাদের চারপাশের পরিবেশ অনেক নোংরা হয়ে যায় । কোরবানির আগে বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী গরু-ছাগলের হাটের কারণেও চারিদিকে অনেক দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আবার কোরবানির দিন একই সময়ে বিভিন্ন জায়গায় পশু কেরাবানীর ফলে চারিদিকে রক্তের ও বিভিন্ন ব্যবহৃত চট, দড়ি, পাটি, উচ্ছিষ্টা অংশ ছড়াছড়ির কারণেও পরিবেশ দূষিত হয়।
এ সময় একটু সচেতন থাকলেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকেও পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব ।
কোরবানির আগে
পশুকে অবশ্যই কোরবানির আগে ভালো করে গোসল করিয়ে নিন।
কোরবানির আগের দিন যথেষ্ট ছুরি আছে কিনা এবং সেগুলো ধারালো কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিন।
পর্যাপ্ত দঁড়ি ও লোকবল সাথে রাখুন ।
কোরবানি দেওয়ার স্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন ।
চাটাই হতে শুরু করে তক্তা পর্যন্ত সব কিছু যোগাড় করে সেগুলোকে পরিষ্কার করে রাখুন।
একটি গরু কোরবানির সময় যেনো অন্য জীবন্ত গরু না দেখে সেটা খেয়াল রাখতে হবে । কারণ গরু এতে ভয় পেয়ে যেতে পারে এবং তখন তাকে কোরবানি দেওয়া কঠিন হবে।
কোরবানির সময় ও কোরবানির পরে
কোনবানির জন্য সিটি কপোরেশন কর্তৃক নিধারিত স্থানে কোরবানি করা সকলের দায়িত্ব ।
কোরবানি দেওয়ার পর পশুর শরীর থেকে রক্ত বের হয়ে যেতে দিন।
দক্ষলোক দিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চামড়া ছাড়িয়ে ফেলুন এবং তা বিক্রি বা দান করে দিন।
নাড়ীভুঁড়ি এবং ক্ষুর আলাদা করে ফেলে দিন, নয়তো মাংসে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটবে।
মাংস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কেটে ফেলুন ।
অভিজ্ঞ কসাইকে মাংস কাটার দায়িত্ব দিন।
যেখানে কোরবানি দিয়েছিলেন সে জায়গাটি গুঁড়ো সাবান ছিটিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ধোয়া শেষে ওপরে ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দিন।
গরুর মাংস কোটা-বাছা করার স্থানটিও আগে থেকে পরিষ্কার করে রাখুন। তবে একটা প্লাস্টিকের শিট বিছিয়ে কাজটা করতে পারলে ভালো হয়।
মাংস থেকে চর্বি কেটে আলাদা করুন। কারণ চর্বি থাকলে মাংস তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়।
ফ্রিজে মাংস রাখার জন্য আগে থেকেই পলিথিন ব্যাগ জমা করে রাখুন। একসঙ্গে বেশি মাংস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা আলাদা ব্যাগে ভরে রাখুন।
ফ্রিজের সবচাইতে ঠাণ্ডা অংশে মাংস রাখুন।
কাটাকাটি করার পর হাত, ছুরি এবং ব্যবহৃত পাত্র ইত্যাদি গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
সিটি কপোরেশন এর পরিচ্ছন্নতা কর্মীর জন্য অপেক্ষা না করে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজটি আমরা সবাই নিজ দায়িত্বে করলে ভালো হয় । নয়ত নিজেরাই ভুক্তভূগি হবো ।
পরিশেষে সবার কাছে অনুরোধ ঃ
শিশুদের কে পশু কোরবানি করা এবং কোরবানিকৃত রক্তাত্ব গরু/ছাগল দেখাবেন না ।
কোরবানির ছবি ফেইসবুক বা সেস্যাল মিডিয়ায় আপলোড বা লাইভ থেকে বিরত থাকুন ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৫