কবিতাকে এবার আখ ক্ষেতে নিয়ে কি যেনো করে দিয়েছে পাড়ার কিছু উঠতি ছেলেপুলে।
বিকালে খুঁড়াতে খুঁড়াতে তার ঘরে ফিরলে পরে কবিতার মা ছন্দবালা মেয়েকে জিগ্যেস কি হয়েছে জিগ্যেস করলে
জবাবে কিছু না বলে ঘরে খিল দেয় সে।
খিল দেয় বলতে ঝাপি ফেলে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখে আর কি।
বেচারা কবিতা! তারা হতশ্রী, তাদের কি আর সেই জৌলুশ আছে যে খিলান দেয়া কামরায় বসবাস করবে আর সিংহদ্বার থাকবে ঘরে!
তাদের অবস্থা শোচনীয়, ঐ যে বললাম না হতশ্রী?
তারা শ্রী হারা হয়েছে। শ্রী হারা হয় নি, মূলত তাদের শ্রী কেড়ে নেয়া হয়েছে।
যদি জিগ্যেস করেন কারা কাদের শ্রী কেড়ে নিয়েছে তবে ইতিহাস কপচাতেই হবে।
এবং পরক্ষণে যে জবাব টা বেরুবে তা হলো, ' কারা আবার! যারা কবিতাকে আখ ক্ষেতে নিয়ে কি যেনো করে দিয়েছে তাদের বাপ দাদা রা ই কবিতা এবং ছন্দবালাদের ঐতিহ্যপূর্ণ ইতিহাস লুন্ঠন করেছে।'
কি জৌলুশ ছিলো মাইরি কবিতাদের বংশে!
কি নামের বাহার!
মাত্রাবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত, মুক্তাক্ষর, চতুর্দশপদী, চম্পুকাব্য, মহাকাব্য, শোকগাথা, লোকগাথা, বচন, ডাডাক, অণুকাব্য, কাব্য, ছড়া, অন্ত্যমিল কতো শতো রাশভারী নামধাম!
তাদের নামের বাহারে ই তাদের ঐতিহ্য আন্দাজ করা যায়।
তাদের নামের যথার্থ পুজো করেছেন আলাওল, মাগন ঠাকুর, সৈয়দ হামজা, ফকির গরিবুল্লাহ, কাহ্নপা, শবরপা, লুইপা, কানা হরিদত্ত, দৌলত উজির, চন্দ্রাবতী, চণ্ডীদাস, লোচন দাশ, জ্ঞান দাশ, জীবনানন্দ, জসীম উদদীন, নজরুল, রবীন্দ্রনাথ আরো কতোশতো বড়ো বড়ো লোক!
কিন্তু আজকাল?
কোথায় সেই পুজো প্রার্থনা!
কবিতাদের টেনে নেয়া হচ্ছে আখ ক্ষেতে, পাঁট ক্ষেতে।
অনেকে আবার এই কষ্ট টুকুন ও করতে চায় না, কবিতাদের বেড়ার ধারে ধার করায়ে ই ধর্ষণ করে ছেড়ে দিচ্ছে।
দুঃখিত ধর্ষণ শব্দ টা কেমন অশ্লীল লাগে, এখানে হবে 'কি যেনো করে' ছেড়ে দিচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০