somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বর্ণে বর্ণিল একুশে

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বন্ধুরা,
এ আয়োজন আমাদের আশে পাশের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সাথে নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, আমাদের অমর একুশে উদযাপনের।
আগামী ২১' ফেব্রুয়ারী ২০১২ তে আমরা সবাই মিলে কিছু সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সাথে আমর একুশে উদযাপন করবো । আমাদের গর্বের, বেদনার, আনন্দের দিন ; আমাদের মায়ের ভাষার জন্য ভালবাসার দিন - একুশ। বর্ণিল উদযাপনের মধ্য দিয়ে একুশে সহ আমাদের গর্বের ইতিহাস , সংস্কৃতি , দেশপ্রেমের প্রতি সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের আগ্রহী করে তোলা আর সেই সাথে এইসব শিশুদের সাস্থ্য সচেতন আর বিদ্যালয়ে যাওয়ার আনন্দের সাথে পরিচয করিয়ে দিয়ে বিদ্যালয়মুখী করে তোলা এই আয়োজনের উদ্দেশ্য।
আয়োজনটি বরাবরের মত আমরা সবাই মিলে সফল করবো। শিশুদের সাথে সবাই মিলে আনন্দময় সময় কাটাবো।
........স্বেচ্ছাসেবক দরকার। হাত বাড়িয়ে দিন।
সকলের সহযোগীতা চাইছি।
অপরাহ্নের অনুষ্ঠান>>>>>>
-----------------------------
সময়ঃ দুপুর ২.০০ টা থেকে বিকেল ৫.৩০ টা
স্থানঃ পথকলি পাঠশালা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহবাগ, ঢাকা।

অনুষ্ঠানসূচি
------------
১. শিশুদের নখ কেটে দেয়া ও সঠিকভাবে হাত ধোয়ার পদ্ধতি শেখানো এবং সুস্বাস্থের জন্য হত ধোয়ার গুরুত্বের কথা বলা।
২. একুশের গল্প বলা ও শিশুদের ছবি আঁকার আয়োজন । শিশুদের প্যাস্টেল রং ও ছবি আঁকার কাগজ সরবরাহ করা হবে। শিশুরা ছবি আঁকবে। ছবি আঁকা হলে তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।
৩.উপহার বিতরন
ধন্যবাদ.......
এটি ছিল ফেইসবুকের একটি ইভেন্টের আমন্ত্রন লিপির কিছু অংশ।

গতদিন এমন একটি ভিন্ন ধরনের ইভেন্টের কথা জানতে পেরে খুব আগ্রহ জন্মাল । গিয়েই দেখি - এই ভাবনায় উপস্থিত হলাম ওখানে। আয়োজকদের তারুণ্য দেখে মুগ্ধ হলাম। আজ এই ভাষা দিবসে আমি যে সঠিক স্থানে এসেছি , তৃপ্তও হলাম এটা ভেবে।

পথকলি পাঠাশালা


বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে এটি পরিচালিত করে আসছেন। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা এখানের ছাত্র। আমরা যাদেরকে টোকাই বলি। রোজ ক্লাস হয় এখানে। শিক্ষক হলেন কয়েকজন ছা্ত্র এবং সদ্য চাকরি পাওয়া কয়েকজন । ক্লাসের পরে শিশুদের দুপুরে রান্না করে খাওয়ানো হয়। রোজ প্রায় ৫০০ টাকার মত খরচ হয়। টাকা আসে এদেরই পরিচালিত টিএসসির একটি আইচক্রীম এর দোকানের ( আইসবার্গ ? ) লাভ থেকে এবং নিজেদের ব্যক্তিগত চাঁদা ।
সবচেয়ে অবাক করা বিষয়, এই মুহুর্তে ওনরা কোন আর্থীক সহযোগীতা নিতে অনাগ্রহী ।
আপনরা কেউ কিছু ডোনেট করার কথা ভাবলে- শিশুদের জন্য কিছু হালকা খাবার ( চকলেট , ক্যান্ডি , স্নাকস ) বা অন্য কিছু উপহার হিসেবে দিতে পারেন।
পথকলি পাঠশালা দেখতে যেতে পারেন : তিন নেতার মাজারের পাশ দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ করেই হাতের ডানদিকে কিছুদূর অগ্রসর হলেই , সাইনবোর্ড দেখা যাবে।
আগ্রহী ছাত্ররা নিজকে এমন কাজে নিয়োজিত করতে পারেন, অন্তত ছুটির দুই দিন।

শিশুদের সাথে আজকের ২১ উদযাপন ।
এ একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধি শিশু



চলছে শহীদ মিনার আঁকার কাজ











নিজের সৃষ্টিকে নিয়ে

















সবার গালে ভাষা দিবস





সবার জন্য রান্নার আয়োজন





এ শুধুই আগুন নয়। তারুণ্যের চেতনায় জমে থাকা সামান্য আগুনই আমাদের সবার জন্য ভালো খাবার ( উদাহারণ / প্রেরণা ) বয়ে আনতে পারে। আমদের তারুণ্য যেন এমনি ভাবে নিজে আগুন হয়ে অন্যকে পথ দেখায়।



তারুণ্যের জয় হোক .........

এই উদ্যেগ এর সাথে আমার সামান্যতম সংযোগ নেই। গতকাল আমি প্রথম গিয়েছি ওখানে। আমাদের তরুনরাও যে নির্মোহ থেকে কাজ করতে পারে,এটি তারই উদাহারন। শেয়ার করলাম সবার সাথে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৪
৭৪টি মন্তব্য ৭৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×