একটা বাচ্চার জন্যে অনেক দম্পতিই আছেন যারা জীবনে বহু ডাক্তার কবিরাজের শরণাপন্ন হয়েছেন কিন্তু সন্তানের বাবা মা হতে পারছেন না। লক্ষ লক্ষ টাকা শেষ করে ফেলেছেন কিন্তু সন্তানের মুখ দেখার ভাগ্য হয়নি। শেষ পর্যন্ত অনেকে টেষ্ট টিউব বেবি নিচ্ছেন।
তাহসান - মিথিলা দুজনেই শিক্ষিত যূগল। এরা হল সমাজের কিছুটা হলেও সত্যিকার সেলিব্রেটি, ২ বছর তিনমাস প্রেমের সম্পর্ক শেষে বিয়ের পিড়িতে বসেন, একসাথে সংসার করেন ১১টি বছর। এই ১১ বছরের সংসার জীবনে তাদের একটি ফুটুফুটে বাচ্চাও রয়েছে। আজ ঠিক কি কারনে এই বাচ্চাটিকে এতিম করে দিয়ে তাহসান মিথিলা সংসার জীবনের অবসান ঘটালেন জানিনা।
মানুষ বাচ্চার দিকে তাকিয়ে জীবনে অনেক সমস্যা ও কষ্ট সহ্য করে বেচে থাকে। সন্তান জন্ম নেবার পর সমস্ত সুখ, শান্তি, স্বপ্ন তাকে ঘিরেই নতুন করে তৈরি হয়। বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে দুজন খাটের দুই প্রান্তে ঘুমিয়েও জীবনের শেষ পর্যন্ত সংসার বাস করেছে এমনও নজীর রয়েছে।
তাহসান মিথিলাও ইচ্ছা করলে সব সমস্যাকে পিছে রেখে তাদের সন্তানের দিকে তাকিয়ে একসাথে সংসার করতে পারতেন। কিন্তু পৈশাচিক আনন্দ উপভোগের জন্যে সন্তানের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়ে বিচ্ছেদ টেনে নিলেন জীবন সংসারে।
একদিন তাহসান মিথিলা দুজনেই হয়তো আবারো অন্য কারো সাথে বিয়ের পিড়িতে বসবেন, কিন্তু তাদের সন্তান বেড়ে উঠবে অনাদরে ও অবহেলাকে সঙ্গী করে।
তাহসান মিথিলারা এই সমাজের সেলিব্রেটি, সমাজ তাদের থেকে শিক্ষণীয় ভালো কিছুটাই আশা করেছিলো কিন্তু আজ সমাজ তাদের কাছ থেকে বিচ্ছেদের শিক্ষা পেলো। মিডিয়া জগতে এই যুগলটাকে অনেকেই ভালো চোখে দেখতো, ভালো জানতো, কিন্তু যারা মিডিয়ার লোকদের দেখলে কটুচোখে দেখেন তাদের ধারনাই আজ সত্যি প্রমানিত হল।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫২