নাকের নীচে গোঁফের রেখা
হলে ছেলে বালক
মনের পিঠে গজায় পাখা
রঙ বে-রঙের পালক;
রং বে-রঙের পাখা পেয়ে
উড়াল দিও না
পাখা ভেঙ্গে পরলে ছেলে
প্রানে বাঁচবে না;
আটারোতে পা দিয়েছো
স্বপ্ন দেখো কত
ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার নায়ক হবে
কবি লেখক শত;
এই তো বয়স স্বপ্ন দেখার
জীবনখানি গড়ার
লেখা-পড়া ধর্মে- কর্মে
মনোযোগ দাও এবার;
মরার যৌবন খুঁজে মৌ-বন
পরো নাকো ফাঁদে
দূর্ভাবনায় পিতামাতা
দু-হাত তোলে কাঁদে;
পিতামাতার লক্ষ্মী ছেলে
লক্ষ্মী হয়ে থেকো
নষ্ট ছেলের পাল্লায় পরে
গোল্লায় যেও নাকো;
সাগর সেঁচা মানিক তুমি
মায়ের বুকের ধন
সফল জীবন গড়তে করো
ধনুক ভাঙ্গা পণ;
লেখা -পড়া, খেলা-ধুলা
করো যথাসময়
সময় চলে জলের মতো
করো নাকো অপচয়;
পিতামাতা বটের ছায়া
স্নেহ ছায়ে বাড়ো
রোদ বৃষ্টি সইতে পারো
এমন জীবন গড়ো;
পিতামাতার চরণ তলে
জান্নাতখানি জেনো
আদেশ নিষেদ যাহাই করে
যথাযথ মেনো;
পিতার চোখে স্বপ্ন কত
মায়ের বুকে স্নেহ শত
স্বপ্ন তাদের করবে সফল
এই যেন হয় ব্রত;
লেখা পড়া শিখে ছেলে
হবে বড় অনেক
সফল জীবন দেখে মানুষ
থমকে দেখবে ক্ষণেক;
এই বয়সে অনেক মেয়ে
তোমায় পেতে চাইবে
পিতামাতার চাওয়া পাওয়া
একটু মনে রাখবে;
তোমার মতে আনবো ঘরে
লাল টুক টুক বউ
বলিউডের নায়িকা না হোক
সোনার বাংলার কেউ;
সাজু গোজু লাজুক বধু
ডানা কাঠা লাল পরী
সোনার বাংলার শ্যামল গাঁয়ে
আছে কত অফ্সরী;
ঘরের চাবি বউয়ের হাতে
দেবে তোলে মা তোমার
সোনার সংসার দেখলে আহা
জুড়াবে যে নয়ন আমার;
বউ যদি কয় উল্টা পাল্টা
হাত তোলো না ছেলে
সোহাগ দিয়ে শাসন করো
ঠক্ মিষ্টি ঝালে;
তোমায় ঘিরে তোমার মায়ের
স্বপ্ন আকাশ উঁচু
ভুল করো না এমন কিছু
মুখ হবে তার নিচু;
স্বপ্ন দেখি বুড়ো হলে
নাত-নাতনীর হাত ধরে
খেলবো দু-জন বুড়ো-বুড়ি
স্নেহ সোহাগ আদরে;
শেষের খাটে শূন্য হাতে
মাটির আঁধার ঘরে
মনটা আহা চাই যে যেতে
নাতির কাঁধে চড়ে;
অবশেষে দু-হাত তোলে
কাঁদি আল্লাহর দরবারে
রক্ত- প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুক
বাপের ভিটের 'পরে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৭