somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা প্রজন্মরা মুক্তি চাই

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হাহাহাহাহ সব শেষ তাই না! আমি হাসসি না! আমি পাগল? হ্যা আমি পাগল| শুধু আমি একা নই আমার মতো আরো পাগল আছে। আমার মতো হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ পাগল এই দেশে আছে। তারা কিছুক্ষণ হাসে, আবার কিছুক্ষণ কাদে। কিন্তু আমার তো পাগল ইচ্ছে করে হইনি, আমাদের তো পাগল ইচ্ছে বানানো হয়েছে, বানিয়ে রেখেছে।আমরা পাগল না আমরা সুস্থ, সুন্দর, এবং স্বাভাবিক নাগরিক।

তবুও আমাদেরকে ওরা পাগল বানিয়ে রেখেছে, আমরা নাকি পাগল। আসল পাগলে যেমন কিছু না পেলে পাগলামী বেড়ে যায়, ঠিক আমাদের অবস্থাও ঐ রকমই। যখন আমাদের কিছু হারিয়ে ফেলি তখন আমাদেরও রক্ত গরম হয়ে যা। আমরা পাগল হয়েছে যাই, পাগলামী শুরু করে দেই। তারপর পাগলের যেমন পাগলামী বন্ধ করার জন্য পাগল কে পিটানো হয় আচ্ছ মতো, পাগল শান্ত হয়ে যা পানির মতো। আমাদেরও লাঠিওয়ালা, ডান্ডাওয়ালা, রানদাওয়ালারা পিটিয়ে ঠান্ডা করে দেয়। তারপর সব শেষ হয়ে যায়, সব শেষ।
তবে সব শেষ হয় না কিছু থেকেও যায় ঐ যে গোমরে কান্নার শব্দ, হাহাকার, মনের কষ্ট। শেষ হয় না তনু, রুপা, আয়েশা, ফাতেমা, রাজিব, দিয়া, করিমদের মতো শত মানুষের আহাজার আর হাহাকার। ওরা মৃত্যুর পরও শান্তি পায় না, উপরে যেয়ে আহাজার আর আহাকার করে।



সবাই তো ওদের জন্য মিটিং, মিছিল, প্রেস, মিডিয়া সংবাদপত্র, কলামলিস্ট করি। ওদের জন্য কত কি করি। আহ কি শান্তি লাগে এই সব দেখে আমার। এসব দেখে মনে হয় এই বুজি শুরু হলো, এই বুজি শান্তি মিলবে, এই বুজি ন্যায্য আদায় হবে। মনে হয় ওরা একটু শান্তি পাবে। হাহাহাহাহা কিন্তু না কিচ্ছু শেষ হয় না, শুরুর আগেই সব শেষ হয়ে যায়, এক্কেবারের শেষ হয়ে যায়। সাড়ে চার হাত মাটির নিচে সব কিছু পুতে রেখে দেয়, আর সাড়ে তিন হাত মাটির নিচে তনু, রুপা, আয়েশা, ফাতেমা, রাজিব, দিয়া, করিমদের মতো শত মানুষের প্রাণ জ্যান্ত পুতে রাখে।



এর পর মিটিং-মিছিল, আন্দলোনকারীরা ডন্ডার ব্যর্থায় হয় হাতপাতালের বিছানায় কাতরায়, না হয় ঘরের বিছানায় কাতরায়, না হয় জেলের বিছানায় কাতরায়। কলামলিস্টদের মনে হয় কলমের কালি ফুরিয়ে যায় তাই আর লিখতে পারে না, সংবাদিকদের ক্যামেরার মেমোরি মনে হয় ফুল হয়ে যায় এতো এতো ফুটেজ তোলার কারণে, পত্র-পত্রিকাদের কাগজ শেষ হয়ে যায় এতো এতো নিউজ ছাপাতে। আর আইনের লোকেরা হাপিয়ে পরে বেচে যায়। দু’দিন হয়তো দৌড় ঝাপ করে তারপর সব শেষ করে দেয় এক নিমেশেই। আর অন্যায়কারীরা বুক ফুলিয়ে, বুকের উপর পাটা দিয়ে হেটে বেড়ায় বাপকে বেটা সাব্বাস! কিচ্ছু পারলাম না আমরা কিচ্ছু না। সব শেষ হয়ে যায় এই ভাবেই, একটা একটা অন্যায়, পার পেযে যায় অন্যায়কারীরা। এরপর মন্ত্রী-এমপি সাহেবরা এক-কাপ গরম গরম কফি, সোফার উপর বসে পায়ের উপর পা তুলে রিমট চেপে দেখে আবার নতুন কোন আফডেড নিউজ আছে কি না! আবার নতুন কোন ঘটনা ঘটলো কি না দেশে। এই রকম প্রতিনিয়ত আফডেড তাদের খুব আনন্দ দেয় মনে হয়? আর তারা মনে মনে হয়তো বলতে থাকে এই সব পাগল-ছাগলের কান্ডরী আর কত দিন থাকবে! ডান্ডার পিটানি দিযে ওরা সব পানির মতো সহজ আর ঠান্ড করে দেয়।

আমরা পাগল, তাই না! হ্যা আমরা পাগল। সত্যিই কি আমরা পাগল? সত্যিই কি আমরা সাধারণ মানুষেরা পাগল? আমাদের জীবনের কি কোন মূল্য নাই? হায়রে রাজনৈতি, হায়রে ক্ষমতা, হায়রে টাকা, কোথায় আজ দেশ। এই সবের কাছে সাধারণ মানুষ আজ আমরা জীম্ম হয়ে গেলাম।



থাকতে ইচ্ছে করে না আর এই দেশে। ইচ্ছে করে না এই দেশে বাস করি। ইচ্ছে করে অন্য কোথাও চলে যাই, ঘৃর্ণা হয় এই দেশের মানুষের প্রতি ঘৃর্ণায় ঘৃর্ণায় আজ জজরিত করে ফেলেছি মনটাকে। যবের থেকে সব কিছু বুঝতে শিখেছি তবের থেকেই সব অন্যায়, মিথ্যা, বেআইনি, অবিচার, লুট-পাট, খুন-ধর্ষণ। যতই বোঝার ক্ষমতা হয় ততই এগুলোর সাথে পরিচিত হচ্ছি। বের হতে পারছি না এই সব থেকে। আমি আমার বন্ধ-বান্ধবী আমার ভাই-বোন আশেপাশের সব এককথায় আমরা প্রজন্মরা এসব থেকে বের হতে চাই, মুক্তি চাই এই সব থেকে। কেউ কি আছে এমন যে আমাদের কে এই অবরুদ্ধ থেকে মুক্তি দিবে? মুক্তি চাই, আমরা প্রজন্ম মুক্তি চাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×