আমাদেরে দেশে প্রত্যহ সড়ক দুঘর্টনা ঘটছে কত কত লোক মারা যাচ্ছে। কিন্ত তা রুখতে কার্যকর তেমন কোন পদক্ষেপ দেখা যায় না। শুধুই ড্রাইভার মালিকদের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করেই আমরা ক্ষান্ত হচ্ছি বা কখনও সরকারে অপর্যাপ্ত পদক্ষেপের সমালোচনা করছি। একজন আইনজীবী হিসেবে বলতে বাধ্য হচ্ছি, এদেশের আইনজীবী সম্প্রদায় আইনের প্রয়োগ ঘটিয়ে এই দুঘর্টনা প্রবণা রুখতে তেমন কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
একটি দুঘর্টনার পর পর পুলিশ একটা দায় সারা গোছের মামলা করে আসামি ড্রাইভার হেলপার কে গ্রেফতার করে জেলে পুরে। অত:পর কয়েকদিন পর জামিনে মুক্ত হয়ে আবার মানুষ মারার সুযোগ পায়। দুঘর্টনায় ক্ষতিগ্রস্থ আহত নিহতের পরিবারের আহাজারিতে আকাশ বাতাস পূর্ণ হয়। পুলিশের এই মামলায় আহত বা নিহতের পরিবারের বা নির্ভরশিল ব্যক্তিদের তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্ত ফ্যাটাল একসিডেন্ট এ্যাক্ট, ১৮৫৫ সালের ১ ধারায় ক্ষতিপুরণের একটা মামলা যদি সেই বাস বা ট্রাক কোম্পানির বিরুদ্ধে করা যেত তাহলে একবার ক্ষতিপুরণ দেওয়ার পর সেই বাস কোম্পানি ড্রাইভার নিয়োগ দেওয়ার সময় দশবার চিন্তা করতো অথবা পরিবহণের ব্যবসাই ছেড়ে দিত। ঐ আইনের ১ ধারায় বলা হয়েছে নিহতের পুত্র কন্যা,নাতি-নাতনি, পিতা-মাতা, দাদা-দাদি এই মামলা করার অধিকারি। নিহত ব্যক্তির পদমর্যাদা অুসারে বা তার আয়ে নির্ভরশীল দের ভরণপোষণের চাহিদার ভিত্তিতে ক্ষতিপুরণ দাবি করা যাবে এবং তার পরিমাণ কোট টাকাও হতে পারে। মামলায় ক্ষতিপুরণের টাকা আদালত নিহত ব্যক্তির আত্মীয় স্বজনের মধ্যে বন্টন করে দিতে পারবেন। এই আইনে একটি মামলাও না হওয়া একথাই বুঝায় আমাদের আইনজীবী মহল এই আইনটা হওতো ভালভাবে জানে না। যদি জানেন তাহলে একটি মামলাও হয় না কেন?
মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনের সুষ্পষ্ট নির্দেশনাও আছে, দুর্ঘটনার জন্য গাড়িচালকের ভুলের দায়ে মালিকের জরিমানা করা যাবে; মালিক দায় এড়াতে পারেন না। (সূত্রঃ Click This Link )
আমাদের দেশের বেশির ভাগ আইনজীবী সিভিল, ক্রিমিনাল, ট্যাক্স বা প্রচলিত দু’একটা বিষয় নিয়ে প্রাকটিস করেন কিন্ত এরকম নানা বিষয় আছে যেগুলো নিতে ভিন্ন ধর্মি প্রাকটিস করা যায় এবং নিজেকে ভিন্ন মাত্রায় প্রতিষ্টিত করা যায়। এ ধরণের মামলায় নো উইন নো পেমেন্টে ভিত্তিতে আইনজীবীরা কাজ করতে পারেন। আমরা নানাভাবে দুর্ঘটনা রোধের চেষ্টা করতে পারি। বিজ্ঞ কৌশলিগণ কি এভাবে দুঘর্টনা রোধে কোন চেষ্টা করতে পারেন না?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩