ভোটারের চরিত্র
------------------------------------
কোনো এলাকায় বেশিরভাগ জনসাধারণ জ্ঞাতিহিংসা এবং পরশ্রীকাতরতা থেকে মুক্ত না-হওয়া পর্যন্ত, অর্থাৎ, সভ্যতায় সচেতন না-হওয়া পর্যন্ত- সেখানে কোনো ভদ্র ব্যক্তিকে জনপ্রতিনিধি না-বানানোই ভালো।
কোনো নির্বোধ শিশু কিম্বা উন্মাদ কোনো মানবসন্তানকে কখনোই ভোটারদের তালিকায় ঢোকানোর বিধান কোথাও রাখা হয় না- যেন মালিকেরা নিজেরাই বুঝে নিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।
নির্বাচকেরা উচিতটাকে বা তাদের নিজেদের ভালোটাকে বুঝতে কখনোই ভুল করেনি। নির্বাচনী প্রচার বা হৈহুল্লোড়ের মতো নোংরামোর পেছনে যত ব্যয়, সবই অপব্যয়, এবং জেনে বুঝেই অপব্যয়। বৈধভাবে উপার্জিত অর্থ কেউ যে সহজে কোনো ধরণের নোংরা কাজে ব্যয় করতে পারে না, ভোটারেরা তা’ ভালোভাবেই জানে এবং বোঝে।
অর্থ ব্যয় ক’রে জাল ভোট দেওয়ার সুযোগটিকে পাকা ক’রে নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু যারা ভোটার, তারা হাতে হাতে নগদ কিছু পেলেও যে তাদের পছন্দের সিদ্ধান্তটি পাল্টিয়ে ফেলবে, এমন নিশ্চয়তা কেহই দিতে পারে না।
কোনো এলাকার ভোটারের বা নির্বাচকের অর্থাৎ স্বাধীন গণমালিকের অর্থাৎ সাধারণ কর্তাগণের চরিত্র সম্পর্কে যারা জানতে চায়, তারা নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্তই অপেক্ষমাণ থাকে।
*****
জনসাধারণকে একের পর এক পাতানো সাজানো সমস্যার মধ্যে ফেলে ফেলে, সেগুলোর পক্ষে এবং বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিয়ে ব্যতিব্যস্ততার নাটক খেলে খেলে যাওয়ার একটাই সম্ভাব্য উদ্দেশ্য প্রকাশমান, সেটি হচ্ছে, ব্যক্তিক দখলের সম্পত্তির হিসেব যেন রাষ্ট্রকে দিতে না-হয় এমন বেহিসেবি লুটপাটের পরিবেশকে চলমান রাখা।
গণকরণিক : আখতার২৩৯
ভোটারের চরিত্র