পৃথিবীতে ভাললাগার,ভালবাসার কতো কিছু আছে তা বুঝিয়ে দিয়েছ তুমি। বিষিয়ে ওঠা এ জীবনে মিশিয়ে দিয়েছ স্বপ্নের রং।হয়তো তা তপ্ত মরু প্রান্তরে এক পশলা বৃষ্টি মাত্র। অথবা ভাদ্রের প্রখর রোদের ভ্যাপসা গরমে একঝাপটা দখিনা বাতাস। আবার মাঘের কনকনে শীতে কুয়াশার চাদর সরিয়ে ঘোমটা খোলা সূর্যের কিছুটা উত্তাপ। যা এসেছে আশির্বাদ হয়ে অনেকটা বেলা গড়িয়ে। জীবন তোএকটাই যে যেভাবে পারে কাটিয়ে দিবে। কিন্তু বাঁধা বিপত্তিগুলো সামাজিক অনুশাসন ও ধমীর্য় গোড়ামী হয়ে জীবনকে নিয়ন্ত্রিত করে চলে। অহনিশি তাড়না দিয়ে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। এই পঙ্কিলতার সিঁড়ি ডিঙাতে ছলনা চলে সংসারে। হতাশায় বিবেক শূন্য জীবন বোঝা হয়ে দাঁড়ায় জগদ্দল পাথরের মতো।
বন্ধু, জগতে যত সুন্দর ,যত যৌবন দেখেছি তাতে তোমার পাল্লা অনেক ভারী। তারুণ্যের উচ্ছাস-উন্মাদনা ও বিজ্ঞের দৃঢ়তা তোমার যৌবনে। আমার জীবনের যত যন্ত্রণা, ক্ষোভ,বিষাদ তা সহজেই মিশিয়ে দিয়েছ তোমার সে সান্নিধ্য সুখের হাতে। সে সুখকর মুহুর্তের মৃত্যু হবে না
কোনদিন । তোমাকে মনে পড়ে বার বার। কি বঞ্চনা তোমাকে পীড়া দিচ্ছে , কি হতাশা তোমাকে ঘিরে রেখেছে-তা তোমার উপস্থাপনায় স্পষ্ট। যে অপ্রাপ্তি গুলো তোমাকে ভাবায় তা আমাকেও কষ্ট দেয় । আবার যে আকাঙ্খা বা প্রত্যাশা তোমার দুচোখে ঝিলিক দেয় তা আমাকেও উদ্দেলিত করে। জাদুর মতো টেনে আলিঙ্গন করে। স্পর্ধা জাগে যদি কিছু করতে পারে তোমার জন্য। আমাকে মনে রাখার কথায় ধৃষ্টতা দেখাব না। যদিও আমি তোমাকে কল্পনা করে আনন্দ পাই, বিরহে কষ্ট। তবুও জগত আজ তোমার সুরে আলোকিত। সেই আলোয় খুঁজে নেবে পথ। আর তোমার লাগামহীন জীবনের গতি বাড়িয়ে চলো আগামীর পথে। সে সুরের মুর্ছনায় আমি খুঁজে পাব তোমায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০০৯ সকাল ৮:২২