============== বিসমিল্লাহির রহ'মানির রহী'ম ================
নাস্তিক ও নাস্তিক মনস্ক মানুষের করা যেকোন প্রশ্নকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে পছন্দ করি।আপনাদের কাছে তেমনি একজন মানুষের করা একটি প্রশ্নকে উপস্থাপন করবো উত্তর সহ।আমার এক ছোট ভাই যে কিনা আমার হোস্টেলমেট সে আমাকে একদিন একটা প্রশ্ন করেছিলো যে,
আল্লাহর পক্ষে তো সব সম্ভব তাই না?তাহলে আল্লাহ্ কি এমন কোন অস্ত্র তৈরি করতে পারবেন যা আল্লাহকে মেরে ফেলতে পারবে?(নাঊযুবিল্লাহ)।
যুক্তির খাতিরে ধরে নিলাম হুম আল্লাহর পক্ষে এমন অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব(নাঊযুবিল্লাহ)।এখন এমন একটি অস্র মহান রাব্বুল আ'লামিনকে মেরে ফেললো(নাঊযুবিল্লাহ)।এতে কি লাভ হবে?
ধরুন একজন ব্যক্তি যার নাম জন।জনের দুই হাতে দুইটা গ্লাস।আপনি বললেন জন তুমি এই গ্লাস দুটো ২৪ ঘন্টা কিংবা একদিন হাতে রেখে দাঁড়িয়ে থাকো।আমার নির্ধারণ করা সময় পর্যন্ত যদি তুমি দাঁড়িয়ে থাকো তাহলে আমি তোমাকে ১০০ ডলার গিফট দিবো।জন আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহন করলো।প্রশ্ন হলো জন কত ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে?এক দুই তিন।আচ্ছা একটা সময় জনের শক্তি ক্ষয় হবে কিনা?অবশ্যই।জনের যখন শক্তি প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে পড়বে তখন তার হাত থেকে গ্লাস দুটো পড়ে যাবে।এখন বলুন গ্লাস দুটোর পরিনতি কি হবে?ভেঙ্গে চুরমার। আবার ধরুন যদি পৃথিবীর সকল কৃষিকাজ বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে পরিস্থিতি কিরুপ দাঁড়াবে?মানুষ খাদ্যের অভাবে মারা যাবে।
মহান আল্লাহ্ তা'লা যিনি আমাদের দেখভাল করছেন যিনি আমাদের খাদ্য দেন।যিনি পৃথিবীকে আমাদের জন্য করেছেন বসবাসের উপযোগী।যিনি গ্রহ নক্ষত্র নিয়ন্ত্রন করছেন।যার কারনে চাঁদ পৃথিবীকে স্পর্শ করতে পারে না।সূর্য তার কক্ষ পথ থেকে বিচ্যুত হয় না।তিনি যদি না থাকেন তাহলে আমাদের কি হবে?কি হবে এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের?নিশ্চিত ধ্বংস হয়ে যাবে।কারন অক্সিজেনই যেখানে নেই সেখানে মানুষ বেঁচে থাকবে এটা অবান্তর।তেমনি স্রষ্টা যদি নাই থাকেন সেখানে সৃষ্টি থাকবে এটা ভিত্তিহীন।
আমরা মানুষ।আর আমরা মরনশীল।তাই আমরা যারা আমাদের মানবীয় বৈশিষ্ট্য দিয়ে স্রষ্টাকে বিচার করি যেটা নিঃসন্দেহে মূর্খতা কিংবা ধূর্ততা ছাড়া কিছুই না।মহান আল্লাহ্ বলেন,
সূরা আশ-শুরা:১১ - "কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়।
মহান আল্লাহর গুনবাচক নাম সমূহের মধ্যে একটি হলো আল-মুতাআ'লি সৃষ্টির গুনাবলীর উর্ধ্যে।কোন কিছুই তার গুনের সাথে তার বড়ত্বের সাথে তুলনীয় নয়।দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।একজন সত্তা যিনি সবার অপেক্ষা মহান তিনি প্রদত্ত পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে,
আল-হাইয়্যু যার অর্থ চিরঞ্জীব।আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব।অর্থাৎ মহান আল্লাহ তা'লার কোন মৃত্যু নেই।নিঃসন্দেহে তিনি বেঁচে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।তাই তার মৃত্যু হবে এই মনোভাব পোষন করা নিঃসন্দেহে অবান্তর অযৌক্তিক।
আল্লাহর নিমিত্তেই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সার্বভৌমত্ব।এখানে আল্লাহ সুবহা'নাহু ওয়া তা’আলা আমাদেরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ। তিনিই সকল ক্ষমতার উৎস এবং সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী। আর এই সার্বভৌমত্বে আল্লাহর কোন শরীক নেই।তার ওপর কিংবা তার সমান কোন ক্ষমতাবান সত্তা নেই।আর তাই এমন অস্ত্র যা আল্লাহর ওপর ক্ষমতাবান (নাঊযুবিল্লাহ) এটা যেকোনভাবেই অগ্রহনযোগ্য ও পরিত্যাজ্য।
ইসলামের ডায়েরী থেকে বলছি_৪র্থ পর্ব।
মাহমুদুর রহমান।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮