somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি ব্যতিক্রমী সস্তা বড় গল্প

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




অন্ধকারে হাতড়ে লাইটের সুইচটা দাবাতেই হঠাৎ আলোটা মুহূর্তের জন্য বেড়ে গিয়ে আবার অস্তমিত হল। আবার আরেকটা বাল্ব ফিউজ। আরও পঞ্চাশ টাকা গচ্চা। মাথার রক্তটা গরম হতে না হতেই মেধার মনে হল ঘরটা কেমন যেন আগের চেয়ে বেশি অন্ধকার লাগছে। একটু আগেও এত অন্ধকার লাগছিল না। মনে হল ও যেন একটা আধারের জগতে ঢুকে পড়েছে। কখন যে আলো এসে সেই আধারকে সরিয়ে দিবে কেউ জানেনা। মেধা নিজেও না। কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে ওর। এমন অনুভূতি মেধার আজ নতুন নয়; বলা যায় ছোটবেলা থেকেই। অগ্যতা উঠে গিয়ে ওয়াশরুমের বাতি জ্বালিয়ে দরজা খানিকটা খুলে দিয়ে ঘুমাতে গেল। এই বুদ্ধিটা মাথায় আসায় ভাল হয়েছে। শোবার ঘরে বাতি থাকা কি খুব দরকার? না থাকলে কি চলেনা? কিন্তু বাতি না জ্বালিয়ে মেধা ঘুমাতে পারেনা। তাই পরের দিন সকালে কলেজ থেকে ফেরার পথে একটা বাল্ব কিনে আনার কথা মনে করে চোখের পাতা এক করল আবার।



কেমন যেন গরম লাগছে। আবার কাঁথাটা ফেলে দিলেও হাল্কা শীত অনুভব হচ্ছে। ঘুম আসছেনা ঠিকমত। ঘুম জড়ানো চোখে মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকাল রিচি। সাড়ে তিনটা বাজে। দেখেই মেজাজটা গরম হয়ে গেল। কেন যে দেখতে গিয়েছিল? এখন রাজ্যের যত ঘুম না আসার চিন্তা ওর মাথায় চড়ে বসবে। কাল সকাল ছয়টার আগে উঠতে হবে। এরপর ভার্সিটি, কোর্স আর টিউশানি তো আছেই। কি করে যে দিন কাটবে ভেবেই পাচ্ছেনা রিচি। একটু পরপরই মনে হচ্ছে, সব চিন্তাকে যদি চিরতরে বিদায় দেয়া যেত কত ভাল ঘুমই না আসত চোখ জুড়ে! ভাবতে ভাবতেই ফজরের আজান কানে এল। এরপর আর ঘুমানো যায়না। অনেকটা জোর করেই উঠে পড়ল। শীতকালে পানি এত ঠান্ডা হয় কেন! ইশ! ভাবতেই মনে এল এই পানি আসলে মেরু ভাল্লুকের জন্য। কিংবা ব্যাঙয়ের মত যদি শীতকালটা নিদ্রা যাওয়া যেত কত ভালই না হত! ধুর আইন নিয়ে পড়তে পড়তে মাথাটাই গেছে! কি সব ভাবছে আল্লাহ মালুম!
ধানমন্ডির এক মহিলা হোস্টেলে আপাতত রিচির বাস। সেখানে আর কিছু না হোক ওয়াই-ফাই আছে। আপাতত সেটাই রিচির খুশি থাকার অন্যতম কারণ। সামনের ডিসেম্বরে ফাইনালস; ভাবতেই কেমন গা গুলিয়ে এল রিচির।



এমনিতেই সকালবেলা উঠতে ইচ্ছে করেনা মেধার, তারওপর আর ছিল সকালে ক্লাস। এত ঘুম আসছিল ক্লাসে বলার মতনা। কোন রকম অনেকটা জোড় করে ক্লাসগুলো পার করে চলে আসে বাসার দিকে। বাসায় ঢোকার আগে মনে পড়ে লাইট আনার কথা। ধুর! মনেই নেই! আবার যেতেও ইচ্ছে করছেনা। কেন যেন মনে হচ্ছে দোকান মেলা দুর। থাকগে ভাইয়াকে বলে দিলেই হবে হয়ত। মেধার ভাই পঁচিশোর্ধ এক যুবক। কিছুটা স্মার্ট আর স্বল্পভাষী। মেধার বয়স বাইশ পেরিয়ে গেল কিন্তু ওর বিয়ে নিয়ে কারো তেমন কোন মাথা ব্যাথা নেই। আসলে আছে কিন্তু মেধাই পাত্তা দেয়না তেমন। কোন বিয়ের সম্বন্ধ আসলে একটা না একটা অজুহাত থাকেই মেধার; যেমন ছেলে দেখতে ভাল না, মেন্টালিটি অন্য রকম, এই ছেলেকে জীবনেও বিয়ে করা যাবে না ইত্যাদি। শেষমেশ বিয়েটা আর হয়না।

আইবর বিশোর্ধ নারীরা নিজেকে পরিবারের বোঝা মনে করে। সবাই তার প্রতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলেও এটা কেমন যেন করুণার মত দেখায়। আজ ক্লাসে মনে হয় অনেক মজা হচ্ছিল। মেধা ঝিমানীর জন্য পাত্তা পায়নি। বাসায় এসে আর ঘুম আসছেনা। কি আশ্চর্য! ঘুমানো দরকার কিন্তু ঘুম আসছেনা। সব দোষ রাদের ঘাড়ে চাপাল। ফাজিল ছেলে একটা। গত রাতে আগেভাগেই ঘুমাতে চেয়েছিল কিন্তু রাদের জ্বালায় পারেনি। ছেলেটাকে আর লাই দেয়া যাবেনা। রাগে গজরাতে গজরাতে মেধা বিছানায় বসে পড়ল।



রাদের সাথে মেধার বন্ধুত্ব বছর তিনেক হবে। ছেলেটার সাথে মেধার চিন্তা ভাবনার তেমন কোন মিল নেই বললেই চলে। মেধা যেখানে শান্ত,মিতভাষী সেখানে ছেলেটা অত্যাধিক হারে বাচাল আর চঞ্চল। কিন্তু ওরা একে অন্যকে ভাল বোঝে। যার কারণেই হয়ত এই বিচিত্র দুনিয়ায় ওদের বন্ধুত্ব আজও টিকে আছে। ছেলেটা জাহাজে কিসের যেন চাকরি করে মেধা সঠিক জানেনা। কিন্তু ওর ভাবী বউ যে ওকে ছেড়ে চলে যাবে এটা নিয়ে মেধার কোন সন্দেহ নেই। এমন ছেলের কাছে মেয়েরা থাকে নাকি?

অনেক পুরোনো বন্ধুত্ব হলেও আজব ব্যাপার হল ওদের কখনো দেখা হয়নি। হয়নি না আসলে ওরাই করেনি। কেন যে করেনি সেটা কিছুটা অজ্ঞাত। আসলে ওদের ধারণা দেখা হলে গ্রহণযোগ্যতা কমে যেতে পারে; আবার অনেক সময় রাদ ঢাকা আসলেও মেধার সময় হয়না এমনভাবেই কেটে গেছে তিনটি বছর। এর মাঝে রাদের মেধাকে ভাল লাগাও শুরু করেছে একটু একটু করে কিন্তু এই ভাল লাগা আর বিকাশ পায়নি বন্ধুত্বের অজুহাতে। এভাবেই চলছে জীবন অনেকটা লাগাম ছাড়া।



রাদের ঘুম ভাঙলো বেলা বারটায়। তাও আবার মায়ের হাতের তুমুল কড়ানাড়া শুনে। এই তো কিছুদিন হল জাহাজ থেকে বাড়ি ফিরেছে রাদ। জাহাজে ঘুমাতে পারেনা ঠিকমত তাই এখন ওর ঘুমের কোন সময়সূচী নেই। উঠেই ফোনটা হাতে নিয়ে ফেইসবুকে লগইন করে দেখল টাইমলাইনটা কেমন যেন খালিখালি লাগছে। ফোন রেখে দিয়ে ফ্রেশ হয়ে উঠতেই মিসেস শিখা (রাদের মা) ছেলে কি খাবে এটা নিয়ে কিছুটা ব্যাস্ত হয়ে উঠলেন। অনেকদিন পড় ছেলে বাড়ি ফেরায় তিনি ছেলের যত্নের দিকে অনেক সতর্ক। কিছুটা খেয়ে বাকিটা নষ্ট করে উঠে পড়ল রাদ।

গতকাল থেকে একটা বই পড়ছে রাদ। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের লিখা ‘তালপাতার সেপাই’। বইটা পড়ার সাথে সাথেই স্বাধীনতাপূর্ব ঢাকার চিত্র উঠে পড়েছে রাদের চোখের সামনে। কেমন যেন এক নির্বাক আকর্ষণ অনুভব করে সে পুরোনো ঢাকার প্রতি। অনেক সময় ভাবে তার বাসা যদি হতো সেদিকে তাহলে কি খারাপ হত? না মনে হয় খারাপ হয়ত হতনা। নাহ বাসায় থাকতে ভাল লাগছেনা তেমন বইটা হাতে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল বাইরে। একটা টঙে বসে এক কাপ চা আর সিগারেট এর ধোয়া মিশিয়ে বইয়ের পাতা উল্টালে খারাপ হয়না মনে হয়!

সিগারেট এর প্রতি রাদের দুর্বলতা এমন যে ওর সব অপ্রাপ্তি আর ব্যার্থতা সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে বেরিয়ে যায়। চাকরির বাজার ভাল না। ভাগ্যিস বাবার চাকরিটা ছিল নইলে কিভাবে যে দিন কাটত সেটা নিয়ে আসলেই ভাবতে ইচ্ছে করেনা রাদের। জীবনের হিসাব করতে বসলে হয়ত নিজের চেয়ে সিগারেটকেই বেশি আপনার বলে মনে হবে তাই এগুলো আর ভাবতে যায় না ও।



মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে এক দৃষ্টিয়ে তাকিয়ে আছে মেধা। তেমন কোন কাজ নয় অকারণে তাকিয়ে থাকা মেধার একটা অভ্যেস। তবে এটা ভাল কি না তা নিয়ে ও অনিশ্চিত।

মেসেঞ্জারে একটা নটিফিকেশন আসতেই ওর অকারণে তাকিয়ে থাকাটা একটা কারণ পেয়ে গেল। রাদের টেক্সট। দেখেই ক্লাসের ঝিমানীর কথা মনে পড়ে গেল মেধার। কিন্তু কারও ওপর রাগ হলে মেধা তাকে সেটা বুঝতে দেয়না। ওর মনে হয় যে কেউ ওর রাগ বুঝতে না পারলে তার আসলে বোঝার দরকার নেই। যাই হোক কুশলের রিপ্লাই দিয়েই শুরু করল কথপোকথনঃ

-হাই ম্যাম।
-হ্যালো স্যার।
-আছো কেমন?
-এইতো। তুমি?
-চলে। ক্লাস কেমন গেল?
-হল একরকম। স্যার আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছিল কয়েক ঘন্টা আগে। কিন্তু কল দেইনি।
-আমিই দিচ্ছি কিছুক্ষন পরে।
-না দরকার নেই।
-আমার দরকার আছে তো।
-এত দরকার থাকা ভাল না।
-ফোন করলে না কেন?
-এমনিতেই।
-ডিনার?

ভাল লাগছেনা। উত্তর না দিয়েই খেতে চলে গেল মেধা। রাদকে অনেক কাছের মানুষ মনে হয় মেধার কিন্তু মাঝে মাঝে কি সব ভাবে তাই আর ওদের মাঝে বন্ধুত্বটা বন্ধুত্বই রয়ে গেছে। এর ওপরে উঠতে পারেনি। রাদ অবশ্য রাগ করেনা ওর এমন উদাসীনতায়। ভাল লাগলেও ও মেধার সাথে ওর বন্ধুত্বকে অনেক সম্মান করে। তাই আর কিছু বলেনা। আজ প্রায় মাস খানেক পর মেধার ভাই বিদেশ থেকে বাসায় আসছেন তাই ওর কিছুটা ভাল লাগছে। কিছুক্ষন পরপর অনাগত ভাইয়ের খবরদারী করতে করতেই সময় গেল মেধার।



ক্লাসের ক্লাস টেস্ট শেষ করে আজ রিচির মেজাজ খুব বিগড়ে গেছে। মাত্র দশ নম্বরের ক্লাস টেস্ট কিন্তু ইন্সট্রাক্টর এমনভাবে নিলেন যেন এটা সত্তর নম্বরের টার্মেন্ড। এভাবে এক্সাম নিলে তো মেসে এসেও গাধার মত পড়া ছাড়া উপায় নেই। রিচির ছোট বেলাটা কেমন যেন কেটেছে। একটু জেদী আর প্রাঞ্জল টাইপের হলেও বন্ধু হিসেবে সে একেবারেই ক্লাস ওয়ান। রাদ রিচির ছোট বেলার বন্ধু। ঠিক কত ছোট বেলার এটা আর গভীর ভাবে চিন্তা না করাই ভাল বোধ হয়। ব্যাপারটা ভাল শোনাবেনা। দুই জনের মাঝে হর-হামেশাই ঝগড়া লাগে। এর সাথে তো কথায় কথায় যাচ্ছেতাই গালাগাল একদম ফ্রী। কিন্তু এসবের মাঝে যে অনেক নিবিড় একটা বন্ধুত্ব আছে সেটা ওদের চেয়ে ভাল কেই বা জানে। তবে ক্যারিয়ারের ব্যাপারে রিচি অনেকটাই সচেতন। কি করবে এল এল বি শেষ করে তা নিয়ে এখন থেকেই ভেবে রাখছে। অনেক ছোট বেলায় ওর বাবা মারা যান। কিন্তু ওর আসলে এখনো মনে হয়না তেমন যে ওর বাবা নেই। মাঝে মাঝে ও কথাও বলে ওর বাবার সাথে। কত কথাই তো হয় কিন্তু ফারাক শুধু এতটুকু যে কোন প্রত্যুত্তর আসেনা।

আজ বিকেলটা রিচির ভালই কেটেছে বলতে হবে। অনেকদিন পরে বন্ধু মহলের সাথে দেখা হল সেই সাথে আড্ডা খাওয়া-দাওয়া আর ঘোরাঘুরি। অনেকদিন পর মনে হল জীবনটা শেষ হয়ে যায়নি; এখনো কিছু বাকি আছে। উচ্চ মাধ্যমিকের পর রিচি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু ওর ইচ্ছে ছিল আইন নিয়ে পড়ার তাই অনেকটা জোর করেই প্রাইভেট একটা ভার্সিটিতে আইনে ভর্তি হয়েছে। সময় কত তাড়াতাড়ি যায়। দেখতে দেখতে ফাইনার ইয়ার চলে এল। আর কয়দিন পরে চাকরি করবে। জীবনটা হয়ত এভাবেই কেটে যাবে। মাঝে মাঝে এসব ভেবেই রাত পার করে দেয়।

সন্ধায় মেসে ফিরে এসে ফেইসবুকে ঢুকতেই রাদকে অনলাইন দেখে নক দেয়ঃ

-কিরে কামিনী!
-হুম। হারামী বল।
-কই থাকিস রে তুই?
-আমি শ্বশুড়বাড়ী আছি তোর কোন সমস্যা?
-কি রে আমারে না তোর বিয়ে করার কথা? তুই না আমারে বিয়ে করিস? আমারে বাদ দিয়ে কোন শ্বশুড়বাড়ি আছিস তুই?
-হুম তুই তো আমার বউই। তাইনা বল?
-মানুষ হইলিনা তুই।
-মানুষ ছিলাম কবে রে?
-হুম। তাই তো। মানুষ ছিলিই বা কবে?
-দিনকাল কেমন যায়?
-মর তুই।
-কিরে কই যাস?......।
রিচি আর রিপ্লাই দেয়না। ওর আজ রাতে ফেস্টিভালে যাওয়ার কথা তৈরী হয়ে বেরিয়ে পড়ে। রাত বাড়ে সেই সাথে বাড়ে ক্লান্তি আর জরতা।



রাদ ঢাকা এসেছে। ওর কিছু কোর্স করতে হবে। আবার কখন জাহাজের ডাক পেয়ে যায় বলা তো যায়না তাই আগেভাগেই নিজেকে তৈরি করে রাখা আর কি। জীবনটা ওর কাছে এত সহজ না। কত অনিশ্চয়তা আর হতাশা মাথায় চেপে যে সারাদিন ঘুরে বেড়ায় তা ওই ভাল জানে। জাহাজে এত ব্যাস্ত সময় কাটানোর পর বাসায় এসে সময় যেন আর কাটতে চায়না। কিছুদিন অসামাজিক জীবন যাপন করে। এরপর ঠিক হয়ে যায়। ভাগ্যের টানে ও অন্যদের থেকে কিছুটা পিছিয়ে গেছে। ওর বন্ধুরা অনেকেই শেষ করে ফেলেছে ইন্টার্নী আর ও এখনো শেষ করতে পারেনি। তবে যাইহোক জীবন নিয়ে ও অনেক আশাবাদী। কোর্সের প্রথমদিন শেষ করে বাসায় ফিরে আসে। জীবনটা কেমন যেন একটু গতিহীন হয়ে যাচ্ছে। আজ রিচির সাথে দেখা করার কথা রাদের। বিকেলের দিকে ধানমন্ডি ৩২ এর দিকে গেল রাদ। রিচির আসার কথা বিকেল পাঁচটায়। দেখা গেল রিচি সহ আরও কিছু বন্ধু-বান্ধব সেখানে ইতোমধ্যে চলে এসেছে। ওদের সাথে কিছু সুন্দর সময় কাটিয়ে রাদ উঠে পড়ল বাসার উদ্দেশ্যে।

ফিরতে ফিরতে সন্ধে হয়ে এল। বাসায় এসে বিছানায় এলিয়ে দিল নিজেকে। আজ কেমন যেন নিজেকে খুব ক্লান্ত লাগছে। কিন্তু কোন এক উত্তেজনায় ওর অস্বস্তি লাগছে ঠিক ধরতে পারছেনা। কিছুক্ষন চিন্তা করার পর মনে পড়ল মেধার সাথে যোগাযোগ করার কথা। আজ তিন বছর হয়ে এলো ওদের পরিচয় কিন্তু এরমাঝে তো একবারও দেখা হয়নি। মেধাকে বলবে কিনা দেখা করার কথা; বললে মেধাই বা কি মনে করে। এমন দোটানায় বেশিক্ষন থাকা যায়না। কিছুক্ষন ভেবে সাহস করে তুলে নিল ফোন। নম্বর ডায়াল করতে গিয়ে হাত কাঁপছিল। এমন কোনদিন হয়নি কিন্তু আজ এমন মনে হচ্ছে কেন এটা ও নিজেই জানেনা। কিন্তু ফোনটা রিসিভ হয়নি। বুক চাপা এক দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল ওর বুক থেকে। ঘন্টা খানেক পর ওকে অনলাইন দেখে টেক্সট করলঃ

-আছো?
-জী স্যার।
-ফোন ধরলেনা যে!
-আমি এইমাত্র দেখলাম।
-আচ্ছা। কি খবর?
-আগের মতই। তোমার?
-ভালই। কোথায়?
-বনশ্রী।
-আমি তো ঢাকা।
-কবে আসলে?
-এইতো আজই।
-হঠাৎ ঢাকা?
-কিছু কাজ ছিল কোর্সের তাই চলে আসলাম।
-হুম।
-আচ্ছা তুমি না বলেছিলে আহসান মঞ্জিল নিয়ে যাবে আমাকে?
-বলেছিলাম তো।
-তাহলে কবে আমরা যেতে পারি?
-আসলে আমার পরীক্ষা চলছে।
-আচ্ছা ব্যাপার না। আমি তোমার কলেজের আশেপাশে কোথাও আসি পরীক্ষার আগে বা পরে কিছু সময় দাও। কোনদিন তো দেখা হলনা।
-আসলে আমি অনেক মোটা হয়ে গেছি।
-এটার সাথে দেখা করার কি সম্পর্ক?
-না আমি ৫৩ কেজি হব তারপর দেখা করবো।
-তুমি নিজের ব্যাপারে যে উদাসীন! তোমার ৫৩ কেজি হতে আরও তিন বছর লাগবে।
-তাহলে তিন বছর পরেই দেখা করব।
-আগেও বলেছিলে এবার করবে। এবার শিপে উঠলে কবে না কবে নামি। আর কবে না কবে দেখা হবে।
-হবে কোন এক সময়।
-এবার করলে কি খুব সমস্যা?

আর রিপ্লাই আসেনা। রাদের মন খারাপ হয়না। এমন ওর সাথে হর হামেশাই হয়। এদিকে শিপে ওঠার সময় ঘনিয়ে আসছে। অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকে।

জগৎটা অনেক নির্মম। কেউ উপকার করেছে, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়নি; কারও প্রতি অবিচার করা হয়েছে, সমবেদনা জানানো হয়নি। যখন উপলব্ধি করবে, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন বা সমবেদনা জানানোর জন্য খুঁজবে কিন্তু দেখবে কিছুটা দেরী হয়ে গেছে।



সমুদ্রের ডাক এসেছে রাদের জন্য। জীবিকার দাবীতে আবারও চলে যেতে হয় পরিবার, আর মাটির মায়া ছেড়ে। এয়ারপোর্টে রাদকে সী-অফ করতে এসেছে রিচি। ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স নিয়ে রাদ ফিরে আসে রিচির কাছে বিদায় নেবার জন্য। রিচি কেমন বিষন্ন মুখে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।

-ওকে ঠিক মত যা আর ভাল থাকিস।
-আচ্ছা দোস্ত তুইও ভাল থাকিস আর দোয়া করিস।
-আর শোন এইবার গিয়ে কিন্তু একটা মারমেইড ধরে আনবি। কেমন?
-মার মেইড কেন?
-তুই যেখানে যেখানে যাবি তোর সাথে সাথে যাবে। নয়ত তোর মত বৈরাগীরে কে বিয়ে করবে বল?
-হুম ঠিক বলেছিস। কেই না করবে? কিরে তুই না করতে চাইছিলি? ও তাহলে এই ছিল তোর মনে?
-ব্যাপার না তুই ফিরে এসে দেখবি আমার বাচ্চা-কাচ্চা তোরে রাদ মামা বলে ডাকছে।
-হুম বুঝলাম। তাহলে মামাই হলে গেলাম। এই ছিল কপালে!
-বাল মার্কা কথাবার্তা বলবিনা তো! তুই সারাবছর কিছু না বলে এই আটলান্টিকের দিকে উড়াল দেয়ার আগে উদ্ভট টাইপ কথা বলবিনা।
-আরে দোস্ত মজা করলাম; মাইন্ড করিস না।
-তুই সারাজীবন মজাই করে যা। তোর দ্বারা আর বিয়ে হচ্ছে না।
-ঠিকই বলছিস। মেবি চিরকুমার সভায় যোগ দিতে হবে আমার।
-হুম। তাই দে।

বোর্ডিং কল চলে আসে। চলে যাবার আগে রিচির হাতে একটা কাগজ দিয়ে চলে আসে রাদ। রিচিকে আর দেখা যায়না। রাদ চলে গেলে কাগজটা খুলে দেখে রিচি, “ভাল থাকিস। একরাশ উচ্ছ্বল হাসি তোর সঙ্গী হোক প্রতিদিন।”

বাংলাদেশ বিমানের বি-৭০৬ বোয়িং এয়ার ক্রাফটের ইঞ্জিন গর্জে ওঠে কিছু ক্ষণের মাঝেই। খানিকটা পড়েই তা মিলিয়ে যায় রিচির দৃষ্টি সীমার বাইরে।

১০

আজ কিছুটা সকালেই ঘুম ভাঙলো মেধার। আর মাত্র দুই দিন বাকি আছে তৃতীয় বর্ষে ভর্তি হওয়ার জন্য। প্রতিদিনই ভাবে কিন্তু ঘুমের জন্য ওঠা হয়ে ওঠেনা। গতকাল বলতে গেলে ঘুমের জন্যই ভর্তি হতে পারেনি। কি যে মেজাজ খারাপ হয়েছিল বলার মতনা। কলেজে গিয়ে ভর্তিক্রিয়া একরকম সম্পন্ন করে বাসায় ফিরে এল। কেমন যেন ফুরফুরে লাগছে আজ। যদিও ঢাকায় বিকেলের রোদ অমাবস্যার চাঁদের চেয়ে কম কিছু নয় তবুও বারান্দায় গিয়ে ব্রিটনীর-‘আ’ম নট আ গার্ল’ ছেড়ে কিছুক্ষন একাকী বসে রইল। হুট করেই মনে হল ফোনে টেক্সট এসেছে। কিন্তু চেক করে দেখল সেটা শ্রতুভ্রম ছিল। ইদানিং মেধার মাঝে মাঝেই এমন হয়। দেশে থাকতে রাদের সাথে কিছুক্ষন পরপরই যোগাযোগ হত তাই নটিফিকেশন আসত। রাদ চলে যাবার পরে যোগাযোগ না হলেও সেই অভ্যেসটা এখনো যায়নি। মেধার কেন যেন রাদের সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে। রাদের নম্বর চেপে ডায়াল করে। জানে কোন উত্তর আসবেনা কিন্তু তাও বারবার ফোন দেয়। আনরিচেবল। কি মনে করে যেন রাদের সাথে ওর চ্যাট হিস্টি পড়তে থাকে।

-সোনালী পাড়ের নীল শাড়ি পড়লে মনে হয় তোমাকে ভাল দেখাবে।
-আমার তো কোন শাড়ি নেই।
-তোমার মায়ের শাড়ি পড়বে।
-মায়ের শাড়ি পড়বনা।
আচ্ছা আমি যেদিন দেখা করতে আসব সেদিন নিয়ে আসব।
-আপনার আনতে হবেনা স্যার।
-আচ্ছা। ম্যাম আমাদের মাঝে কি কিছু পসিবল?
-কিছু বাংলা?
-মানে ভবিষ্যতে?
-এখন যেরকম আছি সেভাবেই সারাজীবন পাবা।
-এর চেয়ে বেশি কিছু হলে প্রব্লেম?
-না আসলে বন্ধুর সাথে কোন সম্পর্কে যাওয়া যায় না।
-দেখ আমি যে অন্য মেয়েকে ভাল লাগানোর চেষ্টা করিনি তা নয়। করেছি কিন্তু পারিনি।
-পারবে দেখো। তোমার মাঝে আমি সেই …দেখতে পাচ্ছি।
-আমার কথা আমাকেই?
-যাই হোক আমাকে নিয়ে কিছু ভাবলে জানাবেন।
-ওকে স্যার।

আর পড়তে ভাল লাগছেনা। মেধা ঠিক করে এবার রাদ আসলেই ওরা দেখা করবে। কিন্তু কবে আসবে রাদ? আচ্ছা ও কেমন আছে এখন? ও কি এখনো বেশি কথা বলে আগের মত? এবার ফিরলে কি আগের মত আমার সাথে কথা বলবে? নাকি অন্যরকম হয়ে যাবে! অনেক ভেবে মেসেজ টাইপ করে, “স্যার এবার আসলে কিন্তু বাসায় যাবার আগেই আমাকে জানাবেন।” কিন্তু সেন্ড আর করতে পারেনা। অনেক সংকোচ কাটিয়ে দাবিয়ে দেয় মুঠো ফোনের সেন্ড বাটনটি। কেমন এক নিরর্থক আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকে সহস্র পিক্সেলে স্ক্রিনের দিকে কিন্তু কোন জবাব আসেনা। কেমন এক অসহ্য যন্ত্রনা অনুভূত হতে থাকে মেধার মনে। এটা কি নিজের অবহেলার কারণে অনুশোচনা নাকি রাদের প্রতি ভালবাসা অথবা শুধুই মানবিকতা মেধা জানেনা।
কেটে যায় দিন; চলে জীবন ভাবলেশহীন।

১১

আটলান্টিকের ওপর দিয়ে এম.টি. স্টল্ট ভায়োলেট, কেমিক্যাল ট্যাংকার জাহাজ এগিয়ে যাচ্ছে টেক্সাসের দিকে। সেখান থেকে নিউইয়র্ক হয়ে হাভানা তারপর আবার সিংগাপোর ফিরে আসার চার্টই তৈরী করেছে জাহাজের নেভিগেটিং অফিসার। রাদ এই জাহাজের ইঞ্জিনিয়ার অফিসার। গতকাল রাত থেকেই সাগরের অবস্থা ভাল না। নিয়ারেস্ট পোর্ট আর স্যাটালাইট ওয়েদার আপডেট এর সাথে জাহাজের ওয়েদার মনিটরিং সিস্টেমের সিংক্রোনাইজ করে বোঝা যাচ্ছে সামনে বিশাল এক ধকল আছে। বাতাসের গতি ক্রমশ বেড়ে এখন সেভেন্টি কি.মি. / আওয়ার। রাত বারটা থেকে রাদ ইঞ্জিনরুম ইনচার্জ। গত দুইদিন হল একটা অলটানেটর ইঞ্জিন ভাল পারফরম করছেনা। কিন্তু রাফ ওয়েদারে আলওয়েজ দুইটা অলটারনেটর প্যারালাল রাখতে বলেছেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার তাই আর ওটার মেইন্টিন্যান্স করার সময় পাচ্ছেনা। রাফ ওয়েদারের কারণে জাহাজে কোর্স প্রায়ই পরিবর্তন হচ্ছে তাই ইঞ্জিন প্যারামিটারগুলোর দিকে নজর রাখতে হচ্ছে ক্রমাগত। হুট করেই টার্বোচার্জারটা নয়েজ করছে। একটু গিয়ে ফিজিক্যালি দেখা দরকার। হঠাৎ ইন্টারকমে ফোল এল,

-হ্যালো থার্ড ইঞ্জিনিয়ার অন দা লাইন।

ওদিক থেকে সেকেন্ড মেটের গলা শোনা গেল। জাহাজের ফানেল দিয়ে নাকি ফ্লেম স্পার্ক বের হচ্ছে। তাকে আশ্বস্ত করে রাদ মোটরম্যানকে ডাক দিল। মোটরম্যানকে সুট ব্লো করতে পাঠিয়ে নিজে গেল টার্বোচার্জারের দিকে। কিছুক্ষনপর ওর নাকে বার্নিং স্মেল এল। প্রথমে আমলে না দিলেও কিছুক্ষন পর যখন ফায়ার এলার্ম শুনল আর ব্রিজ থেকে ফোন এল যে ফানেল ডেকে নাকি আগুন লেগে গেছে। তাড়াতাড়ি এভ্যাকুয়েট করা দরকার। ইমার্জেন্সী এস্কেপ দিয়ে বের হতে গিয়ে পাশেই ইকোনোমাইজারের আগুনের উত্তাপে প্রায় ঝলসেই গিয়েছিল। না এদিক দিয়ে আগানো আর সম্ভব না। তাই নেমে অলটারনেটিভ ওয়ে ফলো করে আগাতে লাগল। কিছুক্ষন পরে পাবলিক এড্রেস সিস্টেমে শোনা গেল, “ফিক্সড সিওটু ইন্সটলেশন ইজ টু বি অপারেটেড ইন শর্ট। পিজ এভ্যাকুয়েট।’’ মানে কিছুক্ষনের মধ্যেই ইঞ্জিনরুম থেকে বের না হলে মারা পরবে রাদ। প্রাণপনে দৌড়ানোর চেষ্টা করল। কিন্তু এক্সিট ডোরের কাছে এসে থমকে গেল। আগুনের উত্তাপে ডোর এক্সপ্যান্ড হয়ে জ্যাম হয়ে গেছে খুলছে না। আর উত্তাপের জন্য তেমন ভাবে খোলার চেষ্টাও করা যাচ্ছেনা। কেমন যেন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে রাদের। খালি একটি বারের মত মনে হল এত তাড়াতাড়ি দুনিয়ার মায়া ছাড়তে হবে ভাবেনি রাদ। অনুভূতিগুলো কেমন ঝাপসা হয়ে আসছে। বিচিত্র সব কথা রাদের মনে হতে লাগল। খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে কি? না তেমন কষ্ট তো হচ্ছেনা। আচ্ছা মা কি আবার আমাকে দেখতে পাবে? ছোট ভাইটা যেন কত বড় হল? এবার ফেরার আগে যেন কি নিতে বলেছিল? মেধা নীল শাড়ি পড়লে যেন কেমন লাগে? না আর কিছু মাথায় আসছেনা। কেমন যেন নিস্তেজ হয়ে আসছে সবকিছু। এরপর সব অন্ধকার।

আগুন নিয়ন্ত্রনে এলে ইঞ্জিনরুমের এন্ট্রান্সের পাশে রাদের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

পুনশ্চঃ

মেধা এখন দায়িত্বশীল একজন গৃহিনী। সারাদিন অনেক ব্যাস্ত সময় কাটে। বাইরে তেমন একটা বেরোয়না। ছেলের স্কুল আর পড়াশোনা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। নীল রঙটাকে কেমন যেন ভয় পায়।

রিচি এখন নাম করা একজন উকিল। এবার ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনে পিএইডডি এর জন্য আবেদন করেছে। সেখানে সপরিবারে চলে যাবে হয়ত কিছুদিনের মাঝেই।

রাদের ঘরটার আসবাবে ধুঁলার আস্তরন পরেছে। ওর মা মারা যাবার পরে কেউ আর ওর ঘরে তেমন আসেনা। ঘরে ওর একটাই ছবি। শ্বেত পোশাক পরা নাবিক হাস্যোজ্জ্বল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সমুদ্র যেখানে আকাশ ছুঁয়েছে সেখানে। সে দিগন্তের শেষ আছে কি? বোধহয় নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৪২
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×