somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছবি ব্লগঃ পৃথিবীর ১৫ টি রহস্যময় স্থান

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
১. The Door to Hell/ Turkmenistanঃ



১৯৭১ সালে সোভিয়েত প্রকৌশলীরা তুর্কমেনিস্তান এর কারাকুম মরুভূমিতে তেলের সন্ধানে এটি খনন করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তেলের পরিবর্তে গ্যাস পাওয়া যায় এবং প্রকৌশলীরা দুর্ঘটনার আশংকায় গ্যাস পোড়ানর জন্য আগুন ধরিয়ে দেন। তারা ধারনা করেছিলেন সম্পূর্ণ গ্যাস নিঃশেষ হতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। কিন্তু আজও সে আগুন জ্বলছে।

২. Ship Graveyard in Muynak/ Uzbekistan:



একসময়ের সমৃদ্ধ বন্দরনগর আজ এরকম পুরনো ভুতুড়ে জাহাজের আশ্রয়স্থল।

৩. Jatinga (Assam) / India:



ভারতের আসাম রাজ্যর “দিমা বাসাও” জেলাতে অবস্থিত এই গ্রামের নাম জাতিঙ্গা। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় এ গ্রামের আকাশ হতে শত শত পাখি ইচ্ছাকৃত ভাবে মাটিতে পড়ে মৃত্যুকে বরন করে।

৪. Oradour Sur Glane (Ghost Town)/ France:



নাজি অধ্যুষিত ফ্রান্স এর এই গ্রামে ১৯৪৪ সালের ১০ ই জুন কুখ্যাত “এস এস” (স্কুতস্তাফেল) বাহিনী ৬৪২ জন নারী শিশু ও পুরুষকে নির্বিচারে হত্যা করে।

৫. Hoia Bacio Forest/ Romania:



এ ভৌতিক অরণ্যটি রোমানিয়ার পশ্চিমে “Cluz Napoca” তে অবস্থিত। এই অরণ্যকে বলা হয় “বারমুডা ট্রায়াঙ্গল অফ রোমানিয়া”। কথিত আছে অদ্ভুত ধরনের গাছের এই বনে মানুষ প্রবেশ করলে আর ফিরে আসে না। অনেকে এই অরণ্যকে “গেইট ওয়ে টু অ্যানাদার ডাইমেনসন” বলে থাকে।

৬. Leap Castle/ Ireland:



আয়ারল্যান্ড এর সবচেয়ে ভৌতিক প্রাসাদ বলা হয় এই “লিপ ক্যাসল” কে। ১২৫০ খ্রিষ্টাব্দে “Tiege O’ Carroll” এই প্রাসাদে একজন যাজক কে তার পরিবারের সামনে হত্যা করে। একই সময়ে তিনি তার বড় ভাইকেও হত্যা করেন নিষ্ঠুর ভাবে যা “দ্যা ব্লাডি চ্যাপেল কিলিং” নামে পরিচিত। ১৯২২ সালে এই প্রাসাদের গোপন কুঠুরি থেকে অসংখ্য মানুষের কঙ্কাল আবিষ্কৃত হয়। বলা হয় এদের অত্যন্ত নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হয়েছিলো।

৮. Akodesseua Fetish Market/ Togo:



টোগো এর রাজধানী লোমে তে অবস্থিত এই অদ্ভুত বাজারে কালো জাদু ও ভুদু এর সব উপকরন পাওয়া যায়।

৯. Centralia (Ghost Town) Pennsylvania/ United States of America:



১৯৬২ সালে ভূগর্ভস্থ খনিতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পড়ে এই শহরের রাস্তায় ফাটল দেখা দেয় এবং ঘরবাড়ি ভেঙ্গে যেতে থাকে। ১৯৮১ তে এই ভুতুড়ে শহরে মাত্র ১০০০ জন অধিবাসী ছিল যা ২০১০ এ মাত্র ১০ জনে নেমে আসে। বর্তমানে এই শহরটি পুরোটাই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তবুও এখনও কিছু মানুষ এখানে বসবাস করে।

১০. Island of Dolls/ Mexico:



“জুলিয়ান সান্তানা বারেরা” যিনি এই দ্বীপে একাকী বসবাস করতেন কোন একদিন তার ঘরের সামনের খাড়িতে এক বাচ্চা মেয়ের মৃতদেহ ভেসে আসতে দেখেন। মৃতদেহের যথাযথ সৎকার এর পরবর্তীতেই অনেক বাতিল ভয়ংকর দর্শন পুতুল একই জায়গা থেকে ভেসে আসতে থাকে। জুলিয়ান এই পুতুল গুলোকে গাছের সাথে বেধে রেখেছিলেন এই ভেবে যে এতে মৃত মেয়েটির আত্মা শান্তি পাবে। বলা হয় পুতুলগুলো জীবিত এবং এরা রাতে দ্বীপে ঘুরে বেরায়। রাতে অনেক অদ্ভুত শব্দ শুনতে পাওয়া যায় এই দ্বীপে। অনেক ফিসফিসানি, কথা বলবার আওয়াজ, কান্নার শব্দ, হেটে বেড়ানোর শব্দ আরও অনেক কিছু।

১১. Hashima Island (Ghost Island)/ Japan:



খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের ও তাদের পরিবারদের বাসস্থান হিসেবে এই দ্বীপ গড়ে তোলা হয়েছিলো। ১৯৭৪ সালে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয় এই দ্বীপ। এই দ্বীপটি জাপানের অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। ২০১৫ সালে এই দ্বীপটিকে UNESCO- “World Heritage Site” বলে ঘোষণা করে।

১২. Pripyat/ Ukraine:



তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত ইউক্রেন এর দক্ষিনে অবস্থিত এই শহরটি গড়ে তোলা হয় চেরনোবিল এর পরমানু বিজ্ঞানীদের জন্য। পরবর্তীতে ভয়াবহ চেরনোবিল দুর্ঘটনার পড়ে এই শহরটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। এখনও এখানে তেজস্ক্রিয়তার উপস্থিতি আছে।

১৩. Hanging Coffins of Sagada/ Philippines:



ফিলিপিনের ইগ্রাত আদিবাসী গোষ্ঠী বিশ্বাস করে যে মৃত্যুর পড়ে ভুমির উপরে তাদের শায়িত করা হলে (উচু জায়গায়) তারা স্বর্গের কাছাকাছি থাকবে। তাই তারা এখনও কেউ মারা গেলে তাদের কফিন উচু জায়গায় পাহাড়ের কিনারে ঝুলিয়ে রাখে।

১৪. Poveglia/ Italy:



১৭৯৩-১৮১৪ পর্যন্ত ইতালির এই দ্বীপে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের আটক রাখা হত। ১৯২০ সালে এই দ্বীপে একটি মানসিক হাসপাতাল তৈরি করা হয়। বলা হয় যে চিকিৎসক এই হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্তে ছিলেন তিনি নাকি মানসিক রোগীদের উপর ভয়াবহ সব নিষ্ঠুর পরীক্ষা চালাতেন এবং হত্যা করতেন। এই চিকিৎসক ও একদিন দ্বীপের একটি উচু টাওয়ার থেকে পড়ে যান- যদিও এতো উপর থেকে পড়েও সে মারা যায়নি কিন্তু লোকশ্রুতি অনুযায়ী কিছুক্ষণ পরই অদ্ভুত কুয়াশা চারদিক ছেয়ে ফেলে এবং সেই হত্যাকারী চিকিৎসক কেও আর কেউ খুঁজে পায় নি।

১৫. Aokigahara Forest (Suicide Forest)/ Japan:



ফুজি পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত জাপানের কুখ্যাত অরণ্য এইটি। প্রতি বছর অনেক হতাশ মানুষ এই বনে এসে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যা নিরুতশাহিত করবার জন্য এই অরণ্যর প্রবেশমুখেই লেখা আছে – ““Your life is a precious gift from your parents,” and “Please consult the police before you decide to die!” আত্মহত্যা করবার জন্য এইটি পৃথিবীর দ্বিতীয় জনপ্রিয় স্থান।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×