সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশের জনপ্রশাসন–বিষয়ক মন্ত্রী, একই সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এটা নতুন খবর নয়।আমরা সবাই জানি। তিনি জীবনের বড় অংশ বৃটেনে কাটিয়েছেন তাও পুরাতন সংবাদ।তিনি যে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব নিয়েছেন সে ধারণাও সকলের রয়েছে। কিন্তু যে বিষয়টা অবাক করেছে সেটা হচ্ছে তিনি একইসাথে দুটি দেশের নাগরিকত্ব বহাল রেখেছেন।আমি যদি ভুল জেনে না থাকি তা হচ্ছে , কোনো নাগরিক দ্বৈত নাগরিকত্ব বহাল রাখলে তিনি বাংলাদেশের নির্বাচন করার অযোগ্য হন।কিন্তু আজ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তিনি নিজে ইইউতে যুক্তরাজ্যের থাকার পক্ষে ভোট দেয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন।এতে প্রমাণিত হয় তিনি এখন দুটি দেশের নাগরিকত্ব ভোগ করছেন।
একটি দেশের ও প্রধান রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি যদি একই সাথে দুটি দেশের নাগরিকত্ব বহাল রাখেন সেটা নিঃসন্দেহে চরমভাবে নৈতিকতাবিরোধী ।আর একজন মন্ত্রী যদি নৈতিকতাবিরোধী কাজ করেন তা অবশ্যই তাঁর মন্ত্রী হিসেবে নেয়া শফথের লংঘণের সামিল।
পূর্বাপর ঘটনাঃ১। গত কয়েকদিন আগে দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক শফিক রেহমানের গ্রেপ্তারের পরে তার পরিবার থেকে তাঁর বৃটিশ নাগরিকত্বের বিষয় নিশ্চিত করে কনসুলেট সুবিধা চাওয়া হয়। তখন আইনশৃংখলা বাহিনী জানায় একই সাথে দুটি দেশের নাগরিকের ক্ষেত্রে এই সুবিধা বহাল নয়। পরে দেখা যায় তিনি বাংলাদেশে বৃটিশ ভিসা নিয়ে অবস্থান করছেন।
২।বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী নির্বাচন করার জন্য তাঁর আমেরিকান নাগরিকত্ব সমপর্ণ করার খবর ইতিপূর্বে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
৩। ১৯৯৬-০১ সময়কালীন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
অংশ না নেয়ার কারণ হিসেবে বৃটিশ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্তটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে বলে সেইসময় অনেক প্ত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
পুনশ্চঃদেশের বর্তমান আইন যদি সৈয়দ আশরাফের দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে যদি কোনো ধরনের জটিলতা সৃষ্টি নাও করে , তারপরেও নৈতিকতা ও বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতার কারণে হলেও যেকোনো একটি দেশের নাগরিকত্ব তাঁর প্রত্যাহার করে নেয়া উচিৎ।
যদিও উচিৎ কাজটি করাই আমাদের দায়িত্বশীল নাগরিকরা অনুচিত জ্ঞান করেন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১