somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লাইফ অব Dুবাই যাপিত জীবন-৪

১১ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বেশ ছিমছাম উচ্চতার সে ছোট্টবাসায় আমি থাকি
তার ঠিক মাথার উপর বেশ অচেনা একটা পরিচিত পরিবার থাকে।পরিচিত বলছি এ কারনে দিন বা রাতে প্রায়শই তাদের অস্তিত্ব জানান দেয় টুকটাক শব্দ ঝংকারে।লিখতে বসেছি সে নিয়ে নয় কারন এই উপর তলা নীচতলা বিবাদ বেশ জনপ্রিয় এবং পরিচিত।সেই বাসায় কেউ একজন পিয়ানো শিখে, ছুটির দিনে যখন তখন আর এই কর্মদিবস গুলোতে সূর্য যখন মধ্য আকাশে গনগনে তাপ ঢেলে ক্লান্ত হয়ে পশ্চিমে ঢলে গৃহিনী দের মত ভাত ঘুমের আয়োজনে।ঠিক তখন শুরু করে তার নিয়মিত অনুশীলন টুং টাং ডো রে মি ফা সে লো টি ডু থেকে শুরু এরপর তার পছন্দ মত সুর সে বেছে নেয়।কবে থেকে ঠিক মনে নেই আমার পরন্ত বিকেল গুলো’র মতই ক্লান্তহীন সে লক্ষের দিকে এগিয়ে চলে।

বছর দুয়েক হয় প্রথম দিকে ছিল সেই এক ঘেয়ে সারেগামাপা আর মাঝে মাঝে কর্কশ বেজে উঠা শব্দ কেবল।আজকাল বেশ মালা ছেড়া মুক্তর মত আয়েশে গড়ায় সুর,আহলাদি চাঁদের জোছনার মত ঢলে ঢলে পড়ে কানে।বেশির ভাগ গান ই আমার অপরিচিত আমি অত ইংরেজী গানে অভস্ত্য নেই বলে অথবা সে কোন আরবী গানের গুণগুণ কিনা তাও জানি নে।সাউন্ড অফ মিউজিকের সুরগুলো অথবা টপ চার্টের ইংলিশ,আমার ছেলে তখন সেই সুরের সাথে গলা মেলায়,মাঝে মাঝে দেখি এ দেশের জাতীয় সংগীত এর অনুশীলন করছে।

বাচ্চারা স্কুল থেকে ফেরার পরের এই সময় টা আমার ব্যালকনিতে কিছু সবুজ আর খুনসুটি করা জোড়া ঘুঘুর সাথে কাটে ,কখনো সাথে চা বই অথবা মোবাইলে ফেসবুক আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের মত বেজে চলা পিয়ানো সুর।অবসরের এই মুহূর্তটুকু শ্রাবনের বৃষ্টির মত অযাচিত ভালোলাগায় ঋদ্ধ করে।

আজকাল অধ্যাবসায়ী সেই পিয়ানো বাদক কে দেখতে ইচ্ছে জাগে;কোন জাতীর সে!আরব দেশীয় !ইউরোপ থেকে আসা কেউ অথবা এশিয়,ভারতীয়,পাকিস্থানী, ফিলিপিনো নাকি আফ্রিকা মহাদেশের কেউ।হয়ত লিফটে উঠা নামায় দেখেছি অথবা সন্ধ্যায় সবুজ চত্তরে।খুব সহজ জেনে নেয়া আমার একলা ঘুঘুর সাথে'র বিকেলে গুলোতে আনন্দ বেদনার সুরে ভেজানো বাদক কে।

পরক্ষনেই ভাবি থাক না কিছু দৃষ্টির অগোচরে নাই বা জানলাম।কেবল সুরধারার সে অনুজ শিক্ষার্থীর জন্য শুধু অন্তর থেকে শুভ কামনা আর আশীর্বাদ একদিন তার অধ্যাবসায় তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য পাক।সব কিছু জেনে ফেলা আমার ভালোলাগে না কেনো যে !!
আজকালের সব রহস্য ভেদ করা বা সব জেনে ফেলা প্রজন্মের চেয়ে আমি যে আমার আধো রহস্যময় স্বপ্ন আঁকা সময় কে বেশী ভালোবাসি।




ছবিঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
৪৯টি মন্তব্য ৪৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×