মেহুল সুবাস রেশমি চুড়ি কুলফি মালাই
অনুরাগ আর ধ্যাত্তেরি ছাই-
দুই দ্বিগুণে দুই শালিকে কুড়ি ছুঁই ছুঁই
সাথে পদ্ম চাঁপা জুঁই।
রুঢ় বাতাস হতাশ সকাল
স্বপ্ন আঁকা দ্বিপ্রহরে স্নিগ্ধ আঁচল শাড়ির মায়ায়
সান্ধ্য বেহাগ বৃষ্টি ঝরায়
সব পেয়েছি তান সে বাঁজায়।
শ্রান্ত ঘুঘু স্বর্ণচাঁপায় উপন্যাসের মাঝের পাতায়
বইয়ের তাকের আবছা ধুলোয়।
গ্রন্থাগারে পড়তে বসে বিকেল ডুবে সন্ধ্যা আসে
পরিসংখ্যানে টেনে টুনে মনের খাতায় ডিস্টিংশনে।
দোলাচলে'র দিনগিয়েছে
আদ্র চোখে হাজার ফুলে;
আঁটকে থাকা বুকের বাতাস
নকশি কাঁথা মনের সে ভাঁজ;
তিন প্রহরে ব্যাকুল নত
শর্ত ছাড়াই সারাই ক্ষত।
দল বেঁধে সেই তুমুলিয়া
খুনসুটি আর আকুল চাওয়া;
হয়ত সবাই হাল ছেড়েছে
অযাচিত ভুল বকেছে;
ধান শালিকের কি আসে যায়
অজস্র সেই বৃষ্টি শিলায় !
ঠিক আকাশে পূর্ণ চান
শারদ সকাল শিউলি ঘ্রাণ;
হুট করে সব যাদুর ছোঁয়ায়
শখের সুখের দিন এসে যায়।
দুই দশকে ভাবতে বসে;
চোখের কো'নে স্বপ্ন আসে -
ঝাপসা চোখে আয়েস করে;
চশমা ফেলা ,দাওয়াই ভোলা
খুক খুক কাশ, জমিয়ে বকা।
তপসে মাছের লঙ্কা ঝোল
পুঁই ডাটাতে , ইলিশ শোলে
মন রেখেছি মন বেঁধেছি।
শেষ শরত ও এমন ই থাক
শালিক শালিক দুই'টা শালিক
এই প্রবাদে প্রেম হয়ে যাক -
হাতের মাঝে চাওয়া সে হাত
ছানা পোনা শালিক ঝাঁক।
ছবিঃ আমার নিজের