কালের কন্ঠ দ্বিতীয়বার ঢাবিতে ভর্তিচ্ছুদের নিয়ে যে রিপোর্ট করেছে তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অপরাজেয় বাংলায় সমাবেশ চলাকালে বারবার শিক্ষার্থীরা কোচিং বাণিজ্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে । ইউসিসির শিক্ষক জোবায়ের এর নাম এসেছে পত্রিকাটিতে, সে ঢাবি ছাত্র পরিচয় দিয়ে সে বক্তব্য দিতে চাইলে ছাত্ররা তাকে কথা বলতে দেয় । পরবর্তীতে তার পরিচয় পেলে ওর হাত থেকে আমি নিজে মাইক কেড়ে নিয়েছেলাম সমাবেশ চলাকালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন এমনভাবে প্রনীত বিগত বছরগুলোতে এতগুলা পাস দেয়ার পরও প্রশ্নপত্রের ধরন ও এমনকি প্রশ্নগুলোর বিষয়েও ধারনা জন্মে না ছাত্রদের। তখনই সুযোগ নেয় কোচিং; একই মানের দুজন ছাত্রের কোচিং করা বা না করার কারনে মেধাতালিকায় ঘটে বিস্তর পার্থক্য। শিক্ষাপদ্ধতি না বদলালে, প্রশ্নের ধরন বিষয়ভিত্তিক না হলে কোচিং সেন্টারগুলো সুযোগ নেবেই। কারন আমরা বুঝি এক বছরে মেধাবীকে অমেধাবী! আর অমেধাবীকে! মেধাবী বানানো যায় না, এটা শুধু সিস্টেমটা বোঝা না বোঝার পার্থক্য... তবে এটা ঠিক যে ছাত্র বাড়লে কোচিং ওয়ালাদের সুবিধা হয় কিন্তু শুধুমাত্র এ কারণে আমরা অন্যায্য সিদ্ধান্ত সমর্থন করতে পারিনা। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ব্যাতিত কোচিং সেন্টার বন্ধ হবে না। কোচিং সেন্টারের দোহাই দিয়ে আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রচেষ্টার নিন্দা জানাই। দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষা দেবার সুযোগ বন্ধ করে অপেক্ষাকৃত কম সুবিধাপ্রাপ্ত ছাত্রদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দুয়ার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:৩৩