somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লুঙ্গি বিড়ম্বনা

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেদিন জানি না কেনো, লুঙ্গি পড়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। সকাল দশটা বাজে। সাড়ে ১১ টায় স্কুল। মা তেলের ড্রাম ধরিয়ে বললো,যা তো,বাকি দোকান থেকে ১ কেজি তেল নিয়ে আয়।

যেতে ইচ্ছা করছিলো না। আবার প্যান্ট পড়তে হবে, কি ঝামেলা ! মা জোর করতে লাগলেন,তাই শর্ট প্যান্টের উপর লুঙ্গি পড়ে বের হয়েছিলাম। যেহেতু স্কুলের সময় হয়ে যাচ্ছে, তাই বন্ধুরা কেউ হয়তো থাকবে না, বাহিরে। আমাদের বন্ধুরা কখনো লুঙ্গি পড়ে বের হতে সাহস করে না। কেনো করে না, সেটা কিছুক্ষণ পরই বুঝা যাবে !

তারআগে এক বিকালের গল্প বলি। আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম মাঠের পাশে বসে। পাশের রাস্তা দিয়ে এক ফেরিওয়ালা যাচ্ছে, মাথায় কিছু জিনিস নিয়ে।

হঠাৎ শুরু হলো, বাতাস। লোকটার পড়নে ছিলো লুঙ্গি। বাতাসে লোকটার লুঙ্গি একটু একটু করে উপরে উঠতে উঠতে, বিপদ সংকেত আসার আগেই নেমে যাচ্ছে ! দমকা বাতাস তো আর কথা শুনে না,আর লোকটাও একটা হাত দিয়ে লুঙ্গিকে আয়ত্ত্বে আনতে পারছে না। কারণ মাথায় তার ফেরির জিনিসপত্র।যাইহোক কামরুল বলতাছে বাতাস বাড়তেছে, দেখ এবার কিছু একটা হবে !

কামরুলের কথাই সত্য হলো। দমকা বাতাসে লোকটার অবস্থা বিপদ সংকেতে পৌছানোর আগেই, লোকটার হাত নিচে নেমে এলো,লুঙ্গি ধরতে।বেচারা লুঙ্গি ধরলো ঠিকই,কিন্তুু হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলো, তার মাথার উপরের ফেরির জিনিসপত্র সহ ! আমরা তার অবস্থা দেখে হেসেই যাচ্ছি।
কিন্তুু একটু পর হাসাটা আরো বেড়ে গেলো,একেবারে পেট ফেটে মরে যাওয়ার অবস্থা! যখন দেখলাম লোকটা উঠলো।

কি ভাবছেন, পড়নের লুঙ্গি খুলে গেছে ! আরে না, লোকটার পড়লো যখন, তখন তার মুখটা একেবারে সোজা গিয়ে পড়লো,কুকরের সদ্য ত্যাগ করা বর্জ্যের উপর !

আমার কথায় ফিরে আসি এবার ! দোকান থেকে তেল নিয়ে মাত্র বের হলাম। আমার সামনে ইভন আর শান দাঁড়িয়ে স্কুল ড্রেসে ! তারা কখনো দুষ্টামি করে না, তাই লুঙ্গি পড়া অবস্থায়, তেমন অসহায় লাগছে না নিজেকে!

শান বললো,ইভনকে একটু দাঁড়া আমি আসতেছি !
তখন ইভন বললো, দোস্ত, জুতোর ফিতা লুজ হয়ে গেছে, ব্যাগটা একটু ধর তো, ফিতাটা টাইট করি।

ব্যাগটা ধরলাম, ইভন নিচু হলো। কিন্তুু শানটা কখন যে পেছন থেকেএসে, লুঙ্গিটা টান দিলো, শালা !

দোকানদারটাও তেলের মুখ আলগা করে লাগিয়েছে! লুঙ্গি বাঁচাতে গিয়ে, তেলের কিছু অংশ একবারে বরাবর জায়গায় গিয়ে পড়লো !

শান, ইভন কাজ শেষ করেই দৌড় ! দূর থেকে তাদের ক্রুর হাসি দেখছি!

বাসায় ঢুকার সাথে সাথে মা বললো, কিরে তোরে পাঠাইছি তেল আনতে, তুই প্যান্টে প্রশ্রাব করে দিলি কেনো ! আমার তেল কই ??

হায়রে, কেউ বুঝলো না, গোসলে একটা গায়ের সাবান আর একটা কাপড় কাঁচা সাবান, শেষ হওয়ার কথা !
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×