somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

parvaj
জিবনটা আসলেই অনেক সুন্দর!এতো বেশি সুন্দর যে, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে।যাহা ভাবি তাহা কেন জানি হয়েও হয় না। স্বপ্ন পূরনে ব্যর্থ হয়ে ঘুরে ফিরি। কবে হবে এর শেষ মরন এলেই বুঝি।

ক্রেশ

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


তাহসানের উপর ক্রেশ খেয়েছে বাংলাদেশে
এমন মেয়ের পরিমান একেবারেই কম না।
তাহসানকে আপন করে না পাবার দু:খও আছে অনেকের মনে। মিথিলার সাথে বিয়ে হওয়ার পরও তাহসানকে নিয়ে কটু কথা বললে অনেক মেয়েই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে।
কিন্তু হাজারো নারীর কাঙ্খিত পুরুষকে
আপন করে পেয়েও এই জীবন থেকে মিথিলা কেন দৌড়ে পালাতে চাইছেন? তাহসানের সাথে দুই মিনিট কথা বলার জন্য মেয়েরা যেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ে সেখানে মিথিলা কেন দুই বছর যাবত আলাদা থাকছেন ? কেন সহ্য করতে পারছেন না তাঁকে ?

অনেকেই ক্রিকেটারদের জন্য মাঠে ম্যারি মি প্ল্যাকার্ড নিয়ে যায়। আর সিনেমার নায়ক নায়িকাদের কথাতো বলেই লাভ নেই। ফেইসবুক সেলিব্রেটিরাও একটু আধটু এক্সট্রা খাতির পায়।
একটা কথা বেশ প্রচলিত, মিডিয়ার লোকদের বিয়ে টিকে না। কিন্তু কেন? সমস্যাটা কোথায় ?
বেশিরভাগ মেয়েরাই রূপালী পর্দার নায়কের ঢিসুম ঢিসুমটাকে বিয়ে করে, হাড্ডি মাংসের নায়ককে নয়। বিয়ে করে শিল্পীর সুন্দর কন্ঠটাকে, শিল্পীকে নয়। ক্রিকেটার ফাটিয়ে রান করার সময় সারা দেশের দর্শক যখন হাত তালিতে মেতে উঠে, মেয়েটা বিয়ে করে ওই হাত তালিটাকে। কল্পনায় রঙ্গিন ছবি আঁকে, বিয়ের পর সব কিছুই হবে তাকে ঘিরে।

কিন্তু বিয়ের পর রূপালী পর্দার ঢিসুম ঢিসুম নায়কটা যখন বাস্তবে রাতে নাক ডাকে; এক ঘুষিতে ৮-১০ গুন্ডাকে উড়িয়ে দেয়া নায়কটা যখন বাস্তবে তেলাপোকা দেখে ফাল দিয়ে উঠে তখন সব ভেস্তে যায়।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, একজন সেলিব্রেটির ধ্যান, জ্ঞান সব কিছু উজার করে দেয় তার প্রফেশন কে।
স্ত্রীর জন্য তেমন সময় থাকে না।
যে প্রফেশনের জন্য মেয়েটা দু হাতে ম্যারি মি কার্ড নিয়ে উঠে দাড়ায় বিয়ের পর সেই প্রফেশনই দা ছুড়ি নিয়ে তার মুখোমুখি দাড়ায়। ক্রিকেটার চলে যায় প্র্যাক্টিসে, শিল্পী চলে যায় গিটারের কাছে আর নায়ক নতুন নতুন নায়িকার কাছে।

তাছাড়া হাজারো দোকানের বিরিয়ানীর ঘ্রাণ যখন উড়ে উড়ে আসে তখন ঘরের সাদা ভাত আর
কতদিন ভালো লাগে ?
শিল্পীর কাছে যাবেন গান শুনতে আর বিয়ে করার জন্য বেছে নিতে হবে একজন দায়িত্ববান পুরুষকে। রোগ হলে যেমন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত, তেমনি বাড়ি বানাতে ইঞ্জিনিয়ারের কাছে।

একজনের কাজ অন্যকে দিয়ে সম্ভব নয়।

সংসার সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা ব্যাপার।
কখনো পকেটে চাল আনার টাকা না থাকলে হাসি মুখ দিয়ে স্ত্রীর ক্ষুধা নিবারন করতে হয়।
আবার পাশের বাড়ির ভাবীর দামী শাড়ি দেখেও স্বামীর অবস্থার কথা ভেবে চোখ অন্য দিকে ফিরিয়ে রাখতে হয়। কখনো চিমটি দিতে হয়, কখনো মাথায় হাত বুলাতে হয়। একজন স্বামীকে একটি পরিবারের উপর ছাতার মতো ছায়া দিয়ে রাখতে হয়।
রোদ ঝড় বৃষ্টিতে ছাতাটি যখন ফুটো হয়ে যায়
তখন স্ত্রী সুই সুতো নিয়ে তাতে সেলাই করে দিতে হয়। এরই নাম সংসার। লাল নীল মেকাপে সং সাজা যায় সংসার হয় না।

সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×