১. হার্টথ্রব নাসরিন
লোকে দেখেছে এমন তিন-তিনটি বিয়ে হয়েছে তিনি'র, আবার একজন ফরাসি যৌন সঙ্গীও (তাও আবার মেয়ে) ছিলো। বলতে পারেন কে এই পর্ণস্টার?হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন,বলছিলাম বাংলা সাহিত্যের পর্ণস্টার নাসরিনের কথা।তিনি আমাদের রুদ্র'কে খেয়েছেন,এখন অবশ্য ইন্ডিয়ান গো মাংস,মশলা,ডাল আর রসুন খেয়েই বেঁচে আছেন। তাবৎ বিশ্বের ক্রিকেট বোদ্ধারা যেখানে বলছেন পক্ষপাতের দোষে দুষ্ট ছিলো বাংলাদেশ Vs ইন্ডিয়া'র খেলা,সেখানে তিনির আনাড়ি স্ট্যাটাসের ভাব থেকেই বুঝা যায় যে,তিনি সেদিনের ঐ ম্যাচটা দেখেন ই নি। তিনি ভুলেই বসে আছেন আমরা সেমিফাইনালে কেন ইন্ডিয়া'র বাবাদের দলকে সাপোর্ট করেছি।যদি ভাবি উনি গভীর দৃষ্টিকোন থেকেই বলেছেন যে,মোড়ল'রা সবসময়ই ঠিক (ক্লায়েন্ট ডিলিং -এর মতো,Client is always right.) কাজটাই করে থাকেন,তবে উনার এবং উনার ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে আমার বলা এই যে,আমরা কি মোড়লদের চূড়ান্ত পরিণতি দেখতে উন্মুখ হয়ে থাকবো না?মোড়লদের পরাজয়ে,আমরা কি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবোনা? সেদিন আর কি ই করতে পেরেছি আমরা, মেনে নেয়া ছাড়া?
এই লিংক থেকে তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক পোস্টটি পড়ে নিতে পারেন http://on.fb.me/1CjtD2b
আবারও ক্লায়েন্ট ডিলিং-এর উদাহরনে ফিরতে হয়-
২. বিনে পয়সার ওয়েবসাইট
ধরুন যে, অফিসিয়ালভাবে অনেক করে বলে দেয়ার পরও কোন প্রতিষ্ঠানের (অনলাইন/অফলাইন শপিং সেন্টারের) অ্যাডমিন,একজন ডেভেলপারের কাছ থেকে খুবই নিম্ন মানের একটি সাইট ডিজাইন করে নিয়ে আসলো।উল্লেখ থাকে যে,এই অ্যাডমিনই পূর্বে দর-দামে বনি-বনা না হওয়ায় খুব ভালো মানের একজন ডেভেলপারের কাছ থেকে ফিরে এসেছিলেন। আপাতপক্ষে তার কাজ কিছুটা হয়েছে।দু-একদিন পর সেই অ্যাডমিন নিজে নিজে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে করতে আবিষ্কার করলো যে,তার প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের সব কিছু ঠিক-ঠাক আছে,শুধু ইউজারের কোন ফর্ম সাবমিট হয় না আর 'কন্টাক্ট আস' লিংক টা কাজ করে না।তো এবার বলেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর উক্ত অ্যাডমিনকে কি করতে পারে এরকম পরিস্থিতে? সত্যিকার অর্থে এই প্রতিষ্ঠানের কোন ম্যানেজিং ডিরেক্টরই নেই বলা চলে।
৩. ক্রিকেট বালা নাসরিন বনাম ক্রিকেট বোদ্ধা
ইন্ডিয়ান মোড়লরা জানতো জোর করে সব কিছু হয় না।তাও 'মওকা-মওকা' করতে করতে গলা ছিঁড়ে ফেলেছে!ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ড ভেঙ্গে ইন্ডিয়ান কাবাডি বোর্ড তৈরি করা হউক,আর ওখানকার কোচ হিসেবে উপরে উল্লেখিত পর্ণস্টারকে নিয়োগ দেয়া হউক।কোন একজন ডেভেলপার যেমন ভুক্তভোগী অ্যাডমিনের অবস্থা আগে থেকেই জানতেন (উপরে উল্লেখিত উদাহরন অনুযায়ী)। তেমনি ক্রিকেট বোদ্ধারাও জানতেন,৯৫ আর ১০৯ এর দূরত্ব মাত্র চৌদ্দ।সৌরভ গাঙ্গুলী বলেও ছিলেন 'এই ম্যাচটা বাংলাদেশকে নয়, ভারতকে আগামী ম্যাচে ভোগাবে, কারন তারা ম্যাচটা আম্পায়ারের সাহায্যে জয় পেয়েছে..' সাধু সাধু...আমরা কেবল গুণীজনদের কথার বাস্তবায়নে খুশি হয়েছি।আমরা বড় পাগলা জাতি,আপনি আমাদের জাত টা কে চিনেন না নাসরিন,আমরা খুশি হয়েছি সত্যের জয়ে,ঘৃণা করিনি কাওকে।আমরা পাথরের বদলে পাথর মেরেছি।আফসোস ICC'র এখনও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পোস্টটা খালি আছে। তাই অ্যাডমিনরাই এম.ডি হয়ে বসে আছে।
৪.ফেরারি নায়িকা এবং একটি ঝারজ সন্তান
নির্বাসিত মানুষের জ্বালা অনেক,কখন কি বলে মাথাই ঠিক রাখতে পারে না।পাগলের স্তরে বসবাস করে,তার আর কিইবা বলার থাকে?আমরা অতি উৎসাহী বলে আমলে নিয়ে নিই,তাই তারা আলোচনায় থাকে। অনেক হলো বাংলা সাহিত্যের হার্টথ্রব সাইড নায়িকা নাসরিনের গল্প,এবার তার একটা ঝারজ সন্তানের কথা বলি-
'Sagar Corleno (Master mind)' ফেসবুকে সে এই নামে আছে যে তার আম্মু'র পোস্টে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে ফেলেছে (পোস্টের সাথে অ্যাটাচ করা চিত্র থেকে দেখে নিন)।
৫.কিছু প্রশ্নোত্তর ও শেষ কথা
এই হারামিদের এই এক সমস্যা,নিজেরা যেখানেই থাকে বাঁকি সব কিছু ছাপিয়ে,সব কিছুই একান্ত তাদের মনে করে। সে যেমন করে 'আমাদের' বললো মনে হলো যেন বাংলাদেশ উপমহাদেশের বাহিরের কোন রাষ্ট্র! যদিও ৪৭'এর ইন্ডিয়ার সাথে আমাদের পার্থক্য ২৪ বৎসরের অন্যান্য হিসেব (সামজিক নিয়ন্ত্রক ইস্যু) বাদই দিলাম অন্তত GDP-এর চার্ট কিন্তু সে কথা বলে না। এই লিঙ্ক-http://bit.ly/1xn6AEy - থেকে ভারতীয় অধ্যাপকদ্বয় Prabir De এবং Biswa N. Bhattacharyay-এর লিখা বই Prospects of India–Bangladesh Economic Cooperation (Implications for South Asian Regional Cooperation) থেকে দেখে নিলেই বুঝবেন। সুলতান মাহমুদের ভারত বিজয়ের পর পরাজিত ভারতের রাজাগণ তার সাথে সম্পাদিত চুক্তি বারবার ভঙ্গ করার কারণে, তাকে বার বার ভারত অভিযান চালাতে হয়েছিল । আর মধ্যযুগে এ ধরনের রাজ্য বিস্তার বল্লালসেন , লক্ষণ সেন , গোপাল , ধর্মপাল সবাই করেছিলেন । বলা যায় , এগুলো ছিল সে সময়ের রীতি। ১৭ বার সফল অভিযানের পরেও কোন জিম্মীকে হত্যা করা বা দাস দাসী বানানো ইসলামী শরীয়তে হারাম ছিলো বলে সুলতান মাহমুদ তা করেন নি।হিন্দিস্তানের লোকদের মত বিশ্বাসঘাতক হলে,মানুষ তো বটেই ধর্মীয় রীতি-নীতি'র সাথেও বিদ্বেষ করতে কুণ্ঠা বোধ করতেন না,না হয় আজ এই ঝারজটা বলতে পারত না আমরা আল্লাহু আকবর বলে গনিমতের মাল লুট করে ফেলি। দুঃখজনক হলেও সত্য যেই সেবাদাসী প্রথার কারনে সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির ধবংস করেছিলেন সেই সেবাদাসী প্রথাটা এখনো ভারতে চলছে। ৭১ বৎসরের কাওকে ধর্ষণ করে সওয়াব নেয়া আমাদের লক্ষ্য কোন কালেই ছিলো না,আমাদের দেশে সোমনাথ মন্দির নেই যে,যুবতী মেয়েদেরকে মন্দিরে নিয়ে ধর্ষণ করবো।আমাদের কষ্টার্জিত অতীতে যতই রাজনৈতিক ইস্যুর কারনেই হউক তোমরা আমাদের পাশে ছিলে,সেটা অস্বীকার করছি না।তবে মনে রেখো,আমরা আমাদের কষ্টার্জিত অতীতকে নিয়ে গর্ব করি।পূর্ব দিকটা এখনো আমাদের ভীষণ প্রিয়,সূর্য উঠে বলেই।আমরা কি করবো,কোনভাবেই তোমরা সেটা বলে দেয়ার অধিকার রাখো না।
আলোচিত ব্লগ
=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=
০১।
চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন
হালহকিকত
ছবি নেট ।
মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।
প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন
মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।
প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন
কুড়ি শব্দের গল্প
জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!
সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
ধর্ম ও বিজ্ঞান
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন