somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রথম প্রেম – (জয়ীতা ভার্সন)

১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এই গল্পের পূর্বের অংশ, প্রথম প্রেম

ক্লাশের সামনে অপরিচিত এক ছেলেকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বেশ রাগ হচ্ছিল।
দোতলার বারান্দার ঐ কর্নারটা, ক্লাশ এইটের অর্থাৎ আমাদের ক্লাশের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে অলিখিতভাবে নির্দিষ্ট করা।
কারণ, বারান্দার শেষ ক্লাশরুমটা হল আমাদের। আর এই ফ্লোরে আমাদের সিনিয়র কোন ক্লাশ নেই।
তাই, জুনিয়র কেউ সাহস করে কখনো আমাদের ক্লাশের সামনের বারান্দায় দাঁড়াতে আসে না।

টিফিন পিরিয়ডের যে সময়টাতে সব ছেলেই মাঠে ছুটতে থাকে, সেই সময়ে ছেলেটিকে একা একা দাড়িয়ে থাকতে দেখে অবাকও কম হইনি। বান্ধবীদের সাথে হাটতে হাটতেই, বিভা আর জেসমিনের কাছ থেকে জানতে পারলাম – ছেলেটি স্কুলে নতুন এসেছে, নাম সাজিদ। তার বাবা সম্প্রতি কোত্থেকে যেন বদলি হয়ে এসেছে। আর সে আমাদের ক্লাশেই ভর্তি হয়েছে।

বিকেলে শেলী আপাদের বাসার জানালায় তাকে দেখে আবার অবাক হলাম, তবে কিছুটা কম।
চোখাচোখি হতেই চট করে জানালা ছেড়ে বাসার ভিতরে আড়াল হয়ে গেল। বুঝতে বাকী রইলনা - তার বাবা এই কলোনিতেই বাসা নিয়েছে। শেলী আপারা চলে যাওয়ার পরে, এই বাসাটা অনেক দিন খালি ছিল।
নিশ্চয়ই, এখন এরাই এসে উঠেছে এখানে।

কয়েকদিনের মধ্যেই বুঝে গেলাম, এই ছেলে পড়ালেখায় বা খেলাধুলায় অসাধারণ কিছু না।
নিতান্তই অন্তর্মুখী আর স্বল্পভাষী, এই ছেলে।
যে কিনা, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সময় কাটানোর পরিবর্তে, বই নিয়ে একা একা থাকতেই বেশী পছন্দ করে।

আর আমি ছিলাম, অনেকটাই মা-বাবার আহ্লাদের মাঝে বেড়ে উঠা কিছুটা রাগী আর জেদী।
লেখাপড়ায় ‘দি বেস্ট’ না হলেও, সাংস্কৃতিক আর ক্রীড়াঙ্গনে বিচরণ ছিল দাপটের সাথে।
গার্লস স্কাঊটিং করতাম, কারো বিপদ হলে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা থাকত সব সময়।
এছাড়াও ফ্রেন্ডদের ক্যান্টিনের সিঙ্গারা-সমুচার বিল হোক বা বাসস্টান্ডে বাসের অপেক্ষায় থেকে আইসক্রিম খাওয়ার বিলই হোক, আমি হাজির থাকলে অন্য কাউকে পে করতে দিতাম না।

আমার বন্ধু-বান্ধবীর কমতি ছিল না।
সিনিয়ার বা জুনিয়র, দুই ক্যাটাগরির ফ্রেন্ডই আমার ছিল।
তবে হ্যাঁ, অল্প কিছু নিন্দুক ছিল, যারা জগতে সকল কিছুর মধ্যে ছিদ্র খুঁজে বেড়ায়, তাদের কেউ কেউ আড়ালে আবডালে আমাকে নিয়ে আজগুবি কথা বলে বেড়াত।

কয়েক মাস পরের কথা।
মেয়েদের জটলাতে রাজ্যের বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে।
আলোচনার শুরুটা কি নিয়ে ছিল মনে নেই। তবে, এক পর্যায়ে টপিকটা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, দু’জন অপরিচিত ছেলে আর মেয়ের মধ্যে কত দ্রুত প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হতে পারে। আমরা যার যার মত করে মতামত দিয়ে যাচ্ছি – কেউ ছয় মাস, কেউ এক বছর, কেউ কোন সম্ভাবনা দেখছে না কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ না করতে পারলে ইত্যাদি ইত্যাদি।

কথার এই জটলার মধ্যেই, কি মনে করে জেসমিন সবার জন্যে এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল – নবাগত ছেলেটিকে কে প্রেমে ফেলতে পারবে, তাও আবার ছয় মাসের মধ্যে?
যথারীতি, আত্নবিশ্বাসের সাথে চ্যালেঞ্জ লুফে নিলাম- তবে ছয় মাসের পরিবর্তে আমি একশ দিনের পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিলাম।
অন্যরা অতি উৎসাহের সাথে হাত-তালি দিয়ে উঠলো।

পরেরদিন, টিফিন পিরিয়ডে হাটতে হাটতে সাজিদকে বারান্দায় দেখে ইচ্ছে করেই কয়েকবার চোখাচোখির চেষ্টা করলাম।
যথারীতি সে প্রতিবারই চোখ সরিয়ে নিল। তবে সরিয়ে নেয়ার আগেই দু-একবার আমার ঠোঁটের কোনে মৃদু হাঁসি ফুটিয়ে তুললাম।
এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিলাম।

কিছুটা গোয়েন্দাগিরি করে খবর বের করলাম যে, সে হরিপদ স্যারের কাছে অংক পড়তে যায়।
অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে, মাকে দিয়ে বাবাকে রাজী করালাম – আমাকেও হরিপদ স্যারের কাছে একই ব্যাচে পড়তে দেয়ার।
আমাদের ব্যাচের মধ্যে শুধু আমরা দুইজন এক স্কুলের, বাকীরা অন্য স্কুলের।
তাই আলাপ শুরু করতে মোটেও অসুবিধা হল না, সাজিদের সাথে।

শুরুতে আলাপ-আলোচনা লেখাপড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও, পরে টুকটাক গল্প শুরু করে দিলাম তার সাথে।
যদিও সব সময়ই আমাকে লিড নিতে হচ্ছে – লেখাপড়ার বাইরের টপিকে কথা বলার জন্যে।
সাজিদ শুধু প্রতি উত্তরে অংশগ্রহণ করে।
তার স্বভাবজাত লজ্জা এখনো আছে, তবে অনেকটাই কমেছে।

বিকেলে কলোনির অন্য মেয়েদের সাথে হাটতে হাটতে ইচ্ছে করেই তাদের বিল্ডিং এর পাশের রাস্তায় একটু বেশী সময় কাটাই।
জানালায় তার সাথে চোখাচোখির চেষ্টায় থাকি সব সময়। মাস খানেকের মধ্যেই তার মুখে মুচকি হাঁসি এনে ফেলেছি।
এখন আর, চোখে চোখ পড়লে জানালা ছেড়ে বাসার ভিতরে যায় না। বরং, মুচকি হাঁসি বিনিময় হয় দুজনের মাঝে, নীরবে।

তার সাথে লাইব্রেরিতে সময় কাটাতে শুরু করলাম। অন্যরা আমার কান্ড দেখে হাঁসতে হাঁসতে মরে যাওয়ার উপক্রম। যে আমি ক্লাশের আবশ্যিক বই পড়ি না, সেই আমি এখন লাইব্রেরীতে পাঠ্যবইয়ের বাইরের বইও পড়তে শুরু করেছি। তারা মাঝে মাঝে মজা করার জন্যে পাশের টেবিলে বসে, সাজিদের চোখের আড়ালে আমার দিকে তাকিয়ে নানা রকমের অঙ্গভঙ্গি করে।

হরিপদ স্যারের বাসা থেকে ফেরার পথে একদিন হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হল। বৃস্টির তোড়ে ছাতা খুব একটা কাজে আসছিল না। তাই, আমি এক গাছের নিচে দাঁড়িয়ে পড়লাম। সাজিদ বৃস্টিতে ভিজতে ভিজতে বলল,

- বৃস্টি হচ্ছে, সুন্দর না? বৃষ্টি আমার খুব ভালো লাগে।
- কেন ?
- এটা আমাদের কষ্ট ধুয়ে নিয়ে যায়। ঐ যে একটা গান আছে না, Crying in the rain? আমার খুব পছন্দের।
- কি?
- কি মানে? তোর কাছে কি এমন কখনো মনে হয়নি ? আয়, বৃষ্টিতে ভিজে দেখ।

আমি কিছু বলার আগেই, সে আমাকে টেনে বৃস্টিতে দাঁড় করিয়ে দিল। পরমুহূর্তেই হাত ছেড়ে দিয়ে, বারবার সরি বলতে লাগল। আমি তার সাহস দেখে বিস্ময়ে থ হয়ে গিয়েও, কিছুক্ষন পরেই উপলব্ধি করলাম, এটা নিতান্তই মুহূর্তের আবেগে ঘটেছে, যার পিছনে বৃস্টির প্রতি সাজিদের অসম্ভব ভাললাগাই হয়ত দায়ী।

তার এই কাজে আমার রাগ হলেও, কিছুক্ষনের মধ্যেই আবার রাগ পানি হয়ে গেল।
আমি এর আগে বৃস্টিতে ভিজিনি কখনো। কিন্তু কেন জানি না, আমার খুব ভাল লাগছিল।
নতুন এক আনন্দ উপহার দেয়ার জন্যে তাকে ধন্যবাদ দিয়ে ভিজতে ভিজতেই বাসায় ফিরলাম।

দেখতে দেখতে, একশোতম দিন চলে এসেছে।
বার্ষিক পরীক্ষার তেমন বেশী একটা দেরী নেই। শনিবার, দুপুরে তাদের বাসায় গিয়ে কলিং বেল চাপলাম।
দরজা খুলে দিলেন, সাজিদের মা। আন্টিকে আমার পরিচয় দিয়ে বললাম যে, সামনে পরীক্ষা, তাই অংকের সাজেশান দিতে এসেছি।

তিনি আমাকে ড্রয়িং রুমে বসতে দিয়ে, সাজিদকে আসতে বললেন,
- সাজিদ, তোমার ফ্রেন্ড জয়ীতা এসেছে।
তার কন্ঠের প্রতিটা শব্দে বিস্মিত হওয়ার প্রতিটি উপদানের উপস্থিতি অনুভব করছিলাম, বসে বসে।

সাজিদ যখন আমার সামনে এলো, তাকে দেখে মনে হচ্ছিল সে তার মায়ের চেয়েও বেশী অবাক হয়েছে।
আমার বিপরীত দিকের এক সোফায় বসলো সে। দু’একটা কথা বলে, উঠে গিয়ে তার পাশে বসে পরিবেশ কিছুটা হালকা করার চেষ্টা করলাম। সে আরো আড়স্ট হয়ে সোফার কোনায় সরে বসার চেষ্টা করছিল। এমনকি, বিস্ময়ের ধাক্কায় ঠিকমতো কথা বলতে পারছিল না। তাই, আমিও বেশি কথা না বলে, কাজের কথায় চলে এলাম,

- ভেরি ভেরি ইম্পরট্যান্ট অংকগুলোতে তিন স্টার দিয়ে মার্ক করা আছে। আর, প্রতিটা পৃষ্ঠা তুই এখনই মনোযোগ দিয়ে দেখে নে।

অংকের সাজেশনের পৃষ্ঠাগুলো তার হাতে দিয়েই আমি বের হয়ে আসি। যার মধ্যে রয়েছে দুই পৃষ্ঠার এক প্রেমপত্র।
প্রেমপত্রের আবেদন বাড়ানোর অভিপ্রায়ে, আমাকে উদ্দেশ্য করে ইতিপূর্বে লেখা কয়েকটা ছেলের প্রেমপত্র থেকে নেয়া শব্দ আর আইডিয়া কপি করে, ভালোবাসা আর আবেগ মাখানো কিছু লাইন লিখে পাতাদুটো ভরে ফেলেছিলাম।

চিঠির শেষের লিখেছি, সে যদি আমাকে ভালোবাসে, তাহলে যেন আজ বিকেলে কলোনির পানির পাম্পের পাশে আমার সাথে দেখা করতে আসে। আমি সেখানে তার জন্যে অপেক্ষায় থাকব।

বিকেলে অনেকটা নিশ্চিত মনে অপেক্ষা করছি, নির্দিষ্ট জায়গায়।
কলোনির বাকী বান্ধবীরা লুকিয়ে অপেক্ষা করছে, পাম্প হাউসের দেয়ালের আড়ালে।
সবাই তাকিয়ে আছি রাস্তার দিকে, কখন সাজিদকে দেখা যায় এদিকে এগিয়ে আসতে।
সব কিছু জানতে পারার পরে বেচারা সাজিদের মুখটা কেমন হবে, সেটা নিয়ে হাসাহাসি করছি নিজেদের মধ্যে।

বিকেল পার হয়ে যাচ্ছে।
সাজিদের দেরী দেখে একেকজন যার যার মত করে এর সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করছে।
একজন একটা কারণ বলে, আর অন্যরা হাঁসতে থাকে। সবচেয়ে বেশী গ্রহণযোগ্য কারণ বের করা হল এই যে, হয়ত সাজগোজ করতে গিয়ে অথবা কোন জামা পড়বে সেটা স্থির করতে পারছে না বলেই সাজিদের দেরী হচ্ছে। শুনে হাঁসতে হাঁসতে চোখে পানি চলে এসেছে জেসমিনের। বিভাতো বলেই ফেলল, যে তার পেট ব্যাথা শুরু হয়েছে। আর বেশী হাঁসতে হলে, তাকে হাঁসপাতালে নিতে হতে পারে। এই কথা শুনে, অন্যরা আবার হাসিতে গড়িয়ে পড়ল।

ক্রমান্বয়ে বিকেল পার হয়ে যাচ্ছে।
এখনো সাজিদের দেখা নেই। আমাদের হাঁসি এখন কমে গেছে, প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে।
যদিও কয়েকজনের চোখে মুখে খুশির আভা টের পাচ্ছি, কিন্তু তারা সেটা প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছে না।
তাদের হিংসা এমনি যে, আমাকে অপদস্থ হতে দেখলে তাদের ভালো লাগে। কিন্তু আমার ক্রোধের লক্ষ্যবস্তু তারা হতে চায়না, আবার আমার কৃপাদৃস্টিও হারাতে চায় না।

আমি মুখ কালো করে কখন যে পাম্পের একটা মোটা পাইপের উপর বসে পড়েছি, নিজেও টের পাইনি।
বিকেল শেষ হয়ে যাচ্ছে। সামনের মাঠে যারা ফুটবল খেলছিল, তারা চলে যাচ্ছে বাসার দিকে।
পাম্পের কাছেই একটা বড় পাকুর গাছ, পাখিরা তাদের নীড়ে ফিরে কিচির মিচির শুরু করে দিয়েছে, যার আওয়াজ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

কেউ আর এখন কোন কথা বলছে না।
আধার ঘনিয়ে আসতে শুরু করেছে।
বিভাই নিরবতা ভেঙ্গে বলল –
- সন্ধ্যায় বাসায় ফিরতে দেরী করলে, বাবা আমাকে মারবে। আমি বাসায় যাচ্ছি। তোরা আর কতক্ষন থাকবি?

সবাই, নিঃশব্দে তাকে অনুসরন করে যার যার বাসার দিকে হাটতে শুরু করে দিয়েছে– কারো উত্তরের অপেক্ষা না করেই।
যেন, উত্তর সবারই জানা হয়ে গেছে, ততক্ষণে ।

ছবি @ গুগল হতে সংগ্রহীত।


সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×