somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কাইকর
অনেক বড় মাপের একজন মানুষ হতে চাই। কারণ- ভালোবাসার মানুষটির নাম ছোট্ট কোন মঞ্চে দাঁড়িয়ে থেকে বলতে চাইনা, ভালবাসার মানুষটির নাম বড় কোনো মঞ্চে দাঁড়িয়ে থেকে বলতে চাই।আই লাভ ইউ (মা)

একটু রোমান্টিকতা(ছোট গল্প)

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবি: "মনজুড়ে!" নাটকের শুটিং এর ফাকে হাকিয়েছিলাম

-মামা এক কাপ চা দেন
-এই লন চা..
চায়ের কাপে মুখ দিত
যাবো অমনি পকেটে রাখা ফোনটার জ্বর
কাপুনি অনুভব করলাম....
-হ্যা আম্মু বলো..
-তুই কই?
-এই তো বাসার নিচে চায়ের দোকানে..
-কোনদিক না গিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায়
আয়
-হুম আসছি..
আজকাল আম্মু আমাকে একটু বেশীই সন্দেহ
করছে আর এর মূল কারন পাশের বাসার নতুন
ভাড়াটিয়া মেয়েটা..
মেয়েটা দেখতে হেব্বি জোশ,এর আগে আর
এমন মেয়ে দেখিনি তাই চোখ ও
ফিরতে চায় না...আর এটাই আমার দোষ তাই
মেয়েটা ডাইরেক্ট এসে আম্মুকে রির্পোট
করছে ব্যাস খেল খতম।
আজ আর রির্পোট খেতে চাই না তাই
চা টা শেষ করেই বাসার
দিকে রওনা হলাম
-এই মিষ্টার দাড়ান..
মেয়েটার কন্ঠ শুনে হাটার
গতিতা বাড়িয়ে দিলাম..
-এই যে মিষ্টার কথা কানে যায় না?
এবার হাটা থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম -
জ্বি আমাকে ডাকছেন?
-আপনি ব্যাতিত আর কাউকেই
তো দেখছি না!
-ও তো কি বলবেন বলুন?
-আপনার লজ্বা শরম বলতে কিছু নেই?
মেয়েদের দেখতে অনেক ভালো লাগে?
-মানে কি?
-ন্যাকামি! লাস্ট চান্স দিয়ে গেলাম এরপর
ফলো করেছেন তো খবর আছে..
আমি আম্মুর ভয়ে কিছুই বলতে পারছি না শুধু
মূর্তির ন্যায় দাড়িয়ে আছি কারন মেয়ে আবার
যদি আম্মুকে পেছিয়ে কিছু বলে।
চলে যাচ্ছে মেয়েটা...
মেয়েটার চলে যাওয়া দেখতে মনটা খুব
আকুপাকু করছিল কিন্তু
তাকাতে পারিনি কারন
আমি যে কারাগারের কয়েদিদের ন্যায়
বন্দি। বাসায় এসেই
ল্যাপটপটা নিয়ে চলে গেলাম
জুকারমামার জগৎটাতে,আজ এই জগৎটাও
বোরিং লাগে তাই ল্যাপটপ
টা রেখে চোখ বন্ধ করলাম ছোট্ট
একটা ঘুমের আশায়। ফোনটার আবার
কাপুনি শুরু হইছে, ধুর ঘুমটাই মাটি করে দিল
-শালা কল করার আর টাইম পেলি না
-ক্যানরে মামা কি প্রোবলেম?
-দিলি তো ঘুমটাই নষ্ট করে,কি বলবি বল?
-তাড়াতাড়ি মাঠে আয় খেলা আছে
-ওকে আসতেছি..
ক্রিকেট ছোট থেকেই প্রিয় তাই
খেলা মিস করতে পারি না।
আম্মুরে কোনমত ম্যানেজ করেই বের
হলাম..
অনেককষ্টে খেলাটাতে জয়
নিয়ে ফিরছি বাসার উদ্দেশ্যে।মাঠ
থেকে বাসার দুরত্বটা একটু বেশীই তাই
একাই আসতে হয় বেশী পথটুকু।ক্লান্ত
শরীরে হাটার মনমানসিকতাটাও
হারিয়ে যাচ্ছে হঠাৎ পিছনে রিক্সাশার
কিং কিং আওয়াজ অনুধাবন করলাম।
পিছনে ফিরে তাকাতেই চোখ দুটো আগের
ন্যায় একটু বড় হয়ে গেল তাই দ্রুত সামনের
দিকে তাকানোর চেষ্টা করলাম।
ইতিমধ্যে রিক্সা আমার বরাবর
এসে থেমে গেছে..
-এই যে মিষ্টার ভিতুর ডিম
-ম্যাডাম শুনুন
আমি আপনাকে ফলো করিনি সো আপনি যেতে
পারেন.
রোদের ভিতর দিয়ে ক্লান্ত
শরীরে হাটলে হয়তো মাথাটা আপনা আপনিই
গরম হয়ে যায়...
-এভাবে কথা বলছেন কেন?
-তো কিভাবে বলব?
-আরে আমি তো মজা..
-প্লিজ আপনি যান তো..
-ওকে
মেয়েটা চলে যাচ্ছে কিন্তু অন্যদিন গুলোর
থেকে আজ তার ভাবটাই মনমরা।
আমি কি বেশী কিছু বলে ফেললাম?
যা হবার হয়ে গেছে আর কিছু
না ভেবে আবার হাটা ধরলাম...
বাসায় পৌছে কলিংবেলটা চাপতেই
দরজাটা খুলে গেল কিন্তু এবার টাস্কি আর
ভয় দুটোই ঘিরে ধরলো
-আন্টি রান্না ঘরে তাই দরজাটা আমিই
খুললাম..
মেয়েটা আবার আমাদের বাসায় হয়তো নতুন
কোন অভিযোগ..
-কি মিষ্টার ভেতরে আসবেন?
-জি হ্যা...আপনি?
-কেন?আপনাদের বাসায়
আসা যাবে না নাকি?
-আবার নতুন রিপোর্ট নিয়ে এসেছেন?
-হুম
-তো রিপোর্টটা কি?
-আন্টির কাছে গেলেই বুঝবেন..
ভয়ে ভয়ে ফ্রেশরুমের দিকে রওনা হলাম
-এই নীরব এদিকে আয়
-আম্মু আসতেছি..
মনটার ভিতর কি যেন একটা ভয় শুরু
হইছে বুঝতে পারছি না..
-কলেজে যাস না ক্যান?
-কই আম্মু আমিতো যাই
-মিথ্যা বলবি না..রিমি তো প্রতিদিনই
কলেজে যায় কিন্তু
তোকে তো একটা দিনও
কলেজে দেখে নি..
-রিমিটা কে?
-এই যে এনিই রিমি..
উহহহ...আম্মু ছাড়ো প্লিজ
কানে ব্যাথা লাগছে তো আর
একটা মেয়ের সামনে লজ্জা লাগছে তো...
মেয়েটা মুচকি মুচকি হাসছে, সত্যিই
মেয়েদের হাসির
মাঝে একটা জাদুকরি শক্তি আছে..
-কথা তোদের ডিপারমেন্টেই ভর্তি হইছে
-ও
-যা ফ্রেশ হয়ে আয়..
ফ্রেশ হয়ে এসে জানতে পারলাম
রিমি চলে গেছে তবে রেখে গেছে মনকারা
সেই
হাসিটা..
আগের সেই মেয়েটার সাথে এখনকার
রিমির মিল পাচ্ছি না। যে মেয়ের
দিকে তাকালে বাসায় আসে রিপোর্ট
করতে আর আজ ইনসাল্ট এর পরেও এত ভাল
ব্যবহার সত্যিই টাস্কিত!
রুমে ঢুকেই পারসোনার্ল
ডাইরিটা বিছানাতে আবিস্কার করলাম।
ডাইরিটা হাতে তুলতেই তার
মধ্যে রাখা কলমের
কারনে ডাইরিটা খুলে গেল
"কালকে কলেজ
ক্যাম্পাসে অপেক্ষা করব...ইতি রিমি"
ডাইরির পাতায় লেখাটা দেখতেই কেমন
যেন হইয়া গেলাম।
রাতে ফেবু চালাচ্ছি হঠাৎ রুমে আম্মুর
আগমন। আম্মুর
চোখদুটো জলে ভরে গেছে কিছু বুঝে ওঠার
আগেই আম্মু বলল..
-তাড়াতাড়ি চল হসপিটালে যেতে হবে
-আম্মু কি হইছে!
-রিমি এক্সিডেন্ট করছে
কথাটা শুনা মাত্র বুকের বামপাশটাই
হাতুড়ির আঘাত অনুভব করলাম...
রিমি বেডে শুয়ে আছে পাশে বসে আছে
আঙ্কেল
আর আন্টি। সবকিছু কেমন
আবছা আবছা লাগছে, ধুর কখন যে চোখে জল
এসে গেছে তাই জল মোছার ব্যর্থ
চেষ্টা করলাম....
-আম্মু তোমরা একটু বাইরে যাও শুধ নিরব
থাকো.. রিমির কথায় সবাই বাইরে চলে গেল
শুধু
আমি দাড়িয়ে আছি বেডটার পাশে...
-কি বসবে না আমার পাশে?
-কিভাবে হলো?
-তুমি কাদঁছো কেন?
-কই নাতো?
তাহলে মেয়েটা কি চোখের জল
দেখে ফেলেছে...
-হাতটা ধরবে প্লিজ
-কেন?
-ওকে ধরতে হবে না বলেই অন্য
দিকে ঘুরে গেল রিমি। আজকে সুযোগ
পেয়েছি রিপোর্টার মেয়েটার হাত ধরার
তাই সুযোগে সৎ ব্যবহার টাই করলাম..
-এখন কেন ধরলা?
-হয়তো ভালবাসি তাই
-সারাজিবন ধরে রাখবে তো?
-ক্যান না ধরলে কি আম্মুরে রিপোর্ট
করবা?
-না আমিই পিটাইবো..ভিতুর ডিম একটা...
আবারে পাগলীটার সেই
হাসিটা ফুটে উঠেছে তবে এবার চোখ
বেয়ে অশ্রু গড়ছে তার হয়তো সুখের অশ্রু
তাই বাধা দিলাম না
আজ পড়ুক না একটু অনেক ভালোই
তো লাগছে...
মাঝে মাঝে কিছু অশ্রুর বিনিময়ে গড়ে ওঠে
ভালোবাসার হিমালয়,
আজ না হয় হোক আমার তরে একটা হিমালয়....
__________________________________
__________________________________

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৬
৯টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×