ভার্সিটি পড়ুয়া কাইকর সুদর্শন ও কবিসুলভ হওয়ায় খুব সহজেই মেয়েরা তার প্রতি আকৃষ্ট হয়।ডিপার্টমেন্টের অধিকাংশ মেয়ে তার লেখা প্রেমের কবিতা ও ভালোবাসার গল্পে ডুবে থাকে! কাইকরের উদাস চাহনি ও লেখায় বিভোর হয়ে অনেক রমণী তো তার প্রেমে ডুব দিতে চাই।ফ্লাট করে বেড়ানো কাইকর ও সেসব সুযোগ ছাড়ে না কোনোভাবে।তার প্রেমে পড়ুয়া রমণীদের খুব সহজেই কবিসুলভ কথাবার্তা় আর দুটো ভালোবাসার রঙিন ফানুস খোলা আকাশে উড়িয়ে দিয়ে বিছানায় নিয়ে যায় সে।এভাবে যে কত রমনীর ফানুস আকাশে উড়িয়ে দিয়েছে সে তার হিসেব নেই!
বাবা জমিদার হওয়ায় শহরে এসে একখানা বিশাল ফ্লাট বাড়ি নিয়ে একা একাই থাকে সে।রাতবিরেতে কত নারী যে ঢেউ তুলে যায় এই ফ্ল্যাটে তার হিসেব কষা কঠিন!
আকাশে ঝুম বৃষ্টি।চারদিকে অন্ধকার।কাইকর একা একা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে নিজের লেখা কবিতা বিড়বিড় করছে।হঠাৎ করে কানের মধ্যে আসা শুরু করলো টুংটাং রিমঝিম শব্দ।এক কামুক রমণীর দুপায়ে ঝড় তুলা নুপুরের শব্দ! সে রুমের মধ্যে ঢুকতেই কামুক রমণী দেবী লীলার মতো আওয়াজ তুলে হাসতে শুরু করে।আকাশের গর্জনের সাথে দেবী লীলার হাসি মিলে তৈরি হচ্ছে ভয়ঙ্কর এক আওয়াজ।
কাইকরের নার্ভ শক্ত।মনে মনে ভয় পেলেও চিৎকার চেচামেচি করে বাড়ি মাথায় তুলে না সে।বাইরে মেঘের গর্জনে মেয়েটা চমকে উঠে তার দিকে তাকায়।
এই কামুক রমণীকে বছর তিনেক আগে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনেকবার এই ফ্ল্যাটে এনে ধর্ষণ করেছিল সে।একরাতে ভালোবাসার রঙিন ফানুস আকাশে উড়াতে চাইলে বাধা দেয় মেয়েটা।কাইকর জোর করাতে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে দেয় মেয়েটা।সেদিন রাতে খুব করে কষে-টষে বেঁধে কুকুরের ন্যায় ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছিল মেয়েটাকে।কিছুদিন লাশটাকে ডিপ ফ্রিজে রেখে দেবার পর লাল গাড়ি করে গভীর রাতে ফেলে দিয়ে আসে গভীর জঙ্গলে।
মেয়েটা কাইকরের দিকে অনেকটা সময় গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।বৈরী ঠান্ডা আবহাওয়াতেও দরদর করে ঘামতে থাকে সে।তার ঘন্টা খানেক পর কাইকরের রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখা যায় তার পুরুষাঙ্গ।
গত সাতদিন কাইকর নিখোঁজ থাকায় পুলিশ তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে এসে দেখে, কিছুদিন আগের আস্ত জলজ্যান্ত মানুষ টা কাত হয়ে পড়ে রয়েছে বিছানার উপর ।সিলিং ফ্যানের পাখার সাথে এখনো ঘুরপাক খাচ্ছে তার পুরুষাঙ্গ!!
পুলিশ ফোন দেয় কাইকরের মাকে।ভয়াবহ খবরের তীব্রতা নিতে না পেরে সেন্সলেস হয়ে পড়ে সে।
মৃত্যুর আগ মুহূর্তে ভাসমান অবস্থায় কাইকরের শেষ কথা ছিল,ক্ষমা করে দাও আমাকে।আমাকে ক্ষমা করে দাও।কামুক রমণী আশ্চর্য নরম গলায় সে দিকে তাকিয়ে বলে,এই তো ক্ষমা করে দিয়েছি কাইকর। তোমার উপর আর কোনো রাগ নেই আমার।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৬