আজ বাইশ তারিখ। এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম। আমার একমাত্র আদুরে কাইকরকে ভালোবাসার দিন। আজ আচ্ছামতো বুনো আদর দিব তাকে। আমার আদরের ঘনঘটায় তার মন গহীনে যেন ভালোবাসার ফানুস উড়ে পরিতৃপ্তিতে। বছর দেড়েক হলো ভালবাসার ফানুস উড়াই না কাইকরকে সাথে করে। বাতাসে আজ প্রেম প্রেম গন্ধ ভাসছে। আজ মাঝরাতে খুব করে চাঁদের আলো গায়ে মেখে তাকে আঁটো সাঁটো করে বেঁধে নিজের ইচ্ছে মতো আদর করবো। সম্পর্কের প্রথমদিকে লিভটুগেদারে যেতাম আমরা প্রত্যেকটা দিন। তবে, শেষ দেড় বছরে ওভাবে পাওয়া হয়নি তাকে। তাই আজ পূর্ণিমার রাতে এত আমেজ।
প্রতিদিন নিয়মিত হস্তমৈথুন ও দু -তিন পেগ হুইস্কি খেয়ে ঘুমাবার অভ্যেস কাইকরের। সম্পর্কের শুরুতে কত যে ঝগড়া হয়েছে এ নিয়ে তার হিসেব নেই। এক বৈকালিক সন্ধ্যায় আমার শাড়ির ফাঁকে নাভির এক কিয়াদাংশ দেখে জোর করেই বিছানায় নিয়ে যায় সে পাগলের মতো। সেই যে শুরু আজও তার রেশ কাটেনি। সে প্লেটোনিক লাভে বিশ্বাসী না। তার মতে প্রেমিকা যদি আদর সোহাগ দিয়ে প্রেমিককে নাই খুশি করে রাখতে পারে সে আবার কেমন ভালোবাসা। অমন ভালোবাসা নাকি জোসনা ছাড়া চাঁদের মতো।
রাত বারোটা একমিনিট। আমি কাইকরের শয়ন রুমে। সে প্রতিদিনের মতো আজকেও হয়তো হস্তমৈথুন ও দু তিন পেগ হুইস্কি খেয়ে ঘুমাচ্ছে। বাহিরে ঝুম বৃষ্টি সাথে আমার পায়ের নূপুরের শব্দে ঘুম থেকে উঠে পড়ে সে। আমাকে হঠাৎ করে দেখে কিছুটা অন্যমনস্ক হবার কথা থাকলেও দু পেক হুইস্কির নেশায় তা ভুলে গেছে সে। কায়দা করে আজ লাল শাড়ির সাথে কপালের মাঝ বরাবর লাল টিপ পড়েছি। আজ আর নাভির কিয়াদাংশ নয় পুরোপুরি তামিল নায়িকাদের মতো করে বের করে রেখেছি। বাহিরে ঘনঘন ধুম ধুম শব্দ হচ্ছে। সেই শব্দের রেশ ধরে চারিপাশ কিছুক্ষণের জন্য দিনের আলোয় রূপ নিচ্ছে। সেই আলোতে আমার নিবারণ নাভি জ্বলছিল খুব করে। তার লালাভ চোখে আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে হঠাৎ করে আমার শরীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। আজ তার আদর করবার দিন। একটানে আমার শরীর সুতোবিহীন করে পাগলের মত করে চুমো খাচ্ছিল। জানালা দিয়ে আসা রাতের অন্ধকারে দিনের আলোটুকুন আরও বেশী পাগল করে তুলেছে তাকে।
একটা পূর্ণবয়স্ক যুবতী মেয়েকে সুতোহীন পেলে যে কোনো পুরুষ স্বাভাবিক বোধজ্ঞানটুকু হারিয়ে ফেলবে। সে তো আবার ঘুমাবার আগে হস্তমৈথুন আর হুইস্কি খেয়েছে। তার চোখে এখন আমাকে বুঝি সানি লিওনের মতো দেখাচ্ছে। কিন্তু আমি অমন সস্তা মেয়ে নই যে, সানিলিওন বললে মেনে নিব।
বিছানা বিশেষজ্ঞ কাইকর। তার পুরুষাঙ্গ ধারা আমাকে যখন এক আকাশ ভালোবাসা দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঠিক তখন ঝুম বৃষ্টির মাঝেও খুব তোড়জোড় করে চাঁদ উঁকি দিচ্ছে আকাশে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। বৃষ্টি আর চাঁদের আলো একসাথে মিলেমিশে এক ভয়ঙ্কর রাতের আবেশ। অমনি আমার রূপ দেবী লীলার মতো পরিবর্তন হয়ে গেল। এক হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে আর অন্য হাত দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে নিলাম চাঁদের আলোয়। আকাশের রং পাল্টে লাল হয়ে গেল! এক হাতে এক পুরুষের পুরুষাঙ্গ আর অন্য হাতে ধারালো ছুরি সুতাবিহীন শরীরে এক ভয়ংকর নারী। আকাশের গুম গুম শব্দের সাথে আমার অট্টহাসি মিলে তৈরি হচ্ছে ভয়ঙ্কর এক আওয়াজ। এক ভয়ংকর নারীর আওয়াজ।
দেড় বছর আগের এই দিনেই আমাকে সে খুব করে আদর সোহাগ করতে করতে ধারালো ছুরি ধরা নির্মম নিষ্ঠুরভাবে খুন করেছিল। আমার অমন জলজ্যান্ত নিষ্পাপ ভালবাসা নিয়ে সে খেলেছিল। ভালোবাসার সাথে বিষ মিশিয়ে খাওয়ালে তার মত কষ্ট এই দুনিয়াতে নেই। সে আমাকে ভালোবাসা দিতে দিতে খুন করেছিল। আর আজ আমি তাকে ভালবাসা দিতে দিতে মুক্তি দিলাম। চিরতরে মুক্তি। আকাশটা আচমকা পরিবর্তন হয়ে গেল। ঝুম বৃষ্টি চাঁদের আলোর সাথে মিলেমিশে চলে গেল এক সহজ সরল ভালোবাসা পিপাসু নারী। যে কিনা ভালোবাসে, ভালবাসাটা নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩০