_ প্রায় ছয় বছর পর দেখা হলো আবার তাইনা?
_ হুম। ভোর পাখিদের ডাকে হয়তো!
_ বুঝেও বুঝলাম না। তা কেমন আছো?
_ শেষ বিকেলের পাখির মতন।
_ এখনও সেই আগের মতই আছো!
_ নিজেকে বদলানোর জন্য কখনো তৈরি করিনি। তাই এখনো আগের মতই আছি। তবে, এখন আর শেষ বিকেলের গোধূলি লগনে কারো জন্য ফুল হাতে অপেক্ষা করি না।
_ তোমার লেখালেখি কেমন চলছে?
_ কান্না মুখের হাসির মতো। ভাঙ্গা হৃদয়ের স্বপ্নের মত।
_ এখনো কবিতা দর্শন ছারলে না। এমন কেন তুমি?
_ কখনো কোনো কিছু স্পর্শ করার জন্য ছুঁইনি। ধরে রাখার জন্য ছুঁয়েছি।
_ বাবা মা কেমন আছে?
_ আকাশের চাঁদকে জিজ্ঞেস করতে হবে! তারা কান্না মুখে হাসতে পারে না। ভাঙা হৃদয়ে স্বপ্ন দেখতে পারে না। তাই তারা চাঁদের সাথে আড্ডা দিতে চলে গেছে বছর চারেক আগে।
_ কাইকর। আমরা দুজুন কত না এই সংসদ ভবনের সামনে বসে বাদাম ছিলিয়ে খেতাম। তোমার কি মনে পড়ে?
_ মনে পড়তে দেয়নি কখনো! তাই এখনো বসে বসে একা একাই বাদাম না ছিলিয়েই খাই।
_ এখনো ভালোবাসো মাধবীলতাকে?
_ তোমার মনকে জিজ্ঞেস করো! আমি আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমার মন কে অপমান করা হবে। তুমি কেমন আছো?
_ আছি বেশ। মাস দুয়েক আগে দেশে ফিরলাম মামুনকে সাথে নিয়ে।
_ ও...। তোমার কোলের এই ছোট্ট মেয়েটি কে?
_ ওহ... ছরি,বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। আমার ও মামুনের একমাত্র আদুরে সন্তান মোনাকা।
_মোনাকা! বাহ, বেশ সুন্দর নাম তো। দেখতে শেষ বিকেলের রোদের মতো।
_ কাইকর। ভালো থেকো। আজ আমায় আসতে হবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে।
অপ্সরা সেদিনের মত আজকেও আমার বুকের মাঝ বরাবর ছোট্ট চিকন সুই গেথে দিয়ে চলে গেল। চাঁদের আলো গায়ে মেখে দুজনে কত না স্বপ্ন সাজিয়েছি আমাদের লাল নীল সংসারের। দুজুনে ঠিক করেছিলাম মেয়ে হলে নাম রাখবো রিমঝিম। যে বেণী দুলিয়ে ছুটবে পুরোটা শহর।
আজ থেকে প্রায় বছর ছয়েক আগে স্বার্থের জন্য অপ্সরা সুরক্ষা মালা পরায় প্রবাসী মামুনের গলায়। এক বাউন্ডুলের ভালবাসাকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে। যে কিনা ভালোবেসেছিলো ,ভালোবাসাটা নয়!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫১