somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মামুন রেজওয়ান
আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

"ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া/ ভ্রমন-পর্ব ১"

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লেখালেখির ব্যাপারে কখনও ভাল কিছু আসে নি আমার মাথা থেকে। তবুও মানসিক একটা শান্তি পাই এই অদ্ভুত সাহিত্য জগতে। আমি অত্যন্ত স্মৃতিকাতর একজন মানুষ। অতীত স্মৃতি আমাকে খুব ভাবায়, আনন্দ দেয় এবং কাঁদায়। সেইসাথে ভবিষ্যৎ নিয়েও সংকিত করে তোলে। তবে অতীতটা কিন্তু সবারই খুবই প্রিয়। কেউ কেউ অতীতকে ধারন করে রাখে ক্যামেরাবন্দি করে, কেউ বা আবার নিজের হৃদয়ে অতীত স্মৃতির চিত্র এঁকে রাখে আর কেউ তার দৃশ্যত চিত্রগুলোকে বর্ণমালায় ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে। আমারও এরকম অসংখ্য মধুর অতীত রয়েছে। এই অসংখ্য অতীত থেকে একটি অতীত নিয়ে শুরু করব আমার কথা। এটাও মধুর অতীত, সাথে যুক্ত করি ভ্রমন কাহিনী সম্বলিত অতীত। যা মাত্র কিছুদিন আগে আমার স্মৃতির ভান্ডারে জমা হয়েছে।
শুরুটা ছিল আমাদের শেষ বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়া উপলক্ষে। ক্যাম্পাসে শেষ বর্ষে পদার্পণ করলে ফাইনাল ট্যুর বা র‍্যাগ ট্যুর নামক একটি ভ্রমনের ব্যবস্থা করা হয় পুরো ব্যাচকে নিয়ে। সেই ধারাবিকতায় আমাদেরও র‍্যাগ ট্যুর ছিল এই বছরের ১৬-২০ ফেব্রুয়ারি। আমাদের ক্যাম্পাসের অন্যান্য ব্যাচও তাদের ফাইনাল ইয়ারে এই ট্যুরের আয়োজন করে থাকে। তো আমি মোটামুটি বিস্তারিতভাবে আমাদের র‍্যাগ ট্যুর নিয়ে যাবতীয় তথ্য এবং ঘটনা শেয়ার করব ইন-শা-আল্লাহ।




চিত্রঃ ট্যুরের ব্যানার



চিত্রঃ ট্যুরের টি-শার্ট

আর সব অন্যান্য বছরের মত এ বছরও গতানুগতিক ভাবে নির্ধারিত ভ্রমন স্থান হওয়ার কথা ছিল সেইন্ট মার্টিন এবং কক্সবাজার। তবে আমাদের ব্যাচের সবাই একটু বেশী ভ্রমন পিপাষু বলে তালিকায় গতানুগতিক দুইটি স্থানের সাথে নতুন একটা স্থান যুক্ত করা হয়েছিল বান্দারবন। হুম কক্সবাজার, সেইন্টমার্টিন, সেইন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপসহ বান্দারবনের ছয়টি পর্যটন স্পট ছিল আমাদের ভ্রমন তালিকায়। যেহেতু তখন আমাদের তালিকায় থাকা সবগুলো স্পটেই ট্যুরিস্ট সিজন চলছিল, তাই আমাদের পরিকল্পনা এবং যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহন শুরু করতে হয়েছিল প্রায় একমাস আগে থেকে। বাজেট নির্ধারণ, ক্যাম্পাস থেকে বাজেট প্রাপ্তি, প্রত্যেকটা স্পটের হোটেল বুকিং, প্রত্যেকটা স্পট বিশেষ করে বান্দারবনে চাঁদের গাড়ি বুকিং করা সবই করতে হয়েছিল জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ ভ্রমনের ১৫-২০ দিন আগে।
সব কিছু জানুয়ারি মাসের ভিতরেই ঠিক করা হল। ক্যাম্পাসের বাস আমাদের সাথে থাকায় বাড়তি শুধুমাত্র একটা মাইক্রো আমাদেরকে ভাড়া করতে হয়েছিল। অন্যান্য ব্যাচের শুধু বাসেই সবার জায়গা হয়ে গেলেও স্যার, ড্রাইভার, মামাসহ আমাদের সংখ্যাটা ৬৫ জন হওয়াতে বাড়তি একটা মাইক্রো আমাদের নিতে হয়েছিল। গাড়ির ব্যবস্থা হয়ে যাওয়ার পর পর্যটন স্পটগুলোতে থাকার জন্য জায়গার ব্যবস্থা করাছিল আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ। তবে আল্লাহর রহমতে সেইন্টামার্টিনের হোটেল বুকিং, কক্সবাজারের হোটেল বুকিং, বান্দারবানের হোটেল বুকিং এবং বিশেষত বান্দারবানের চাঁদের গাড়ির বুকিং আগেই করা হয়েছিল। আর এই বুকিংগুলো আমাদের ট্যুর কমিটির প্রত্যেকটা সদস্য নিরলসভাবে যোগাযোগ করে নিশ্চিত করেছিল।



চিত্রঃ নাফ নদী
ফটোগ্রাফিঃ মেহেদী হাসান ভুঁইয়া

চলুন এবার সরাসরি ভ্রমনের বর্ণনাতে চলে যাই। নির্ধারিত দিন অর্থাৎ ১৬ই ফেব্রুয়ারি রাত ১০:৩০ মিনিটে আমাদের যাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আমরা প্রায় সবাই নির্ধারিত দিনে রাত ১০:৩০ মিনিটের অনেক আগেই আমাদের ক্যাম্পাসে রাখা বাসে এসে উপস্থিত হই। হল থেকে ক্যাম্পাসে আসতে খুব বেশী হলে ৫-১০ মিনিট সময় প্রয়োজন হয় কিন্তু আমরা ৯:৩০ মিনিটে এসেই বাসের নিকট উপস্থিত। আসলে পরে আসলে বাসে সিট খালি পাওয়া যাবে না, শেষে বাধ্য হয়ে মাইক্রোতে যেতে হবে তাই সবার মধ্যে একটু মৃদু প্রতিযোগিতা হয়েছিল বলতেই হবে। কারন কেউ বাসের ৫০-৫৬ জনের একসাথে করা আনন্দ মিস করতে চাইছিল না। যাইহোক যথাযথ সময়ের আধাঘন্টা পরে অর্থাৎ ১১টা নাগাত আল্লাহর নিকট যাত্রাপথে বিপদাপদ যাতে না হয়, তাই প্রার্থনা করে আমাদের বাস যাত্রা শুরু করল মিরেরসরাই, জোরারগঞ্জ থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে। সেই হিসাবে আমাদের প্রথমে পৌঁছতে হবে চট্টগ্রাম।
চলবে…………….
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×