somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"সায়েন্স ফিকশনঃ মানোবট/১"

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



চিত্রঃ বইয়ের কভার

১.
গত পোস্টে বলেছিলাম দেখতে ক্লিক করুন
আমার বইয়ে প্রকাশিত লেখাগুলো যেগুলো কখনও অনলাইনের মুখ দেখেনি সেগুলো শেয়ার করব আপনাদের সাথে। সেই কথা অনুসারে আমার লেখা সায়েন্স ফিকশন মানোবট আজকে কিছু অংশ এখানে প্রকাশ করছি। যদিও এটা "র" ফাইল ছিল। অনেক বানান ভুল থেকে যেতে পারে।



চিত্রঃ বইটির সূচিপত্র



চিত্রঃ বইটিতে আমার গল্প

"মানোবট "

কৃ আজ একটু আগেই ঘুম থেকে উঠে গেছে। ঘুম থেকে উঠে কৃর জানালা দিয়ে বাইরে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকা অভ্যাস। আজকেও তাকিয়ে আছে। চারেপাশ গাঢ় সোনালী রঙে ছেয়ে আছে।ক্ষেতের সব যব পেঁকে গেছে এই বছর। তাদের বাড়িটা একটা ফাঁকা স্থানে। আর চতুর্দিকে যবের খেত। কৃ পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তান। তার নাকি ছোট একটা বোন ছিল।কিন্তু কৃ তার বোন সম্পর্কে কিছুই জানে না। কি এক অজানা কারনে তার মা তার ছোট বোনের কথা তুলে না। আশ্চর্যের বিষয় হল এই এলাকায় কোন বাচ্চার বয়স যখন পাঁচ থেকে সাত হয়ে যায় কোন এক অজানা কারনে তারা অদৃশ্য হয়ে যায়। বিশেষ করে যে বাচ্চাগুলো একটু চটপটে প্রকৃতির হয় তারাই নিখোঁজ হয়।কৃর এখন এসব ভাবলে হবে না। তাকে দ্রুত নাস্তা সেরে স্কুলে যেতে হবে। স্কুলটা তাদের বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে। নাস্তার টেবিলে বসল কৃ। সামনে যবের রুটি , সকালের নাস্তা। এখন পৃথীবির একমাত্র খাদ্যবস্তু যব। যব ছাড়া অন্য কোন উদ্ভিদ আর জন্মে না এই পৃথিবীতে। কয়েক হাজার বছর আগে কোন এক ভাইরাসের সংক্রমনে সব উদ্ভিদ একে একে মারা যেতে শুরু করে। কিন্তু আশ্চর্য জনক ভাবে যব বেঁচে যায়। এখন সারা বিশ্বে যব চাষ করা হয়। এই যবের আটা দিয়েই তাদের তিন বেলার খাবার সারতে হয়।

কৃর স্কুলে আজ রেজাল্ট দেওয়ার কথা। কৃ স্কুলে ঢুকেই বারান্দায় সুশান আর পৃহাকে মনমরা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। বুকটা ধক করে উঠল কৃর। পরীক্ষায় সে কি খারাপ ফলাফল করল? একটু জোর কদমে হেটে বারান্দায় আসল কৃ। এসেই সুশানের পিঠে থাবড়া দিয়ে জিজ্ঞাস করল...
--কিরে মনমরা হয়ে বসে আছিস কেন?
--সুশান উত্তর দিল। তুইতো খুবই বাজে রেজাল্ট করেছিস।তোর গ্রেড সবচেয়ে কম।
--যাহ তোরা ঠাট্টা করছিস।
--সুশান ঠিকই বলেছে। (পৃহা)
--কিন্তু এত খারাপ হওয়ার তো কথা না??
কৃর খুবই মন খারাপ হয়ে গেল। ঠোঁট চেপে কান্না আটকানোর চেষ্টা করল কৃ। এই বয়সে কি কেউ কাঁদে? সেতো বড় হয়ে গেছে। তার মুখের এই অবস্থা দেখে পৃহা হাসতে হাসতে বলল আরে গাধা তুই সবচেয়ে বেশী গ্রেড পেয়েছিস। তোর দেয়া যবের জিনেটিকাল ইকুয়েশনটা সবচেয়ে বেশী পছন্দ হয়েছে শিক্ষকদের। তোর ইকুয়েশন পরীক্ষামুলক ভাবে কাজে লাগাতে নির্দেশও দিয়ে দিয়েছেন আমাদের টিচার। কিন্তু আমারতো এগ্রিকালচার ভাল লাগে না। আমি নিউরোলজিকাল সাইন্স পড়তে চাই। সুশান তাকে চুপ চুপ বলে থামিয়ে দিল। তুই জানিস না নিউরোলজি সাবজেক্ট নিয়ে আলোচনা করা নিষিদ্ধ? কিন্তু আমার এগ্রিকালচার একদমই অপছন্দ। বাবার নিউরোলজির একটা বই দেখেছিলাম। কয়েকবছর আগে প্রথমদিকের কিছু অংশ খুবই ভাল লেগেছে কিন্তু পরের অধ্যায়গুলো কিছুই বুঝি না।
পৃথীবিতে যখন অজানা এক ভাইরাসের আক্রমণ হল আর উদ্ভিদ সব মারা গেল তখন থেকে নতুন খাদ্য উৎপন্ন করা মানুষের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াল। সেই সাথে সকল স্কুলে নিউরোলজি বিষয়টা পড়ানো নিষিদ্ধ করা হল। এও নির্দেশ দেয়া হল যে ,যদি কেও নিউরোলজি নিয়ে কোন প্রকার আলোচনা করে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
সব শিক্ষার্থী মহলেই এই প্রশ্নটা বিদ্যমান। এগ্রিকালচার এখন মুখ্য বিষয় হওয়া উচিৎ ঠিক আছে। অন্য সকল বিষয় থাকা সত্ত্বেও কেন নিউরোলজি সাবজেক্টটা নিষিদ্ধ করা হল? এর উত্তর কৃ, পৃহা, সুশান তাদের কারও জানা নেই। এমনকি এলাকার বয়স্ক কারও জানা নেই। এই নিয়ে কৃর মনে বিভিন্ন প্রশ্ন খুরপাক খায়। সবাই বিষয়টাতে তেমন গুরুত্ব না দিলেও কৃ এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য উঠে পরে লেগেছে।
(চলবে)

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×