somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"চারজনের বক্তব্যঃ অনুভুতি একই"

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


"আমাকে সবচেয়ে বড় যে সমস্যায় পড়তে হত তা হল নামায পড়া নিয়ে। আমাদেরকে খুব কম পানি দেওয়া হোত। সেই কম পানি দিয়েই পুরো একদিনের খাওয়া, বাথরুম (বাথরুম বলতে সেলের কোনায় বালি ছিল কিছু সেখানেই) এবং অযু। এতেও সমস্যা ছিল না। সমস্যাটা হল অযু করতে দেখলে তারা মারধোর করত। অযু করতে বাধা প্রদান করত। তাই লুকিয়ে লুকিয়ে অযু করতে হোত। তারপরেও নামাযে বাধা দিচ্ছে না এই বলে প্রচন্ড শান্তি পেতাম।"
(হোসাইন আব্দুল কাদির গুয়ান্তানামো থেকে ফিরে আসার পর করা মন্তব্য)

"খুব বেশী অসুবিধা হোত নামায পড়তে গেলে। যেহেতু বারাসাতের হিন্দু এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ছিলাম তাই সকলের মাঝে নামায পড়া ছিল অসম্ভব একটা ব্যপার। তাও লুকিয়ে চুরিয়ে যেখানে জায়গা পেতাম নামায পড়তাম। কখনও কখনও দীর্ঘক্ষণ নামায পড়তে পারিনি। শেষে মাঝরাতে উঠে একসাথে সব ওয়াক্ত আদায় করতাম। "
(রিভার্টেড মুসলিম আহম্মদ আলী ভাইয়ের কথা আমার ইনবক্স থেকে)

"বই পড়ার ভান করে, বালিশের উপর বই রেখে ঝুঁকে ঝুঁকে ইশারায় নামায পড়তাম। উপায় ছিল না কারন মা আশেপাশেই থাকত। তাও হঠাৎ করে জিজ্ঞাস করত কিরে এভাবে ঝুঁকে ঝুঁকে কি করছিস? "
(ফেরা বইয়ের লেখিকা)

এরকম হওয়ার কথা ছিল আমাদের প্রত্যেক মুসলিমের। নামায আবশ্যক করা হয়েছে আমাদের উপর সর্বাবস্থায়। যারা নামায পড়েন তাদের মধ্যে আযান হলেই একটা অস্থিরতা কাজ করে। অজ্ঞাত একজনের কথা বলি। "ট্রেনে যাচ্ছি ঢাকার উদ্দেশ্যে। যোহরের নামায রুমে পড়েই বেরিয়েছি। ট্রেনে ওঠার পর আসরের সময় হল। তখন ৫.৩০ বাজে। অযু করা নেই আর ট্রেনে প্রচন্ড পরিমানে ভির থাকায় ওয়াশ রুমে গিয়ে যে, অযু করে আসব তারও উপায় নেই। শেষে বাধ্য হয়ে পায়ের কাছের ধুলো নিয়ে তায়াম্মুম করে সিটে বসেই দুই রাকা'আত কসর সারতে হল। মাগরিবও এভাবেই গেল। ঠিক নামায পড়ার আগের মুহূর্ত আমার জন্য ছিল প্রচন্ড অস্থিরতার। বারবার এদিক ওদিক তাকাচ্ছি আর খুঁজছি কোন পাশ দিয়ে একটু ফাঁকা আছে। যাতে আমি ওয়াশরুমে যেতে পারি। এতটাই ছটফট করছিলাম। "

বিঃদ্রঃ- বক্তব্য দাঁড়ি কমা এদিক ওদিক হতে পারে কিন্তু মুল তথ্য হুবহু আছে। কি শিখতে পারলাম না পারলাম এটা নিজেরাই চিন্তা করি।
নিজেকে প্রশ্ন করি আমাদের কি আযান শুনলে এমন অস্থিরতা তৈরী হয় মনের মধ্যে? নাকি এসি চলছে, শরীর ফুরফুরে তখন নামায আর বাকী সময় না পড়লেও চলে।


সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৬
১০টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×