somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্যরকম ইচ্ছা পূরণ

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১৯৯৪ সালের কোন এক সকালে সৈয়দপুরের সরকারী বাসা থেকে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুলে যাচ্ছি। ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ি। অন্যান্য বন্ধু আগেই স্কুলে চলে যাওয়ায় একাই সকালের মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে হেটে হেটে যাচ্ছি। প্রায় ৩০ মিনিটের হাটা পথ। রাম্তা দিয়ে যাচ্ছি আর এটা-সেটা ভাবছি। হঠাৎ সামনে দেখতে পেলাম সেনাবহিনীর এক সৈনিক সাইকেল চালিয়ে আসছে সামনের দিক থেকে। তার সাইকেলের সামনে বিভিন্ন প্রকার গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুল। কাছাকাছি আসতেই আমার ইচ্ছা হলো ওনার থেকে ফুল নেওয়ার কিন্তু একজন অপরিচিত মানুষের কাছ থেকে কি ভাবে ফুল চাওয়া যায় জানিনা। মনে মনে বলতে থাকলাম-ইস্ যদি একটা ফুল পড়ে যেত, তাহলে আমি নিয়ে নিতাম।
সৈনিক আমাকে ক্রস করে চলে গেল। আমিও সামনের দিকে পা বাড়ালাম। কি মনে করে পিছন দিকে তাকাতেই দেখতে পেলাম একটা রজনীগন্ধার স্টিক সেই সাইকেল থেকে নীচে পড়ল। অপ্রত্যাশিতভাবে মনটা খুশীতে ভরে গেল। কিন্তু ঠিক তখনই বিপরীত দিক থেকে একটা গাড়ী ধেয়ে আসছে। নির্ঘাত ফুলটিকে পিষ্ট করবে, সবকিছু ভুলে একদৌড়ে ফুলটিকে ছোঁ মেরে হাতে নিয়ে রাস্তার পাশে এসে দাড়ালাম আর অমনি গাড়িটি সাই করে চোখের সামনে দিয়ে চলে গেল। আর একটু দেড়ি হলে ফুলসহ আমি পিষ্ট হয়ে পৃথিবী থেকে চিরদিনের তরে চলে যেতাম।
ফুলটির ঘ্রান শুকতে শুকতে স্কুলে পৌছলাম। তখনও ক্লাস শুরু হয়নি, ব্যাগ রেখে মাঠে গেলাম। বন্ধুরা ফুল দেখে কেউ বলল-কোথা থেকে এনেছ, কেউ বলল-নিশ্চয় চুরি করেছ, অন্যকেউ বলল-উপহার পেয়েছ, বাগান থেকে ছিড়ে এনেছ ইত্যাদি নানা প্রশ্ন ? সবশেষে আমি আসল ঘটনাটা খুলে বললাম। তখন সবাই ফুলটি নিজের করে নিতে চায়। আমি বললাম-একটা ফুলতো আর সবাইকে দিতে পারবনা। তারচেয়ে এটা আমার কাছেই থাকুক।
তারপর থেকে রজনীগন্ধা ফুল দেখলেই সেই অন্যরকম ইচ্ছা পূরণের ঘটনাটা চোখের সামনে ভেসে উঠে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩১
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×