চট্টগ্রামের কারো মৃত্যুর পর মেজবানের আয়োজন করা ঐহিয্য ও সংস্কৃতির একটি অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। মেজবানে অংশগ্রহণ করা সাধারণ মানুষের জন্য আনন্দের একটি বিষয়। অনেক মানুষের একসাথে খাওয়া-দাওয়া, দেখা-সাক্ষাৎ, কথা-বার্তা, কুশল বিনিময় একটি রীতি-নীতি হয়ে দারিয়েছে।
চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দলীয় নেতা-কর্মীদেরও প্রিয় মানুষ ছিলেন। তার অসুস্থতার সময় মানুষের সমাগম, মৃত্যুতে জানাযায় রেকর্ড সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি, মেজবানে জাতি-বর্ন, গোত্র ভেদাভেদ ভুলে অগনিত মানুষের অংশগ্রহণ প্রমান করে তিনি সর্বসাধারনের আস্থার ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
গত ১৮/১২/১৭ইং তারিখ তাঁর কুলখানির মেজবানে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের জন্য খাওয়ার আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রাম নগরের ১৪টি জায়গায় আয়োজিত বেজবানে অংশ নিতে আসা মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে ১০ জনের অধিক মৃত্যু হয়েছে যা আমারা ফেসবুকসহ, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রিক মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। হতাহত হয়েছেন অনেকে।
অনেকে বলছেন-ফ্রি খেতে গিয়েই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এক মৃত্যুকে ঘিরে এত মৃত্যু সেটা কখনও কাম্য নয়। তাই শোক থেকে গভীর শোকে আচ্ছন্ন চট্টগ্রাম নগরী। বিজয়ের মাসে বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে।
অনাকাঙ্খিত আর কোন মৃত্যু নয়। হুশিয়ার হই, হই সচেতন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২১