somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সত্যজিৎ রায়ের বাক্স রহস্য অনেকে পড়েছেন কিন্তু জাতীয় হূদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বাক্স রহস্য এবার পড়ুন।

৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জাতীয় হূদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার জন্য কেনা হয়েছে একটি যন্ত্র, যাকে বলা হয় অটোক্লেভ মেশিন। কোটি টাকা দামের যন্ত্রটির সরবরাহকারী হাসান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি গত বুধবার সন্ধ্যায় সেই অটোক্লেভ মেশিনসহ একটি বাক্স রেখে গেছে বিশেষায়িত ওই হাসপাতালে। পরদিন দুপুরে হাসপাতালের সার্ভে কমিটির তিন সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বাক্সটি খুলে দেখতে পান, ভেতরে ফাঁকা, কোনো যন্ত্র নেই!
কী তেলেসমাতি কাণ্ড!
সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতারণা বা ঠকানোর যেসব ব্যাপার সাধারণত ঘটে থাকে, সেসবের মধ্যে থাকে এক দেশের যন্ত্রের কথা বলে অন্য দেশের কম দামি অপেক্ষাকৃত নিম্ন মানের যন্ত্র সরবরাহ করা, যন্ত্রাংশ সরানো ইত্যাদি। কিন্তু কোনো যন্ত্রই নেই, স্রেফ ফাঁকা বাক্স সরবরাহ করা! এত বড় দুঃসাহস কোত্থেকে আসে?
ফাঁকা বাক্স রেখে গিয়ে ফাঁকি দেওয়াটাই যে শুধু তেলেসমাতি, তা নয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আচরণেও তেলেসমাতি আছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি যখন বাক্সটি রেখে চলে গেল, তখন হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোথায় ছিলেন? নাকি ফাঁকা বাক্সই রেখে যাওয়া হবে, এটা তাদের আগে থেকেই জানা ছিল? নইলে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি এমন দুঃসাহস কী করে পেল? যখন তারা বাক্সটি রাখতে এসেছিল, সেই মুহূর্তে, তাদের সামনেই যদি বাক্সটি খুলে দেখা যেত, ভেতরে কোনো যন্ত্র নেই—তাহলে তাদের ব্যাখ্যা কী হতো? এ রকম জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে না জেনেই কি তারা ফাঁকা বাক্স রেখে যাওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছে?
সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির এহেন দুঃসাহস লক্ষ করে স্বাভাবিক বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের আক্কেল গুড়ুম হওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ বোধ হয় এমনই দেশ, যেখানে অসম্ভব বলে কিছু নেই। তাই বলে চোখে ঠুলি এঁটে এই গুরুতর বাটপারিকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। এ ঘটনার পেছনে অত্যন্ত নিচ ও নির্লজ্জ প্রকৃতির একটি চক্র জড়িত আছে বলেই মনে হয়। তাদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে এমন প্রতারণার দুঃসাহস আর কেউ না পায়।

খবর: প্রথম আলো
১১টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×