somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"আয়না" আলোচনা

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ছোটবেলা থেকেই বই পোকা গোছের একজন।হাতের কাছে,আশেপাশে,নিজের টাকায়,বাপের টাকায়,চুরি করা,ধার নিয়ে ফেরত না দেয়া বই পড়েছি অনেক।শুরুটাই হয়েছিলো রবিঠাকুরের ছোট গল্প আর শরৎচন্দ্রের দেবদাস দিয়ে।ধীরে ধীরে পাঠ তালিকায় যুক্ত হয়েছে এখনো হচ্ছে নতুন নতুন লেখকের নানান তত্ত্বের,নানান মতের,নানান ধরনের বই।কিন্তু আবুল মনসুর আহমদ এর বই পড়া হয়নি কখনো।একজন রাজনীতিবিদ হিসেবেই তাঁর পরিচিতি ছিলো আমার কাছে। আসলে তিনিও যে একজন স্বনামধন্য লেখক হিসেবে স্ব-দর্পে সাহিত্য জগতে আসীন আছেন সেটা জানাই ছিলো না এতোদিন।অবশ্য এটাকে আমার জ্ঞানের সীমারেখার সীমাবদ্ধতাই বলতে পারেন সবাই।আমার লেখার ধরন আর মতের দর্শনের দিক পর্যবেক্ষণ করে কাছের বড় ভাই প্রায়ই তাঁর কথা আলাপে উঠিয়ে আনতো।বিশেষ করে তাঁর "আয়না" বই আমি পড়েছি কিনা সেই প্রশ্নের সম্মুখিন হয়েছি দিনা দশেক।কিন্তু উত্তর বরাবরই না হয়েই বেরিয়ে এসেছে।হ্যাঁ উত্তর দেবো কোত্থেকে। কারন নতুন বই,পুরাতন বই বিক্রির দোকানগুলোতে অনেক খুজেছি "আয়না",পাওয়া হয়নি একদম।কিন্তু দুদিন আগেই আরেক ভাইয়ের বইয়ের তাকে চোখ বুলাতেই দেখি চোখের সামনে "আয়না" আমারই প্রতিচ্ছবি হয়ে প্রতিফলিত হচ্ছে।দেরি না করে সোজা হাত ঢুকিয়ে দিলাম বইয়ের তাকে।"আয়না" হাতে নিয়েই একঝলক তারপর বই বাড়িতে আনার পারমিশনের ঝামেলা চুকিয়ে আজ পাঠশেষ করেছি।আমার হাতে যে বইটি আছে সেটি ২০০৮ সালে পঞ্চদশ পুনঃমুদ্রন দেখে বেশ অবাক হয়েছি। অবশ্য বইটি পুনঃরায় ভাইটির বইয়ের তাকে গিয়ে স্ব-আসনে আসন গ্রহন করবে নাকি আমার বইয়ের তাকেই অন্যান্য লেখকের বইয়ের সাথে জোরজবরদস্তি করে জায়গা দখল করবে সঠিকভাবে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারছি না।কিন্তু "আয়না" পাঠ শেষে যা বুঝেছি তাই নিয়েই আলোচনা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছি।আয়না বইয়ে আবুল মনসুর আহমদ মুসলিম সমাজের গোঁড়ামি, ধর্মান্ধতা, ভণ্ডামিসহ নানা কুসংস্কারের ব্যঙ্গ করেছেন তীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে। সত্যি "আয়না" যদি পড়া না হতো বা এটি পড়ার আগেই ইহলোকের অবসান ঘটিয়ে দুরলোকে বিচরণ করতাম তবে নিশ্চিত পৃথিবীর সত্য লোকের অনেক কিছু অজানাই থেকে যেতো।আমার কাছে "আয়নার" প্রত্যেকটি শব্দকে মনে হয়েছে সকল অজ্ঞতা,কুসংস্কার,কু-ব্যাধী,ভন্ডামীর বিরুদ্ধে এক একটি বলিষ্ঠ বজ্র আওয়াজ,এক একটি বারুদের গোলা।যার আঘাতে ভেঙ্গে চুরমার হবে সমাজের নষ্টদের নষ্টামি আর ভন্ডদের ভণ্ডামি।সমাজকে দেবে নতুন আলোর পথ।"আয়নার" প্রতিবিম্বতে আবুল মনসুর কি চমৎকার ভাবেই না দৃশ্যমান করেছেন এই নষ্ট সমাজপতিদের সকল ভণ্ডামির দৃশ্য।সাধারণ মানুষের অজ্ঞতাকে পুঁজি করে একশ্রেণির ধর্ম ব্যাবসায়ী কিভাবে সমাজ ব্যবস্থাকে কলুষিত করে চলেছে প্রতিনিয়িত।আর আমরা অতি সাধারণ এসব ধর্ম ব্যাবসায়ীদের পাতানো ফাঁদে না জেনে, না বুঝে কিভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে আটকিয়ে নিজেদের চিন্তার জগতকে বন্ধক রাখছি।কিভাবে সত্যাগ্রহকে জানার পরিবর্তে এসব ভন্ডদের স্বার্থান্ধ পথে পরিচালিত হচ্ছি।কিভাবে নষ্ট সমাজপতিরা আমাদের সকল বিষয়ে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নিজেদের প্রভুত্ব টিকিয়ে রাখছে।কিভাবে একশ্রেণির ধর্ম ব্যাবসায়ী ধর্মের অপব্যাখ্যার বিষ ঢেলে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরির মাধ্যমে নিজের স্বার্থ হাসিল করছে।কিভাবে সমাজ ব্যাবস্থায় সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢেলে পুরো সমাজকে বিষময় করে তুলছে।এসব তিনি এতো দক্ষতার সহিত নানা উপমা ব্যাবহার করে নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন যে,তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা আর ভক্তির একটি আসন পাতা হয়ে গেছে ইতিমধ্যে।"আয়না" যেন সত্যিকার্থেই শুধু কাগজের বই নয় বরং এর প্রচ্ছদের দিকে তাকালেই আমাদের চলমান সমাজ ব্যাবস্থার সকল নষ্টামি আর ভন্ডামির চিত্র ভেসে উঠছে বারবার। প্রতিচ্ছবি হয়ে হাস্যোজ্জ্বল চিত্র চিত্রিত করছে নষ্ট সমাজপতি আর ভন্ডদের বত্রিশ পাটি দাঁত।

"আয়নায়" হুজুর কেবলা গল্পে এমদাদের বেশ ঠাট্টার ছলে যুক্তি "সে মনে মনে বুঝিল,কলিযুগেও দুনিয়ার ধর্ম আছে" এমদাদের দীর্ঘদিনের বিশ্বাসে এক নতুন মাত্রা সংযোজন করেছে।কেননা এমদাদ কলেজে দর্শনে অনার্স ছিলো।কাজেই সে ধর্ম,খোদা,রসূল কিছুই মানতো না।কিন্তু যখন সে খদ্দরের কল্লিদার কোর্তা,সাদা লুঙ্গি আর মুখে দেড় ইঞ্চি ঝাকড়া দাড়ি,মাথায় টুপি দিয়ে বাইরে বেরিয়েছে তখনই তার ধারনা হয় কলি যুগের ধর্মের কথা।কারন আগে তাকে কেউই সালাম ঠুকেনি কিন্তু আজ ছোট বড় সকলেই তাকে সালাম ঠুকিয়েছে।অথচ ধর্মে,খোদা রসূলে তার কোন বিশ্বাসই নেই।পোশাকের গুনেই সে সকলের নিকট ভক্তির পাত্র হয়ে গেলো।মূলত এমদাদের এই ঘটনা দ্বারা তিনি আমাদের সমাজের কঠিন ব্যাধির দিকটিই ফুটিয়ে তুলেছেন।

এই গল্পের আরেকটি অংশে সুফি সাহেব এমদাদকে উদ্দেশ্য করে বলছেন-"হকিকাতন যদি আপনি রুহের তরক্কি হাসেল করিতে চান,তবে আপনাকে আমার কথা রাখিতে হইবে।আচ্ছা; মাষ্টার সাহেব,আপনি কার মুরিদ?এমদাদের উত্তর- আমি তো কারো মুরিদ হই নাই।
সুফি সাহেবের প্রতিউওর- হ-ম,তাই বলুন।গোড়াতেই গলৎ।পীর না ধরিয়া কি কেহ রুহানিয়ৎ হাসেল করিতে পারে?হাদীস শরিফে আসিয়াছেঃ" মানে পরজগতে কিছু পাইতে হইলে অবশ্যই পীরের মুরিদ হইতে হবে।আমাদের সমাজ ব্যাবস্থায় এই যে কুসংস্কার প্রচলিত, তা টিকে আছে শুধুমাত্র আমাদের অজ্ঞতার কারনেই।এই গল্পের আরেকটি অংশে তিনি উল্লেখ করেছেন পীর সাহেবের দাওয়াতের খাতির যত্নের বিশেষ তত্বের কথা।" দূরবর্তী একস্থানে মুরিদগণ পীর সাহেবকে দাওয়াত করিল।প্রকান্ড বজরায় একমণ ঘি,আড়াইমণ তেল,দশমন সরু চাউল,তিনশত মুরগী,সাতসের অম্বুরি তামাক এবং তেরজন শাগরেদ লইয়া পীর সাহেব "মুরিদানে" রওনা হইলেন" এর মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে ভন্ডামীর মাধ্যমে এসব ধর্ম ব্যাবসায়ীরা নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে প্রতিনিয়ত।

"গো দেওতা কা দেশ" গল্পের এক অংশে তিনি দেখিয়েছেন ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কিভাবে একশ্রেনির ভন্ড ধার্মিক মানুষে মানুষে জাত-পাতের বিভেদ সৃষ্টি করে নিজের প্রভুত্ব টিকিয়ে রাখে। উল্লেখ্য-
"চতুর্দিকে সমস্ত গরুর পাল হইতে 'অনার্য' 'ম্লচ্ছ' বলিয়া চিৎকার উঠিল।"
গাভিটা "আমার জাত গিয়াছে গো,মুচুনমানটাকে আমি ছুইয়া ফেলিয়াছি।কাশীও ডুবিয়া গিয়াছে।হায় হায়,আমি কোথায় গিয়া প্রায়শ্চিত্ত করিব গো"- বলিয়া সম্মুখের একটা পা কপালে ঠেকাইবার চেষ্টা করিয়া কাদিতে লাগিল।“

এছাড়া " নায়েবে নবী" গল্পে তিনি দেখিয়েছেন ভন্ড,বক ধার্মিকরা কিভাবে গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোর অজ্ঞতা আর নির্বুদ্ধিতার সুযোগ নিয়ে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে প্রভুত্ব টিকিয়ে রাখে।তাদের কাছে মানুষ বা ধর্ম নয় বরং নিজের খবরদারি আর প্রভুত্ব কৌশলে টিকিয়ে রাখাই আসল কথা।যা আমরা দেখতে পাই সুধারামী সাহেব আর গরীবুল্লাহ সাহেব এর মধ্যেকার ক্ষমতা কেন্দ্রিক নানা ঘটনার বিবরণে। নিজের মাতব্বরি টিকিয়ে রাখতে তারা মৃত ব্যক্তির জানাজা নিয়ে নানা ঘটনার সূত্রপাত করে।যা বর্তমান সমাজেরই প্রতিচ্ছবি হিসেবে ধরা দিয়েছে।
"ধর্ম রাজ্য" গল্পে তিনি নিখুতভাবে তুলে ধরেছেন ধর্মান্ধদের নানা অজ্ঞতার দিকগুলো।কিভাবে অজ্ঞতার কারনে এসব ধর্মান্ধরা নিজেদের অস্তিত্ত্বকেই বিপন্ন করে ফেলছে।ধর্মের মর্মাথ না বুঝেই শুধু নষ্ট সমাজপতিদের হুজুগে, প্ররোচণায় উন্মাদ হয়ে নিজেদের রক্তাক্ত করছে, মানব স্বত্তাকেও বিলিন করছে।

সার্বিক দিক বিবেচনায় তিনি সমাজ ব্যাবস্থার যে ভয়ঙ্কর চিত্রটি চিত্রিত করে "আয়নার" মাধ্যমে সকলের সম্মুখে উপস্থাপন করেছেন তাতে করে তিনি সাধুবাদ পাওয়ার উপযুক্ত দাবিদার।আবুল মনসুর আহমেদ সত্যিই একজন শক্তিমান লেখক ছিলেন।

উল্লেখ্য-
(আবুল মনসুর আহমদ ময়মনসিংহে জেলার ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা গ্রামে ১৮৯৮ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।১৯১৭ সালে ম্যাট্রিক,১৯১৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। তিনি কলকাতার রিপন কলেজ থেকে আইন বিষয়ে পাশ করেন। সাংবাদিক হিসেবে নানান সংবাদপত্রে কাজ করেছেন, যেমন : ইত্তেহাদ, সুলতান, মোহাম্মদী, নাভায়ু।
আবুল মনসুর আহমেদ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কংগ্রেস আন্দোলনসমূহের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনের পরে তিনি বাংলার মুসলীম লীগের সাথে সম্পৃক্ত হন এবং ১৯৪০ সাল থেকে পাকিস্তানের আন্দোলনসমূহের সাথে যুক্ত হন। তিনি যুক্তফ্রন্ট এর নির্বাচনী কর্মসূচি ২১-দফার অন্যতম প্রণেতা ছিলেন।১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মনোনয়নে পূর্ববঙ্গ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৫৪ সালে তিনি ফজলুল হক মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী নিযুক্ত হন।আবুল মনসুর আহমদ ১৯৫৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পূর্ববঙ্গ পরিষদের সদস্যদের ভোটে পাকিস্তান গণপরিষদ এর সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫৬ সালে পূর্ব পাকিস্তানের যুক্তফ্রন্ট সরকারের শিক্ষামন্ত্রী এবং ১৯৫৬-৫৭ সালে বণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান কর্তৃক সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর তিনি কারারুদ্ধ হন এবং ১৯৬২ সালে মুক্তি পান।পূর্ববাংলার মঙ্গলের জন্য তিনি নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, বিশেষ করে শিল্পায়নে তিনি বিশেষ অবদান রাখেন। আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) এর প্রতিষ্ঠাতা-নেতা ছিলেন। ১৯৫৩-১৯৫৮ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি ছিল।)



এম এম মেহেরুল
লেখক ও চেয়ারম্যান
আলোর প্রদীপ।
ই-মেইলঃ [email protected]

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×