সঠিক সংবাদঃ
************দৃষ্টি আকর্ষণ***********
গত তিন দিন ধরে বিদূৎ না থাকায় পুরাই যাচ্ছেতাই অবস্থা লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার লাখো মানুষের। এক কথায় জনগণ এখন পুরোদমে নাকাল। এদিকে বিদ্যূৎ কর্তৃপক্ষ বলেই যাচ্ছে যে, কাজ চলছে।এই গরমে সবার অবস্থা এখন চরমে। বিশেষ করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় মাথায় হাত,ব্যাংকে গেলে টাকা জমা নিচ্ছে না এমনকি টাকা তোলাও যাচ্ছে না। মোবাইল,টিভি,ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় এবং ইজি বাইকের চার্জ না থাকায় যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। বিদ্যূৎ না থাকায় পানির অভাবে এই গরমে মানুষ গোসল করা এমনকি টয়লেট/বাথরুম এ যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে।সবচেয়ে লজ্জাজনক হলেও সত্যি যে, এত বড় একটা দূর্যোগ এর ঘটনা এখন পর্যন্ত টিভি,সংবাদপত্র ও কোন মিডিয়াতেই স্থান পায়নি বা প্রচার করা হয়নি। স্থানীয় মানুষ বিদ্যূৎ কর্তৃপক্ষ বরাবর অসংখ্য আবেদন করলেও কাজ এর অগ্রগতি আশংকাজনক মাত্রায় ধীরগতির হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করে স্যোসাল মিডিয়া গুলোতে অনেক অনুরোধপত্র এবং স্মারকলিপি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কোনকিছুতেই কাজ হচ্ছে না।
এলাকার সচেতন ও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা একজন আধুনিক নাগরিক হিসেবে আমার সঠিক(!!) মূল্যায়নঃ
জেলা হিসেবে আমাদের এই দুই জেলার (অব)-মূল্যায়ন তথা মহা-মূল্যায়ন এবং এতদ অঞ্চলের মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠাতে বসবাসরত মহারথি নেতানেতৃবৃন্দের ক্ষমতা(!?) এবং আমাদের প্রতি তাদের উপচে পড়া ভালবাসার এমন বাড়-বাড়ন্ত দেখে আমি যারপরনাই আহ্লাদিত অনুভব করছি। সেই সাথে আমি এও জানিয়ে দিতে চাই এটা আমাদের এলাকার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত বিরোধী দল সদস্যদের ব্যর্থ অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু নয়। দুই দিন এর বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও যখন এ ঘটনা মিডিয়াতে স্থান পায়নি তখন নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি। অদূর ভবিষ্যতে আমরা জনগনকে নিয়ে প্রমান করব যে, এরকম কোন ঘটনা আসলে ঘটেনি। আচ্ছা, আসলেই কি লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রাম নামক কোন জেলা বাংলাদেশের ম্যাপে আছে? এদুটো ভারতীয় ছিটমহল নয় তো?
প্রকৃতপক্ষে আমরা তো পেয়েছি নবপ্রেরণা, মনে হচ্ছে যেন আমরা আবার স্বাধীন হয়েছি। অর্থাৎ, ব্রিটিশ শাসনের পূর্বের নবাবি আমলে আলীবর্দি খানের শাসনে চলে গেছি যেন! হাল আমলের নেতাদের এটা তাই বিরাট সাফল্য। তারা আমাদের বিদ্যুৎবিহীন সিরাজোদ্দৌলা যুগের সুশাসনে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন। এটা ইতিঘাসের(!) পাতায় ছাগলাক্ষরে লেখা থাকবে।
আপডেটঃ
নাহ! বড্ড বেরসিক বিদ্যুৎ বিভাগ। সময় স্রোতের বিপরীতে টাইম মেশিনে চড়ে আমাদের দ্বিশতাধিক কাল পুরনো সুশাসনের সুসময়ে সুখ-ভ্রমনে ছেদ টেনে দিলো। পথে পথে প্রজ্বলিত লন্ঠনের আলো নিভিয়ে দিয়ে, হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার মুখের গুঞ্জন, আর ক্রমশ বেড়ে উঠতে থাকা গুজব গুলোকে থামিয়ে দিয়ে আমাদের আবার আধুনিক যুগের প্রাচীন অপ্রাচুর্যে ফিরিয়ে নিয়ে এল! শেষ করে দিল ৭২ ঘন্টারও বেশি সময় ব্যাপী উন্নয়ন যাত্রা। ফিরে এল বিদ্যুৎ প্রবাহ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৮