১৷ জীববিজ্ঞানী, পদার্থবিদ এবং গণিতবিদ
আফ্রিকা গেলেন বেড়াতে। কেনিয়ার
তৃণভূমিতে হাঁটতে হাঁটতে মাঠের মধ্যে সাদা এক
ছাগল দেখতে পেলেন তারা।
জীববিজ্ঞানী বলে উঠলেন, “আরে, কেনিয়ার
ছাগলগুলি দেখি সাদা হয়।”
পদার্থবিদ বাধা দিয়ে বললেন, “আসলে তুমি বোধ হয়
বলতে চাচ্ছ, কেনিয়ার কিছু কিছু ছাগল সাদা।”
গণিতবিদ বললেন, “আসলে ছাগলটি দেখে আমার
যা বুঝতে পারি তা হলো, কেনিয়াতে ন্যূনতম
একটি ছাগল রয়েছে, এবং সেই ছাগলটির ন্যূনতম
একটি পার্শ্ব সাদা।”
২৷ এক দল বিশেষজ্ঞকে প্রশ্ন করা হলো, ” ৪x৪ এর
মান কতো?”
প্রকৌশলী তার প্রাচীন গণনাকারী যন্ত্র স্লাইড
রুল’কে ঝেড়ে মুছে কয়েকবার ডানে বামে টানলেন,
এবং এক সময় জানান, “উত্তরটি ১৫.৯৯।”
পদার্থবিদ তার টেকনিক্যাল রেফারেন্স বইয়ের
পাতা উল্টিয়ে পেছনটা দেখে বলেন, “এর মান
১৫.৯৮ এবং ১৬.০২ এর মধ্যে অবস্থিত।”
গণিতবিদ কিছুক্ষণ মাথা চুলকিয়ে বলেন, “আমি ঠিক
এ মুহূর্তে জানাতে পারছি না উত্তরটি কত,
তবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করছি, এর
একটি সুনির্দিষ্ট মান রয়েছে।”
দার্শনিক স্মিত হেসে বলেন, “৪x৪
বলতে আসলে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন?”
যুক্তিবাদী বলেন, “৪x৪
ব্যাপারটি আরো সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত
করা প্রয়োজন।”
সমাজবিজ্ঞানী বলেন,
“আমি আসলে উত্তরটি জানি না,
তবে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করা সমাজের জন্য
একটি চমৎকার ব্যাপার।”
মেডিক্যালের ছাত্র হঠাৎ বলে উঠে, “গুণফলটি ঠিক
১৬।”
সবাই অবাক হয়ে তার কাছে জানতে চায়,
এতটা নিশ্চিতভাবে ব্যাপারটি কীভাবে জানল!
ছাত্র উত্তর দেয়, “গুণফলটি আমার মুখস্ত ছিল।”
৩৷ রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করতে গেছেন দুইজন
গণিতবিদ। একজন অন্যজনকে বলেন, “বড়ই পরিতাপের
বিষয় সাধারণ মানুষ গণিত খুব কম জানে।”
দ্বিতীয় জন তাতে একমত পোষণ না করে বলেন, “না,
এ ঠিক নয়। অধিকাংশ মানুষ যথেষ্ট পরিমাণে গণিত
বুঝতে পারে। আমি তোমাকে প্রমাণ
করে দিতে পারি।”
খানিক পর প্রথম গণিতবিদ প্রক্ষালন কক্ষের
দিকে গেলে, দ্বিতীয় জন দ্রুত হাতের ইশারায়
ওয়েইট্রেসকে ডাকেন। মেয়েটি কাছে এলে তার
হাতে ১০ ডলারের একটি নোট দিয়ে তিনি বলেন তার
বন্ধু ফিরে আসলে আবারও তাকে ডাকবেন
তিনি এবং একটি প্রশ্ন করবেন। ওয়েইট্রেসের তখন
শুধু বলতে হবে, “ওয়ান থার্ড এক্স কিউবড।”
মেয়েটি রিপিট করে, “ওয়ান থার…ডেক্স কিউ?”
গণিতবিদ শুধরে দেন, “ওয়ান থার্ড এক্স কিউবড।”.
মেয়েটি প্রশ্ন করে, “ওয়ান থার ডেক্স কিউবড?”
“হ্যাঁ, এবার ঠিক আছে।” গণিতবিদ আশ্বস্ত হয়।
“ওয়ান থার ডেক্স কিউবড, ওয়ান থার ডেক্স
কিউবড…” বিড়বিড় করতে করতে ওয়েইট্রেস
সরে যায়।
প্রথম গণিতবিদ ফিরে আসলে দ্বিতীয়জন
তাকে বাজির প্রস্তাব করেন, অধিকাংশ লোকই
যে ভালো গণিত বুঝে এটি প্রমাণ করার জন্য।
তিনি বলেন, “আমি ওয়েইট্রেসকে ডেকে একটি প্রশ্ন
করছি। ঠিক আছে?” প্রথমজন কৌতুকপূর্ণ
হাসিতে রাজি হন।
দ্বিতীয় জন ওয়েইট্রেসকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন,
“আচ্ছা, বলতো x এর সাপেক্ষে এর ইন্টেগ্রাল কত?”
ওয়েইট্রেস জবাব দেয়, “ওয়ান থার ডেক্স কিউবড ( )
।” উজ্জ্বল হয়ে যায় দ্বিতীয় জনের মুখ। টেবিল
থেকে চলে যেতে যেতে ঘাড়ের উপর দিয়ে পিছন
ফিরে তাকায় ওয়েইট্রেস, আর চোখ টিপে বলে,
“প্লাস একটি কনস্ট্যান্ট!”
৪৷ মেডিক্যালের এক ছাত্র উচ্চতর
ক্যালকুলাসে ফেইল করে প্রফেসরের
কাছে গিয়ে ক্ষোভ ঝাড়ে, “হেই, ছাতার এই অঙ্ক
করে আমার কি লাভ? আমি কেন ক্যালকুলাস পড়ব? এমন
তো না যে আমি ডাক্তার হলে ক্যালকুলাস আমার
হাতি ঘোড়া উপকার করবে!”
প্রফেসর শান্তভাবে উত্তর দেন,
“আসলে তুমি যা বলেছ ঠিক নয়। ক্যালকুলাস মানুষের
প্রাণ বাঁচায়।”
“কীভাবে? দেখান দেখি!” ছাত্র জানতে চায়।
“খুব সোজা। ডাক্তার হওয়ার মতো যোগ্যতা যাদের
নেই, ক্যালকুলাসের কারণে আগে থেকেই
তারা মেডিক্যাল স্কুল থেকে ঝরে পড়ে।”