সকল পুরুষ মানুষের মাঝেই একজন কইরা পুরুষ লুকায়া থাকে । লেখাপড়া শিইখা আর দুনিয়ার মানুষের লগে মিইলা সুশীল হইলেও এই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতাটা আমাদের মনের মাঝখান থাইকা যায় না ।
আমরা তাই চিন্তা করি যে নারী মাত্রই ভোগ্যা হতে পারে । তাই একজন নারীকে যদি কেউ অপমান করে তাহলে আমরা চিন্তা করি যে , এইটা তেমন কী আর অপরাধ । এর জন্য আবার শাস্তিটাস্তি কী ? একটু মাপ চাওনের মতো কইরা সালিশ কইরা দিলেই তো শেষ হইয়া যায় ।
কিন্তু সভ্য হইবার যাত্রায় এইসব অবমাননাকারী আর তাগো দালালদের জানা উচিত যে এই সব উৎপাত সহ্য করাটা এখন আর এই যুগে উচিত না ।
একটা মেয়েকে যদি রাস্তায় বখাটেরা টিজ করে তাইলে এই সব পুরুষ বলে , অন্য মেয়ে রাইখা ওরে টিজ করছে কেন , নিশ্চয়ই ওই মাইয়ার দোষ আছে ।
একজন নারীরে ( জানতে পারলাম উনি আরেকজন ব্লগারের মা ) অপমানের পরে এই সব কুলাঙাররা একই লাইনে চিন্তা করে । তারা কয় , কেন গালি দিছে সেইটা দেখা দরকার , গালিবাজরে তার বাকস্বাধীনতা ফিরাইয়া দেয়া দরকার ।
এইটা আসলে মানসিক অসুস্থতার চিন্তা ।
অনেকেই মনে করেন কোটীপতি গালিবাজ টাকা পয়সা দিয়া এইসব রেসিডেন্ট দালালগো সাময়িক ভাড়া করছে ।
আমি মনে করি ঘটনা তা না ।
আসলে এইসব অসুস্থ মানুষেরা বুঝতে পারে না যে তারা অসুস্থ । তারা ভালো কাপড়চোপড় পইড়া , ডিগ্রী বগলে নিয়া চাকুরিবাকুরি করে আর আমাগো মাঝেই ঘুইরা বেড়ায় ।
মুখোশের আড়ালে থাকা এইসব নগ্ন অসুস্থ মানুষেরা আমাদের আশেপাশেই থাকে , আমরা বুঝতে পারি না ।
সময় মতো মনের অজান্তেই তারা তাগো দাত নখ ফুটিয়ে দেয় ।
সুতরাং , সাধু সাবধান ।