মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাকে এই দুনিয়ার জিবনে যা অর্জন করতে আল্লাহর কাছে চাইতে বলেছেন তা হল জ্ঞান। কোরআন পড়লে দেখা যায় পবিত্র গ্রন্থে নবী (সঃ)কে স্পষ্টভাবে “জ্ঞান ̃ বৃদ্ধি করার জন্যই মহান আল্লাহ দোয়া শিখিয়েছেন,
(Sura 20- 114)… এবং বলুনঃ হে আমার প্রভু, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।-وَقُل رَبِّ زِدنى عِلمًا
নবীর অনুসারী হিসাবে আমাদেরকেও তা করতে হবে। কোরআনের কোথায়ও আল্লাহ আমাদেরকে বাড়ী গাড়ী, প্রতিপত্তি বা সাম্রাজ্য পাওয়ার জন্য স্পষ্ট কোন দোয়ার অয়াত নাজিল করে শিক্ষ্যা দেননি। হাঁ, দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যান চেয়ে দোয়া করতে শিখিয়েছেন কিন্ত জ্ঞান অর্জনের ব্যপারে যে বিশেষভাবে আলাদা করে বলেছন তার গুরুত্ব অনেক। বস্তুত এজন্য জ্ঞ্যান অর্জনে আল্লাহর সাহায্য চেয়ে সে ব্যপারে আমদেরকে অবশ্যই প্রচেষ্টা করতে হবে। জ্ঞানের সন্ধান মানে আলোর সন্ধান এবং তা বলতে যারা শুধু কোরআন হাদিসের জ্ঞানকেই বুঝেন তারা নিজেদের জ্ঞানের দূর্বলতা বা বৃহত্তর জ্ঞান অর্জনে অপারগতারই জন্যই এ ধরনের মন্তব্য করেন।
বিশ্বের মানবতাকে বস্তুবাদী সভ্যতার প্রভাবমুক্ত করে সমাজে ইসলামী চরিত্রের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে ইসলামী আদর্শের শোষনমুক্ত সমাজ কায়েমের উদ্দেশ্যে প্রচেষ্টা করা প্রতিটি মুসলিমের ঈমানী দায়িত্ব। আর এ দায়িত্ব পালনে জড়িত হলে শুধু অতীতের জ্ঞ্যানের গন্ডিতে বাক্স বন্ধী না থেকে তাদের আধুনিক জ্ঞান ̃বৃদ্ধির জন্যও এগিয়ে আসতে হবে। সমস্যা হচ্ছে দ্বীনকে যারা শুধু মধ্যযুগীয় চশমা দিয়ে বুঝতে ও দেখতে চান তারা কিন্তু দ্বীনের কথা সফলভাবে আধুনিক মানুষেক বুঝাতে ব্যর্থ হবেন। তবে দুঃখের ব্যপার হল এই ধারা চলে আসছে বিগত কয়েক শতাব্ধী থেকে আর সে জন্যই মুসলিমরা পশ্চিমা বিশ্বের কাছে পরাজিত এবং মুসলিম দেশেও চরমভাবে ব্যর্থ সাধারন মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা অর্জনে।
হাজারো বছর অতিক্রম করে সময়ের সাথে এবং বিশ্ব স্রষ্টার অনুমতিক্রমে মানব সভ্যতার পরিবর্তনে মানুষ যে যুগের যে অবস্থায় এসে পৌছেছে তার উপযোগী ইসলামী সমাধান বের করতে যে ইজতিহাদ করা ও জ্ঞানের দরকার তার কোন প্রয়োজনীয়তা আছে বলে অনেকে স্বীকার করতেই রাজি না! আর এ ধারনার চরম গোড়ামিতে সবচেয়ে বেশী ডুবে আছেন উপমহাদেশের উলেমারা।
সমাজের বিবর্তন একটা প্রবল বাস্তব, সেই বিবর্তনের সাথে সাথে মূল ইসলামি মুল্যবোধ বজায় রেখে সামাজিক আইনগুলোর ব্যাখা প্রয়োগে বিবর্তন করার যথেষ্ট সুযোগ আছে কিনা কোরআন সুন্নার আলোকে সে চিন্তা ভাবনার সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মনে হয় এক রহস্যজনক কারনে।
প্রশ্ন হচ্ছে ইসলাম বুঝতে তথা হাদিস ব্যাখায় মাদ্রাসা দারুল উলুম দেওবন্দ সহ তথাকথিত অন্যান্য হক্কানী আলেমদের ইজমা কিয়াসকে কি ভূলের উর্দ্দে ধরতে হবে? তাদের প্রজ্ঞা ও বোধশক্তিতে দেয়া অভিমত যে বিশেষ কালের বিশেষ সমাজ ব্যবস্থার প্রভাবযুক্ত একথা বলা যাবেনা? কেউ যদি তাদেরকে প্রশ্ন করে যে তারা সময়ের প্রয়োজনে একাধিক বিয়ে করতে রাজী নন। সময়ের দাবিতে তলোয়ার আর ঘোড়া নিয়ে যুদ্ধ করতে রাজী নন। সময়ের দাবিতে দাসীর সাথে যৌন মিলন করতে রাজী নন। সময়ের দাবিতে পায়ে হেটে হজে যেতে রাজী নন। অথচ সময়ের বিবেচনায় যে ইসলামের মৌলিক আদর্শকে বজায় রেখে “হক্কানী আলেমদের ইজমা কিয়াসকে” সংস্কার করতে বা ইসলামের কোন বিষয়ে তাদের বুঝার বা ব্যখ্যা যুগোউপযোগী করতে রাজি হন না কেন? বরং এবিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে বিপদে পড়তে হও এমন কি মুরতাদ বলতেও পিছপা হন না এক শ্রেনীর “খাটি মুসলিম” দাবিদার ভাইয়েরা। আর এ বিষয় আলাপ করলে দেখা যায় অনেকে আবার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন যে সমাজ বিবর্তনের সাথে সাথে ধর্মের ব্যখায় বিবর্তন ঘটানোর চিন্তা করাই ধর্মকে ঠিকমত পালন না করার নামান্তর। তারা বলতে চান পশ্চিমা ভাবধারার চশমা পড়ে ইসলামকে বিবর্তন করতে গেলে ইসলাম অবশিষ্ট থাকবে কিনা সন্দেহ আছে। তাদের কথা হল মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ইসলাম পরিবর্তন হলে খৃস্টান ধর্মের মত অবস্থা হবে। আমরা নিজেদের ঈমানের দূর্বলতা স্বীকার না করে আলেমদেরকে সমালোচনা করা সহজ। তাদের অনেকে আবার একথাও বলেন এই উপমহাদেশের আলেমরা ইসলামিক রাজনীতি নিয়ে তেমন সোচ্চার নয় বলেই হয়তো তাদের উপর ক্ষ্যাপা কিছু লোক। কেউ আবার মনে করেন সংষ্কারের কথা চিন্তা করা মানেই বুঝি হাদিস কোরআন ছেড়ে দেয়া। আসলে এসবই হচ্ছে অজানা অশংকা ও সেই বন্ধ মানষিকতার ফল।
বলা হয় সুন্নাত যে চেনেনি বা সুন্নাতের প্রতি মনোযোগী নয় এমন ব্যক্তির অন্তরে হেদায়েতের ১৬ আনার ১ আনা ঠিকমত ঢুকেছে কি না সন্দেহ। কারণ হেদায়েতের অর্থাৎ সঠিক পথে থাকার নিদর্শনই হল সুন্নাতের পুংখানুপুংখ অনুসরণ। এ কথা ১০০% সঠিক কিন্তু সুন্নাত কি সেটা নিয়েই তো সকল সমস্যা! সুন্নাত পালনে কিসের প্রধান্য আগে সেটাই তো আমরা জানিনা। আল্লাহর রাসুল (সঃ) সে সময়কার সামাজিক ও সাংকৃতিক অবস্থার ভিত্তিতে যা করতেন তাকে হুবুহুবু অনুকরন করাটাই কি এ যুগে প্রধান সুন্নাত না কি তাঁর বিশ্বজনীন (universal) ন্যায়নীতি, সুমহান কর্মপদ্ধতী ও তৌহিদ, তাকওয়া, ন্যয় বিচার, পরমত সহশীলতা, জ্ঞান অন্নেশন, সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা, অন্যায়ের বিরোদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আদর্শ সত্যিকারভাবে অনুসরন করাই বড় সুন্নাত? তাই আজ প্রয়োজন অনুকরন (Imitating) না অনুসরন (following)এর মাঝে সুন্নাত সে বিষয়ে ইজতেহাদ করা।[/sb
তথা কথিত হাক্কানী আলেমদের মানষিকতার ছোট্ট একটি উদাহরন দেয়া যায়, তাঁরা নিজ স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে মহিলা ডাক্তার খোজেন অতচ নিজের মেয়েকে ডাক্তারী শিক্ষায় পাঠানো তো দূরের কথা স্কুল কলেজে না পাঠিয়ে দ্রুত বিয়ে দিতে পারলেই দ্বীনের খেদমত মনে করেন। আমাদের দেশের গ্রামে গঞ্জে এ জাতীয় মনবৃত্তির লোকেরাই মানুষকে ইসলাম বুঝাতে চান। আর এরা সবই আসে সেই দেওবন্ধী দিক্ষার তথাকথিত কোওমী মাদ্রাসা থেকে। তাই মাদ্রাসা শিক্ষ্যা ব্যবস্থাকে সংষ্কার খুবই জরুরী।
গত শত শত বছর থেকে মুসলিমরা যে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে পৃথিবীতে অসম্মানের জিবন যাপন করে যাচ্ছে তার অবসানে আমদেরকে ঘুম থেকে জাগ্রত হতে হবে। সে জন্য কোমরে বোমা বেধেঁ আত্মহনন বা সন্ত্রাস তো কোন সমাধান হতে পারে না। বরং তা হচ্ছে আত্মঘাতী ও ইসলামী আদর্শ বিরোধী ভয়ংকর এক অশুভ পদক্ষেপ।
অন্য দিকে সময়ের পরিবর্তনে পরিবর্তিত পরিস্থিতে শুধু পম্চিমা সভ্যতাকে ঘৃনা এবং ঈমান খোয়াবার ভয়ে বাক্স বন্ধী হয়ে থাকলে এ অবস্থার পরিবর্তন কোন দিন হবে না এবং এতদিন এভাবে থেকে ও কাজ করে কিছুই যে হচ্ছেনা সে কথা নতুন করে বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তবে সঠিক পথ এখন কি হবে তা সাধারন মুসলিমকে আলেম উলেমাদেরকেই দেখাতে হবে। কিন্তু আছে কি তাদের সে যোগ্যতা? যদি বিশ্বাস করতে হয় ইসলামী স্কলার অর্থাৎ উলেমারা আসলে স্বয়ং হুযুর(সাঃ) কর্তৃক নিয়োজিত উম্মাতের ইমাম তাহলে আজ ওনারা শুধু মাত্র ধর্মীয় অনুষ্টানিকতার ব্যপার ছাড়া সমাজের বৈষয়িক সকল ক্ষেত্রেই কেন অবহেলীত, কেন তারা সমাজে গুরুত্বহীন ও অযোগ্য বলে পরিলক্ষিত হন? আল্লাহর রাসুল মোহাম্মদ(সঃ)কে মদীনাবাসী (তখনকার ইয়াতরিববাসী) যখন হিজরত করতে আমন্ত্রন করছিল তখন সেখানে সবাই কি ঈমানদার ছিল? তাহলে তাদের কাছে নবীর শুভাগমনের গুরুত্ব এত অধিক কেন লেগেছিল? কারন নবীর কথাবার্তায়, চালচলনে ও কর্মপদ্ধতীতে তাঁর যোগ্যতা প্রকাশিত ছিল বলেই মদীনাবাসী তাদের সমাজে নবীকে নেতৃত্ব দেয়ার উপযুক্ত মনে করেছিল। ইসলামে তো পৌরহিত্য (priesthood) নাই তাহলে আজকাল মুসলিম সমাজে ক্রিষ্টানদের মত এ প্রবনতা কেন দেখা দিল?
প্রবিত্র কোরঅনে স্পষ্ট বলা আছে
كُنتُم خَيرَ أُمَّةٍ أُخرِجَت لِلنّاسِ تَأمُرونَ بِالمَعروفِ وَتَنهَونَ عَنِ المُنكَرِ وَتُؤمِنونَ بِاللَّهِ
তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে।(সুরা:৩:১১০)
তাই প্রশ্ন জাগে “কুন্নতু খাইরা উম্মতী/সর্বোত্তম উম্মত” হলে মুসলিমদের আজ এ দূরাবস্থা কেন? সাধারন মুসলিমদের কথা বাধ দিলেও যারা “হুযুর(সাঃ)কর্তৃক নিয়োজিত উম্মাতের ইমাম হিসাবে” দাবী করেন তারা কোন অবস্থানে আছেন?
মানুষ পরিবর্তন হতে চায়না এটা আমাদের স্বভাব কিন্তু ধর্মের মূল লক্ষ্য যদি হয় মানুষকে আদর্শিক মানুষ হিসাবে রুপন্তর করে সমাজে শান্তী, সুবিচার প্রতিষ্টা করা, ইসলামকে বিজয়ী আসনে বসানো। তাহলে মুসলিমরা কি তা করছে? সবচেয়ে বড় কথা আজ বুঝতে হবে তা হল একি কাজ চিরদিন একই পদ্ধতীতে করব আর আশা করব ভিন্ন রিজাল্ট তা তো হয়না।
একটি উদাহরন: বাক্স বন্ধী মানষিকতার জন্য যে মুসলিমদেরকে কত ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার একটা উদাহরন দেয়া যায়। আজকাল ইউরোপ আমেরিকায় যারা বাস করেন তারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন প্রতি বছর ঈদ উজ্বাপন নিয়ে কি ঝামেলায় পড়তে হয়। কাজের জায়গায় ঈদ পালনে অগ্রীম ছুটির জন্য দিন তারিখ বলতে পারেনা, কমিউনিটার একেক দল একেক দিন ঈদ পালন করেন অতচ সবাই একসাথে একি দিনে পালন করলে অমুসলিমদের কাছেও আমাদের ঐক্যতার বহিঃপ্রকাশে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়ত যার ফলে ঈদের ছুটি সরকারী ছুটি হিসাবেও হয়ত একদিন স্বীকৃতি পাওযা যেত। কিন্তু তা হবেনা যতদিন হাদীস বুঝতে এই বাক্স বন্ধী মানষিকতার অবসান না হবে। আর এব্যপারে সবচেয়ে বেশী গোড়ামিতে লিপ্ত সেই “হক্কানী আলেমদের ইজমা কিয়াসকে” যারা চির সত্য মনে করেন,তাদের যুক্তি হাদীসে আসে চাঁদ দেখে রোজা রাখতে ও ঈদ করতে।
চাঁদ দেখে রোজা ঈদ করা অর্থ কি এটা নয় যে চাঁদ যে জন্মেছে তা (sure) নিশ্চিত হওয়া না খালি চোখে দেখাটা নামাজ রোজার মত একটা এবাদত? আর সে জন্য খালি চোখেই কি দেখতে হবে অন্য কোন সঠিক পন্তা থাকলে তা গ্রহন করে নিশ্চিত হতে পারলে কি হাদীস অমান্য করা হবে? নবীজির সময় লাঠির ছায়া দেখে নামাজের সময় ঠিক করা হত আর এখন ঘড়ী দেখে যদি মনে করতে পারি নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গিয়েছে তাহলে চাঁদের জন্মের ব্যপারে কোন বৈজ্ঞানিক পন্থা থাকলে তা গ্রহন করতে অসুবিদা কোথায়? বিশেষ করে মুসলিম ঐক্যের কথা চিন্তা করে একাজ করলে কি হাদীস অমান্য হয়ে যায়? আজ থেকে ১৪০০ বছর আগের এস্ট্রনমী আর আজকের বিজ্ঞান ভিত্তিক এস্ট্রনমী কি একি রকম?
আশার অলো:
ঈদের চাঁদ দেখার সমস্যা সমস্যার সমাধান কল্পে আধুনিক চিন্তাশীল কিছু ইসলামী স্কলাররা [link|http://www.fiqhcouncil.org|ফিক কাউন্সিল)[]
এব্যপারে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেনএ বিষয়ে জানতে চাইলে এখানে দেখুন।
এ কিন্তু তারা এখনও “হক্কানী আলেমদের” আপত্তি কাটিয়ে উঠতে পারছেন না কেননা ইউরোপ অমেরিকার অধিকাংশ মসজিদে এখনও যারা ইমাম তারা তাদের মতে সিদ্ধান্ত নেন তাই ইউরোপ আমেরিকার মুসলিমরা একই দিনে এখনও ঈদ পালন করতে পারছে না।
এ প্রসঙ্গে ইজতিহাদের সুফলের আরেকটি যুগান্তকারী প্রদক্ষেপ ইসলামি ব্যংকের প্রবর্তন। বর্তমান পশ্চিমা পুজিবাদের সুদভিত্তিক ব্যংকের বিকল্পেও যে সুদবিহীন শরিয়া ভিত্তিক অর্থব্যবস্থার ইসলামি ব্যংকের প্রবর্তন।
ইসলামী ব্যংকিং সফলকাম করা যায় তা হয়তো কোনদিনই সম্ভব হত না যদি বাক্সবন্ধী মানষিকতার বাহিরে গিয়ে সে চেষ্টা করা না হত।
ইসলামী আদর্শকে মানুষের বাস্তব জিবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করে মুসলিম ও অমুসলিম তথা মানবতার কল্যানে কাজে লাগাবার প্রচেষ্টা করাই হচ্ছে মুসলিমদের দায়িত্ব। কিন্তু দুঃখের ব্যপার হল উপমহাদেশের "হাক্কানী উলেমরা" মনে হয় সে লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে তাই তাদের দিকে না তাকিয়ে আধুনিক চিন্তাধারার ইসলামী স্কলারদেরেকই এগিয়ে আসতে হবে।
****************************************************************
বিঃ দ্রঃ
আমার এই লিখাটা বর্তমান পারিপার্শিক পরিস্থিতর প্রেক্ষিতে একটি সুস্থ সংলাপের সুত্রাপাত করার উদ্দেশ্যে লিখা, কাউকে হেয় বা আক্রমন করার উদ্দেশ্যে নয়।
Click This Link