আমার নিজের মেয়েটি আবারো বিদ্যালয়ে নির্যাতনের শিকার হল। ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্মমভাবে নির্যাতন করা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার কন্যা উক্ত বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী, রোল ১, শাখা - ক এবং ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত। গত ০৭-০৪-২০১৪ তারিখে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক জনাব আব্দুল মান্নান সাহেব শ্রেণিকক্ষে নবদূত গাইড বই না নেয়ার অপরাধে(!) নির্মমভাবে বেত দিয়ে ৪০জন ছাত্রীকে প্রহার করে। (এখানে গাইড বই ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে)। এতে আমার কন্যা প্রহারের যন্ত্রণা ও আতঙ্কে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ধরাধরি করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরবর্তীতে তার চিকিৎসার জন্য ডাক্তার ডাকতে হয়। নির্মমভাবে প্রহারের কারণে আহত মেয়েটিকে প্রহারের জন্য বিচার দিতে হয়নি, এমনিতেই ছড়িয়ে পড়েছিল। আমি ও আমার স্ত্রী চাকুরির কারণে বাড়িতেও ছিলাম না। পরদিন বিদ্যালয়ে গেলে জনাব আব্দুর রহিম ও জনাব ফেরদৌস নামের দুজন শিক্ষক তাকে বাড়িতে বলার অভিযোগে আবারো অপমান অপদস্ত করে। জনাব রহিম ইংরেজির শিক্ষক হলেও তার বিরুদ্ধে পড়াতে না পারার অভিযোগ করেছে। ভুল উচ্চারণ, শব্দের ভুল অর্থ বলায় তা ধরে ফেলায় এমনিতেই ভাল ছাত্রীদের উপর তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন। এবার মেয়েটিকে অপমান করে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়ে নিজের মনের ঝাল মিটালেন। ফেরদৌস নামের আরেক শিক্ষক কি পড়ান তা শিক্ষার্থীরা বুঝেনা; এ কারণে তিনিও শিক্ষার্থীদের পছন্দ করেন না। বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মারধর করতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন নেছার স্যার। তিনি ৩০/৩৫ বছর আগেও আমাদের পড়াতে পারতেন না, মারতেন। এখনও তার কিছু মনে থাকে না। কোন ক্লাসে গিয়ে বললেন, এই ক্যাপ্টেন কে? দাঁড়াও। ক্যাপ্টেন দাঁড়ালো কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন। একটু পড়েই ক্যাপ্টেনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মারলেন। এই ক্যাপ্টেনও আমার মেয়ে। কদিন আগে একটি বাচ্চা মেয়েকে মেয়ে অজ্ঞান করে ফেললেন। মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে তাকে অভিযুক্ত করা হয়, না খেয়ে আসার। পড়াতে না পারা আরো কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধর করার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।মূলত মেরে ভীতি তৈরি করে এরা শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। কারণ শিক্ষকরা কখনো নিজের প্রাইভেট ছাত্র-ছাত্রীকে মারেন না। বিদ্যালয়গুলো নিম্নমানের গাইড বই প্রকাশকরে নিকট থেকে ঘুষ গ্রহণ করে তা শিক্ষাথীদের কিনতে বাধ্য করে। কষ্টের বিষয়, কোন শিক্ষক মারধর করলেও তার পক্ষেই সকল শিক্ষক থাকেন। অথচ বর্তমান আইনে যে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মারবেন তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করতে হবে। যদি ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েও যারা ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করতে হবে।
এবার আমার মেয়েকেই স্কুলে নির্যাতন করা হল
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৩১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।
পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন
একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়
সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।
সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?
সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঘুষের ধর্ম নাই
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।
হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।
পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন