গতকাল ফারিহা নামের একটি আইডি থেকে নিজের বাবাকে দোষারোপ করে,তার প্রতি শারীরিক এবং মানসিক এমনকি যৌন নির্যাতন এর অভিযোগ এনে একটি ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হয়।কি ছিল সেই ভিডিও তে দেখেন নিন।।
ভিডিও লিংক (ফারিহা)- Click This Link
আজ সকালে ফেইসবুকে ফারিহার ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে আরেকটি ভিডিওতে তার বোনের সব কথা মিথ্যে এবং বানোয়াট বলে আরেকটি ভিডিও ফেইসবুকে আসে।ভিডিও তে তার বোন সব মিথ্যে বলেছেন এবং সে নেশাগ্রস্থও হতে পারে বলে উল্ল্যেখ করেন।এবার দেখেনিন সেই ভিডিও তে কি আছে।।
ভিডিও লিংক (ফারিহার ভাই)- https://www.youtube.com/watch?v=-MXNk0nNITs
এদিকে আজ সকালে ফারিহার সমবয়সি তার খালার সাথে যোগাযোগ করেও জানা গেছে ফারিহার বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য।
ভিডিও ভাইরাল হওয়া মিরপুরের UIU এর শিক্ষার্থী ফারিহার খালার বক্তব্য প্রমান করে মেয়েটি তার মা-বাবা সম্পর্কে ভিডিওতে যা বলেছে তার সবই মিথ্যা।
নিচে তার খালার বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
"সম্পর্কে আমি ফারিহার খালা হই। ও প্রচন্ড জেদি একটা মেয়ে। বয়সে ওর আর আমার খুবই অল্প সময়ের ব্যাবধান, আমি ওর থেকে ছয় মাসের বড়। ছোট বেলা থেকে ওকে আমি দেখছি, ও খুবই উগ্র টাইপের। যেটা সে বলে সেটা তাকে করতেই হবে সেটা যে করেই হোক।
সে ওর বাবা মায়ের সম্পর্কে যা বলেছে তা তো দূরে কি পরিমান ভালো যে ওর বাবা ওকে বাসে তা দেখলেও আপনি অবাক হয়ে যাবেন। প্রতি মাসে এই মেয়েকে তার বাবা কমপক্ষে ২০ হাজার টাকার উপরে কসমেটিকস সামগ্রী কিনে দেন। মেয়ের চাহিদা মত ফোন কিনে দেন। যখন যা খাইতে চায় তাই এনে দেন। আমি এ ও দেখেছি এই মেয়ে যখন রান্না পছন্দ হয়নি বলে রাত ১ টা ২ টার সময় বলে ভাত খাবেনা তখন তার বাবা রেষ্টুরেন্ট থেকে খাবার এনে তাকে খাইয়ে দেয়। বাইরে যেখানেই সে ঘুরতে যেতে চেয়েছে তাকে যেতে দেয়া হয়েছে। সে অর্নাসে ব্রাকে ভর্তি হতে চেয়েছিলো তার বাবা এমন কোন উপায় নেই যে ভাবে চেষ্টা করেননি ওকে ভর্তি করানোর জন্য। কিন্তু ওর রেজাল্ট অতটা ভালো ছিলোনা বলে পারেননি।
মেয়ের জন্য কি না করেন বাবা। তার ক্ষোভ ছিলো সে স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে একা যাবে কিন্তুু তার বাবা তা যেতে দিবে না। তাদের গাড়িতে তাকে পাঠানো হতো, এটা তার পছন্দ ছিলোনা। তারা পরহেজগার ফ্যামিলি। হ্যাঁ, তার বাবাকে আমি তাকে মারতে দেখেছি তাকে ঠিক পথে চলানোর জন্য, তাকে নামাজ পড়ানোর জন্য। কিন্তু মেয়ে তা করতে রাজি নন।
একদিন দুপুর বেলা দেখলাম ওর দুটো ছেলে ফ্রেন্ড আসছে ওকে নিয়ে ঘুরতে যাবে। ওর মা বাধা দিলো, সে ওর মাকে অকথ্য ভাষায় কি সমস্ত কথা বললো তা চিন্তার বাইরে। তারপর আমাদের সামনে বললো- 'আমাকে যেতে না দিলে আমি ওদের সামনে তোমাকে অপমান করবো'। ওর মা ভয় পেয়ে চুপ হয়ে গেলো।
আমার মা মানে ওর নানু তাকেও আজে বাজে কথা বললো। ধারনা করার বাইরে। ও বাসায় ফিরতো রাত ১০ টা ১১ টায়। জিজ্ঞেস করলে বলতো আমি কাউকে কৈফিয়ত দিবোনা। তারপর যখন ওর বাবা এসে রাগারাগি করতো তখন আরো খারাপ খারাপ কথা বলতো। কোন বাবা মায়ের সাথে কোন মেয়ে এমন ব্যবহার করতে পারে ধারনার বাইরে। যথেষ্ট সম্ভ্রান্ত ফ্যামিলির মেয়ে সে, কিন্তুু তা সত্ত্বেও সে ছেলেদের সাথে যে ভাবে মিশতো সেটা ওই ফ্যামিলির মানুষ মেনে নিতে পারতোনা। ক্লাস টেন থেকে লুকিয়ে মোবাইল ইউজ করতো, ধরাঅ খেয়েছে বহু বার। এ জন্য সে মারও খেয়েছে।
যে ছেলেকে সে ভালোবাসার কথা বলছে ফ্যামিলির মতে সেই ছেলে তাদের ফ্যামিলির সাথে যায়না এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ছেলেটা ড্রাগ এডিক্টেড। কোন বাবা মা চায় তার সন্তানের জীবনটা নষ্ট হয়ে যাক।
তাকে খুঁজে না পেয়ে তার বাবা মা থানায় জিডি করেছেন। পাগলের মতন হয়ে আছেন তার বাবা। সম্ভবত সে তার কোন বান্ধবীদের সাথেই আছে। এবং তার বাবা মা পুলিশের মাধ্যমে তাকে খুঁজছে বলে পেয়ে যাবার ভয়ে তার বন্ধু বান্ধবীদের প্রেসারে সে ওই মিথ্যা ভিডিও বানিয়েছে। আমি সত্যিই ওর ভিডিও দেখে খুবই হতবাক এবং লজ্জিত।"
শুধু তা-ই নয়, ফারিহার আপন ভাইও তার ব্যাপারে বক্তব্য দিয়ে ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে তার ভাইও একই ধরনের কথা জানিয়েছে।
মেয়েটি যাদের সাথে মেশে তারা এডিক্টেড, সে ক্ষেত্রে ফারিয়াও এডিক্টেড বলেই ধারনা করছে তার পরিবার। ফারিয়াকে বাসায় সব সময় রুমের দরজা জানালা বন্ধ করে লম্বা সময় রুমের ভেতরে অবস্থান করতে দেখা যেত।
গত ২ দিন থেকেই সে বাসার বাইরে, এমন যদি হতো যে তার বাবা তার উপর অত্যাচার করে তাহলে ২ দিনেই ভিডিও দিতে পারতো। কিন্তু ফারিয়া তা করেনি। বরং যখনি সে বুঝতে পারলো তার পরিবার তাকে খুঁজছে এবং থানায় জিডি করায় পুলিশ তাকে খুঁজছে, তখনি সে তার বন্ধুদের সহযোগীতায় পরিকল্পিত ভাবে ওই ভিডিও ছেড়েছে।
নেশাগ্রস্থ ফারিয়ার এমন কর্মকাণ্ডই প্রমান করে- 'সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ'
(এই কথপোকথন সংগ্রহ করা হয়েছে)।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯