somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

- তুরস্কের নির্বাচনের একটি বিশদ পর্যালোচনা

২৫ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতকাল ২৪ জুন, তুরস্কে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দেশটির জন্য ঐতিহাসিক একটি নির্বাচন। গত ১৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত তার্কিশ রেফারন্ডুম এর ফলাফলের ভিত্তিতে তুরস্ক এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। সেই সাথে সংসদীয় রাষ্ট ব্যবস্থা থেকে তুরস্ক প্রেসিডেন্সীয়াল ব্যবস্থায় প্রবেশ করেছে। গতকাল একই সময়ে ২৭ তম সংসদ নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে।



শুরুতে দেখে নেই কি থাকছে এই নতুন পদ্ধতিতেঃ
সংসদীয় ক্ষমতা ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল ব্যবস্থায় কি কি তফাত থাকছে সেটা অনেকের মনেই প্রশ্ন। গত ৩ দিন আগে টি আর টি চ্যানেলে এক লাইভ প্রোগ্রামে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার বিশদ আলোচনা করছেন।
যেখানে আগে থাকা ২৬ টি মন্ত্রনালয় থেকে ১৬ টিতে নামিয়ে আনা হবে। অপর দিকে সরাসরি প্রেসিডেন্ট এর সাথে ফাইন্যান্স অফিস, হিউম্যান রিসোর্স অফিস, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন অফিস এবং ইনভেস্টমেন্ট অফিস নামে ৪ টি মূল অফিস থাকবে। ১৬ টি মন্ত্রনালয় তাদের অবস্থানের আলোকে এই ৪ টি অফিসে বাধা থাকবে। মূলত এটি আমেরিকার মত করে সাজানো হয়েছে। বলে তিনি জানিয়েছেন।

নতুন সিস্টেমে; স্থানীয় সরকার পলিসি, সামাজিক পলিসি বোর্ড, স্বাস্থ্য ও খাদ্য পলিসি বোর্ড, সংস্কৃতি ও শিল্প রাজনীতি বোর্ড, আইনী নীতি বোর্ড, নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি বোর্ড, অর্থনৈতিক নীতি বোর্ড, শিক্ষা ও শিক্ষণ রাজনীতি বোর্ড, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন রাজনীতি পরিষদের কাউন্সিল বোর্ড নামে ৯ টি তৈরি করা হচ্ছে। যতটুকু বোঝাা যায় এই বোর্ড গুলো মন্ত্রনালয়ের সাথে বাধা থাকবে।

নতুন ব্যবস্থায়, মন্ত্রীর সংসদের বাইরে থেকে নির্বাচিত হবে। অর্থাৎ এমপি হতে পারবেন না। প্রেসিডেন্ট যদি কোন এমপি কে মন্ত্রী করবেন চিন্তা করেন তাহলে তাকে এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
প্রেসিডেন্ট এর সহকারী হিসেবে কিছু পদ থাকবে।

নতুন ব্যবস্থায়, সংসদের প্রধান হবেন প্রেসিডেন্ট।



নির্বাচনের ফলাফলঃ
নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ৫০.৩৮% ভোট পেয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ান নির্বাচিত হয়েছেন। আর সংসদ নির্বাচনে একে পার্টি এবং এম এইচ পি জোট তথা জুমহুর ইত্তিফাক বিজয়ী হয়েছে। এখন অব্দি একে পার্টি পেয়েছে ২৯৫ টি আসন আর এমএইচপি পেয়েছে ৪৮ টি আসন। মোট ৩৪৩ টি আসন পেয়ে এই জোট সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করেছে। একক সরকার গঠনের জন্য দরকার ছিল ৩০১ টি আসন। যদিও একেপি নিজেরাই ৩০১ টি আসন পাবে বলে ধারনা করেছিল। সেই সাথে গত নির্বাচনের থেকে এই বই নির্বাচনে ৫০ টি আসন বৃদ্ধি করে ৬০০ আসনে উন্নিত করা হয়েছে। সেই ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ে সংসদ নির্বাচনে একেপি এর ভোট সংখ্যা বেশ কমেছে।



নতুন দল হিসেবে ইই পার্টি তাদের প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। জুমহুর ইত্তেফাকের বিপরিতে বিরোধী জোটের নাম ছিল মিল্লি ইত্তেফাক। এই ইত্তেফাকে ছিলেন বামপন্থী সি এইচ পি+ইসলাম পন্থী সাদাত পার্টি+ন্যশনালিস্ট ইই পার্টি। এই জোট নির্বাচনে ১৯০ টি আসন পেয়েছে। তবে এখানে বলে রাখি তুরস্কের নির্বাচনে কোন দলকে আসন পেতে হলে ১০% এর বেশী ভোট পেতে হবে। তবে আবার ইত্তেফাক বা জোটের সাথে থাকার কারনে এই ১০% ভোট না পেলেও এবার আসন পাওয়ার সুযোগ ছিল দলগুলোর। তবে এই জোট থেকেও কোন ফালদা লাভ করতে পারেন নাই ইসলামপন্থী সাদাত পার্টি। তারা ১% এর সামান্য বেশী ভোট পাওয়ায় জোট হলেও কোন আসন পাবেন না। অন্য দিকে কোন জোট ছাড়া ১১.০৭% ভোট নিয়ে ৬৭ টি আসন পেয়েছেন কুর্দিশ পার্টি এইচ ডি পি।

এই সমিকরনে আগের থেকে কিছু বেশী ভোট পেয়েছেন কুর্দিশ এই দলটি। ভোট কমেছে
সি এইচ পি’রও। আগে ২০১৫ সালের নির্বাচনে তারা ২৫% পেলেও এবার পেয়েছেন ২২,৬৬% ।
কুর্দিশদের বেশী ভোট পাওয়ার একটি কারন এটি। কারন আমার দৃষ্টিতে সি এইচ পি নিজের জালে নিজে আটকা পরেছেন। সি এইচ পি এর ভোট চলে গিয়েছে এইচ ডি পি এর দিকে। সি এইচ পি চেষ্টা করেছিল এইচডিপি এর সাথে জোট না হলেও মিলে মিসে তারা কাজ করবে। যদিও তার্কিশ সরকার এই দলটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠি পি কে কে এর রাজনৈতিক শাখা হিসেবে বলে আসছে। সি এইচ পি কুর্দিশদের ঘাটি দিয়ারবাকির সহ পূর্বের শহর গুলোতে গিয়ে এই এইচ ডি পি এর সাথে সমাবেশ করেছেন। সি এইচ পি এর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিজের প্রার্থীতা পাওয়া মাত্রই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এর জন্য জেলে আটক (তিনিও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন) সালাউদ্দিন ডেমিরতাস যিনি এইচ ডি পি এর সাবেক প্রধান তার সাথে দেখা করেছিলেন। এভাবে তাদের নানান কর্মকান্ডের কারনে তাদের নিজেদের ভোট কমেছে বলে ধারনা করা হয়। তার একটা অংশ এইচ ডি পি এর দিকে গিয়েছে বলেও বলা হয়ে থাকে।

ইই পার্টি নতুন দল। তবে এর প্রধান মেরাল আকশেন একে পি এর সাথে জোট হওয়া এম এইচ পি এর নেতা ছিলেন। সাবেক ডেপুটি স্পিকার ছিলেন তিনি। তার দল জোটের মাধ্যমে নির্বাচনে গিয়েছেন। পেয়েছেন ৪৩ টি আসন। তাদের ভোটও এসেছে সি এইচ পি এবং কিছুটা এম এইচ পি থেকে। সি এইচ পি তাদের নির্বাচনে সাহায্য করার জন্য নিজেদের ১৫ জন এম পি কে অব্দি লিখে দিয়েছিলেন এই দলে। যদিও পরে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। অন্য দিকে একে পার্টির কিছু ভোট তাদের জোট এম এইচ পি এর দিকে গিয়েছে বলেও ধারনা করা হয়।

এবার আসুন কথা বলি নির্বাচন কেমন হয়েছে সেটা নিয়ে। নির্বাচন শুরু হয়েছিল স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায়। শেষ বিকেল ৫ টায়। ভোট পড়েছে ৮৯% এর থেকে একটু বেশী মানুষের। একটি একটি বিশাল রেকর্ড। কারন কোন দেশের নির্বাচনে ৮৯% ভোট পড়া আসলেই অনেক বড় গনতান্ত্রিক নির্বাচনের চিহ্ন। দেশের বাহিরে থাকা প্রবাসী ভোটারদের ভোটও বেড়েছে অনেক। আগে যা ছিল ২ মিলিয়ন এর কাছাকাছি এবার সেটা ৩ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রবাসিদের ভোট গুলো মূলত ইউরোপ, আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশে নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরেও নেয়া হয়েছিল এই ভোট। গত ০৭ তারিখ থেকে ১৯ তারিখ অব্দি এই ভোট নেয়া হয়েছে এবং পরে ভোটগুলো দেশের বাহিরে থেকে আনকারাতে নিয়ে আসা হয়েছে।

প্রথম বারের মত ভ্রাম্যমান ভোট বাক্স কাজ করেছে এই নির্বাচনে। অসুস্থ মেডিকেলে আছেন, কিংবা চলাফেরা করতে পারেন না এমন ভোটারদের জন্য আগে যারা আবেদন করেছিলেন সেই ভিত্তিতে তাদের কাছে কাছে গিয়ে এই ভোট নিয়ে আসা হয়েছে। সারাদিনের ভোটে খুব বড় কোন সংঘর্ষ বা বিপত্তি জনক কিছু ঘটে নাই। তবে সানলিউরফা শহরে থেকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে ব্যলোটে সীল মারার দৃশ্য দেখা গিয়েছে। তবে পুলিশ তাদের সাথে সাথে গ্রেপ্তার করেছেন। বিদেশী গুপ্তচর সহ মোট ১২/১৩ সন্দেহভাজন কেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিরোধী নেতারা দিন ব্যাপ্তি নানা সন্দেহের কথা বললেও তারা কোন প্রমান দিতে পারেন নাই। আর সেটা ভোটেও প্রমান হয়েছে। কারন প্রধান বিরোধী দল গত ১৬ বছর অব্দি ২৫% - ৩০% ভোট পেয়ে এসেছেন। এবারও সেটা কমে নাই। তাই কেউ তাদের ভোট চুরি করেছে সেটাও বলার সুযোগ নেই আসলে। আর অন্য দিকে সেনাবাহিনী নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছেন। সব মিলে তার্কির গনতন্ত্রের জন্য মানায় এমন একটি নির্বাচন হয়েছে।

ভিন্ন দল ও নেতাদের প্রস্তুতি কালীন অবস্থান কেমন ছিল?

সি এইচ পি যাকে তাদের প্রার্থী করেছিলেন তিনি আগে দলীয় প্রধান নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন। এম পি ছিলেন। শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন। অনেকটা ডোনাল্ড ট্রামের মত। প্রথম বিপত্তিটা হয়েছিল প্রার্থীতা ঘোষনার দিনেই। সি এইচ পি প্রধান যখন তার নাম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা করেছিলেন তখন তাকে মঞ্চে ডাকার ভাষা ছিল, “ এই মোহাররেম আর এদিকে আয়”।
এটা প্রথম দিনেই ব্যাপক সমালোচনার কারন হয়েছিল দলের জন্য। পরে আবার প্রার্থী নিজে, “আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি না, তবে প্রতিদিন জুমার নামাজ পড়ি”, একদিন আযানের সময় কথা বলতে হয় না আবার পরের দিন আযানের সময় কথা বললে কি হয়, মঞ্চে বাচ্চাদের সাথে খারাপ আচরন করা আবার পরের দিনে বাচ্চাকে কাছে ডাকতে চাইলে বাচ্চা দৌড়ে পালিয়ে গেলে এই জাতীয় আরো অনেক ঘটনা আসলে তাকে শেষ অব্দি হাসির পাত্র বানিয়ে ফেলেছিল।

এবার আসি সাদাত পার্টির কথায়। আগেই বলে রাখি এরদোয়ানে একে পার্টি কোন ইসলামি দল না। আর তারা সেটা কখনও বলেনও না। এটা মূলট দলপ্রধান এরদোয়ানের ইসলাম প্রেমের কারনেই ইসলামী দল হিসেবে পরিচিত। তবে তার্কির মূল ইসলামীক দল সাদাত পার্টি।
যা আগে মিল্লি গুরুশ ছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিমুদ্দিন এরবাকার স্যার এর গড়ে তোলা এই দল। এরদোয়ান এবং এই দলের বড় নেতারা মূলত এই সাদাতের আগের দল রেফা পার্টি থেকেই এসেছিল। আর সাদাত পার্টির ক্ষোভের কারনও এটি। যার কারনে সাদার পার্টি শুরু থেকে এরদোয়ানের বিরোধীতা করে আসছে। সেটা বছরের পর বছর। এই নির্বাচনে এরদোয়ানকে পরাজিত করার জন্য হাত বেধেছে বামপন্থীদের কাছে। সেটা নিজ দলের মাঝেও ভাঙনের সৃষ্টির করেছে। যদিও শেষ রক্ষা হয় নাই। জোট এর মাধ্যমের হলেও এমপি পাওয়ার আশা করা সাদাত পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পেয়েছেন ০,৯০% আর দল পেয়েছেন ১,৩% ভোট তবে এটা আগের নির্বাচনের থেকে অল্প বেড়েছে। এটাও মূলত ৬০০ আসন আসার কারনে ভাগের ধরন পরিবর্তন এর কারনেই মনে হয়।

এরদোয়ান বিরোধীতার কারনে তাদের বামন্থীদের সাথে হাত না মিলিয়ে তারা একে পি এর সাথে হাত মিলালে কিংবা নিজেরা একান্ত নির্বাচন করেই বেশী লাভবান হত বলে আমার মনে হয়। কারন এখন তাদের আদর্শীক অবস্থানও দোয়াশা হয়ে উঠেছে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে সাদাত পার্টি পছন্দ করি সেটা বলে রাখা ভাল।
সেই দাবী থেকে আমার কথা হচ্ছে যে, যখন আমি জানি যে আমার অবস্থান এখনও দেশ শাসনের মত হয় নাই। আমাকে এখনও অনেক কাজ করতে হবে। তবে দেশে কেউ না কেউ তো আসবেন ক্ষমতায়। সেখানে বামপন্থীদের সুযোগ দেয়ার ঠেকে ডাক দিকে থাকাই কি ভাল না? যদি তাদের সাথে আমার ১০০% নাও মিলে ৫০% তো মিলবে। কিন্তু বামদের সাথে?

এটা ভাল যে নির্বাচন ২য় দফায় যায় নাই। তার্কির প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে কোন প্রার্থী এগিয়ে থাকলেই হবে না তাকে ৫০% এর বেশী ভোট পেয়েই হবে। নতুবা ২য় দফায় আবার নির্বাচন হবে। আলহামদুলিল্লাহ ২য় দফার নির্বাচন হয় নাই। প্রথম দফাতেই ফলাফল এসেছে। কারন ২য় দফা নির্বাচন হলে তার্কি অর্থনৈতিক ভাবে বেশ বিপর্যয়ের মূখে পরে যেত। গত ২০১৫ সালের নির্বাচন ২য় দফায় যাওয়ার তার্কির অর্থনৈতিক অবস্থা যেমন দুর্বল হয়েছে তেমনি সন্ত্রাসী হামলা থেকে শুরু করে আরো অনেক বিপর্যইয়ের মূখে পড়েছে তার্কি। আর সেটা এখনও যে পুরো কাটিয়ে উঠেছে সেটা বলা কঠিন।

ফলাফল মেনে নিয়ে পরাজয় স্বীকার করেছেন প্রধান বিরোধী দলের প্রার্থী।
গতকালের নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে পরাজয় স্বীকার করলেন সেক্যুলার দল সিএইচপির প্রার্থী মোহাররেম ইনজে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের হাতে আসা ফলাফল আর নির্বাচন কমিশনের ফলাফলের মধ্যে তেমন কোন তফাত নেই।

এ সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, "এত তাড়াতাড়ি ফলাফল মেনে নিলেন কেন?"

তার উত্তর: প্রতিযোগিতায় তখনই নামা উচিত যখন সত্যিকারের পরাজয়কে স্বীকার করার যোগ্যতা থাকে।
সত্যিই উত্তম গণতন্ত্র ও প্রশ্নমুক্ত নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রনয়নে উদাহরন হল তুরস্ক।


এরদোয়ানের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জঃ
কথায় আছে যে বিজয় অর্জনের চেয়ে সেটা ধরে রাখা কঠিন। যদিও এরদোয়ান সেটা গত ১৬ বছর ধরে রেখেছেন। পশ্চিমা বিশ্ব তাকে অনেক অভিনন্দন জানালেও তাকে সে সুস্থ থাকতে দিবে না সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। সিরিয়া সমস্যার সমাধান করে তার্কিতে থাকা প্রায় ৪ মিলিয়ন সিরিয়ানদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে তার জন্য আরেক চ্যালেঞ্জ। অর্থনৈতিক ভাবে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আসা,
পি কে কে মোকাবেলা করা হবে তার জন্য চ্যালেঞ্জ। চলমান ধারায় থাকা উন্নয়নকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশের মিডিয়া এবং আদালত কে পূর্ন স্বাধীন করে দেয়া হবে তার জন্য চ্যালেঞ্জ। এভাবে আরো হাজারো চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে তাকে মোকাবেলা করতে হবে আগামী ৫ বছর। মানুষকে বুঝিয়ে দিতে হবে পার প্রতি রাখা বিশ্বাসের প্রতিদান।
শুভ কামনা এরদোয়ানের জন্য।
শুভ কামনা তুরস্কের জন্য।।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪
৯টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×